সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নজরদারি করার উদ্যোগ নিয়েছে এলিট ফোর্স র*্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। ইতিমধ্যে র*্যাবের পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশেষ একটি সফটওয়্যার আনা হয়েছে। সফটওয়্যার পরিচালনার জন্য অন্তত ২০ জন কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে আনা এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সরকারবিরোধী প্রচার-প্রপাগাণ্ডাসহ সাইবার ক্রিমিনালদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন র*্যাব কর্মকর্তারা।
সোমবার দৈনিক মানবজমিনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে র*্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে র*্যাবের নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। কেউ চাইলেই এখন আর সাইবার ক্রাইম করে পার পাবে না।
র*্যাবের সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে নানা রকম অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। বিশেষ করে সরকারবিরোধী প্রচারণা, রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কর্মকাণ্ড, গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, নারীদের যৌন হয়রানিসহ নানারকম সাইবার অপরাধ হরহামেশাই ঘটে থাকে। এসব অপরাধ বন্ধের জন্য র*্যাবের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক মনিটরিং সিস্টেম (এসএমএনএমএস) নামে একটি সফটওয়্যার এবং প্রয়োজনীয় ডিভাইস আনা হয়েছে। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্ন্যাপট্রেন্ডস নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এই সফটওয়্যারটি আনা হয়েছে।
স্ন্যাপট্রেন্ডস আন্তর্জাতিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সফটওয়ার সরবরাহের জন্য বিখ্যাত। এটি কমান্ড অনুযায়ী ব্যবহারকারী লোকেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পারস্পরিক যোগাযোগ বার্তা, ব্যবহারকারীর পূর্ণ প্রোফাইলসহ বিভিন্ন বিষয় খুবই অল্প সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, গুগল প্লাস, ইউটিউবসহ ওয়ার্ডপ্রেসসহ সব ধরনের ব্লগের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। ইতিমধ্যে সফটওয়্যারে পরিচালনার জন্য র*্যাবের গোয়েন্দা শাখার অন্তত ২০ জন কর্মকর্তাকে ১৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞ এসে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বর্তমানে ফেসবুকের ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি। ফেসবুকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন রকম গুজব ছড়ানোসহ নানারকম আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে। ব্লগগুলোতে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে পোস্ট করা, ইনস্টাগ্রাম-টুইটারে রাষ্ট্রবিরোধী তথ্য ও ছবি আপলোড করা হচ্ছে। সনাতন পদ্ধতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নজরদারি করায় অনেক সময় এসব অগোচরে থেকে যাচ্ছে। সফটওয়ারের মাধ্যমে নজরদারি করায় কেউ এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না।
র*্যাবের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, দেশে এক শ্রেণির উগ্রপন্থি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করেছে। এ গ্রুপগুলো সাধারণত ক্লোজড গ্রুপ হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের দায়ে কারো ফাঁসি কার্যকরের আগে বা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এসব গ্রুপ তৎপর হয়ে ওঠে। তারা মনগড়া তথ্য দিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করে সাধারণ মানুষের মনে ভয়ভীতি সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করে।
এ ছাড়া বর্তমানে উগ্রপন্থি দলের সদস্যদের বেশির ভাগই উচ্চ প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে একদিকে তাদের বিতর্কিত মতাদর্শের প্রচার যেমন চালাচ্ছে তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সদস্য সংগ্রহ ও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জনমতকে প্রভাবিত করে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরে কোথায় কে কি অপকর্ম করার চেষ্টা করছে তা জানতেই নজরদারির আওতা বাড়ানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের কর্মকাণ্ড আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, উগ্রপন্থিরা প্রযুক্তির অপব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, ইন্টারনেটে প্রচুর ব্লগ ও ওয়েবসাইটে উগ্রপন্থিরা তাদের নানা রকম উসকানিমূলক ভিডিও এবং অডিও আপলোড করছে।
