সংবাদে বলা হয়েছে...
জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আটক ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঁচজনকে সাজা দেওয়া হচ্ছে।
বিস্তারিত (সমকাল থেকে)
জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আটক ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঁচজনকে সাজা দেওয়া হচ্ছে। শৃঙ্খলা মেনে চলার শর্তে মুচলেকায় স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে অন্য পাঁচজনের। গতকাল সোমবার সকালে ও রোববার গভীর রাতে তাদের আটকের পর বুয়েট প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বলছেন, আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল এ ছাত্ররা। তাদের কাছে বোমা তৈরির কলাকৌশলের ভিডিওচিত্র ও নকশা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া জিহাদি বই ও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সমর্থনে কিছু নথি পাওয়া গেছে। পরে রাতে আটক ১০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুয়েট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা ও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার দুটি অভিযোগ মিলিয়েই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বুয়েটের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক খালেদা একরাম সমকালকে বলেন, আটক ছাত্রদের ব্যাপারে প্রথমে ডিন ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের নিয়ে একদফা বৈঠক হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে আলামত পর্যালোচনা ও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এর ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাদের কাছে এ-সংক্রান্ত সব আলামত হস্তান্তর করা হবে। তারা জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বুয়েটের ১২তম ব্যাচের ছাত্র আতিকুর রহমান রিয়াদকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুই ছাত্রকে হল থেকে বহিষ্কার, দু'জনকে সতর্কবার্তা ও পাঁচজনের কাছ থেকে মুচলেকায় স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন_ বুয়েটের দশম ব্যাচের ছাত্র ইকবাল আহমেদ, ১১তম ব্যাচের রাফি, ১২তম ব্যাচের লুৎফর রহমান, আতিকুর রহমান রিয়াদ, ১৩তম ব্যাচের তারেক রেজা, ১৪তম ব্যাচের শুভ, ফয়সাল, মিনার ও নাভিদ। অন্য একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্র। এর মধ্যে ইকবাল শিবির সদস্য এবং রিয়াদ ইসলামী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির কলেজ ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। অন্যরাও শিবিরের কর্মী-সমর্থক বলে দাবি ছাত্রলীগ নেতাদের।
বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনক সমকালকে বলেন, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের জঙ্গি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছিল আটক ছাত্ররা। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলে তাদের 'জিহাদে' অংশ নিতে বলা হচ্ছিল। এটিকে তারা জান্নাতে যাওয়ার পথ হিসেবে উল্লেখ করে। সাধারণ ছাত্রদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলের ৩১৫ নম্বর কক্ষে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ওই কক্ষের বাসিন্দা রিয়াদের সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। তার ল্যাপটপ খুলে দেখা যায়, সেখানে আত্মঘাতী বোমা হামলার কলাকৌশল সম্পর্কে বিভিন্ন লেখা রয়েছে। ল্যাপটপে বোমা তৈরির নকশা (ডায়াগ্রাম) ও ভিডিওচিত্র পাওয়া যায়। এ ছাড়া সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র ও যুদ্ধাপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যের রেকর্ড পাওয়া যায়। ওই ঘর থেকে কিছু জিহাদি বই, শিবিরের চাঁদা আদায়ের রসিদ ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কিত নথিও পাওয়া যায়। পরে গতকাল ভোরে নজরুল ইসলাম হলের বর্ধিত ভবন থেকে রিয়াদের অন্য সাত সহযোগীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, শিবিরের সদস্য ইকবাল তাদের প্রধান সমন্বয়ক। তিনি ছাত্রদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফজলে রাব্বী হলে নিয়ে জঙ্গিবাদ বিষয়ে আলোচনা করতেন। তখন কৌশলে ফোন করে তাকে বুয়েট ক্যাম্পাসে ডেকে নিয়ে আটক করা হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেন, অনেকদিন ধরেই তারা এই ছাত্রদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। একপর্যায়ে নিশ্চিত হয়ে রোববার রাতে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তারা বড় রকমের নাশকতা ঘটাতে পারত।
বুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, দীর্ঘ তিন ঘণ্টা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটকে জানানো হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোট ৯ জনকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে। পরে শিক্ষকরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনকে আটক করেন। সাজার সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তাদের আটকে রাখা হয়।
ডিবির উপকমিশনার (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ সমকালকে বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষের জব্দ করা আলামত পরীক্ষা করে দেখবে ডিবি। এরপর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-------------------------------------------------
সূত্রঃ- http://www.samakal.net/2015/09/01/159105
জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আটক ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঁচজনকে সাজা দেওয়া হচ্ছে।
বিস্তারিত (সমকাল থেকে)
জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আটক ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঁচজনকে সাজা দেওয়া হচ্ছে। শৃঙ্খলা মেনে চলার শর্তে মুচলেকায় স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে অন্য পাঁচজনের। গতকাল সোমবার সকালে ও রোববার গভীর রাতে তাদের আটকের পর বুয়েট প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বলছেন, আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল এ ছাত্ররা। তাদের কাছে বোমা তৈরির কলাকৌশলের ভিডিওচিত্র ও নকশা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া জিহাদি বই ও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সমর্থনে কিছু নথি পাওয়া গেছে। পরে রাতে আটক ১০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুয়েট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা ও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার দুটি অভিযোগ মিলিয়েই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বুয়েটের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক খালেদা একরাম সমকালকে বলেন, আটক ছাত্রদের ব্যাপারে প্রথমে ডিন ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের নিয়ে একদফা বৈঠক হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে আলামত পর্যালোচনা ও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এর ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাদের কাছে এ-সংক্রান্ত সব আলামত হস্তান্তর করা হবে। তারা জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বুয়েটের ১২তম ব্যাচের ছাত্র আতিকুর রহমান রিয়াদকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুই ছাত্রকে হল থেকে বহিষ্কার, দু'জনকে সতর্কবার্তা ও পাঁচজনের কাছ থেকে মুচলেকায় স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন_ বুয়েটের দশম ব্যাচের ছাত্র ইকবাল আহমেদ, ১১তম ব্যাচের রাফি, ১২তম ব্যাচের লুৎফর রহমান, আতিকুর রহমান রিয়াদ, ১৩তম ব্যাচের তারেক রেজা, ১৪তম ব্যাচের শুভ, ফয়সাল, মিনার ও নাভিদ। অন্য একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্র। এর মধ্যে ইকবাল শিবির সদস্য এবং রিয়াদ ইসলামী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির কলেজ ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। অন্যরাও শিবিরের কর্মী-সমর্থক বলে দাবি ছাত্রলীগ নেতাদের।
বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনক সমকালকে বলেন, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের জঙ্গি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছিল আটক ছাত্ররা। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলে তাদের 'জিহাদে' অংশ নিতে বলা হচ্ছিল। এটিকে তারা জান্নাতে যাওয়ার পথ হিসেবে উল্লেখ করে। সাধারণ ছাত্রদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলের ৩১৫ নম্বর কক্ষে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ওই কক্ষের বাসিন্দা রিয়াদের সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। তার ল্যাপটপ খুলে দেখা যায়, সেখানে আত্মঘাতী বোমা হামলার কলাকৌশল সম্পর্কে বিভিন্ন লেখা রয়েছে। ল্যাপটপে বোমা তৈরির নকশা (ডায়াগ্রাম) ও ভিডিওচিত্র পাওয়া যায়। এ ছাড়া সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র ও যুদ্ধাপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যের রেকর্ড পাওয়া যায়। ওই ঘর থেকে কিছু জিহাদি বই, শিবিরের চাঁদা আদায়ের রসিদ ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কিত নথিও পাওয়া যায়। পরে গতকাল ভোরে নজরুল ইসলাম হলের বর্ধিত ভবন থেকে রিয়াদের অন্য সাত সহযোগীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, শিবিরের সদস্য ইকবাল তাদের প্রধান সমন্বয়ক। তিনি ছাত্রদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফজলে রাব্বী হলে নিয়ে জঙ্গিবাদ বিষয়ে আলোচনা করতেন। তখন কৌশলে ফোন করে তাকে বুয়েট ক্যাম্পাসে ডেকে নিয়ে আটক করা হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেন, অনেকদিন ধরেই তারা এই ছাত্রদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। একপর্যায়ে নিশ্চিত হয়ে রোববার রাতে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তারা বড় রকমের নাশকতা ঘটাতে পারত।
বুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, দীর্ঘ তিন ঘণ্টা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটকে জানানো হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোট ৯ জনকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে। পরে শিক্ষকরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনকে আটক করেন। সাজার সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তাদের আটকে রাখা হয়।
ডিবির উপকমিশনার (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ সমকালকে বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষের জব্দ করা আলামত পরীক্ষা করে দেখবে ডিবি। এরপর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-------------------------------------------------
সূত্রঃ- http://www.samakal.net/2015/09/01/159105
Comment