Announcement

Collapse
No announcement yet.

"জঙ্গি মারো জঙ্গি ধরো জঙ্গি ভরো জেলে"- সম্প্রতি প্রকাশিত মুহিব খানের নতুন গানের প্রতি

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • "জঙ্গি মারো জঙ্গি ধরো জঙ্গি ভরো জেলে"- সম্প্রতি প্রকাশিত মুহিব খানের নতুন গানের প্রতি

    জঙ্গি মারো জঙ্গি ধরো জঙ্গি ভরো জেলে

    "জাগ্রত কবি" হিসেবে খ্যাত পাগলাটে গায়ক মুহিব খান। আমার কেন যেন মনে হয় "ডিগবাজী খান" হিসেবে নতুন লকব দেওয়া দরকার। ডিগবাজীতে তিনি বেশ পারদর্শী।
    এক সময় তিনি খোলাখুলিভাবে মুজাহিদীনে ইসলামের পক্ষে কাজ করেছেন। তার গান-কবিতা শুনে, লেখনী পড়ে অনেকেই জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ'র দিকে এগিয়েছেন। এখন তারা যখন প্রিয় কবির গান কবিতা থেকে মুজাহিদীনের ইসলামের ব্যাপারে সংশয় পূর্ণ বিষয় দেখতে পান সেটা তাঁদের জন্য পীড়াদায়ক। ইদানিং তিনি আরো কিছু বিষয়ে সমালোচিত হয়েছেন। সেদিকে না গিয়ে তার ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গানের ব্যাপারে ভাইদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাচ্ছি।

    যার ইউটিউব লিংকঃ https://youtu.be/N_foJ420V5g

    এই গানে তিনি মূলত দ্বীনি মাদরাসা সমূহকে ডিফেন্ড করেছেন। মাদরাসা গুলোকে ডিফেন্ড করে ইসলামবিদ্ধেষীদের বিভিন্ন আক্রমনের জবাব দিয়েছেন। মাশাআল্লাহ,খুবই ভালো কাজ। তার এই গানের শেষের দিকে যদিও জঙ্গিদের ইসলাম আইনের প্রত্যাশী, দ্বীনদার, মুসলিম হওয়ার বিষয়টা ফুটে উঠে কিন্তু গানের মূল চার লাইনের এক লাইন "জঙ্গি মারো জঙ্গি ধরো জঙ্গি ভরো জেলে" এটা খুবই আপত্তিকর।
    বলা যেতে পারে এটা তো তিনি ইসলামবিদ্ধেষীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন। ভালো কথা, কিন্তু ভাবা উচিত তার গান কত জন ইসলামবিদ্ধেষী শুনে ? এর প্রভাব কাদের উপর বেশি পড়বে!! নিশ্চয়ই সহজ-সরল মাদরাসা ছাত্ররাই তার গানের মূল শ্রোতা। জেনারেল লাইনেও তার শ্রোতা সংখ্যা বরাবরই স্বল্প। নতুন দ্বীনে এসেছেন বা জিহাদ-জঙ্গিবাদ নিয়ে যারা, মাত্র ভাবতে শুরু করেছেন তারা এই গান থেকে জিহাদ-জঙ্গিবাদ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাই পাবেন। শুধু এই গানই নয়। সাম্প্রতিক প্রকাশিত তার অনেক গান-কবিতায়ই এই বিষয় ধরা পড়ে।
    প্রিয় কবির কাছ থেকে এমন কিছু আমরা আশা করি না যাতে ভালোর সাথে মন্দেরও মিশ্রণ থাকবে। গানে-সুর-ছন্দে-লেখনীতে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর কথা তিনি বলুন পরিষ্কারভাবে যেভাবে পূর্বে বলেছেন মন্দের মিশ্রণ না ঘটিয়ে। না হয় এই বিষয়ে চুপ থাকাই তার জন্য উত্তম।
    Last edited by hadid_bd; 11-02-2017, 12:09 PM.

