ভারতের হিন্দুত্ববাদী বজরং দল মুসলিমদের কল্পিত সন্ত্রাসী বানিয়ে তার কর্মীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশ, বজরং দলের কর্মীরা যারা রাইফেল এবং তলোয়ার চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা ডামি হিসেবে যাদের টার্গেট করছে তাদের মুখে দাড়ি এবং মুসলিম টুপি পরানো হয়েছে এবং সেখানে মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসেবে দেখানো হয়েছে।
তবে অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজক মনোজ বর্মার দাবি, ‘এটা বজরং দলের বার্ষিক কর্মসূচি। কর্মীরা যাতে সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করতে পারে সেজন্য এই কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। এটা আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর প্রশিক্ষণ। কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে কাজ করতে হয় তা শেখানো হচ্ছে।’
হিন্দুদের রক্ষা করার নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব শাখা উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের পক্ষ থেকে ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় সম্প্রতি শিবির স্থাপন করে কর্মীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ সব শিবিরে বজরং কর্মীদের রাইফেল, তলোয়ার এবং লাঠি চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
আগামী ৫ জুন উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর, গোরখপুর, পিলভিট, নয়ডা এবং ফতেহপুরেও এ ধরণের শিবির স্থাপন করা হবে। তাদের ওপর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা তথা দাঙ্গার অভিযোগ থাকায় এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
বজরং দলের অস্ত্র প্রশিক্ষণকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন ‘মজলিশ ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন’ প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেছেন, ‘ওইসব জোকারদের সীমান্তে পাঠিয়ে দেয়া উচিত।’
ওয়াইসি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘যদি কোনো মুসলিম সংগঠন এ রকম শিবির স্থাপন করে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিত তাহলে কী প্রতিক্রিয়া হতো?’
কংগ্রেস মুখপাত্র শোভা ওঝা বলেছেন, ‘সরকারকে এ ধরণের প্রশিক্ষণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। এজন্য রাজ্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক যে যখনই নির্বাচন আসে তখন রাজ্যে বিজেপি এ ধরণের কাজ শুরু করে দেয়।’
সিপিআই নেতা অমিক জামই ফেসবুকে বলেছেন, ‘বাবরী মসজিদের কাছে বজরং দলের প্রশিক্ষণ আসলে আগামী নির্বাচনের জন্য পরিবেশ তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি। পুলিশ প্রশাসনকে কঠোরভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে।’
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, ডেইলি মেইল
গণমাধ্যমে প্রকাশ, বজরং দলের কর্মীরা যারা রাইফেল এবং তলোয়ার চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা ডামি হিসেবে যাদের টার্গেট করছে তাদের মুখে দাড়ি এবং মুসলিম টুপি পরানো হয়েছে এবং সেখানে মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসেবে দেখানো হয়েছে।
তবে অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজক মনোজ বর্মার দাবি, ‘এটা বজরং দলের বার্ষিক কর্মসূচি। কর্মীরা যাতে সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করতে পারে সেজন্য এই কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। এটা আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর প্রশিক্ষণ। কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে কাজ করতে হয় তা শেখানো হচ্ছে।’
হিন্দুদের রক্ষা করার নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব শাখা উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের পক্ষ থেকে ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় সম্প্রতি শিবির স্থাপন করে কর্মীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ সব শিবিরে বজরং কর্মীদের রাইফেল, তলোয়ার এবং লাঠি চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
আগামী ৫ জুন উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর, গোরখপুর, পিলভিট, নয়ডা এবং ফতেহপুরেও এ ধরণের শিবির স্থাপন করা হবে। তাদের ওপর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা তথা দাঙ্গার অভিযোগ থাকায় এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
বজরং দলের অস্ত্র প্রশিক্ষণকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন ‘মজলিশ ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন’ প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেছেন, ‘ওইসব জোকারদের সীমান্তে পাঠিয়ে দেয়া উচিত।’
ওয়াইসি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘যদি কোনো মুসলিম সংগঠন এ রকম শিবির স্থাপন করে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিত তাহলে কী প্রতিক্রিয়া হতো?’
কংগ্রেস মুখপাত্র শোভা ওঝা বলেছেন, ‘সরকারকে এ ধরণের প্রশিক্ষণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। এজন্য রাজ্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক যে যখনই নির্বাচন আসে তখন রাজ্যে বিজেপি এ ধরণের কাজ শুরু করে দেয়।’
সিপিআই নেতা অমিক জামই ফেসবুকে বলেছেন, ‘বাবরী মসজিদের কাছে বজরং দলের প্রশিক্ষণ আসলে আগামী নির্বাচনের জন্য পরিবেশ তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি। পুলিশ প্রশাসনকে কঠোরভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে।’
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, ডেইলি মেইল
Comment