যখন শত্রু জনগোষ্ঠী কোন ব্যক্তি বিশেষকে সম্মান করে বা ভালোবাসে, তখন সেই ব্যক্তিটির চরিত্রে কালি লাগানো বা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়। এটা Psy-ops (মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ) বা character assassination এর একটি অংশ। একইভাবে এর অংশ হিসেবে শায়খ উসামা বা শায়খ আনওয়ার আল আওলাকি নিহত হবার পর পশ্চিমা মিডিয়া তাদের বিরুদ্ধে পতিতা ব্যবহারের মত কদর্য মিথ্যা প্রচার করতে শুরু করেছিল। গত নভেম্বরে প্যারিস এটাকের পরও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মাদকাসক্ত, ড্রাগডিলার ইত্যাদি অভিযোগ আনা হয়েছিল মিডিয়ায়।
ভাই ওমর মাতিনের বরকতময় হামলার পরও এটি শুরু হয়েছে। মুসলিমদের মাঝে এটি বেশী ছড়িয়েছে মডারেটদের প্রিয় শেইখ ইয়াসির কাদী তাকে নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার পর। যেখানে সে বলেছে যে ভাই ওমার মাতিন নিজেই একজন সমকামী ছিলেন, তিনি নিজে বেশ কয়েকবার সমকামীদের সেই ক্লাবে গিয়েছেন, তার মোবাইলে গে চ্যাট অ্যাপ ছিল। উপরন্তু দাবী করা হয়েছে তিনি মোটেও ভালো মুসলিম তো ছিলেনই না, তার উপর তিনি মানসিকভাবে ভারসম্যহীন ছিলেন।
ইয়াসির কাদীর পূর্ব রেকর্ড নিয়ে নতুন ভাবে কিছু বলার দরকার নেই। উমার মাতিন G4S নামের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তাকে তাদের ব্রশিয়ারেও ফিচার করা হয়েছিল। একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে G4S কিভাবে কাজে নিল আর কিভাবেই বা ফিচার করলো? তার দুই জন স্ত্রী ছিল। স্ত্রী বলতে মহিলা স্ত্রী, পুরুষ না। উনি যে ক্লাবে হামলা চালাবেন, সে ক্লাবের খুটিনাটি চেক করার জন্য তার সেখানে যাওয়া কি আবশ্যক নয়? এর ফলে তিনি সমকামী হয়ে গেলেন?
কুফফারদের ব্যাপারে সহমর্মিতা জানাচ্ছেন অথচ একজন মুসলিম ভাইকে চিন্তা না করেই অপবাদ দিচ্ছেন? আর যদি সর্বোচ্চ ধরেও নিই যে তিনি একসময় সমকামী ছিলেন, তার অ্যাকশনই প্রমাণ করে তিনি তা থেকে খালেস তওবা করেছেন এবং এর প্রায়শ্চিত্ত ছিল তার অ্যাকশন। ভালো কাজ পাপ কাজকে মুছে দেয়। তাই তার ব্যাপারে বাজে কথা বলার আগে একটি হাদীস সম্পর্কে জানি।
মাই’জ ইবন মালিক নামের এক সাহাবী রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর কাছে এসে বললেন তিনি জিনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সঃ) তাকে রজম (পাথর ছুড়ে হত্যা) করার আদেশ দিলেন। এ সময় তিনি শুনতে পেলেন তার সাহাবীদের একজন আরেকজনকে বলছে, দেখ এই লোকটাকে, আল্লাহ তার দোষ গোপন করে রেখেছিলেন, কিন্তু সে বিষয়টাকে ছেড়ে দেয়নি। ফলে এখন কুকুরের মত পাথর খাচ্ছে। রাসুলুল্লাহ (সঃ) শুনেও তাদের কিছু বললেননা। এর কিছু সময় পর রাস্তার পাশে তিনি এক পচা মরা গাধা দেখে বললেন, অমুক অমুক কোথায়? তারা বলল, আমরা এখানে। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ নামো এবং এই গাধার লাশ থেকে গোশত খাও। তারা বললঃ হে আল্লাহর নবী, কিভাবে এখান থেকে কেউ খেতে পারে? তিনি বললেনঃ এটা খাওয়ার থেকে তোমরা তোমাদের ভাইয়ের প্রতি যে অসম্মান দেখিয়েছ তা আরও মারাত্মক। সেই সত্ত্বার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ, সে জান্নাতের নদীগুলোতে আছে আর তাতে ডুব দিচ্ছে। আরেক হাদীসে তিনি (সঃ) বলেন, সে যে তওবা করেছিল তা যদি সমস্ত উম্মাহর মধ্যে বন্টন করে দেয়া হতো তবে তা তাদের জন্য যথেষ্ট হতো।
