বিডিলাইভ ডেস্ক: ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহারকারীদের জন্য দু:সংবাদ। যারা ভিপিএন ব্যবহার করছেন তাদের কঠোর নজরদারিতে রাখছে আর্ন্তজাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কেননা ভিপিএন ব্যবহার মানেই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক। বিশ্বের বিভিন্ন গোয়েন্দাসংস্থা ভিপিএন এবং টর ব্যবহারকারীদের সব কর্মকাণ্ড কঠোর নজরদারীতে রাখছে।
ভিপিএন এর মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ডাটা আদান প্রদানে করা হচ্ছে। তাছাড়া এতে বিভিন্ন দেশের রেসট্রিকটেড ওয়েবসাইট, ব্লক ইন্টারনেট কন্টেন্ট ইত্যাদি দেখা যায়। যা বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন গোয়েন্দাসংস্থগুলোর দাবি, ভিপিএন ব্যবহার করে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
সম্প্রতি মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ডিভাইস ব্যবহারের উপর বিধি-নিষেধ জারি করে একটি আদেশ দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, আমেরিকায় ফেডেরাল বিধির ফৌজদারী কার্যবিধি ৪১ ধারা অনুযায়ী যেসব ডিভাইস অত্যাধিক মাত্রায় ব্যক্তিগত বা গোপন তথ্য ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে বিচারকরা আইন প্রয়োগ ও সার্চ ওয়ারেন্টের ক্ষমতা পাবেন।
আর ফৌজদারি মামলা রুজুর ক্ষেত্রে ফেডারেলের পরির্বতীত নতুন ক্ষমতা আইন একটি সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ। যার ফলে ডিভাইসগুলোর কর্মকাণ্ড কোন বিতর্ক ছাড়াই প্রমাণ সংগ্রহের জন্য নজরদারীতে রাখা যাবে।
দ্য ইলেক্ট্রনিক ফ্রনটিয়ারস ফাউন্ডেশন (ইএফএফ) জানায়, ভিপিএন ও টর নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীরা, যারা তাদের স্মার্টফোনের মাধ্যমে লোকেশন ট্র্যাকিং প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা এ আইনের মাধ্যমে দূরবর্তী প্রবেশাধিকার, বাজেয়াপ্ত বা ডাটা কপি করার মাধ্যমে নজরদারীতে চলে আসবেন।
ইএফএফ আরো বলেন, এই আইনের ফলে আমেরিকার বাইরের দেশগুলোও ‘সমানভাবে নজরদারীর’ আওতায় আসবে।
তাই বাংলাদেশে যারা ভিপিএন ব্যবহার করছেন তাদের জন্য মহা বিপদসংকেত। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারীতে রয়েছেন তারা। আর্ন্তজাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি, ভিপিএন ব্যবহারকারীদের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলোর প্রত্যক্ষ সর্ম্পক রয়েছে। তারা ভিপিএন ব্যবহারকারীদের সব তথ্য ও কর্মকাণ্ড সংগ্রহে রাখছে।
লিংকঃ http://www.bdlive24.com/home/details...A6%B0%E0%A6%BE
Comment