হিজবুল মুজাহিদীন কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানিকে হত্যার পর স্বাধীনতাকামী প্রতিবাদী মাসুষের সাথে নিরাপত্তাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠেছে গোটা কাশ্মীর উপত্যকা। হাজার হাজার কাশ্মিরী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ, নিহত হচ্ছে পুলিশও।
কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর এক নয়া অস্ত্রে ঘায়েল বিক্ষোভকারীরা। এদের অনেকেই দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছেন এই মারাত্মক অস্ত্রের আঘাতে। প্রাণও চলে *যাচ্ছে অনেকের। উন্মত্ত জনতাকে বাগে আনতে পুলিশ ‘পেলেট গান’ নামের এক ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘পেলেট গান’ এর গুলির আঘাতে আহত হয়ে বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কেউ কেউ আবার হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তিও।
শ্রীনগর হাসপাতালের আইসিইউ’তে ১৪ বছরের কাশ্মিরী কিশোরী ইনশা মালিকের এক্সরে’র ছবিতে মেয়েটির মুখে ও মাথায় ভারতীয় বাহিনীর অস্ংখ্য ‘পেলেট গান’ এর গুলি দেখা যাচ্ছে
অনেক বেশি ক্ষতিকারক এবং ভয়ানক এই ধরনের অস্ত্র প্রয়োগ করে নতুন বিতর্কের মুখে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। এ নিয়ে তীব্র সমারোচনা হচ্ছে।
২০১০ সালে কাশ্মীর উপত্যকা অশান্ত হলে প্রথম ‘পেলেট গান’ নামের বন্দুকের প্রথম ব্যবহার শুরু হয়।তখন *যা ছিল বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার অস্ত্র, এখন তা বিক্ষোভকারীদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিচ্ছে। পঙ্গু করে দিচ্ছে দেহের কোনও কোনও অঙ্গকে। জম্মু-কাশ্মীরে কোনও বড় বিক্ষোভ হলেই মানুষ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে। সে বছরও একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তাঁদের থামাতে পেলেট গানের সেই প্রথম ব্যবহার।
পেলেট গান কী?
পেলেট অনেক ধরনের হয়। সাধারণত ছোট ছোট বিয়ারিংয়ের বলের মতো দেখতে হয় এদের। কার্তুজের ভিতরে প্রায় কয়েকশো এ রকম ছোট ছোট বল থাকে। ফায়ারিংয়ের পর কার্তুজের খোল ফেটে গিয়ে বলগুলি গিয়ে মানুষের শরীর ভেদ করে ঢুকে যায়।চিকিৎসকরা জানান, এতে গুলিবিদ্ধ পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। ছোট ছোট বলের মতো হওয়ায় অস্ত্রোপচার করে এদের বের করতেও সমস্যা হয়।
লিংকঃ http://www.amardeshonline.com/pages/...5#.V47-PLqd-1t
Comment