  • #2
    গানের কথাঃ

    জঙ্গি নিয়ে ভঙ্গি করার সময় এবার শেষ
    সত্যিকারের জঙ্গি কোথায় দেখছে বাংলাদেশ।
    আরে ও দেশের মানুষ হইছে নি হুশ পাইছো নি ভাই টের?
    জঙ্গি বলে আর ডেকো না মোল্লা-মুন্সিদের।
    মাদরাসাতেই জঙ্গি থাকে এই কথা ঠিক নয়
    কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়েও জঙ্গি এখন হয়।
    জঙ্গি জুজুর ভয় দেখিয়ে ভিনদেশিরা খেলে
    একদিকে নয় সবকদিকে তাই চোখটা রেখো মেলে।

    জঙ্গি মারো জঙ্গি ধরো জঙ্গি ভরো জেলে
    নিজের ঘরে খুইজা দেখো জঙ্গি তোমার ছেলে।
    ভুল ঠিকানায় জঙ্গি খুঁজে কাঁদতে হবে পরে
    সত্যিকারের জঙ্গি দিয়ে দেশটা যাবে ভরে।

    মাদরাসাকেই জঙ্গিবাদের কারখানা কয় যারা
    সবকটাকেই লাত্থি মেরে দেশ থেকে আজ তাড়া।
    বলতো যারা মাদরাসাতেই অস্ত্র থাকে জমা
    জাতির কাছে ওই শালাদের চাইতে হবে ক্ষমা।
    ওরে চাইতো ওরা জঙ্গি নামে মাদরাসা হোক শেষ
    নাস্তিকতার আস্তানা হোক সোনার বাংলাদেশ।
    ভাবতো ওরা দ্বীন ঈমানের দুর্গ ভেঙ্গে যাক
    হয় না যেন সত্য ন্যায়ের আন্দোলনের ডাক।
    ব্যর্থ হয়ে তাই মিডিয়া জ্বলছে বেগুন তেলে
    নতুন করে হানবে আঘাত একটু সুযোগ পেলে।

    জঙ্গি মারো জঙ্গি ধরো জঙ্গি ভরো জেলে
    নিজের ঘরে খুইজা দেখো জঙ্গি তোমার ছেলে।
    ভুল ঠিকানায় জঙ্গি খুঁজে কাঁদতে হবে পরে
    সত্যিকারের জঙ্গি দিয়ে দেশটা যাবে ভরে।

    এখন ওরা গাঁও গেরামের মাদরাসাতে ঢুকে
    জঙ্গিবাদের গন্ধ শুঁকে অবুঝ শিশুর মুখে।
    বলতো ওরাই মাদরাসা সব রাষ্ট্র থেকে দূরে
    এখন আবার স্বীকৃতিতেও কোল যে ওদের পুড়ে।
    ওদের কথায় কান দিও না জঙ্গি ওদের টোপ
    জঙ্গিবাদের ধুম্রজালে ঝোপ বুঝে দেয় কোপ।
    জঙ্গি ঝড়ে বিশ্বকাপে নেই আমাদের ভয়
    আমরা জানি জঙ্গি কারা কোন কারণে হয়।
    জঙ্গি রোধে কাজ হবে না লৌহ প্রাচীর ঢেলে
    কাজ হবে দেশ রাষ্ট্র নিয়ে দ্বীনের পথে এলে।

    জঙ্গি মারো জঙ্গি ধরো জঙ্গি ভরো জেলে
    নিজের ঘরে খুইজা দেখো জঙ্গি তোমার ছেলে।
    ভুল ঠিকানায় জঙ্গি খুঁজে কাঁদতে হবে পরে
    সত্যিকারের জঙ্গি দিয়ে দেশটা যাবে ভরে।

    মুসলমানের রাষ্ট্রে যদি ইসলামী আইন চলে
    জঙ্গিরা আর পার পাবে না ধর্ম গেলো বলে।
    দ্বীন বিরোধী সবকিছু আজ বন্ধ যদি হয়
    জিহাদ নামের জঙ্গিবাদের থাকবে না আর ভয়।
    এর সমাধান করতে পারে রাষ্ট্র বা সরকার
    মুসলমানের দেশ বাঁচাতে ইসলামই দরকার।
    পাখির খাঁচায় মাছ বাঁচে না, মাছের পানি চাই
    ইসলাম ছাড়া বাংলাদেশের অন্য উপায় নাই।
    জল ছেড়ে মাছ উঠলে ডাঙ্গায় ছিল শকুনে গেলে
    দেশটাকে তাই যমের খাঁচায় আর দিও না ঠেলে।

