লেখক ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর টেলিগ্রাম অ্যাপস ব্যবহার করতো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তবে সে তার টেলিগ্রাম অ্যাপস ব্যবহারের আইডি এবং পাসওয়ার্ডের তথ্য এখনও জানায়নি। ফয়জুর দাবি করেছে, টেলিগ্রাম অ্যাপসের আইডি এবং পাসওয়ার্ড সে ভুলে গেছে। এছাড়া ফয়জুর মাঝেমধ্যেই তার নিজ বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যেতো। উধাও হয়ে সে কোথায় যেত এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। এ থেকেই তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, তার সঙ্গে কোনও না কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে।
দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সাধারণত পারস্পারিক যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে নব্য জেএমবি এবং আনসার আল ইসলামের সদস্যদের গ্রেফতারের পর অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বর্তমানে অধিক নিরাপত্তার কারণে জঙ্গিরা টেলিগ্রাম অ্যাপসটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে। আর নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম তাদের সাংগঠনিক কৌশল বদলিয়ে সদস্যদের নিজ বাড়িতেই থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে। যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সন্দেহ করতে না পারে। তবে মাঝেমধ্যে স্লিপার সেলের সদস্যরা মারকাজে মিলিত হতো। গোপন আস্তানাকে আনসার আল ইসলাম ‘মারকাজ’ বলে অভিহিত করে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে ফয়জুরের সঙ্গে কোনও একটি সংগঠিত গ্রুপের যোগাযোগ ছিল। এছাড়া মাঝেমধ্যে উধাও হয়ে যাওয়ার কারণে এই সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়েছে। এজন্য ফয়জুরকে আনসার আল ইসলামের সদস্য বলেই এখন মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হওয়া আনসার আল ইসলামের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের যে সাংগঠনিক কৌশল জানা গেছে, তার সঙ্গে হামলার ধরন,ফয়জুরের আচরণ এবং জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য মিলে যাচ্ছে। ফয়জুরকে আনসার আল ইসলামের কোনও একটি ‘স্লিপার সেলে’র সদস্য হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।
জাফর ইকবালের সঙ্গে কথা বলছেন সাইফুল ইসলাম, পেছনে দাঁড়িয়ে হামলাকারী
জাফর ইকবালের সঙ্গে কথা বলছেন সাইফুল ইসলাম, পেছনে দাঁড়িয়ে হামলাকারী
পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশ্যাল অ্যাফেয়ার্স) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলছেন, ‘জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে বিষয়টি আরও অনেক পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘ফয়জুর জঙ্গি মতবাদে বিশ্বাসী এটা ঠিক, কিন্তু তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল কিনা বা কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে কি না, এসব আমরা জানার চেষ্টা করছি। যে কোনও জঙ্গি হামলার ঘটনা অনুসন্ধান একটু সময় সাপেক্ষ বিষয়। তবে আমরা দ্রুত জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনাটির রহস্য উন্মোচন করে ফেলবো।’
গত শনিবার বিকেলে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালায় এক তরুণ। তাৎক্ষণিক জাফর ইকবালকে হাসপাতালে নেওয়ার পাশাপাশি হামলাকারী ওই তরুণকে আটক করে শিক্ষার্থীরা, যার কাছ থেকে একটি রক্তমাখা কমান্ডো নাইফ (ছুরি) উদ্ধার করা হয়। দেশজুড়ে আলোচিত এই ঘটনাটির রহস্য উন্মোচনে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পাশাপাশি, র*্যাব, সিআইডি, পিবিআই এবং ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট একযোগে কাজ করছে। জঙ্গি প্রতিরোধ ও তদন্তে বিশেষায়িত ইউনিট সিটিটিসির দুজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের নেতৃত্বে একটি দল সিলেট গিয়ে ফয়জুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, যাদের এ ধরনের হামলার তদন্তের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে।
বিভিন্ন সংস্থার একাধিক কর্মকর্তারা বলছেন, জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনাটি ‘সংগঠিত হামলা’ বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও জিজ্ঞাসাবাদে এখনও ফয়জুর তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল কিনা সে বিষয়ে মুখ খোলেনি, তবে ফয়জুরকে জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তাদের একজন জানিয়েছেন, টেলিগ্রাম অ্যাপস ব্যবহার করতো সে। কিন্তু টেলিগ্রাম অ্যাপস ব্যবহার করে কার সঙ্গে বা কোনও গ্রুপের সঙ্গে সে যোগাযোগ করতো সে বিষয়ে কিছু বলছে না। এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফয়জুর এবং তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, মাঝেমধ্যেই সে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যেত। এই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যাওয়াটিও নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক কৌশলের সঙ্গে মিলে যায়। উধাও হয়ে ফয়জুর কোনও একটি স্লিপার সেলের মারকাজে অবস্থান করতো বলেই তারা ধারণা করছেন।
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে জাফর ইকবাল (ছবি- ফোকাস বাংলা)
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে জাফর ইকবাল (ছবি- ফোকাস বাংলা)
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলছেন, ফয়জুর টেলিগ্রাম অ্যাপস ব্যবহার করার কথা জানালেও তার আইডি এবং পাসওয়ার্ড সে ভুলে গেছে বলে দাবি করেছে। এজন্য টেলিগ্রাম অ্যাপসে সে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতো তা জানার চেষ্টা চলছে। এছাড়া হামলার সময় ফয়জুরের সঙ্গে একটি মোবাইলও ছিল। ফয়জুর নিজেও তার সঙ্গে মোবাইল ফোন থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর এই মোবাইলটি পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে আটককারী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও মোবাইলটি পায়নি বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলছেন, ফয়জুরের ব্যবহৃত মোবাইলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মোবাইলটি উদ্ধারের পর ফরেনসিক করতে পারলে অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে তার সঙ্গে কাদের যোগাযোগ ছিল তা জানা যাবে।
