Announcement

Collapse
No announcement yet.

নিরাপত্তা গ্রহণের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নিরাপত্তা গ্রহণের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া

    বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম,

    আসসালামু’আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু,

    সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর, যিনি সারা জাহানের মালিক। এবং যিনি নির্যাতিত ও নিপীড়িত তাওহীদবাদীদের সাহায্যকারী আর জালেম ও নির্যাতনকারীদের শাস্তিদানকারী। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক নবীকূলের শিরোমনি, মুজাহিদীনদের নেতা এবং অনুকরণীয় আদর্শ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর, তাঁর পরিবারবর্গ, তাঁর সাহাবাগণের উপর। আর রহমত বষিত হোক কিয়ামাত পর্যন্ত আগত তাঁর সুন্নাহকে আকড়ে ধারণকারী ও অনুসারীগণের প্রতি।

    অতঃপর কথা হচ্ছে,

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তাঁর কিতাবে বলেছেনঃ

    وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَ ۚ وَيَمْكُرُونَ وَيَمْكُرُ اللَّهُ ۖ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ

    ‘‘এবং কাফিররা তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তোমাকে বন্দী করবার, হত্যা করবার অথবা নির্বাসিত করবার জন্য এবং তাহারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও কৌশল করেন, আর আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।’’ [সুরা আনফাল - ৩০]


    জিহাদের ময়দানে অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণকে হিফাজত করাঃ


    বিগত দশ বছরে বহু মুজাহিদীদ ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছেন। আমরা যদি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নথিপত্র ঘেটে দেখি তাহলে দেখতে পারে যে, অনেক তুচ্ছ কারণেই অধিকাংশ ভাইয়েরা ধরা পরেছিল। অনেক ভাইয়ের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, যাদের যথেষ্ট আন্তরিকতা ইচ্ছা ও পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন না।

    প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে আমি লক্ষ্য করেছি যে, ভাইয়েরা শুধু কিভাবে শাহাদাহ পাওয়া যায় তা নিয়েই চিন্তা করছেন। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, শাহাদাত লাভ করতে পারা সত্যিই একটি বিরাট অর্জন, কিন্তু এটাই মূল উদ্দেশ্য নয়। জিহাদের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহর কালেমাকে সবার উপরে তুলে ধরা। আমরা যদি তানজিম আল-কায়েদার দিকে তাকিয়ে দেখি তাহলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই তাদের মধ্যে দেখতে পাবো; যা আল-কায়েদার নেতৃত্ব ও দক্ষতাকে প্রকাশ করে। অনেক ভাই যারা মুজাহিদীনদের কাফেলায় শরীক হয়েছিলেন এবং ফিদায়ী হামলার জন্য উদগ্রীব ছিলেন, অথচ তাদের মধ্য থেকে অনেককেই ফিদায়ী হামলা করার জন্য ‘ফিদায়ী আকাক্ষা কাউন্সিল’ অনুমোদন দেয় নি।

    গেরিলা যুদ্ধে অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণদের নিরাপদ রাখা এবং তাদেরকে জিহাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে ব্যবহার করা উচিত। আমরা যদি গেরিলা যুদ্ধের উপর বিভিন্ন কিতাব অধ্যায়ন করি, তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখতে পাবো যা মুসলিমদের বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। গেরিলা যুদ্ধের প্রথম ধাপে একজন মুজাহিদকে নিরাপত্তার বিষয়ে প্রস্তুত করা খুবই জরুরি। প্রথম ধাপে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ নিয়ম হচ্ছে ‘‘বেঁচে থাকার জন্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা’’। প্রথম ধাপে দলের সদস্য সংখ্যা এবং সরঞ্জামাদী কম থাকে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, বিজয় অবশ্যই আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই শত্রুর বিরুদ্ধে এই বিজয় পেতে হলে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে ।

