‘কৃষ্ণনাম’ জপ না করলে কোনো অপারেশন নয়, মুসলিম নারীকে চিকিৎসকের নির্দেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন
দিল্লি: অস্ত্রোপচারের আগে বেডে শুয়ে কৃষ্ণনাম নিতে হবে, না হলে অপারেশন করবেন না চিকিৎসক। আর তাই প্রাণের ভয়ে শেষপর্যন্ত শ্রীকৃষ্ণের নাম নিতে বাধ্য হলেন রোগী।
শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকের চিক্কাবাল্লাপুর জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে।
অস্ত্রোপচারের আগে এক মুসলিম নারীকে দিয়ে জোর করে কৃষ্ণনাম করানোর অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারী। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকা।
১২ ডিসেম্বর ওই হাসপাতালে গণ নির্বীজকরণ প্রকল্পে অস্ত্রোপচার করাতে গিয়েছিলেন নাসিমা বানু। সেখানেই তার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, ‘আমি বেঙ্গালুরুতে থাকি। কিন্তু চিন্তামনিতে আমার আত্মীয়রা থাকে বলেই আমি সেখানে অস্ত্রোপচারের জন্য গিয়েছিলাম। ঘটনার দিন সকাল ৯ টায় আমি হাসপাতালে যাই। এরপর সমস্ত পরীক্ষার পর জানা যায় বেলা ১ টায় আমার অস্ত্রোপচার হবে। কিন্তু যে ডাক্তার সবার অপারেশন করছিলেন, তিনি প্রত্যেককে কৃষ্ণনাম জপ করতে বলছিলেন। ওখানে একমাত্র মুসলিম নারী আমি ছিলাম। কিন্তু তিনি আমাকে বলেন, কৃষ্ণ কৃষ্ণ না বললে তিনি আমার অস্ত্রোপচার করবেন না। আমি ভয় পেয়ে তার কথামতো কৃষ্ণনাম জপ করি। এরপরই তিনি আমার অস্ত্রোপচার করেন।’
বেঙ্গালুরুর নন্দিনী লে-আউটের বাসিন্দা নাসিমার বোন চিন্তামনি গ্রামে থাকেন। সেখানকারই সরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে গণ নির্বীজকরণ প্রকল্পের আয়োজন করা হয়েছিল। তাই দু’মেয়ের মা নাসিমা সেখানেই অপারেশন করানোর ব্যাপারে মনস্থির করেন।
কিন্তু সেখানে যে তার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটবে সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। পরে যদিও চিন্তামণি থানায় অভিযোগ মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ডাক্তারের থেকে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন
দিল্লি: অস্ত্রোপচারের আগে বেডে শুয়ে কৃষ্ণনাম নিতে হবে, না হলে অপারেশন করবেন না চিকিৎসক। আর তাই প্রাণের ভয়ে শেষপর্যন্ত শ্রীকৃষ্ণের নাম নিতে বাধ্য হলেন রোগী।
শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকের চিক্কাবাল্লাপুর জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে।
অস্ত্রোপচারের আগে এক মুসলিম নারীকে দিয়ে জোর করে কৃষ্ণনাম করানোর অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারী। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকা।
১২ ডিসেম্বর ওই হাসপাতালে গণ নির্বীজকরণ প্রকল্পে অস্ত্রোপচার করাতে গিয়েছিলেন নাসিমা বানু। সেখানেই তার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, ‘আমি বেঙ্গালুরুতে থাকি। কিন্তু চিন্তামনিতে আমার আত্মীয়রা থাকে বলেই আমি সেখানে অস্ত্রোপচারের জন্য গিয়েছিলাম। ঘটনার দিন সকাল ৯ টায় আমি হাসপাতালে যাই। এরপর সমস্ত পরীক্ষার পর জানা যায় বেলা ১ টায় আমার অস্ত্রোপচার হবে। কিন্তু যে ডাক্তার সবার অপারেশন করছিলেন, তিনি প্রত্যেককে কৃষ্ণনাম জপ করতে বলছিলেন। ওখানে একমাত্র মুসলিম নারী আমি ছিলাম। কিন্তু তিনি আমাকে বলেন, কৃষ্ণ কৃষ্ণ না বললে তিনি আমার অস্ত্রোপচার করবেন না। আমি ভয় পেয়ে তার কথামতো কৃষ্ণনাম জপ করি। এরপরই তিনি আমার অস্ত্রোপচার করেন।’
বেঙ্গালুরুর নন্দিনী লে-আউটের বাসিন্দা নাসিমার বোন চিন্তামনি গ্রামে থাকেন। সেখানকারই সরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে গণ নির্বীজকরণ প্রকল্পের আয়োজন করা হয়েছিল। তাই দু’মেয়ের মা নাসিমা সেখানেই অপারেশন করানোর ব্যাপারে মনস্থির করেন।
কিন্তু সেখানে যে তার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটবে সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। পরে যদিও চিন্তামণি থানায় অভিযোগ মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ডাক্তারের থেকে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Comment