আছে কি কোন মুহাম্মাদ বিন কাসেম
আছে কি কোন মুহাম্মাদ বিন কাসেম হায় আমার বোনদের জন্য কি একজন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ও নাই। হে ভাই কোথায় তোমার আত্মসম্ভ্রম। তুমি হাশরের মাঠে আল্লাহর কাছে কি জবাব দিবে?
ভারতের কলেজে হিজাব পরিহিত মুসলিম বোনের হিজাব খুলে নিতে চায় উগ্র হিন্দু মহিলারা!!
দেখেন ভারতের উগ্রবাদী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকের আমাদের মুসলমানদের উপড় কিরুপ অত্যাচার,নির্যাতন করছে!!
(ডাউনলোড লিংক:
#২য় হিজরী, শাওয়াল মাসের ১৫ তারীখ, শুক্রবার।
আবু আওন ইবনু হিশাম বর্ণনা করেছেন যে, এ সময় জনৈকা মুসলিম মহিলা বনু ক্বাইনুক্বার বাজারে দুধ বিক্রির করে বিশেষ কোন প্রয়োজনে এক ইহুদী স্বনৃকারের কাছে গিয়ে বসে পড়েন। কয়েকজন দুর্বৃ্ত্ত ইহুদী তাঁর মুখের অবগুণ্ঠন খোলবার অপচেষ্টা করে, তাতে মহিলাটি অস্বিকার করেন। এ স্বর্ণকার গোপনে মহিলাটির পরিহিত বস্ত্রের এক প্রান্ত তার পিঠের উপরে গিরা দিয়েছিল, তিনি তা বুঝতেই পারলেন না। তিনি উঠতে গিয়ে বিবস্ত্র হয়ে পড়লেন। এ ভদ্র মহিলাকে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রত্যক্ষ করে নরপিশাচের দল হো হো করে হাত তালি দিতে থাকল। মহিলাটি ক্ষোভে ও লজ্জায় মৃত প্রায় হয়ে আর্তনাদ করতে লাগলেন। তা শুনে জনৈক মুসলিম ঐ স্বর্ণকারকে আক্রমণ করে হত্যা করেন। প্রতুত্তরে ইহুদীগণ মুসলিমটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হত্যা করে। এর পর নিহত মুসলিমটির পরিবারবর্গ চিৎকার করে ইহুদীদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের নিকট ফারিয়াদ করলেন। এর ফলে মসলিম ও বনু ক্বাইনুক্বার ইহুদীদের মধ্যে সংঘাত বেধে গেল।
অবরোধ, আত্মসমর্পণ ও নির্বাসন
এ ঘটনার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গেগেল। তিনি মদীনার ব্যবাস্থাপনার দায়িত্ব আবু লাবাবাহ আব্দুর মুনযির রা. এর উপর অর্পণ কর স্বয়ং হামযাহ উবনুল আব্দুল মুত্তালিব রা. এর হতে মুসলিমদের পতাকা প্রদান করে আল্লাহর সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বনু ক্বাইনুক্বার দিকে ধাবিত হলেন। ইহুদীরা তাদেরকে দেখামাত্র দুর্গের মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করে দূর্গের দ্বারগুলো উত্তমরূপে বন্ধ করে দিলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কঠিনভাবে তাদের দূর্গ াবরোধ করলেন। এ দিনটি ছিল শুক্রবার, হিজরী ২য় সনের শাওয়াল মাসের ১৫ তারীখ। ১৫ দিন পর্যন্ত অর্থাৎ যুলককাদার নতুন চাঁদ উদয় হওয়া অবধি অবরোধ জারী থাকল। তারপর আল্লাহ তায়ালা ইহুদীদের অন্তরে ভীতি ও সন্ত্রস্তভাব সৃষ্টি করলৈন এবং তাঁর নীতি এটাই যখন তিনি কোন সম্প্রদায়কে পরাজিত ও লাঞ্ছিত করার ইচ্ছে করেন তখন তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করে থাকেন। অবশেষে বনু ক্বাইকুক্বা আত্মসমপর্ণ কর। এবং বলল যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের জান মাল, সন্তান-সন্তুতি এবং নারীদের ব্যাপারে যা ফায়সালা করবেন তারা তা মেনে নিবে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি এর নির্দেশক্রমে তাদের সকলকে বেঁধে নেয়া হয়।
