আইএসের নামে চিঠি পাঠিয়ে ঢাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান ধর্মগুরুকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে, রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের নিরাপত্তার জন্য শেখ হাসিনার সরকারকে সব ধরনের সাহায্য করবে ভারত। গতকাল শুক্রবার দেশটির আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দপ্তর মনে করছে, এটা গোটা দেশের পক্ষেই গভীর উদ্বেগ-উত্কণ্ঠার বিষয়। বিষয়টি নিয়ে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন স্তরে গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদান চলছে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক মহারাজ গতকাল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
আনন্দবাজার জানায়, পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ গতকাল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারই ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের নিরাপত্তার জন্য শেখ হাসিনার সরকারকে সব ধরনের সাহায্য করা হবে। কী কী কারণে ওই হুমকি দেওয়া হয়েছে বা সেই হুমকি কাদের কাদের কাছ থেকে আসতে পারে, সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিকাশ স্বরূপ বলেন, ‘আমরা ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছি। আজ (শুক্রবার) সকালেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক দূত ঢাকায় রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখে এসেছেন।’
গত বুধবার ‘আইএসে’র নামে চিঠি পাঠিয়ে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান ধর্মগুরু মৃদুল মহারাজকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ধর্ম প্রচার বন্ধ না করলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করা হবে। ওই রাতেই নিরাপত্তা চেয়ে মৃদুল মহারাজ ওয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরই মিশনের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ
Comment