    বর্তমান সময়ে এটি খুবই দূরূহ ব্যাপার যে, এমন একজন মুসলিমকে খুঁজে পাওয়া যিনি দ্বীনের জন্য কাজ করতে এবং জীবন দিতে প্রস্তুত আছেন। যদি এমন কোন মুসলিম পাওয়া যায়, যার মধ্যে এই দু‘টি গুণাবলীর সমন্বয় রয়েছে, তাহলে নেতৃত্ব স্থানে যারা রয়েছেন তাদের উচিত হবে; তাকে সুরক্ষেত রাখার সর্বাত্তক চেষ্টা করা। এই দলটির প্রণোদন এমন যা কখনোই টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। এটি আসমান ও যমীনের মালিকের পক্ষ হতে এই উম্মাহর জন্য একটি বিশেষ উপহার। এ বিষয়টি আরো পরিস্কার করার জন্য আমি একটি উদাহরণ দিচ্ছি, ধরা যাক, আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। আপনি দেখতে পেলেন যে দূরে কিছু একটা ভাসছে কিন্তু আপনি জানেন না সেটা কি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আপনি বুঝতে পারলেন যে একটি বাচ্চা ডুবে যাচ্ছে। এবং পরবর্তী কয়েক সেকেন্ড এই পুরো ঘটনার জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ মুহুর্ত। একটি দল থেকে একজনের ত্বরিৎকর্মই এর ব্যবধান তৈরি করে দিতে পারে। দলটির প্রধান সবার কাজের বন্টন করে দিবেন। তিনি একজনকে এ্যাম্বুলেন্স আনতে পাঠাবেন আর সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তিকেই পাঠাবেন উদ্ধার অভিযানে। এই উদাহরণ থেকে যেটা বুঝা যায় তাহল দলনায়ক ছাড়া শিশুটি ডুবে যেতে পারতো। আবার কাজের বন্টনের দিকে বলতে গেলে, কি হতো যদি দলনায়ক অযোগ্য কাউকে উদ্ধারের কাজে পাঠাতো? তখন হয়তোবা দলনায়ককে দুটো মৃতদেহের সম্মুখীন হতে হতো।

    ‘‘প্রকৃত বিশেষজ্ঞ হচ্ছেন তিনিই যিনি কোন্ বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে আর কোন্ বিষয়কে উপেক্ষা করতে হবে তা জানার দরুন সিদ্ধামত্ম নেওয়া এবং বিচার করা সহজ করে নিয়েছেন।’’ [উদ্ধৃতকরন]


    নিরাপত্তার ভিত্তিঃ

    একজন মুজাহিদ কিংবা জিহাদী দলের জন্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া একটি দল শোচনীয়ভাবে পরাস্ত এবং শত্রুদের সহজ লক্ষ্যবস্ত্ততে পরিণত হতে পারে। প্রত্যেক জিহাদী দলেরই একটা নিরাপত্তা বিষয়ক রূপরেখা থাকা উচিত। আমি শুধুমাত্র সেই ধরনের লিখিত পরিকল্পনার কথা বলছি না, যা কেবলমাত্র লিখিত অবস্থাতে থাকবে। আমি এমন একটি পরিকল্পনার কথা বলছি যা দলের প্রতিটি সদস্যের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। নিরাপত্তা এমন কোন বিষয় না যে আপনি কোন পুস্তক অথবা সারগল্পে পাবেন। নিরাপত্তা এমন একটি বিষয় যা আপনাকে শত্রুর বিরুদ্ধাচরণ করে প্রস্তুত করতে হবে। নিরাপত্তা ও সমরকৌশল সম্পর্কে জ্ঞান রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু বাস্তবায়ন না করাটা নির্বুদ্ধিতা। এটাকে আমরা একজন আলিমের সাথে তুলনা করতে পারি যে কিনা দ্বীন ইসলামের ব্যাপারে পন্ডিত কিন্তু আল্লাহর জন্য এক রাকাত সলাতও আদায় করে না।


    مَثَلُ الَّذِينَ حُمِّلُوا التَّوْرَاةَ ثُمَّ لَمْ يَحْمِلُوهَا كَمَثَلِ الْحِمَارِ يَحْمِلُ أَسْفَارًا ۚ بِئْسَ مَثَلُ الْقَوْمِ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِ اللَّهِ ۚ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ [٦٢:٥]


    ‘‘যাদেরকে তাওরাতের দায়িত্বভার অর্পন করা হয়েছিলো, কিন্তু তাহারা তা বহন করে নাই, তাহাদের দৃষ্টান্ত পুস্তক বহনকারী গাধার ন্যায়। কত নিকৃষ্ট সে সম্প্রদায়ের দৃষ্টান্ত যাহারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে থাকে! আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না’’। [সুরা জুমু’আ - ০৫]

