জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশের এক লাখ মুফতির সই করা ফতোয়া পাঠানো হচ্ছে জাতিসংঘে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্র এবং মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সংস্থা ওআইসিতেও ফতোয়ার কপি ২০ খণ্ডে প্রকাশ করে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৮ জুন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর জাতিসংঘ ছাড়াও দেশে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে তা পাঠানো হবে। বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল উলামার চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়া ঈদগার খতিব ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।
জানা গেছে, ফতোয়া সংগ্রহের জন্য ১১ সদস্যের ফতোয়া সংগ্রহ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি সারা দেশের মসজিদ-মাদ্রাসাসহ মুফতিদের কাছ থেকে ফতোয়ায় সই নেয়। এতে মুফতিদের বিভিন্ন পরামর্শ ও ভূমিকা সংগ্রহ করা হয় এবং সেগুলো বই আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফতোয়ার কপি সংরক্ষণের জন্য জাতীয় গ্রন্থগারেও দেওয়া হবে।
জানা গেছে, গত বছরের ২ জানুয়ারি থেকে সই সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। এ বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু অপপ্রচারের কারণে চার মাস সময় বেশি লেগেছে।
জসীমুদ্দীন রাহমানী পরিচালিত উগ্রপন্থী আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের তিতুমীর মিডিয়া থেকে প্রচারিত একটি ভিডিওতে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের ফতোয়াকে জিহাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। এই ভিডিওটিতে ফতোয়া সংগ্রহ কমিটির প্রধান ও শোলাকিয়া ঈদগার খতিব ফরীদ উদ্দীন মাসউদকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়। এ ফতোয়া জিহাদবিরোধী উল্লেখ করে ফতোয়ায় অংশ না নিতে আহ্বান জানানো হয়।
জানা গেছে, এক লাখ আলেমের ফতোয়া কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে হেফাজতে ইসলামও। হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত চট্টগ্রামের দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মাওলানা আব্দুস সালামসহ মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক জঙ্গিবাদবিরোধী ফতোয়ায় সই করেছেন। হেফাজতের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীসহ প্রায় ১২ জন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আলেমদের ফতোয়ায় সই করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে থাকা মুফতিরাও সই করেছেন।
ফতোয়া কমিটির প্রধান ও শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, জামায়াত-শিবিরসহ কিছু গোষ্ঠী ফতোয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। কেউ কেউ জঙ্গি হামলার ভয়ে ফতোয়ায় সই করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ফতোয়ায় সই নিতেও সময় লেগেছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডকে ইসলাম সমর্থন করে না, এটা সবার কাছে পরিষ্কার হওয়া জরুরি। কোনও গোষ্ঠীর উস্কানিতে দেশের তরুণরা যেন বিপথগামী না হয়, সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া দেশের সব আলেম-উলামা সম্মিলিতভাবে জঙ্গিাবাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিলে ধর্মের সঙ্গে জঙ্গিবাদের যে সম্পর্ক নেই তা বিশ্বের কাছে স্পষ্ট হবে। এতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
ফতোয়া সংগ্রহ কমিটির সদস্য মাওলানা আব্দুর রহীম বলেন, ফতোয়ায় সই নেওয়ার কাজ শেষ। ২০ খণ্ডে মুদ্রণের কাজও প্রায় শেষ। আগামী ১৮ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, গত বছর নভেম্বরে ভারতের আইএসবিরোধী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভারতের ১ হাজার ইমাম, মুফতি এবং ইসলামী চিন্তাবিদের সই করা একটি ফতোয়া প্রকাশ করা হয়। এ ফতোয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছেও পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, ‘ইসলাম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আর আইএস সন্ত্রাসকে উসকে দিচ্ছে।’ এছাড়া মুসলিম দেশগুলোতেও ১৫ খণ্ডের ফতোয়া পাঠানো হয়।
আগামী ১৮ জুন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর জাতিসংঘ ছাড়াও দেশে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে তা পাঠানো হবে। বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল উলামার চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়া ঈদগার খতিব ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।
জানা গেছে, ফতোয়া সংগ্রহের জন্য ১১ সদস্যের ফতোয়া সংগ্রহ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি সারা দেশের মসজিদ-মাদ্রাসাসহ মুফতিদের কাছ থেকে ফতোয়ায় সই নেয়। এতে মুফতিদের বিভিন্ন পরামর্শ ও ভূমিকা সংগ্রহ করা হয় এবং সেগুলো বই আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফতোয়ার কপি সংরক্ষণের জন্য জাতীয় গ্রন্থগারেও দেওয়া হবে।
জানা গেছে, গত বছরের ২ জানুয়ারি থেকে সই সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। এ বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু অপপ্রচারের কারণে চার মাস সময় বেশি লেগেছে।
জসীমুদ্দীন রাহমানী পরিচালিত উগ্রপন্থী আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের তিতুমীর মিডিয়া থেকে প্রচারিত একটি ভিডিওতে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের ফতোয়াকে জিহাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। এই ভিডিওটিতে ফতোয়া সংগ্রহ কমিটির প্রধান ও শোলাকিয়া ঈদগার খতিব ফরীদ উদ্দীন মাসউদকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়। এ ফতোয়া জিহাদবিরোধী উল্লেখ করে ফতোয়ায় অংশ না নিতে আহ্বান জানানো হয়।
জানা গেছে, এক লাখ আলেমের ফতোয়া কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে হেফাজতে ইসলামও। হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত চট্টগ্রামের দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মাওলানা আব্দুস সালামসহ মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক জঙ্গিবাদবিরোধী ফতোয়ায় সই করেছেন। হেফাজতের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীসহ প্রায় ১২ জন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আলেমদের ফতোয়ায় সই করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে থাকা মুফতিরাও সই করেছেন।
ফতোয়া কমিটির প্রধান ও শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, জামায়াত-শিবিরসহ কিছু গোষ্ঠী ফতোয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। কেউ কেউ জঙ্গি হামলার ভয়ে ফতোয়ায় সই করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ফতোয়ায় সই নিতেও সময় লেগেছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডকে ইসলাম সমর্থন করে না, এটা সবার কাছে পরিষ্কার হওয়া জরুরি। কোনও গোষ্ঠীর উস্কানিতে দেশের তরুণরা যেন বিপথগামী না হয়, সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া দেশের সব আলেম-উলামা সম্মিলিতভাবে জঙ্গিাবাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিলে ধর্মের সঙ্গে জঙ্গিবাদের যে সম্পর্ক নেই তা বিশ্বের কাছে স্পষ্ট হবে। এতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
ফতোয়া সংগ্রহ কমিটির সদস্য মাওলানা আব্দুর রহীম বলেন, ফতোয়ায় সই নেওয়ার কাজ শেষ। ২০ খণ্ডে মুদ্রণের কাজও প্রায় শেষ। আগামী ১৮ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, গত বছর নভেম্বরে ভারতের আইএসবিরোধী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভারতের ১ হাজার ইমাম, মুফতি এবং ইসলামী চিন্তাবিদের সই করা একটি ফতোয়া প্রকাশ করা হয়। এ ফতোয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছেও পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, ‘ইসলাম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আর আইএস সন্ত্রাসকে উসকে দিচ্ছে।’ এছাড়া মুসলিম দেশগুলোতেও ১৫ খণ্ডের ফতোয়া পাঠানো হয়।
Comment