মালয়েশিয়ায় ইসলামি দণ্ডবিধি ব্যবস্থা চালু করার জন্য দেশটির সংসদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন মালয়েশিয়ার প্রধান বিরোধী দল প্যান মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টির প্রেসিডেন্ট আবদুল হাদি আওয়াং।
এদিকে বিরোধী দলের আনা এ বিলে সমর্থন দিয়েছে মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (উমনো)। আগামী অক্টোবরে বিলটি নিয়ে সংসদে বিতর্ক হবে। এটি পাস হলে মালয়েশিয়ার বর্তমান শরিয়া আদালতের আর প্রয়োজন হবে না। ইসলামি দণ্ডবিধিকে ইসলামের পরিভষায় ‘হুদুদ’ বলা হয়। এতে চুরির জন্য হাত কর্তন, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য জন্য পাথর নিক্ষেপে হত্যার মতো বিভিন্ন বিধিবিধান রয়েছে।
মালয়েশিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের অন্য দলগুলো মিলে অবশ্য এই বিলের সমালোচনা করে যাচ্ছে। এতে মালয়েশিয়ার মতো বহুজাতিক দেশে তিক্ততা আরো বাড়তে পারে বলে বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে শোরগোল চলছে মালয়েশিয়ায়। শোরগোল থামাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।
একে সম্পূর্ণ ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যায়িত করেছে বিরোধীরা। সমালোচকরা বলছেন, দুর্নীতির অভিযোগে কোনঠাসা নাজিব শরিয়াহ আইনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। ইসলামি আইন ‘হুদুদ’র ব্যবহার করে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভোট নিশ্চিত করতে চাইছেন।
বর্তমান জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক শুক্রবার মালয়েশিয়ান চাইনিজ অ্যাসোশিয়েশন (এমসিএ) সভাপতি লিউ তিয়োং লাই বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, হুদুদ আইন বাস্তবায়ন ফেডারেল সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী এবং এতে দেশের আন্তঃসাম্প্রদায়িক সম্পর্ক নষ্ট হবে।’
নাজিব রাজাক শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সমালোচকদের জবাবে বলেন, কেবল কিছু অপরাধের শাস্তি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা শরিয়াহ আদালতে শুধু মুসলমানদের ওপর প্রয়োগ করা হবে। এ নিয়ে সমালোচকরা না বুঝে সমালোচনা করছে। তবে রাজাক এটা ‘হুদুদ’ আইন নয় বলে উল্লেখ করেন।
ইসলামি আইন বা হুদুদ চালু করার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি নিয়ে মালয়েশিয়ার সমাজ বহু বছর ধরে বিভক্ত রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি বেশির ভাগ রাজ্য শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করতে চাইলেও ফেডারেল আইন তার পথে বাধা হয়ে রয়েছে। এরপরও পার্লামেন্টে হুদুদ বিলটি বাতিল হতে বাধ্য কারণ তা পাস করে আইনে পরিণত করতে দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন দরকার তা উমনোর নেতৃত্বাধীন জোটের নেই।
বাংলামেইল২৪
এদিকে বিরোধী দলের আনা এ বিলে সমর্থন দিয়েছে মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (উমনো)। আগামী অক্টোবরে বিলটি নিয়ে সংসদে বিতর্ক হবে। এটি পাস হলে মালয়েশিয়ার বর্তমান শরিয়া আদালতের আর প্রয়োজন হবে না। ইসলামি দণ্ডবিধিকে ইসলামের পরিভষায় ‘হুদুদ’ বলা হয়। এতে চুরির জন্য হাত কর্তন, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য জন্য পাথর নিক্ষেপে হত্যার মতো বিভিন্ন বিধিবিধান রয়েছে।
মালয়েশিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের অন্য দলগুলো মিলে অবশ্য এই বিলের সমালোচনা করে যাচ্ছে। এতে মালয়েশিয়ার মতো বহুজাতিক দেশে তিক্ততা আরো বাড়তে পারে বলে বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে শোরগোল চলছে মালয়েশিয়ায়। শোরগোল থামাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।
একে সম্পূর্ণ ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যায়িত করেছে বিরোধীরা। সমালোচকরা বলছেন, দুর্নীতির অভিযোগে কোনঠাসা নাজিব শরিয়াহ আইনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। ইসলামি আইন ‘হুদুদ’র ব্যবহার করে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভোট নিশ্চিত করতে চাইছেন।
বর্তমান জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক শুক্রবার মালয়েশিয়ান চাইনিজ অ্যাসোশিয়েশন (এমসিএ) সভাপতি লিউ তিয়োং লাই বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, হুদুদ আইন বাস্তবায়ন ফেডারেল সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী এবং এতে দেশের আন্তঃসাম্প্রদায়িক সম্পর্ক নষ্ট হবে।’
নাজিব রাজাক শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সমালোচকদের জবাবে বলেন, কেবল কিছু অপরাধের শাস্তি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা শরিয়াহ আদালতে শুধু মুসলমানদের ওপর প্রয়োগ করা হবে। এ নিয়ে সমালোচকরা না বুঝে সমালোচনা করছে। তবে রাজাক এটা ‘হুদুদ’ আইন নয় বলে উল্লেখ করেন।
ইসলামি আইন বা হুদুদ চালু করার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি নিয়ে মালয়েশিয়ার সমাজ বহু বছর ধরে বিভক্ত রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি বেশির ভাগ রাজ্য শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করতে চাইলেও ফেডারেল আইন তার পথে বাধা হয়ে রয়েছে। এরপরও পার্লামেন্টে হুদুদ বিলটি বাতিল হতে বাধ্য কারণ তা পাস করে আইনে পরিণত করতে দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন দরকার তা উমনোর নেতৃত্বাধীন জোটের নেই।
বাংলামেইল২৪
Comment