##সীরাতে ইবনে হিশাম, ২খন্ড, ৪৭পৃষ্ঠা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সীরাত থেকে শিক্ষাগ্রহনের তাওফীক দান করুন।
এই ঘটনা থকে আমি যা বুঝতে পরলাম, (বিজ্ঞ উলামাগন আমার ভুল সংসোধনের জন্য শুকরিয়া।)
১. প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য পূর্বঅনুমতির প্রয়োজন নাই।
২. সুনিরদিষ্ট আমিরের প্রয়োজন নাই, অবস্থা অনুযায়ী কাওকে নিয়োগ দিয়ে নিবে। যেমনিটি রাসূল সা: এর বাহীনি আসার পূর্বপর্যন্ত উক্ত শহীদ সাহাবীর গোত্রের লোকেরা করে গেছেন।
৩. যে যা পায় তা দিয়েই আগ্রাসীকে প্রতিহত করবে।
৪. আগ্রাসীদের অনুমতি ব্যতিত হত্যাকারীগণ কোন প্রকার তিরস্কৃত হবেন না, বরং পুরস্কৃত হবেন। (যেমন সকলেই গনীমতে অংশ লাভ করেছেন)
৫. মুসলমানদের কে সর্বদা যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকা।
৬. নির্যাতিত মুসলিমদের রক্ষার জন্য সকলে ঐক্যবধ্য জিহাদের ঝাপিয়ে পড়া। অন্য সকল কাজ/ব্যস্ততা এর জন্য পিছনে ছেড়ে দেওয়া। অন্যকাজকে প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য অযুহাত না বানানো।
আল্লাহ আ‘লাম।
আছে কি কোন মুহাম্মাদ বিন কাসেম হায় আমার বোনদের জন্য কি একজন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ও নাই। হে ভাই কোথায় তোমার আত্মসম্ভ্রম। তুমি হাশরের মাঠে আল্লাহর কাছে কি জবাব দিবে?
ভারতের কলেজে হিজাব পরিহিত মুসলিম বোনের হিজাব খুলে নিতে চায় উগ্র হিন্দু মহিলারা!!
দেখেন ভারতের উগ্রবাদী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকের আমাদের মুসলমানদের উপড় কিরুপ অত্যাচার,নির্যাতন করছে!!
(ডাউনলোড লিংক:
#২য় হিজরী, শাওয়াল মাসের ১৫ তারীখ, শুক্রবার।
আবু আওন ইবনু হিশাম বর্ণনা করেছেন যে, এ সময় জনৈকা মুসলিম মহিলা বনু ক্বাইনুক্বার বাজারে দুধ বিক্রির করে বিশেষ কোন প্রয়োজনে এক ইহুদী স্বনৃকারের কাছে গিয়ে বসে পড়েন। কয়েকজন দুর্বৃ্ত্ত ইহুদী তাঁর মুখের অবগুণ্ঠন খোলবার অপচেষ্টা করে, তাতে মহিলাটি অস্বিকার করেন। এ স্বর্ণকার গোপনে মহিলাটির পরিহিত বস্ত্রের এক প্রান্ত তার পিঠের উপরে গিরা দিয়েছিল, তিনি তা বুঝতেই পারলেন না। তিনি উঠতে গিয়ে বিবস্ত্র হয়ে পড়লেন। এ ভদ্র মহিলাকে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রত্যক্ষ করে নরপিশাচের দল হো হো করে হাত তালি দিতে থাকল। মহিলাটি ক্ষোভে ও লজ্জায় মৃত প্রায় হয়ে আর্তনাদ করতে লাগলেন। তা শুনে জনৈক মুসলিম ঐ স্বর্ণকারকে আক্রমণ করে হত্যা করেন। প্রতুত্তরে ইহুদীগণ মুসলিমটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হত্যা করে। এর পর নিহত মুসলিমটির পরিবারবর্গ চিৎকার করে ইহুদীদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের নিকট ফারিয়াদ করলেন। এর ফলে মসলিম ও বনু ক্বাইনুক্বার ইহুদীদের মধ্যে সংঘাত বেধে গেল।
