জুলহাজ-তনয়ের পাঁচ ‘হত্যাকারী’ শনাক্ত
০৫ আগস্ট,২০১৬
0 New
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: কলাবাগানে ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যায় সরাসরি জড়িত পাঁচজনকে ‘শনাক্ত’ করার কথা জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
দেশে-বিদেশে আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সংশ্লিষ্ট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জুলহাজ-তনয় হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে। গোয়েন্দারা তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন’।
আলোচিত মামলাগুলোর তদন্তে নিয়োজিতদের পরিচয় প্রকাশ না করার নির্দেশনা থাকায় ওই কর্মকর্তা তার নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী জানিয়েছেন, জুলহাজ-তনয় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সদস্য শরিফুল ইসলাম ওরফে শিহাবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য তারা পেয়েছেন।
ফারুকী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘জুলহাজকে হত্যার জন্য শিহাব খুনিদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। দুই দফা তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। শিহাব এখন কারাগারে রয়েছে’।
গত ২৫ এপ্রিল বিকালে পার্সেল দেওয়ার কথা বলে কলাবাগানের লেক সার্কাস এলাকায় জুলহাজ মান্নানের বাসায় ঢুকে পাঁচ থেকে সাতজন যুবক তাকে এবং তার বন্ধু তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই বাড়ির দারোয়ান পারভেজ মোল্লাও হামলার শিকার হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
খুনিরা পালানোর সময় তাদের একজনের কাছ থেকে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে রাখেন কলাবাগান এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এএসআই মমতাজ, যেখানে একটি পিস্তল, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মোবাইল ফোন পাওয়ার কথা সে সময় জানায় পুলিশ।
নিহত জুলহাজ মান্নান (৩৫) সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক দীপু মনির খালাত ভাই। তিনি সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সাময়িকী ‘রূপবান’ সম্পাদনায় যুক্ত ছিলেন।
আর তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয় (২৬) ছিলেন লোকনাট্য দলের কর্মী। পিটিএ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ‘শিশু নাট্য প্রশিক্ষক’ হিসেবেও তিনি কাজ করতেন।
আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ (একিউআইএস) শাখা ওই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে খবর এলেও পুলিশের পক্ষ থেকে দেশীয় উগ্রপন্থিদের দায়ী করা হয়।
ঘটনার ১৯দিন পর পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী ইউনিটের সদস্যরা কুষ্টিয়া থেকে শরিফুল ইসলাম ওরফে শিহাবকে এ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ সে সময় বলেন, শিহাব আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। ঢাকায় ‘হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে’ তারা কুষ্টিয়ায় ‘পালিয়ে ছিল’।
বাংলাদেশে গত দুই বছর ধরে একের পর ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, শিক্ষক, ভিন্ন মতাবলম্বী ধর্মগুরু এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু হত্যার মধ্যে সমকামী অধিকার কর্মী জুলহাজ ও তনয়ের হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আলোচিত হয়। ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয় বিভিন্ন দেশ।
ঘটনার রাতেই জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যাতে অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়।http://www.m.rtnn.net//newsdetail/detail/1/3/149123
-
০৫ আগস্ট,২০১৬
0 New
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: কলাবাগানে ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যায় সরাসরি জড়িত পাঁচজনকে ‘শনাক্ত’ করার কথা জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
দেশে-বিদেশে আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সংশ্লিষ্ট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জুলহাজ-তনয় হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে। গোয়েন্দারা তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন’।
আলোচিত মামলাগুলোর তদন্তে নিয়োজিতদের পরিচয় প্রকাশ না করার নির্দেশনা থাকায় ওই কর্মকর্তা তার নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী জানিয়েছেন, জুলহাজ-তনয় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সদস্য শরিফুল ইসলাম ওরফে শিহাবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য তারা পেয়েছেন।
ফারুকী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘জুলহাজকে হত্যার জন্য শিহাব খুনিদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। দুই দফা তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। শিহাব এখন কারাগারে রয়েছে’।
গত ২৫ এপ্রিল বিকালে পার্সেল দেওয়ার কথা বলে কলাবাগানের লেক সার্কাস এলাকায় জুলহাজ মান্নানের বাসায় ঢুকে পাঁচ থেকে সাতজন যুবক তাকে এবং তার বন্ধু তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই বাড়ির দারোয়ান পারভেজ মোল্লাও হামলার শিকার হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
খুনিরা পালানোর সময় তাদের একজনের কাছ থেকে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে রাখেন কলাবাগান এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এএসআই মমতাজ, যেখানে একটি পিস্তল, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মোবাইল ফোন পাওয়ার কথা সে সময় জানায় পুলিশ।
নিহত জুলহাজ মান্নান (৩৫) সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক দীপু মনির খালাত ভাই। তিনি সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সাময়িকী ‘রূপবান’ সম্পাদনায় যুক্ত ছিলেন।
আর তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয় (২৬) ছিলেন লোকনাট্য দলের কর্মী। পিটিএ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ‘শিশু নাট্য প্রশিক্ষক’ হিসেবেও তিনি কাজ করতেন।
আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ (একিউআইএস) শাখা ওই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে খবর এলেও পুলিশের পক্ষ থেকে দেশীয় উগ্রপন্থিদের দায়ী করা হয়।
ঘটনার ১৯দিন পর পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী ইউনিটের সদস্যরা কুষ্টিয়া থেকে শরিফুল ইসলাম ওরফে শিহাবকে এ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ সে সময় বলেন, শিহাব আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। ঢাকায় ‘হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে’ তারা কুষ্টিয়ায় ‘পালিয়ে ছিল’।
বাংলাদেশে গত দুই বছর ধরে একের পর ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, শিক্ষক, ভিন্ন মতাবলম্বী ধর্মগুরু এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু হত্যার মধ্যে সমকামী অধিকার কর্মী জুলহাজ ও তনয়ের হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আলোচিত হয়। ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয় বিভিন্ন দেশ।
ঘটনার রাতেই জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যাতে অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়।http://www.m.rtnn.net//newsdetail/detail/1/3/149123
-
Comment