    জঙ্গি মারো জঙ্গি ধরো জঙ্গি ভরো জেলে
    নিজের ঘরে খুইজা দেখো জঙ্গি তোমার ছেলে।
    ভুল ঠিকানায় জঙ্গি খুঁজে কাঁদতে হবে পরে
    সত্যিকারের জঙ্গি দিয়ে দেশটা যাবে ভরে।

    [https://youtu.be/N_foJ420V5g]

    Comment


    • #3
      দুই ভাইয়ের চিত্র একই রকম হচ্ছে। বুঝতে পারছি না, উনাদের উদ্দেশ্য কী?
      এক সময় উনার ভাইয়ের বই পড়ে অনেকে জিহাদ শিখেছে, কিন্তু এখন তিনিও অন্য পথে হাঁটছেন!!!
      Last edited by ঘোড় সাওয়ার; 11-05-2017, 07:56 AM.

      Comment


      • #4
        حَدَّثَنَا حُذَيْفَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) حَدِيثَيْنِ رَأَيْتُ أَحَدَهُمَا وَأَنَا أَنْتَظِرُ الآخَرَ حَدَّثَنَا ‏"‏ أَنَّ الأَمَانَةَ نَزَلَتْ فِي جَذْرِ قُلُوبِ الرِّجَالِ، ثُمَّ عَلِمُوا مِنَ الْقُرْآنِ، ثُمَّ عَلِمُوا مِنَ السُّنَّةِ ‏"‏‏.‏ وَحَدَّثَنَا عَنْ رَفْعِهَا قَالَ ‏"‏ يَنَامُ الرَّجُلُ النَّوْمَةَ فَتُقْبَضُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبِهِ، فَيَظَلُّ أَثَرُهَا مِثْلَ أَثَرِ الْوَكْتِ، ثُمَّ يَنَامُ النَّوْمَةَ فَتُقْبَضُ فَيَبْقَى فِيهَا أَثَرُهَا مِثْلَ أَثَرِ الْمَجْلِ، كَجَمْرٍ دَحْرَجْتَهُ عَلَى رِجْلِكَ فَنَفِطَ، فَتَرَاهُ مُنْتَبِرًا وَلَيْسَ فِيهِ شَىْءٌ، وَيُصْبِحُ النَّاسُ يَتَبَايَعُونَ فَلاَ يَكَادُ أَحَدٌ يُؤَدِّي الأَمَانَةَ فَيُقَالُ إِنَّ فِي بَنِي فُلاَنٍ رَجُلاً أَمِينًا‏.‏ وَيُقَالُ لِلرَّجُلِ مَا أَعْقَلَهُ، وَمَا أَظْرَفَهُ، وَمَا أَجْلَدَهُ، وَمَا فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةِ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ، وَلَقَدْ أَتَى عَلَىَّ زَمَانٌ، وَلاَ أُبَالِي أَيُّكُمْ بَايَعْتُ، لَئِنْ كَانَ مُسْلِمًا رَدَّهُ عَلَىَّ الإِسْلاَمُ، وَإِنْ كَانَ نَصْرَانِيًّا رَدَّهُ عَلَىَّ سَاعِيهِ، وَأَمَّا الْيَوْمَ فَمَا كُنْتُ أُبَايِعُ إِلاَّ فُلاَنًا وَفُلاَنًا ‏"‏‏.‏ হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের দুটি হাদীস বর্ণনা করেছিলেন, যার একটি আমি দেখেছি (বাস্তবায়িত হয়েছে) আর অপরটির অপেক্ষায় আছি। তিনি আমাদের বলেনঃ আমানত মানুষের অন্তর্মূলে প্রবিষ্ট হয়। এরপর তারা কুরআন শিখে, তারপর তারা সুন্নাহর জ্ঞাণ অর্জন করে। তিনি আমাদের আমানত বিলুপ্তি সম্পর্কেও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ মানুষ এক সময় ঘুমাবে। তার অন্তর থেকে আমানত উঠিয়ে নেওয়া হবে। তখন একটি বিন্দুর ন্যায় চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে। এরপর সে আবার ঘুমাবে। তারপর আবার তুলে নেওয়া হবে, তখন ফোসকার ন্যায় তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে। যেমন একটা জ্বলন্ত অঙ্গারকে যদি তুমি পায়ের উপর রেখে দাও এতে পায়ে ফোস্কা পড়ে, তখন তুমি সেটাকে ফোলা দেখবে। অথচ তার মধ্যে কিছুই নেই। (এ সময়) মানুষ বেচাকেনা করবে বটে কিন্তু কেউ আমানত আদায় করবে না। তখন বলা হবে, অমুক গোত্রে একজন আমানতদার ব্যক্তি আছেন। কোন কোন লোক সম্পর্কে বলা হবে যে, লোকটি কতই না বুদ্ধিমান, কতই না বিচক্ষণ, কতই না বীর, অথচ তার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান নেই। [এরপর হুযায়ফা (রাযিঃ) বললেন] আমার উপর দিয়ে এমন একটি যুগ অতিবাহিত হয়েছে তখন আমি তোমাদের কার সাথে লেনদেন করছি এ সম্পর্কে মোটেও চিন্তা-ভাবনা করতাম না। কেননা সে যদি মুসলিম হয় তাহলে তারদ্বীনই (হক আদায়ের জন্য) তাকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনবে। আর যদি সে খৃষ্টান হয়, তাহলে তার অভিভাবকরাই (হক আদায়ের জন্য) তাকে আমার কাছে ফিরে আসতে বাধ্য করবে। কিন্তু বর্তমানে আমি অমুক অমুক কে ছাড়া কারো সঙ্গে বেচাকেনা করি না। তাহক্বীক:: মারফু হাদিস। তাখরীজ :: [ বুখারীঃ তা.পা ৭০৮৬, ৬৪৯৭] ( আ.প্র. ৬৫৯৩, ই.ফা. ৬৬০৭

