শায়খ সুদাইস! তাগুতের পক্ষে আপনার বক্তব্য আমাদের ব্যথিত করেছে
OURISLAM24.COM
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
রেজাউল করিম আবরার
আলেম ও অনলাইন এক্টিভিস্ট
সৌদি আরব। হেজাজ ভূমি। আমাদের প্রাণের স্পন্দন। হেজাজের মাটিতে রয়েছে আমাদের প্রাণের বায়তুল্লাহ। এ মাটির আলো হাওয়ায় বেড়ে উঠেছেন আমাদের প্রেমাষ্পদ। মদীনায় শুয়ে আছেন আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। একারণে আমরা হেজাজ ভূমিকে ভালবাসি। তাদের অধিবাসীদের সম্মানের চোখে দেখি।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে কুরআন এবং সুন্নাহ রেখে গেছেন। হক এবং বাতিলের মাঝে পার্থক্য নির্ধারণ করে দিয়ে গেছেন। কুরআন এবং সুন্নাহের আলোকে আমরা সাদা এবং কালোর মাঝে পার্থক্য করতে পারি। কেউ যদি বায়তুল্লাহর ইমামও হন, আমরা তার অন্ধ অনুসরণ করিনা। আগে দেখি তার কথা কুরআন এবং সুন্নাহ সম্মত কিনা? আমরা কুরআন, সুন্নাহ দ্বারা বায়তুল্লাহর ইমামকে মূল্যায়ন করি। বায়তুল্লাহর ইমাম দ্বারা কুরআন, সুন্নাহ মূল্যায়ন করি না।
আপনাকে আমরা সম্মান করি। কারণ আপনি বায়তুল্লাহর ইমাম। কিন্তু আপনার ফতোয়া যদি তাগুতের পক্ষে কথা বলে, তাহলে আমরা আপনাকে পরিত্যাগ করব। কারণ আমাদের ভালোবাসার মাপকাঠি হলো ইসলাম। ইসলামের জন্য আমরা আপনাকে ভালোবেসে ছিলাম। এখন ইসলামের কারণে পরিত্যাগ করলাম।
আল্লাহ আপনাকে সম্মানিত করেছেন। বায়তুল্লাহর ইমাম আপনি। এর অর্থ এই নয়, আপনি সব কিছুর উর্ধ্বে উঠে গেছেন! আপনার কোনো কথার সমালোচনা আমরা করব না।
খোদার কসম, ইসলামের শিক্ষা হল বায়তুল্লাহর ইমাম হওয়ার কারণে আপনি কিয়ামতের দিন মুক্তি পাবেন না। ফাতেমা রা. কে উদ্দেশ্য করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সে কথাটি স্মরণ করুন। আপনার আমলনামা দ্বারা আপনি মূল্যায়িত হবেন।
পুরো মুসলিম বিশ্ব এখন শোকে মূহ্যমান। মায়ানমানেরর মুসলমানদের নির্যাতিত চেহারা দেখে পাষাণ হৃদয় ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। শায়খ, এই সময় তাগুতের পক্ষে আপনার ফতোয়া সত্যি আমাদের ব্যথিত করেছে!
