তুরস্কে সেনাবাহিনীর একটি অংশ এরদোয়ান সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করার ঘোষণা দিয়েছে। সরকারি টেলিভিশনে (টিআরটি) সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তারা পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
কিন্তু টেলিভিশনে ঘোষণা যারা দিয়েছে তারা সেনাবাহিনীর কোন অংশ সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানা যাচ্ছে না।
তবে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদ্রিমি এ ধরনের কোনো তৎপরতার কথা অস্বীকার করছেন। যদিও শুক্রবার তিনি যখন গণমাধ্যমকে এ কথা বলছিলেন তখনও রাজধানী আঙ্কারার আকাশে অনেক নিচে দিয়ে যুদ্ধ বিমান উড়ছিল এবং ইস্তাম্বুল শহরের সব সংযোগ সেতুতে সেনাবাহিনীর যুদ্ধযান রেখে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেনাবাহিনীর একাংশের এ কর্মকাণ্ড বৈধ নয়। আর এটাকে কোনো সেনা অভ্যুত্থান বলা যাবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তার সরকার এখনো ক্ষমতায়।
এদিকে ইস্তাম্বুলে বসফরাস এবং ফাতিহ সুলতান মেহমেত সেতুর যোগাযোগ যুদ্ধযান মোতায়েন করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাজধানী আঙ্কারায় গোলাগুলির শব্দও পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টে ট্যাঙ্কও মোতায়েন করা হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে। আঙ্কারায় পুলিশ সদরদপ্তরে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, টেলিভিশনে ঘোষণায় সেনাবাহিনীর ওই অংশটি বলেছে, এই সরকার তুরস্কের গণতান্ত্রিক ও সেক্যুলার শাসন ব্যবস্থা মুছে ফেলেছে। দেশ এখন একটি ‘পিস কাউন্সিল’ এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই কাউন্সিল সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যতো দ্রুত সম্ভব একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হবে বলেও ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ইলদ্রিমি এনটিভি চ্যানেলকে ফোনে বলেছেন, ক্ষমতা দখলের একটি চেষ্টা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ ধরনের কোনো চেষ্টা আমরা কোনোভাবেই বরদাশত করবো না।
যারা এ ধরনের কাজ করেছে তাদেরকে এর জন্য সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হবে বলে যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সিএনএন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান নিরাপদেই আছেন। তবে এর বেশি কিছু জানাতে পারেনি মার্কিন গণমাধ্যমটি।
প্রেসিডেন্টের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, যারা ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়েছে তারা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এমন কোনো বিবৃতি দেয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত নয়।
আরো খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেনা সদরদপ্তরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন তুর্কি সেনাপ্রধান।
এই ঘটনাকে একেবারে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অকল্পনীয় বর্ণনা করছেন বিবিসির আঙ্কারা করেসপন্ডেন্ট। দেশটিতে সর্বশেষ সেনাঅভ্যুত্থান হয়েছিল ১৯ বছর আগে। জনগণ ভেবেই নিয়েছিল সেনা হস্তক্ষেপের দিন শেষ।
Link:- http://banglamail24.com/news/161809
কিন্তু টেলিভিশনে ঘোষণা যারা দিয়েছে তারা সেনাবাহিনীর কোন অংশ সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানা যাচ্ছে না।
তবে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদ্রিমি এ ধরনের কোনো তৎপরতার কথা অস্বীকার করছেন। যদিও শুক্রবার তিনি যখন গণমাধ্যমকে এ কথা বলছিলেন তখনও রাজধানী আঙ্কারার আকাশে অনেক নিচে দিয়ে যুদ্ধ বিমান উড়ছিল এবং ইস্তাম্বুল শহরের সব সংযোগ সেতুতে সেনাবাহিনীর যুদ্ধযান রেখে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেনাবাহিনীর একাংশের এ কর্মকাণ্ড বৈধ নয়। আর এটাকে কোনো সেনা অভ্যুত্থান বলা যাবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তার সরকার এখনো ক্ষমতায়।
এদিকে ইস্তাম্বুলে বসফরাস এবং ফাতিহ সুলতান মেহমেত সেতুর যোগাযোগ যুদ্ধযান মোতায়েন করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাজধানী আঙ্কারায় গোলাগুলির শব্দও পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টে ট্যাঙ্কও মোতায়েন করা হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে। আঙ্কারায় পুলিশ সদরদপ্তরে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, টেলিভিশনে ঘোষণায় সেনাবাহিনীর ওই অংশটি বলেছে, এই সরকার তুরস্কের গণতান্ত্রিক ও সেক্যুলার শাসন ব্যবস্থা মুছে ফেলেছে। দেশ এখন একটি ‘পিস কাউন্সিল’ এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই কাউন্সিল সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যতো দ্রুত সম্ভব একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হবে বলেও ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ইলদ্রিমি এনটিভি চ্যানেলকে ফোনে বলেছেন, ক্ষমতা দখলের একটি চেষ্টা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ ধরনের কোনো চেষ্টা আমরা কোনোভাবেই বরদাশত করবো না।
যারা এ ধরনের কাজ করেছে তাদেরকে এর জন্য সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হবে বলে যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সিএনএন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান নিরাপদেই আছেন। তবে এর বেশি কিছু জানাতে পারেনি মার্কিন গণমাধ্যমটি।
প্রেসিডেন্টের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, যারা ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়েছে তারা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এমন কোনো বিবৃতি দেয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত নয়।
আরো খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেনা সদরদপ্তরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন তুর্কি সেনাপ্রধান।
এই ঘটনাকে একেবারে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অকল্পনীয় বর্ণনা করছেন বিবিসির আঙ্কারা করেসপন্ডেন্ট। দেশটিতে সর্বশেষ সেনাঅভ্যুত্থান হয়েছিল ১৯ বছর আগে। জনগণ ভেবেই নিয়েছিল সেনা হস্তক্ষেপের দিন শেষ।
Link:- http://banglamail24.com/news/161809
Comment