(collected)
ভাই ওমর মাতিনের বরকতময় হামলার পরও এটি শুরু হয়েছে। মুসলিমদের মাঝে এটি বেশী ছড়িয়েছে মডারেটদের প্রিয় শেইখ ইয়াসির কাদী তাকে নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার পর। যেখানে সে বলেছে যে ভাই ওমার মাতিন নিজেই একজন সমকামী ছিলেন, তিনি নিজে বেশ কয়েকবার সমকামীদের সেই ক্লাবে গিয়েছেন, তার মোবাইলে গে চ্যাট অ্যাপ ছিল। উপরন্তু দাবী করা হয়েছে তিনি মোটেও ভালো মুসলিম তো ছিলেনই না, তার উপর তিনি মানসিকভাবে ভারসম্যহীন ছিলেন।
ইয়াসির কাদীর পূর্ব রেকর্ড নিয়ে নতুন ভাবে কিছু বলার দরকার নেই। উমার মাতিন G4S নামের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তাকে তাদের ব্রশিয়ারেও ফিচার করা হয়েছিল। একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে G4S কিভাবে কাজে নিল আর কিভাবেই বা ফিচার করলো? তার দুই জন স্ত্রী ছিল। স্ত্রী বলতে মহিলা স্ত্রী, পুরুষ না। উনি যে ক্লাবে হামলা চালাবেন, সে ক্লাবের খুটিনাটি চেক করার জন্য তার সেখানে যাওয়া কি আবশ্যক নয়? এর ফলে তিনি সমকামী হয়ে গেলেন?
কুফফারদের ব্যাপারে সহমর্মিতা জানাচ্ছেন অথচ একজন মুসলিম ভাইকে চিন্তা না করেই অপবাদ দিচ্ছেন? আর যদি সর্বোচ্চ ধরেও নিই যে তিনি একসময় সমকামী ছিলেন, তার অ্যাকশনই প্রমাণ করে তিনি তা থেকে খালেস তওবা করেছেন এবং এর প্রায়শ্চিত্ত ছিল তার অ্যাকশন। ভালো কাজ পাপ কাজকে মুছে দেয়। তাই তার ব্যাপারে বাজে কথা বলার আগে একটি হাদীস সম্পর্কে জানি।
মাই’জ ইবন মালিক নামের এক সাহাবী রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর কাছে এসে বললেন তিনি জিনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সঃ) তাকে রজম (পাথর ছুড়ে হত্যা) করার আদেশ দিলেন। এ সময় তিনি শুনতে পেলেন তার সাহাবীদের একজন আরেকজনকে বলছে, দেখ এই লোকটাকে, আল্লাহ তার দোষ গোপন করে রেখেছিলেন, কিন্তু সে বিষয়টাকে ছেড়ে দেয়নি। ফলে এখন কুকুরের মত পাথর খাচ্ছে। রাসুলুল্লাহ (সঃ) শুনেও তাদের কিছু বললেননা। এর কিছু সময় পর রাস্তার পাশে তিনি এক পচা মরা গাধা দেখে বললেন, অমুক অমুক কোথায়? তারা বলল, আমরা এখানে। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ নামো এবং এই গাধার লাশ থেকে গোশত খাও। তারা বললঃ হে আল্লাহর নবী, কিভাবে এখান থেকে কেউ খেতে পারে? তিনি বললেনঃ এটা খাওয়ার থেকে তোমরা তোমাদের ভাইয়ের প্রতি যে অসম্মান দেখিয়েছ তা আরও মারাত্মক। সেই সত্ত্বার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ, সে জান্নাতের নদীগুলোতে আছে আর তাতে ডুব দিচ্ছে। আরেক হাদীসে তিনি (সঃ) বলেন, সে যে তওবা করেছিল তা যদি সমস্ত উম্মাহর মধ্যে বন্টন করে দেয়া হতো তবে তা তাদের জন্য যথেষ্ট হতো।
(collected)
Comment