আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা না করলে আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীতে ধস নামবে। মার্কিন সহায়তা ছাড়া তারা ছয় মাসের বেশি টিকতে পারবে না। একই পরিণতি বরণ করতে হবে আফগান সরকারকেও। সিবিএস টেলিভিশনের সিবিএস ৬০ মিনিটস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আফগান প্রেসিডেন্ট। আশরাফ গনির কাছে প্রশ্ন ছিল, জনগণের কাছ থেকে আপনি কী শুনতে পাচ্ছেন? তিনি বলেন, মানুষ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে তিন দিনের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটবে।
তিনি বলেন, মার্কিন সাহায্য ও সমতা ছাড়া আমরা ছয় মাসও সেনাবাহিনীকে টিকিয়ে রাখতে পারব না। ‘কাবুল আন্ডার সিজ হোয়াইল আমেরিকা’স লঙ্গেস্ট ওয়ার রেজেস অন’ শিরোনামে সিবিএসের খবরে বলা হয়, ১৬ বছরের আফগান যুদ্ধে দুই হাজার ৪০০ মার্কিন নাগরিক জীবন দিয়েছে। আর এ লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের পরিমাণ এক লাখ কোটি ডলার। দৃশ্যত এটা শেষ হতে আরো বহু সময় লাগবে।
সঞ্চালক লারা লোগান আশরাফ গনিকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি এটা বলছেন যে, মার্কিন সহায়তা ছাড়া আপনার সেনাবাহিনী ছয় মাসও টিকবে না? উত্তরে আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, হ্যাঁ।
কারণ আমাদের কাছে অর্থ নেই।
আশরাফ গনি বলেন, এখানে আত্মঘাতী বোমারু বানানোর কারখানা রয়েছে। আমরা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছি।
আপনি যদি রাজধানীকেই সুরতি করতে না পারেন; তাহলে পুরো দেশকে কিভাবে সুরতি করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে আশরাফ গনি বলেন, আপনিই বলুন- আপনি কি নিউ ইয়র্ক বা লন্ডনে হামলা ঠেকাতে পারবেন?
পাকিস্তানের ওপর জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা
এ দিকে জাতিসঙ্ঘের মার্কিন দূত নিকি হ্যালি দাবি করেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে পাকিস্তানের নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে আফগানিস্তান। তার দাবি, পাকিস্তান যেন তাদের আচরণ পরিবর্তন করে সে জন্য তাদের ওপর অবশ্যই চাপ বাড়াতে থাকবে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া বা পিটিআই এ খবর জানিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সম্প্রতি আফগানিস্তান সফরে যায়। সফর থেকে ফিরে নিউ ইয়র্কের জাতিসঙ্ঘ কার্যালয়ে নিকি হ্যালি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াতে জাতিসঙ্ঘের ১৫ সদস্য দেশের কাছে আহ্বান জানিয়েছে আফগানিস্তান। জাতিসঙ্ঘের মার্কিন দূত বলেন, ‘নিজেদের আচরণ পরিবর্তন করতে এবং আলোচনার টেবিলে বসতে পাকিস্তানের ওপর আরো বেশি চাপ প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।’
ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান ওআইসির
ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বানের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ১৩তম আন্তঃসংসদীয় সম্মেলন। ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিশ্বের ৪০টি মুসলিম দেশের স্পিকার ও শীর্ষপর্যায়ের আইনপ্রণেতারা অংশ নেন।
সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণায় ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও সবার কল্যাণ সাধনের মতো উচ্চতর মূল্যবোধের ভিত্তিতে মুসলিম ও সব মানবজাতির অভিন্ন ইস্যুগুলোকে সমাধানের প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। চূড়ান্ত ঘোষণা পড়ে শোনান ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির প্রধান আলাউদ্দিন বোরুজেরদি। ঘোষণায় আরো বলা হয়েছে, এক দিকে ন্যায়বিচার, শান্তি ও নিরাপত্তা এবং অন্যদিকে টেকসই উন্নয়ন- এগুলো পরস্পরের খুঁটি। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচিতÑ এ দুটি বিষয়কে এজেন্ডার শীর্ষে রাখা।
চূড়ান্ত ঘোষণায় সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানিয়ে এ সমস্যা দূর করার জন্য সরকারগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি ইরাক ও সিরিয়ায় উগ্রগোষ্ঠী দায়েশের পতনকে স্বাগত জানানো হয়।
বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই, ইসলাম সম্পর্কে সত্যিকার ধারণা সৃষ্টি এবং সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করারও আহ্বান জানানো হয়।
এ ছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন সময় যেসব বর্ণবাদী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন তারও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এ সম্মেলন। ফিলিস্তিনের পবিত্র নগরী বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার মার্কিন ঘোষণারও প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। মার্কিন এ পদপেকে আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর বিরুদ্ধে মার্কিন একতরফা পদপেকে প্রত্যাখ্যান করেছে এ সম্মেলন।