    প্রতিটি জিহাদী অভিযানেরই একটি নিরাপত্তার শক্ত ভিত থাকা উচিত। কি হবে দুর্বল ভিত্তির উপর তৈরিকৃত বিশাল বাড়ীর? বাড়িটি ধ্বসে পড়বে এবং চাপে মানুষ পিষে ফেলবে। একই পরিণতি হবে একটা জিহাদী দলের অথবা একাকী এক মুজাহিদের যে কিনা একটি বড় অভিযানের পরিকল্পনা করলো একটি দুর্বল নিরাপত্তার ভিত্তির উপর।

    নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাস্তবায়নঃ

    একটি সংগঠনের মধ্যে সদস্যের পদমর্যাদা যত বেশী গুরুত্বপূর্ণ, তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তত বেশী মজবুত হওয়া প্রয়োজন।

    একজন সদস্যের পদমর্যাদা যত বেশী তার জন্য সংগঠনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও তত বেশী নিতে হবে। একজন কমান্ডারের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আর একজন সাধারণ যোদ্ধার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কখনোই এক হবে না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যেককে নিরাপদ এবং তাদের তথ্য সংরক্ষেত রাখবে।

    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا خُذُوا حِذْرَكُمْ فَانفِرُوا ثُبَاتٍ أَوِ انفِرُوا جَمِيعًا
    ‘‘হে মুমিনগন! সতর্কতা অবলম্বন করো ...।’’ [সুরা নিসা - ৭১]

    নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রত্যেকের নিজস্ব পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে মানিয়ে নিতে হবে। যাকে শত্রুতা চিনে তার জন্য যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে; ঠিক একই ব্যবস্থা ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য হবে না যাকে শত্রুরা এখনো চিনতে পারে নি। উদাহরণস্বরূপ, আল-সাবাব আল-মুজাহিদীনদের মুখপাত্রকে শত্রুরা ঠিক যেভাবে চিনে, ঠিক একই ভাবে তাদের নেতাকে তারা চিনে না। মিডিয়ার মধ্যে মুখপাত্রের শতাধিক ছবি আছে কিন্তু নেতাদের একটিও নেই। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, বিশ্বের কাছে মুখপাত্রের প্রকাশ পাওয়ার অনুমতি আছে কিন্তু নেতার জন্য সেই অনুমতি নেই। আবু মু’সাব (মহান আল্লাহ তাঁর প্রতি দয়া করুন) এর শাহাদাতের পর অনেক মুজাহিদ দলই এই নতুন রণকৌশল অবলম্বন করেছে।


    নিরাপত্তার সচেতনতা ও অনুপ্রবেশঃ

    একজন মুজাহিদের নিরাপত্তার প্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যার সাথে সে কাজ করছে তাকে জানা। আপনি যদি না জানেন কার সাথে কাজ করছেন তাহলে সেটা ঝুকির মধ্যে ফেলতে পারে। আপনি হয়তো সেক্ষেত্রে নিজেকে এবং আপনার দলকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর গুপ্তচরের কাছে প্রকাশ করে দিতে পারেন। যদি দলের ভিতরে গোয়েন্দা সংস্থার অনুপ্রবেশ ঘটে সেক্ষেত্রে দল ভেঙ্গে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

    আমরা গেরিলা যুদ্ধের কিতাবগুলোতে দেখতে পাই যে, যেকোন সেনাবাহিনী অথবা প্রতিরোধ বাহিনীর জন্য অতর্কিত হামলা হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকর উপায় উপায়। যদি শত্রুরা একটি সেনাবাহিনী কিংবা একটি দলে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয় তাহলে তা প্রত্যেকের প্রতি একটি বিরাট প্রভাব বিস্তার করবে। প্রত্যেকে তখন একে অন্যের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখবে এবং দলের প্রধান উদ্দেশ্যই ভুলে যাবে। যখন দলটি অনুপ্রবেশকারীকে খুঁজতে ব্যস্ত থাকবে, তখন শত্রুরা আরেকটি অতর্কিত হামলার প্রস্তুতি নিবে যা কিনা দলের সৈনিকদের অন্তরে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। আমরা যদি নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে হামলার প্রতিবেদন পড়ি তাহলে দেখবো যে আমেরিকার প্রশাসন হামলার ব্যাপারে মারাত্মক বিস্মিত হয়েছিলো। এই হামলাগুলোর পর মার্কিনীরা অন্যান্য শহরেও হামলার আশঙ্কা করেছিলো। যেদিন হামলা হয় সেদিন থেকে হামলা পরবর্তী দিনগুলোতে আমেরিকার শিরা-উপশিরায় যে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করেছিলো তা ছিলো আরও প্রবল। আল-কায়েদা আমেরিকায় অনুপ্রবেশ করে আল্লাহর অনুমতিতে তাদেরই প্রযুক্তির দ্বারা হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছিলো।