বিশেষ করে আইএস ও আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের বিতর্কিত বক্তব্য বাংলায় অনুবাদ করে আপলোড করা হচ্ছে। সনাতন পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করে এসবের বিষয়ে নজরদারি করা হলেও বেশির ভাগই আড়ালে থেকে যায়। এখন সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ সাইটগুলো সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে র*্যাব। একই সঙ্গে এসব সাইট কোথা থেকে পরিচালনা করা হয় এবং পরিচালনার সঙ্গে কারা জড়িত তাদেরও শনাক্ত করা সহজ হবে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপ নামে একটি সংগঠন নানা রকম অডিও-ভিডিও বক্তব্য অনলাইনে বাংলায় অনুবাদের মাধ্যমে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালায়। এ ছাড়া আল-শাবাব মিডিয়া, তিতুমীর মিডিয়া, দাওয়াতুল খিলাফাহ ব্লগ ও ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমেও এসব প্রচারণা চালানো হয়। সাইটগুলোতে নিজেদের তৎপরতার পাশাপাশি কর্মী সংগ্রহ করছে জঙ্গিরা।
পুলিশের ওপর হামলা ও খুন, ব্লগার-অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর ধারাবাহিক হামলাকারীদের খেলাফতের সৈনিক বলে ঘোষণা দিয়ে উৎসাহ যোগানো হয়। এমনকি হামলা করার ক্ষেত্রে এসব উগ্রপন্থিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে কিভাবে বাঁচতে হবে, কিভাবে অস্ত্র বহন, মোবাইল ও ল্যাপটপ ব্যবহার করবে এসব বিষয়ে নানা রকম সতর্কতামূলক পোস্ট দেয়া হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, এদের একটি সাইট বন্ধ করার কয়েক দিনের মধ্যে আরেকটি চালু করে। নিয়মিত অনুসন্ধান করে গোয়েন্দাদের সাইটগুলো আবিষ্কার করতে হয়। কিন্তু র*্যাবের এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই সাইটগুলো চিহ্নিত করবে। রযাে বের একজন কর্মকর্তা জানান, নজরদারির কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো পোস্ট ব্লক করার ক্ষমতা এই সফটওয়্যারের নেই।
তবে যেসব পোস্ট সমাজ, রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষে ক্ষতিকর মনে হবে সেসব পোস্টের সূত্র ধরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে প্রশাসন। ওই কর্মকর্তা জানান, শুধু ব্যক্তি বিশেষই নয়, কোনো পোস্টে কারা মন্তব্য করছেন বা কোন কোন পোস্ট কারা শেয়ার করছেন, সেটাও নজরে রাখা হবে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে।
সোমবার দৈনিক মানবজমিনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে র*্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে র*্যাবের নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। কেউ চাইলেই এখন আর সাইবার ক্রাইম করে পার পাবে না।
র*্যাবের সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে নানা রকম অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। বিশেষ করে সরকারবিরোধী প্রচারণা, রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কর্মকাণ্ড, গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, নারীদের যৌন হয়রানিসহ নানারকম সাইবার অপরাধ হরহামেশাই ঘটে থাকে। এসব অপরাধ বন্ধের জন্য র*্যাবের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক মনিটরিং সিস্টেম (এসএমএনএমএস) নামে একটি সফটওয়্যার এবং প্রয়োজনীয় ডিভাইস আনা হয়েছে। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্ন্যাপট্রেন্ডস নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এই সফটওয়্যারটি আনা হয়েছে।
স্ন্যাপট্রেন্ডস আন্তর্জাতিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সফটওয়ার সরবরাহের জন্য বিখ্যাত। এটি কমান্ড অনুযায়ী ব্যবহারকারী লোকেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পারস্পরিক যোগাযোগ বার্তা, ব্যবহারকারীর পূর্ণ প্রোফাইলসহ বিভিন্ন বিষয় খুবই অল্প সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, গুগল প্লাস, ইউটিউবসহ ওয়ার্ডপ্রেসসহ সব ধরনের ব্লগের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। ইতিমধ্যে সফটওয়্যারে পরিচালনার জন্য র*্যাবের গোয়েন্দা শাখার অন্তত ২০ জন কর্মকর্তাকে ১৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞ এসে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বর্তমানে ফেসবুকের ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি। ফেসবুকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন রকম গুজব ছড়ানোসহ নানারকম আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে। ব্লগগুলোতে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে পোস্ট করা, ইনস্টাগ্রাম-টুইটারে রাষ্ট্রবিরোধী তথ্য ও ছবি আপলোড করা হচ্ছে। সনাতন পদ্ধতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নজরদারি করায় অনেক সময় এসব অগোচরে থেকে যাচ্ছে। সফটওয়ারের মাধ্যমে নজরদারি করায় কেউ এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না।
