বগুড়ার শেরপুরে ফেসবুকে রাসুল (সাঃ) কে অবমাননা
বগুড়া প্রতিনিধি:
জেলার শেরপুর উপজেলার কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক বিপ্লব কুমার ওরফে কৃষ্ণ কৃমার তার ফেসবুক পেজে হযরত মুহম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে কটূক্তি, অরুচিপূর্ণ বাজে মন্তব্যসহ ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন অশালিন লেখা প্রকাশ করে।
এই কথা প্রকাশ হলে সোমবার সকালে স্থানীয় জনতা স্কুল মাঠে জড়ো হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচারের দাবতে বিক্ষোভ করে। এ সময় স্কুল পরিচালনা কমিটির জরুরি মিটিংয়ে ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার ও ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ও থানায় অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নিলে স্থানীয় জনতা শান্ত হয়।
পরে দুপুর ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি ও মাধ্যমিক শিক্ষ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের কল্যাণী উচ্চবিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক বিপ্লব কুমার ওরফে কৃষ্ণ কৃমার তার ফেসবুক আইডির পেজে ইসলাম ধর্ম ও রাসুল (সাঃ) সম্পর্কে নানা বাজে মন্তব্য প্রকাশ করে।
বিষয়টি ২৯ মে ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল ইসলামসহ কয়েকজন ছাত্র বিএসসি শিক্ষককে জানিয়ে বলে আপনার ফেসবুক আইডিতে আমাদের ধর্ম নিয়ে বাজে মন্তব্য লেখা আছে।আপনি এগুলো মুছে ফেলেন কিন্তু ওই শিক্ষক সে বিষয়ে কোনই কর্ণপাত করেনি।
পরে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে এলাকার অনেকের মুখে বিষয়টি ছড়িয়ে পরে। এলাকার মানুষ বিষয়টি নিশ্চিত হতে কৃষ্ণ কুমার আইডির ফেসবুক পেজ ওপেন করে ঘটনার সত্যতা জানতে পারে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে রোববার সন্ধ্যা হতেই কল্যাণীসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
তারা ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বহিষ্কার ও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার সকাল হতেই স্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকে।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল মাঠে লোক সমাগম বাড়তে বাড়তে এক সময় জনসমাবেশে পরিণত হয়।
তাদের মুখে তখন একটাই কথা ধর্মের অবমাননাকারী শিক্ষককে গ্রেফতার করে উপযুক্ত বিচার করতে হবে। কল্যাণী গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব, হিটলারসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি, রাসুল (সাঃ) নিয়ে অবমাননাকারী কোনো ব্যক্তিকে এখানে আসতে দেয়া হবেনা। তাকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ওই স্কুলের ইসলাম ধর্ম শিক্ষক মাও নজির উদ্দিন জানান, যা শুনেছি ওই ধরনের লেখা কোনো মুসলমানের পক্ষেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তিনি কি উদ্দ্যেশ্যে এই জঘন্য কাজ করেছেন তা আমরা বলতে পারবোনা। এ ব্যাপারে শিক্ষক বিপ্লব কুমার ওরফে কৃষ্ণ কৃমার বলেন,বাংলাদেশ হিন্দু বীর যুব সংঘের ফেসবুক আইডি থেকে আমার ফেসবুক আইডিতে এসেছে। ভুল করেই শেয়ার হয়েছে। তা আমি জানি না।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুদেব কুমার পাল বলেন, কারোর ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা ঠিক নয়। আমাদের স্কুলে হিন্দু, মুসলমান দু ধর্মেরই শিক্ষক আছেন, এতদিন কোনো সমস্যাই হয়নি। হঠাৎ করেই ওই শিক্ষক কেন এমন কাজ করলেন বুঝতে পারছিনা। আমরা প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির জরুরি মিটিংয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্তসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।
ওসি খান মো এরফান জানান, আমরা বিষয়টি শুনেছি, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, তারা অভিযোগ দিলে তদন্ত করে অবশ্যই দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম সরোয়ার জাহান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দেবে সে অনুযায়ী আইনী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
সূত্রঃ- http://purboposhchimbd.news/2016/05/...6%B8%E0%A6%BE/
----------------------------------------------------------------------------
বগুড়ার শেরপুরে মহানবীকে( সা: ) নিয়ে কটুক্তি: হিন্দু শিক্ষক বরখাস্ত - নয়াদিগন্ত
মহানবী ( সা: ) ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটুক্তি করার অভিযোগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক বিপ্লব কুমারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ- এই স্কুলের গণিতের শিক্ষক বিপ্লব কুমার নিজের নামের পরিবর্তে কৃষ্ণকুমার নাম দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি আইডি পরিচালনা করেন। সম্প্রতি সেই আইডি ব্যবহার করে তিনি মহানবী ( সা: ) ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করেন।
গত রোববার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল ইসলাম ও জোবায়ের আহমদের দৃষ্টিতে প্রথমে ঘটনাটি ধরা পড়ে। একপর্যায়ে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার বেলা ১০টার দিকে ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে কয়েকশ’ এলাকাবাসী বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সমবেত হয়ে ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব কুমার পাল বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জরুরী সভা আহ্বান করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, শিক্ষক প্রতিনিধি বাছির উদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম মন্ডলকে সদস্য করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম সরোয়ার জাহান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. এরফান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব কুমার পাল জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জরুরী সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক বিপ্লব কুমারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে এই প্রধান শিক্ষক জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম সরোয়ার জাহান জানান, উদ্ভুত পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে পরে জানানো যাবে।
সূত্রঃ- http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/123259
