মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সে দেশের সীমান্ত পুলিশের ২০টি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী সংগঠন ‘আল ইয়াকিন’। এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি নিহত ও কয়েকশ’ আহত হয়েছেন। এ হামলার পর রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কয়েকটি গ্রামে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন সেনা ও পুলিশ সদস্যরা। এ কারণে আতঙ্কিত রোহিঙ্গারা আশ্রয়ের আশায় দলে দলে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছেন। উখিয়া-টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের চোরাই পথ দিয়ে তারা সীমান্তের কাছে অবস্থান নিয়েছেন। তবে বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতিরোধের মুখে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা স্থলসীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে পারেননি। তবে নাফ নদী পার হয়ে আসেন ১৪৬ রোহিঙ্গা। বিজিবি তাদের আটকের পর মানবিক সহায়তা দিয়ে মিয়ানমারে আবার ফেরত পাঠিয়েছে।
উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের জানান, স্থলসীমান্ত পয়েন্টগুলোতে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করেছে বিজিবি। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে যোগ দিয়েছে পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনতা। বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) লে. কর্নেল আনোয়ারুল আজিম জানান, ওপারে সংঘটিত বিচ্ছিন্ন ঘটনার জেরে আতঙ্কিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশায় সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছেন। কিন্তু বিজিবির কঠোর অবস্থানের কারণে তারা সীমান্ত অতিক্রম করতে পারেননি। ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক মনজুরুল হাসান খান ও টেকনাফ বিজিবি অধিনায়ক মো. এসএম আরিফুল ইসলামও এলাকায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমরা সীমান্ত থেকে ফিরেছি। দিনের মতো রাতেও সীমান্ত পাহারা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি। টেকনাফ ২নং বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর সাইফুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালান রোহিঙ্গারা। এ সময় বিজিবি সদস্যরা ১৪৬ নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করে মানবিক সহায়তা দিয়ে আবার সে দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন। তবে ফেরত পাঠানো ওই দলে কোনো যুবক ছিলেন না। মিয়ানমারের বুছিদং ও রাছিদং জেলার ময়্যু পর্বতমালা সংলগ্ন রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে কারফিউ জারি করেছে সেনারা। এসব এলাকার লোকজনদের ময়্যু পর্বতমালার দিকে অগ্রসর না হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ কারণে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন। রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতনের আশঙ্কায় রোহিঙ্গা মুসলিমরা আবারও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এক সপ্তাহে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রায় ১১ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে অনুপ্রবেশ করে উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালং এবং টেকনাফের লেদা ও মুছনি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। একটি এনজিও সংস্থার রিপোর্টে বলা হলেও সরকারিভাবে এর কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কুতুপালং নতুন ক্যাম্পে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা সিরাজুল হক, বালুখালী নতুন বস্তির আয়ুব মাঝি ও লালু মাঝি জানান।
উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের জানান, স্থলসীমান্ত পয়েন্টগুলোতে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করেছে বিজিবি। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে যোগ দিয়েছে পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনতা। বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) লে. কর্নেল আনোয়ারুল আজিম জানান, ওপারে সংঘটিত বিচ্ছিন্ন ঘটনার জেরে আতঙ্কিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশায় সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছেন। কিন্তু বিজিবির কঠোর অবস্থানের কারণে তারা সীমান্ত অতিক্রম করতে পারেননি। ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক মনজুরুল হাসান খান ও টেকনাফ বিজিবি অধিনায়ক মো. এসএম আরিফুল ইসলামও এলাকায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমরা সীমান্ত থেকে ফিরেছি। দিনের মতো রাতেও সীমান্ত পাহারা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি। টেকনাফ ২নং বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর সাইফুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালান রোহিঙ্গারা। এ সময় বিজিবি সদস্যরা ১৪৬ নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করে মানবিক সহায়তা দিয়ে আবার সে দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন। তবে ফেরত পাঠানো ওই দলে কোনো যুবক ছিলেন না। মিয়ানমারের বুছিদং ও রাছিদং জেলার ময়্যু পর্বতমালা সংলগ্ন রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে কারফিউ জারি করেছে সেনারা। এসব এলাকার লোকজনদের ময়্যু পর্বতমালার দিকে অগ্রসর না হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ কারণে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছেন। রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতনের আশঙ্কায় রোহিঙ্গা মুসলিমরা আবারও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এক সপ্তাহে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রায় ১১ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে অনুপ্রবেশ করে উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালং এবং টেকনাফের লেদা ও মুছনি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। একটি এনজিও সংস্থার রিপোর্টে বলা হলেও সরকারিভাবে এর কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কুতুপালং নতুন ক্যাম্পে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা সিরাজুল হক, বালুখালী নতুন বস্তির আয়ুব মাঝি ও লালু মাঝি জানান।
Comment