অবরোধ, আত্মসমর্পণ ও নির্বাসন
এ ঘটনার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গেগেল। তিনি মদীনার ব্যবাস্থাপনার দায়িত্ব আবু লাবাবাহ আব্দুর মুনযির রা. এর উপর অর্পণ কর স্বয়ং হামযাহ উবনুল আব্দুল মুত্তালিব রা. এর হতে মুসলিমদের পতাকা প্রদান করে আল্লাহর সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বনু ক্বাইনুক্বার দিকে ধাবিত হলেন। ইহুদীরা তাদেরকে দেখামাত্র দুর্গের মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করে দূর্গের দ্বারগুলো উত্তমরূপে বন্ধ করে দিলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কঠিনভাবে তাদের দূর্গ াবরোধ করলেন। এ দিনটি ছিল শুক্রবার, হিজরী ২য় সনের শাওয়াল মাসের ১৫ তারীখ। ১৫ দিন পর্যন্ত অর্থাৎ যুলককাদার নতুন চাঁদ উদয় হওয়া অবধি অবরোধ জারী থাকল। তারপর আল্লাহ তায়ালা ইহুদীদের অন্তরে ভীতি ও সন্ত্রস্তভাব সৃষ্টি করলৈন এবং তাঁর নীতি এটাই যখন তিনি কোন সম্প্রদায়কে পরাজিত ও লাঞ্ছিত করার ইচ্ছে করেন তখন তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করে থাকেন। অবশেষে বনু ক্বাইকুক্বা আত্মসমপর্ণ কর। এবং বলল যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের জান মাল, সন্তান-সন্তুতি এবং নারীদের ব্যাপারে যা ফায়সালা করবেন তারা তা মেনে নিবে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি এর নির্দেশক্রমে তাদের সকলকে বেঁধে নেয়া হয়।
##সীরাতে ইবনে হিশাম, ২খন্ড, ৪৭পৃষ্ঠা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সীরাত থেকে শিক্ষাগ্রহনের তাওফীক দান করুন।
এই ঘটনা থকে আমি যা বুঝতে পরলাম, (বিজ্ঞ উলামাগন আমার ভুল সংসোধনের জন্য শুকরিয়া।)
১. প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য পূর্বঅনুমতির প্রয়োজন নাই।
২. সুনিরদিষ্ট আমিরের প্রয়োজন নাই, অবস্থা অনুযায়ী কাওকে নিয়োগ দিয়ে নিবে। যেমনিটি রাসূল সা: এর বাহীনি আসার পূর্বপর্যন্ত উক্ত শহীদ সাহাবীর গোত্রের লোকেরা করে গেছেন।
৩. যে যা পায় তা দিয়েই আগ্রাসীকে প্রতিহত করবে।
৪. আগ্রাসীদের অনুমতি ব্যতিত হত্যাকারীগণ কোন প্রকার তিরস্কৃত হবেন না, বরং পুরস্কৃত হবেন। (যেমন সকলেই গনীমতে অংশ লাভ করেছেন)
৫. মুসলমানদের কে সর্বদা যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকা।
৬. নির্যাতিত মুসলিমদের রক্ষার জন্য সকলে ঐক্যবধ্য জিহাদের ঝাপিয়ে পড়া। অন্য সকল কাজ/ব্যস্ততা এর জন্য পিছনে ছেড়ে দেওয়া। অন্যকাজকে প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য অযুহাত না বানানো।
আল্লাহ আ‘লাম।
Comment