    যদি মুজাহিদীনদের মাঝে নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতনতা থাকে তাহলে সেটা তাদেরকে শত্রুর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে অগ্রসর হতে প্রেরণা যোগাবে। তবে যদি দলটি প্রতিনিয়ত শত্রুর দ্বারা নিশ্চিহ্ন হতে থাকে তাহলে তা মুজাহিদীনদের মনোবল ভেঙ্গে দিবে এবং তাদের মাঝে আতঙ্ক এবং নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করবে।

    রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনী থেকে নিরাপত্তার উদাহরণঃ


    আমরা যদি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর জীবনী অন্বেষণ করি তাহলে আমরা নিরাপত্তা বিষয়ক অনেক উদাহরণ দেখতে পাবো। আমরা যদি মদীনায় হিজরাতের প্রাথমিক পর্যায়টি গবেষনা করি তাহলে দেখতে পাবো যে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিরাপত্তার ব্যাপারে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। নিরাপত্তা পরিকল্পনার সূচনাবিন্দু তৈরি হয়েছিলো আবু বকরের বাসায়। প্রথম পদক্ষেপ ছিলো আলী রাদিআল্লাহু আনহু কে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিছানায় শুতে বলা। নবী ঘুমিয়ে আছেন কিনা এটা নিশ্চিত হবার জন্য মুশরিকরা দরজায় ফুটো দিয়ে ভেতরে উঁকি দিতো। দ্বিতীয় পদক্ষেপ ছিলো তিন দিন লুকিয়ে থাকার জন্য একটি জায়গা নির্দিষ্ট করা। অনেকেই তাঁর জীবনীর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো লক্ষ্য করে না। কেন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছুওর পর্বতে লুকিয়ে থাকার জন্য একটি গুহাকে নির্বাচন করেছিলেন? রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন সময় ছুওর পর্বতে হেঁটে গিয়েছিলেন যখন রাখালরা তাঁর আশেপাশে হাঁটতো। এটা তিনি করেছিলেন যাতে তাঁর এবং আবু বকরের পদচিহ্ন বকরী ও উটের পায়ের চাপে আড়াল হয়ে যায়। এগুলো হচ্ছে শতাধিক উদাহরণের মধ্যে মাত্র দুটো উদাহরণ যা আমরা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনীর মধ্যে পাই।

    নিরাপত্তার উন্নয়নঃ

    মুজাহিদীন এবং ক্রুসেডার বাহিনীর মধ্যকার যুদ্ধ হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার যুদ্ধ। বুদ্ধিমত্তার যুদ্ধের প্রথম বিধান হচ্ছে কে আগে কাকে খুঁজে পাবে। আমরা যদি আফগানিস্তান/ পাকস্তানে আমেরিকা ও আল-কায়েদার মধ্যকার যুদ্ধের দিকে তাকাই তাহলে আমরা গুপ্তচর ও মনুষ্যবিহীন ড্রোন এবং অদৃশ্য এক বাহিনীর মধ্যকার এক যুদ্ধ দেখতে পাবো যা কিনা শুধুমাত্র তাদের সামরিক অভিযানের মাধ্যমে জানা যায়। আমেরিকানরা এমন কোন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে না যারা সামরিক পোষাক পরে অথবা যাদের কোন সামরিক ঘাঁটি আছে। তারা লড়াই করছে এমন মানুষদের বিরুদ্ধে যারা কিনা শত্রুর আশেপাশে থাকে। কেউ কেউ শুধু আশে পাশেই থাকে না বরং শত্রুদের মাঝেই তাদের সামরিক ঘাঁটিতে থাকে। এই বুদ্ধিমত্তার যুদ্ধের সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে খোস্ত প্রদেশের একটি অভিযান যাতে cia এর সাত অফিসার নিহত হয়েছিলো। এই অভিযানটি ছিলো আল-কায়েদার সেনাদের দ্বারা সম্পাদিত সবচেয়ে কঠিন অভিযানগুলোর একটি।