তত্বসূত্র :- দৈনিক নয়া দিগন্ত লিংক :- http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/286315
তিনি বলেন, মার্কিন সাহায্য ও সমতা ছাড়া আমরা ছয় মাসও সেনাবাহিনীকে টিকিয়ে রাখতে পারব না। ‘কাবুল আন্ডার সিজ হোয়াইল আমেরিকা’স লঙ্গেস্ট ওয়ার রেজেস অন’ শিরোনামে সিবিএসের খবরে বলা হয়, ১৬ বছরের আফগান যুদ্ধে দুই হাজার ৪০০ মার্কিন নাগরিক জীবন দিয়েছে। আর এ লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের পরিমাণ এক লাখ কোটি ডলার। দৃশ্যত এটা শেষ হতে আরো বহু সময় লাগবে।
সঞ্চালক লারা লোগান আশরাফ গনিকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি এটা বলছেন যে, মার্কিন সহায়তা ছাড়া আপনার সেনাবাহিনী ছয় মাসও টিকবে না? উত্তরে আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, হ্যাঁ।
কারণ আমাদের কাছে অর্থ নেই।
আশরাফ গনি বলেন, এখানে আত্মঘাতী বোমারু বানানোর কারখানা রয়েছে। আমরা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছি।
আপনি যদি রাজধানীকেই সুরতি করতে না পারেন; তাহলে পুরো দেশকে কিভাবে সুরতি করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে আশরাফ গনি বলেন, আপনিই বলুন- আপনি কি নিউ ইয়র্ক বা লন্ডনে হামলা ঠেকাতে পারবেন?
পাকিস্তানের ওপর জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা
এ দিকে জাতিসঙ্ঘের মার্কিন দূত নিকি হ্যালি দাবি করেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে পাকিস্তানের নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে আফগানিস্তান। তার দাবি, পাকিস্তান যেন তাদের আচরণ পরিবর্তন করে সে জন্য তাদের ওপর অবশ্যই চাপ বাড়াতে থাকবে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া বা পিটিআই এ খবর জানিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সম্প্রতি আফগানিস্তান সফরে যায়। সফর থেকে ফিরে নিউ ইয়র্কের জাতিসঙ্ঘ কার্যালয়ে নিকি হ্যালি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াতে জাতিসঙ্ঘের ১৫ সদস্য দেশের কাছে আহ্বান জানিয়েছে আফগানিস্তান। জাতিসঙ্ঘের মার্কিন দূত বলেন, ‘নিজেদের আচরণ পরিবর্তন করতে এবং আলোচনার টেবিলে বসতে পাকিস্তানের ওপর আরো বেশি চাপ প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।’
ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান ওআইসির
ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বানের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ১৩তম আন্তঃসংসদীয় সম্মেলন। ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিশ্বের ৪০টি মুসলিম দেশের স্পিকার ও শীর্ষপর্যায়ের আইনপ্রণেতারা অংশ নেন।
সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণায় ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও সবার কল্যাণ সাধনের মতো উচ্চতর মূল্যবোধের ভিত্তিতে মুসলিম ও সব মানবজাতির অভিন্ন ইস্যুগুলোকে সমাধানের প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। চূড়ান্ত ঘোষণা পড়ে শোনান ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির প্রধান আলাউদ্দিন বোরুজেরদি। ঘোষণায় আরো বলা হয়েছে, এক দিকে ন্যায়বিচার, শান্তি ও নিরাপত্তা এবং অন্যদিকে টেকসই উন্নয়ন- এগুলো পরস্পরের খুঁটি। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচিতÑ এ দুটি বিষয়কে এজেন্ডার শীর্ষে রাখা।
চূড়ান্ত ঘোষণায় সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানিয়ে এ সমস্যা দূর করার জন্য সরকারগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি ইরাক ও সিরিয়ায় উগ্রগোষ্ঠী দায়েশের পতনকে স্বাগত জানানো হয়।
বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই, ইসলাম সম্পর্কে সত্যিকার ধারণা সৃষ্টি এবং সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করারও আহ্বান জানানো হয়।
এ ছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন সময় যেসব বর্ণবাদী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন তারও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এ সম্মেলন। ফিলিস্তিনের পবিত্র নগরী বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার মার্কিন ঘোষণারও প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। মার্কিন এ পদপেকে আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর বিরুদ্ধে মার্কিন একতরফা পদপেকে প্রত্যাখ্যান করেছে এ সম্মেলন।
তত্বসূত্র :- দৈনিক নয়া দিগন্ত লিংক :- http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/286315
Comment