        Comment


        • #5
          Originally posted by Umar Faruq View Post
          حَدَّثَنَا حُذَيْفَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) حَدِيثَيْنِ رَأَيْتُ أَحَدَهُمَا وَأَنَا أَنْتَظِرُ الآخَرَ حَدَّثَنَا ‏"‏ أَنَّ الأَمَانَةَ نَزَلَتْ فِي جَذْرِ قُلُوبِ الرِّجَالِ، ثُمَّ عَلِمُوا مِنَ الْقُرْآنِ، ثُمَّ عَلِمُوا مِنَ السُّنَّةِ ‏"‏‏.‏ وَحَدَّثَنَا عَنْ رَفْعِهَا قَالَ ‏"‏ يَنَامُ الرَّجُلُ النَّوْمَةَ فَتُقْبَضُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبِهِ، فَيَظَلُّ أَثَرُهَا مِثْلَ أَثَرِ الْوَكْتِ، ثُمَّ يَنَامُ النَّوْمَةَ فَتُقْبَضُ فَيَبْقَى فِيهَا أَثَرُهَا مِثْلَ أَثَرِ الْمَجْلِ، كَجَمْرٍ دَحْرَجْتَهُ عَلَى رِجْلِكَ فَنَفِطَ، فَتَرَاهُ مُنْتَبِرًا وَلَيْسَ فِيهِ شَىْءٌ، وَيُصْبِحُ النَّاسُ يَتَبَايَعُونَ فَلاَ يَكَادُ أَحَدٌ يُؤَدِّي الأَمَانَةَ فَيُقَالُ إِنَّ فِي بَنِي فُلاَنٍ رَجُلاً أَمِينًا‏.‏ وَيُقَالُ لِلرَّجُلِ مَا أَعْقَلَهُ، وَمَا أَظْرَفَهُ، وَمَا أَجْلَدَهُ، وَمَا فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةِ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ، وَلَقَدْ أَتَى عَلَىَّ زَمَانٌ، وَلاَ أُبَالِي أَيُّكُمْ بَايَعْتُ، لَئِنْ كَانَ مُسْلِمًا رَدَّهُ عَلَىَّ الإِسْلاَمُ، وَإِنْ كَانَ نَصْرَانِيًّا رَدَّهُ عَلَىَّ سَاعِيهِ، وَأَمَّا الْيَوْمَ فَمَا كُنْتُ أُبَايِعُ إِلاَّ فُلاَنًا وَفُلاَنًا ‏"‏‏.‏ হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের দুটি হাদীস বর্ণনা করেছিলেন, যার একটি আমি দেখেছি (বাস্তবায়িত হয়েছে) আর অপরটির অপেক্ষায় আছি। তিনি আমাদের বলেনঃ আমানত মানুষের অন্তর্মূলে প্রবিষ্ট হয়। এরপর তারা কুরআন শিখে, তারপর তারা সুন্নাহর জ্ঞাণ অর্জন করে। তিনি আমাদের আমানত বিলুপ্তি সম্পর্কেও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ মানুষ এক সময় ঘুমাবে। তার অন্তর থেকে আমানত উঠিয়ে নেওয়া হবে। তখন একটি বিন্দুর ন্যায় চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে। এরপর সে আবার ঘুমাবে। তারপর আবার তুলে নেওয়া হবে, তখন ফোসকার ন্যায় তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে। যেমন একটা জ্বলন্ত অঙ্গারকে যদি তুমি পায়ের উপর রেখে দাও এতে পায়ে ফোস্কা পড়ে, তখন তুমি সেটাকে ফোলা দেখবে। অথচ তার মধ্যে কিছুই নেই। (এ সময়) মানুষ বেচাকেনা করবে বটে কিন্তু কেউ আমানত আদায় করবে না। তখন বলা হবে, অমুক গোত্রে একজন আমানতদার ব্যক্তি আছেন। কোন কোন লোক সম্পর্কে বলা হবে যে, লোকটি কতই না বুদ্ধিমান, কতই না বিচক্ষণ, কতই না বীর, অথচ তার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান নেই। [এরপর হুযায়ফা (রাযিঃ) বললেন] আমার উপর দিয়ে এমন একটি যুগ অতিবাহিত হয়েছে তখন আমি তোমাদের কার সাথে লেনদেন করছি এ সম্পর্কে মোটেও চিন্তা-ভাবনা করতাম না। কেননা সে যদি মুসলিম হয় তাহলে তারদ্বীনই (হক আদায়ের জন্য) তাকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনবে। আর যদি সে খৃষ্টান হয়, তাহলে তার অভিভাবকরাই (হক আদায়ের জন্য) তাকে আমার কাছে ফিরে আসতে বাধ্য করবে। কিন্তু বর্তমানে আমি অমুক অমুক কে ছাড়া কারো সঙ্গে বেচাকেনা করি না। তাহক্বীক:: মারফু হাদিস। তাখরীজ :: [ বুখারীঃ তা.পা ৭০৮৬, ৬৪৯৭] ( আ.প্র. ৬৫৯৩, ই.ফা. ৬৬০৭
          জাযাকাল্লাহ ভাই, ঠিক বলেছেন। এখন প্রকৃত আমানতদার পাওয়া খুবই মুশকিল। আমানতদারিতা তো শুধু সম্পদের ক্ষেত্রে নয়; বরং প্রতিটি কথা, কাজ ও নিয়তের ক্ষেত্রে।
          আমানত একটি ব্যাপক বিষয়। আমানতদারিতাই তো সকল ন্যায়পরায়ণতার মূল।