    আমরা যদি উচ্চ স্তরে অভিযান পরিচালিত করতে চাই তাহলে আমাদেরকে শত্রুরা কি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের নেতা, সাধারণ যোদ্ধা এবং সমর্থকদের ক্ষতি সাধন করে তা জানতে হবে। আপনার বিরুদ্ধে শত্রুরা কি ব্যবহার করছে তা না জেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োগ করা অসম্ভব। আমরা দশ বছর আগে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম তা এখনকার জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। উদাহরনস্বরূপ, দশ বছর আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতাম অন্যের সাথে যোগাযোগের জন্য। এখন যদি আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করি তাহলে সেটা মুজাহিদীনদের ক্ষতি করবে এবং ধ্বংসের কারণ হবে। সেই কারণে, আমরা অন্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি শত্রুকে ধোঁকা দেয়ার জন্য। মাঝে মাঝে ব্যয়বহুল জিনিসের বিপরীতে সহজ জিনিস ব্যবহার করা উত্তম।

    ‘‘তোমার শত্রু কিসে ভীত হবে তা তুমি বুঝতে পারবে সে কি দ্বারা তোমাকে ভীত সন্ত্রস্ত করতে চায় তা লক্ষ্য করে।’’ [উদ্ধৃতকরন]
    নিরাপত্তার গুরুত্বের ব্যাপারে এটিই আমার বলার ছিলো। যদি আমি কিছু সময় পাই, তাহলে দ্বিতীয় পর্ব লিখবো ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ বলেছেন,

    ‘‘এবং আল্লাহ তাঁর কার্য সম্পাদনে অপ্রতিহত; কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।’’ [সুরা ইউসুফ - ২১]


    হে আল্লাহ! শত্রুদের উপর মুজাহিদীনদের বিজয় দান করুন .....

    তাদেরকে তাদের নিজেদের উপর ছেড়ে দিবেন না, তাদের প্রতি দয়ালু হোন এবং তাদের পক্ষে থাকুন, তাদের বিরুদ্ধে নয় ....

    হে আল্লাহ! তাদেরকে ঈমানদারদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করুন যারা আপনাকে স্মরণ করে এবং ভয় করে এবং সত্যিকার অর্থে আপনার উপর ভরসা করে ...

    হে আল্লাহ! তাদেরকে অনুতপ্ত বান্দাদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করুন যারা আপনাকে ভয় করে ও মেনে চলে ....

    হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে তাদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করুন যারা আপনার সামনে বিজয়ী, যারা আপনার বিজয়ের উপযুক্ত ....

    হে আল্লাহ! আপনি তাদের কাছে আপনার বিজয় প্রকাশ করুন,

    ইয়া রাববুল আলামীন! .... তাদের কাছে আপনার বিজয় প্রকাশ করুন এবং তাদেরকে দৃঢ় রাখুন এবং শত্রুর পায়ের নিচের মাটি কাপিয়ে দিন, হে বিজয় দানকারী, ও সাহায্যকারী!

    দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সাথীদের উপর একসাথে।
    Last edited by কালো পতাকা; 11-23-2017, 11:34 AM.
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