প্লিজ, আপনি তাগুতের তল্পিবাহক হবেন না। আমরা চাই আপনি হন ইমাম আবু হানিফা এবং ইমাম আহমদ বিন হাম্বলের উত্তরসুরি। অত্যাচারি বাদশাহের নির্মম আঘাতে তাদের শরীর থেকে রক্ত ছিটকে পড়েছে। মৃত্যুর মুখোমুখি দাড় করিয়েছে। তারপরও তারা সত্য বলে গেছেন।
শায়খ, আপনি একবার এসে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবস্থা দেখে যান। তারপর ট্রাম্পের পক্ষে ফতোয়া দেন। প্লিজ, বায়তুল্লাহর লাজ অন্তত রক্ষা করুন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শায়খ সুদাইস একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাদশা সালমান ও ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বকে সঠিক পথেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
عبدالرحمن السديس
ماهو ردك على قصف امريكا للمدنيين ف افغانستان/وتعذيبها لاهل السنه في العراق
وتآمرها في البوسنه والهرسك
حسبي الله ونعم الوكيل pic.twitter.com/v8iYBVG4hU
— بوغانم (@hassanalishaq73) September 17, 2017
OURISLAM24.COM
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
রেজাউল করিম আবরার
আলেম ও অনলাইন এক্টিভিস্ট
সৌদি আরব। হেজাজ ভূমি। আমাদের প্রাণের স্পন্দন। হেজাজের মাটিতে রয়েছে আমাদের প্রাণের বায়তুল্লাহ। এ মাটির আলো হাওয়ায় বেড়ে উঠেছেন আমাদের প্রেমাষ্পদ। মদীনায় শুয়ে আছেন আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। একারণে আমরা হেজাজ ভূমিকে ভালবাসি। তাদের অধিবাসীদের সম্মানের চোখে দেখি।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে কুরআন এবং সুন্নাহ রেখে গেছেন। হক এবং বাতিলের মাঝে পার্থক্য নির্ধারণ করে দিয়ে গেছেন। কুরআন এবং সুন্নাহের আলোকে আমরা সাদা এবং কালোর মাঝে পার্থক্য করতে পারি। কেউ যদি বায়তুল্লাহর ইমামও হন, আমরা তার অন্ধ অনুসরণ করিনা। আগে দেখি তার কথা কুরআন এবং সুন্নাহ সম্মত কিনা? আমরা কুরআন, সুন্নাহ দ্বারা বায়তুল্লাহর ইমামকে মূল্যায়ন করি। বায়তুল্লাহর ইমাম দ্বারা কুরআন, সুন্নাহ মূল্যায়ন করি না।
আপনাকে আমরা সম্মান করি। কারণ আপনি বায়তুল্লাহর ইমাম। কিন্তু আপনার ফতোয়া যদি তাগুতের পক্ষে কথা বলে, তাহলে আমরা আপনাকে পরিত্যাগ করব। কারণ আমাদের ভালোবাসার মাপকাঠি হলো ইসলাম। ইসলামের জন্য আমরা আপনাকে ভালোবেসে ছিলাম। এখন ইসলামের কারণে পরিত্যাগ করলাম।
আল্লাহ আপনাকে সম্মানিত করেছেন। বায়তুল্লাহর ইমাম আপনি। এর অর্থ এই নয়, আপনি সব কিছুর উর্ধ্বে উঠে গেছেন! আপনার কোনো কথার সমালোচনা আমরা করব না।
খোদার কসম, ইসলামের শিক্ষা হল বায়তুল্লাহর ইমাম হওয়ার কারণে আপনি কিয়ামতের দিন মুক্তি পাবেন না। ফাতেমা রা. কে উদ্দেশ্য করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সে কথাটি স্মরণ করুন। আপনার আমলনামা দ্বারা আপনি মূল্যায়িত হবেন।
পুরো মুসলিম বিশ্ব এখন শোকে মূহ্যমান। মায়ানমানেরর মুসলমানদের নির্যাতিত চেহারা দেখে পাষাণ হৃদয় ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। শায়খ, এই সময় তাগুতের পক্ষে আপনার ফতোয়া সত্যি আমাদের ব্যথিত করেছে!
প্লিজ, আপনি তাগুতের তল্পিবাহক হবেন না। আমরা চাই আপনি হন ইমাম আবু হানিফা এবং ইমাম আহমদ বিন হাম্বলের উত্তরসুরি। অত্যাচারি বাদশাহের নির্মম আঘাতে তাদের শরীর থেকে রক্ত ছিটকে পড়েছে। মৃত্যুর মুখোমুখি দাড় করিয়েছে। তারপরও তারা সত্য বলে গেছেন।
শায়খ, আপনি একবার এসে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবস্থা দেখে যান। তারপর ট্রাম্পের পক্ষে ফতোয়া দেন। প্লিজ, বায়তুল্লাহর লাজ অন্তত রক্ষা করুন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শায়খ সুদাইস একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাদশা সালমান ও ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বকে সঠিক পথেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
عبدالرحمن السديس
ماهو ردك على قصف امريكا للمدنيين ف افغانستان/وتعذيبها لاهل السنه في العراق
وتآمرها في البوسنه والهرسك
حسبي الله ونعم الوكيل pic.twitter.com/v8iYBVG4hU
— بوغانم (@hassanalishaq73) September 17, 2017
Comment