          আল্লাহ বলেছেন: إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُمْ بَيْنَ النَّاسِ أَنْ تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ
          dTj
          Last edited by salahuddin aiubi; 11-03-2017, 06:10 PM.

          Comment


          • #6
            আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সত্যই বলেছেন যে,
            وَالشُّعَرَاءُ يَتَّبِعُهُمُ الْغَاوُون অর্থঃ আর বিভ্রান্তরাই কবিদের অনুসরন করে। সূরা শূরা,আয়াতঃ২২৪ (২৬ঃ২২৪)

            আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সিরাতুল মুসতাক্বীমের উপর অটল রাখুন।আমীন

            Comment


            • #7
              আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সত্যই বলেছেন যে,
              وَالشُّعَرَاءُ يَتَّبِعُهُمُ الْغَاوُونَ অর্থঃ আর বিভ্রান্তরাই কবিদের অনুসরন করে।

              আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সিরাতুল মুস্তাক্বীমের উপর অটল রাখুন।আমীন

              Comment


              • #8
                ?আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে শাহাদাতের আগপর্যন্ত সত্যের উপর অটল অবিচল থাকার তাওফিক দানকরুন৷আমিন৷

                Comment


                • #9
                  জাযাকাল্লাকুমুল্লাহু খাইরান।
                  #আসলে কবি সাহেব মনে হয় নিজেকে অসহায় ভাবছেন! এজন্য ত্বাগুতকে কিছু খুশি করার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। আরি ভাই আল্লাহকে খুশি করার কাজ করুন।

                  Comment

                  Working...
                  X