বগুড়া প্রতিনিধি:
জেলার শেরপুর উপজেলার কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক বিপ্লব কুমার ওরফে কৃষ্ণ কৃমার তার ফেসবুক পেজে হযরত মুহম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে কটূক্তি, অরুচিপূর্ণ বাজে মন্তব্যসহ ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন অশালিন লেখা প্রকাশ করে।
এই কথা প্রকাশ হলে সোমবার সকালে স্থানীয় জনতা স্কুল মাঠে জড়ো হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচারের দাবতে বিক্ষোভ করে। এ সময় স্কুল পরিচালনা কমিটির জরুরি মিটিংয়ে ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার ও ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ও থানায় অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নিলে স্থানীয় জনতা শান্ত হয়।
পরে দুপুর ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি ও মাধ্যমিক শিক্ষ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের কল্যাণী উচ্চবিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক বিপ্লব কুমার ওরফে কৃষ্ণ কৃমার তার ফেসবুক আইডির পেজে ইসলাম ধর্ম ও রাসুল (সাঃ) সম্পর্কে নানা বাজে মন্তব্য প্রকাশ করে।
বিষয়টি ২৯ মে ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল ইসলামসহ কয়েকজন ছাত্র বিএসসি শিক্ষককে জানিয়ে বলে আপনার ফেসবুক আইডিতে আমাদের ধর্ম নিয়ে বাজে মন্তব্য লেখা আছে।আপনি এগুলো মুছে ফেলেন কিন্তু ওই শিক্ষক সে বিষয়ে কোনই কর্ণপাত করেনি।
পরে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে এলাকার অনেকের মুখে বিষয়টি ছড়িয়ে পরে। এলাকার মানুষ বিষয়টি নিশ্চিত হতে কৃষ্ণ কুমার আইডির ফেসবুক পেজ ওপেন করে ঘটনার সত্যতা জানতে পারে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে রোববার সন্ধ্যা হতেই কল্যাণীসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
তারা ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বহিষ্কার ও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার সকাল হতেই স্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকে।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল মাঠে লোক সমাগম বাড়তে বাড়তে এক সময় জনসমাবেশে পরিণত হয়।
তাদের মুখে তখন একটাই কথা ধর্মের অবমাননাকারী শিক্ষককে গ্রেফতার করে উপযুক্ত বিচার করতে হবে। কল্যাণী গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব, হিটলারসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি, রাসুল (সাঃ) নিয়ে অবমাননাকারী কোনো ব্যক্তিকে এখানে আসতে দেয়া হবেনা। তাকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ওই স্কুলের ইসলাম ধর্ম শিক্ষক মাও নজির উদ্দিন জানান, যা শুনেছি ওই ধরনের লেখা কোনো মুসলমানের পক্ষেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তিনি কি উদ্দ্যেশ্যে এই জঘন্য কাজ করেছেন তা আমরা বলতে পারবোনা। এ ব্যাপারে শিক্ষক বিপ্লব কুমার ওরফে কৃষ্ণ কৃমার বলেন,বাংলাদেশ হিন্দু বীর যুব সংঘের ফেসবুক আইডি থেকে আমার ফেসবুক আইডিতে এসেছে। ভুল করেই শেয়ার হয়েছে। তা আমি জানি না।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুদেব কুমার পাল বলেন, কারোর ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা ঠিক নয়। আমাদের স্কুলে হিন্দু, মুসলমান দু ধর্মেরই শিক্ষক আছেন, এতদিন কোনো সমস্যাই হয়নি। হঠাৎ করেই ওই শিক্ষক কেন এমন কাজ করলেন বুঝতে পারছিনা। আমরা প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির জরুরি মিটিংয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্তসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।
ওসি খান মো এরফান জানান, আমরা বিষয়টি শুনেছি, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, তারা অভিযোগ দিলে তদন্ত করে অবশ্যই দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম সরোয়ার জাহান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দেবে সে অনুযায়ী আইনী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
সূত্রঃ- http://purboposhchimbd.news/2016/05/...6%B8%E0%A6%BE/
----------------------------------------------------------------------------
বগুড়ার শেরপুরে মহানবীকে( সা: ) নিয়ে কটুক্তি: হিন্দু শিক্ষক বরখাস্ত - নয়াদিগন্ত
মহানবী ( সা: ) ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটুক্তি করার অভিযোগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক বিপ্লব কুমারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ- এই স্কুলের গণিতের শিক্ষক বিপ্লব কুমার নিজের নামের পরিবর্তে কৃষ্ণকুমার নাম দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি আইডি পরিচালনা করেন। সম্প্রতি সেই আইডি ব্যবহার করে তিনি মহানবী ( সা: ) ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করেন।
গত রোববার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল ইসলাম ও জোবায়ের আহমদের দৃষ্টিতে প্রথমে ঘটনাটি ধরা পড়ে। একপর্যায়ে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার বেলা ১০টার দিকে ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে কয়েকশ’ এলাকাবাসী বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সমবেত হয়ে ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব কুমার পাল বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জরুরী সভা আহ্বান করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, শিক্ষক প্রতিনিধি বাছির উদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম মন্ডলকে সদস্য করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম সরোয়ার জাহান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. এরফান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব কুমার পাল জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জরুরী সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক বিপ্লব কুমারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে এই প্রধান শিক্ষক জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম সরোয়ার জাহান জানান, উদ্ভুত পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে পরে জানানো যাবে।
সূত্রঃ- http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/123259
Comment