  • #2
    উপরের পোস্টের সাথে মিল রেখে অাবারো একটা পোস্ট করলাম যদি পোস্টটি পূর্বে ফোরামে প্রকাশিত হয়েছে
    পুনরায পোস্ট টি করার কারন হলো অনেক দ্বীন কাযেমের কাফেলা আজও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্চে মোবাইল সিকুরিটি না মানার জন্য সকল ভাইদের অনুরোধ রইল আপনার মোবাইল ব্যাপারে সব্বোচ্চ সর্তকত গ্রহন করুন
    মোবাইল
    মোবাইল হচ্ছে একটি আসকারী আইটেম। কুফফাররা এটি আমাদের দিয়েছে নজর বন্দী রাখার জন্য। এই নজরদরি সেট বা গোয়েন্দা সেট এর মাধ্যমে কুফফাররা আমাদের হাজার হাজার ভাইদের বন্দী করেছে। অনেক দ্বীন কায়েমের কাফেলা এই জাসুস সেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে গাফিলতি বা অসতর্কতা কারনে নিশ্চিহ্নের পথে।
    আপনার কাছে একটি সচল মোবাইল আছে এর অর্থ হচ্ছে এমন একটি গোয়েন্দা আপনাকে সব সময় নযরদারিতে রেখেছে, যার খাওয়ার প্রয়োজন হয় না, যে ঘুমাতে যায় না, যে কোন কিছুই ভুলে না।
    সে যে কোন সময় বলে দিতে পারবে, আপনি কোথায় গিয়েছেন কোন পথে গিয়েছেন। কত দিন অবস্থান করেছেন। আপনার পাশে কে কে ছিল (যদি তাদের ফোন থাকে)।
    আপনার জেনে রাখা দরকার বর্তমান গোয়েন্দা সংস্থার সফলাতার ৯০% থেকে ৯৫% আসে মোবাইল নামক তাঁদের গুপ্তচরের দেয়া তথ্যর মাধ্যমে।
    গোয়েন্দারা আড়ি পাতে ফোন নেটওয়ার্কগুলোতে এজেন্ট স্থাপন করার মাধ্যমে।
    তারা সব আন্তর্জাতিক কল ট্রেস করে।
    নেটওয়ার্কে তারা এমন ব্যাবস্থা স্থাপন করেছে যা বিশেষ কিছূ শব্দ ব্যাবহৃত হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিস্টেমকে সতর্ক করে দেয়। এরকম বিশেষ শব্দ অনেক আছে, যেমন: উসামা, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, তাগুত, ইত্যাদি।
    এলাকার সকল ভাই যেন মোবাইলকে জাসুস সেট বলে।
    পাকিস্তানে যদি কেউ এসব শব্দ ব্যবহার করে আর তাকে ট্রেস করা হয়, তার উপর ৩ থেকে ৬ মাস নজরদারি করা হয়।


    এরপর যেই দলের ওপর তারা নজর রাখে তা হলো ইসলামি আলিম ও ইমামরা। তারা নিয়মিত ইমামদের খুতবা/বক্তৃতা শোনে এবং ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ইন্ধন জোগানোর লক্ষণ বা ইঙ্গিতের খোজ করে। জিহাদের আহ্বান করে এমন আলিমদের গুপ্তহত্যা করা এসব গোয়েন্দা সংস্থার জন্য বিরল কোন ঘটনা নয়, যেমন শেইখ শামযাই, যিনি সরকারের বিরুদ্ধে ফাতওয়া দিয়েছিলেন, ফলে তাকে হত্যা করা হয়।

    তাই আমাদের নিম্নোক্ত বিষয গুলো মানা জরুরী

    #দ্বীনের কাজের জন্য মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না
    #১০০%সিকুরিটি বজায় রাখুন
    # যতই বিশ্বাস যোগ্য হয় প্রয়োজনের বাইরে কোন তথ্য নই
    # গুনাহ থেকে বেচে থাকুন
    #মোবাইলের কন্টাক্টে নয়, নিজের মেমোরি মাথায় সেইভ করুন
    # সফরাবস্থায় সতর্ক থাকুন
    # যেকোন ফাইল দেখার পর/ পড়ার ডিলিট করুন
    #সাবধানে ফেইজবুক ইউস করুন
    # দ্বীনের যেকোন কথা/ কাজ নিয়ে তর্ক করা থেকে বিরত থাকুন

    ### সবচেয়ে বেষ্ট হচ্ছে ভাইয়েরা কখনই কোন প্রোগ্রমে,
    বা অপারেশন করার সময়
    অথাবা অন্য ভাইয়ের সাথে দেখা করার সময়
    কোন ধরনের মোবাইল বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সাথে রাখবেন না
    এই ব্যাপারে কখনোই কোন আপোষ করবেননা
    আর পরস্পর যোগাযোগের ক্ষেত্রেও মোবাইল
    এড়িয়ে চলুন


    Last edited by কালো পতাকা; 11-22-2017, 10:47 PM.
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ আহসানাল জাযা।

      Comment


      • #4
        মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের হেফাজত করুন আমিন

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহু খাইর

          Comment


          • #6
            ভাইদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বানানের অনেক ভূল ছিল সংশোধন করা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ
            ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

            Comment


            • #7
              ভাই ফেসবুকে নিরাপদ ও মজবুত আইডি & গ্রুপ খোলার সিষ্টেমটা জানালে অনেক ভালো & উপকৃত হতাম।
              হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

              Comment


              • #8
                অনেক উপকারি পোষ্ট

                Comment


                • #9
                  জাজাকাল্লাহ

                  Comment


                  • #10
                    জাযাকুমুল্লাহু আহসানাল জাযা।

                    Comment


                    • #11
                      জাযাকাল্লাহ

                      Comment

                      Working...
                      X