র*্যাবের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, দেশে এক শ্রেণির উগ্রপন্থি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করেছে। এ গ্রুপগুলো সাধারণত ক্লোজড গ্রুপ হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের দায়ে কারো ফাঁসি কার্যকরের আগে বা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এসব গ্রুপ তৎপর হয়ে ওঠে। তারা মনগড়া তথ্য দিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করে সাধারণ মানুষের মনে ভয়ভীতি সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করে।
এ ছাড়া বর্তমানে উগ্রপন্থি দলের সদস্যদের বেশির ভাগই উচ্চ প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে একদিকে তাদের বিতর্কিত মতাদর্শের প্রচার যেমন চালাচ্ছে তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সদস্য সংগ্রহ ও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জনমতকে প্রভাবিত করে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরে কোথায় কে কি অপকর্ম করার চেষ্টা করছে তা জানতেই নজরদারির আওতা বাড়ানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের কর্মকাণ্ড আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, উগ্রপন্থিরা প্রযুক্তির অপব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, ইন্টারনেটে প্রচুর ব্লগ ও ওয়েবসাইটে উগ্রপন্থিরা তাদের নানা রকম উসকানিমূলক ভিডিও এবং অডিও আপলোড করছে।
বিশেষ করে আইএস ও আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের বিতর্কিত বক্তব্য বাংলায় অনুবাদ করে আপলোড করা হচ্ছে। সনাতন পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করে এসবের বিষয়ে নজরদারি করা হলেও বেশির ভাগই আড়ালে থেকে যায়। এখন সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ সাইটগুলো সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে র*্যাব। একই সঙ্গে এসব সাইট কোথা থেকে পরিচালনা করা হয় এবং পরিচালনার সঙ্গে কারা জড়িত তাদেরও শনাক্ত করা সহজ হবে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপ নামে একটি সংগঠন নানা রকম অডিও-ভিডিও বক্তব্য অনলাইনে বাংলায় অনুবাদের মাধ্যমে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালায়। এ ছাড়া আল-শাবাব মিডিয়া, তিতুমীর মিডিয়া, দাওয়াতুল খিলাফাহ ব্লগ ও ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমেও এসব প্রচারণা চালানো হয়। সাইটগুলোতে নিজেদের তৎপরতার পাশাপাশি কর্মী সংগ্রহ করছে জঙ্গিরা।
পুলিশের ওপর হামলা ও খুন, ব্লগার-অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর ধারাবাহিক হামলাকারীদের খেলাফতের সৈনিক বলে ঘোষণা দিয়ে উৎসাহ যোগানো হয়। এমনকি হামলা করার ক্ষেত্রে এসব উগ্রপন্থিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে কিভাবে বাঁচতে হবে, কিভাবে অস্ত্র বহন, মোবাইল ও ল্যাপটপ ব্যবহার করবে এসব বিষয়ে নানা রকম সতর্কতামূলক পোস্ট দেয়া হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, এদের একটি সাইট বন্ধ করার কয়েক দিনের মধ্যে আরেকটি চালু করে। নিয়মিত অনুসন্ধান করে গোয়েন্দাদের সাইটগুলো আবিষ্কার করতে হয়। কিন্তু র*্যাবের এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই সাইটগুলো চিহ্নিত করবে। রযাে বের একজন কর্মকর্তা জানান, নজরদারির কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো পোস্ট ব্লক করার ক্ষমতা এই সফটওয়্যারের নেই।
তবে যেসব পোস্ট সমাজ, রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষে ক্ষতিকর মনে হবে সেসব পোস্টের সূত্র ধরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে প্রশাসন। ওই কর্মকর্তা জানান, শুধু ব্যক্তি বিশেষই নয়, কোনো পোস্টে কারা মন্তব্য করছেন বা কোন কোন পোস্ট কারা শেয়ার করছেন, সেটাও নজরে রাখা হবে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে।
Comment