আটক ফয়জুর
আটক ফয়জুর
ফয়জুরকে প্রথম দিন জিজ্ঞাসাবাদকারী র*্যাবের একজন কর্মকর্তা বলেন, অনলাইনে ফয়জুরের কারও না কারও সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তার বিশ্বাস। এবং সে সেলফ র*্যাডিক্যালাইজড হলেও হামলার জন্য তাকে কেউ না কেউ মোটিভেটেড করেছে বলেও তিনি মনে করছেন। কিন্তু ধূর্ত ফয়জুর এ বিষয়ে মুখ খোলেনি। আর অসুস্থ থাকায় তাকে বেশি চাপ দিয়ে কোনও তথ্য আদায় করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বলছেন, ফয়জুরকে এমনভাবে মোটিভেটেড করা হয়েছিল যে, হামলার সময় মৃত্যুর জন্যও প্রস্তুতি ছিল তার। এজন্য তার কাছ থেকে এখন তথ্য পাওয়া কষ্টকর হচ্ছে। আহত থাকায় তাকে হাসপাতালে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কৌশলী ফয়জুর বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এমনিতেই জঙ্গি সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য আদায় করতে সময় লাগে, ফয়জুরের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।
দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সাধারণত পারস্পারিক যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে নব্য জেএমবি এবং আনসার আল ইসলামের সদস্যদের গ্রেফতারের পর অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বর্তমানে অধিক নিরাপত্তার কারণে জঙ্গিরা টেলিগ্রাম অ্যাপসটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে। আর নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম তাদের সাংগঠনিক কৌশল বদলিয়ে সদস্যদের নিজ বাড়িতেই থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে। যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সন্দেহ করতে না পারে। তবে মাঝেমধ্যে স্লিপার সেলের সদস্যরা মারকাজে মিলিত হতো। গোপন আস্তানাকে আনসার আল ইসলাম ‘মারকাজ’ বলে অভিহিত করে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে ফয়জুরের সঙ্গে কোনও একটি সংগঠিত গ্রুপের যোগাযোগ ছিল। এছাড়া মাঝেমধ্যে উধাও হয়ে যাওয়ার কারণে এই সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়েছে। এজন্য ফয়জুরকে আনসার আল ইসলামের সদস্য বলেই এখন মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হওয়া আনসার আল ইসলামের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের যে সাংগঠনিক কৌশল জানা গেছে, তার সঙ্গে হামলার ধরন,ফয়জুরের আচরণ এবং জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য মিলে যাচ্ছে। ফয়জুরকে আনসার আল ইসলামের কোনও একটি ‘স্লিপার সেলে’র সদস্য হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।
জাফর ইকবালের সঙ্গে কথা বলছেন সাইফুল ইসলাম, পেছনে দাঁড়িয়ে হামলাকারী
জাফর ইকবালের সঙ্গে কথা বলছেন সাইফুল ইসলাম, পেছনে দাঁড়িয়ে হামলাকারী
পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশ্যাল অ্যাফেয়ার্স) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলছেন, ‘জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে বিষয়টি আরও অনেক পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘ফয়জুর জঙ্গি মতবাদে বিশ্বাসী এটা ঠিক, কিন্তু তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল কিনা বা কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে কি না, এসব আমরা জানার চেষ্টা করছি। যে কোনও জঙ্গি হামলার ঘটনা অনুসন্ধান একটু সময় সাপেক্ষ বিষয়। তবে আমরা দ্রুত জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনাটির রহস্য উন্মোচন করে ফেলবো।’
গত শনিবার বিকেলে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালায় এক তরুণ। তাৎক্ষণিক জাফর ইকবালকে হাসপাতালে নেওয়ার পাশাপাশি হামলাকারী ওই তরুণকে আটক করে শিক্ষার্থীরা, যার কাছ থেকে একটি রক্তমাখা কমান্ডো নাইফ (ছুরি) উদ্ধার করা হয়। দেশজুড়ে আলোচিত এই ঘটনাটির রহস্য উন্মোচনে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পাশাপাশি, র*্যাব, সিআইডি, পিবিআই এবং ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট একযোগে কাজ করছে। জঙ্গি প্রতিরোধ ও তদন্তে বিশেষায়িত ইউনিট সিটিটিসির দুজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের নেতৃত্বে একটি দল সিলেট গিয়ে ফয়জুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, যাদের এ ধরনের হামলার তদন্তের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে।
বিভিন্ন সংস্থার একাধিক কর্মকর্তারা বলছেন, জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনাটি ‘সংগঠিত হামলা’ বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও জিজ্ঞাসাবাদে এখনও ফয়জুর তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল কিনা সে বিষয়ে মুখ খোলেনি, তবে ফয়জুরকে জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তাদের একজন জানিয়েছেন, টেলিগ্রাম অ্যাপস ব্যবহার করতো সে। কিন্তু টেলিগ্রাম অ্যাপস ব্যবহার করে কার সঙ্গে বা কোনও গ্রুপের সঙ্গে সে যোগাযোগ করতো সে বিষয়ে কিছু বলছে না। এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফয়জুর এবং তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, মাঝেমধ্যেই সে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যেত। এই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যাওয়াটিও নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক কৌশলের সঙ্গে মিলে যায়। উধাও হয়ে ফয়জুর কোনও একটি স্লিপার সেলের মারকাজে অবস্থান করতো বলেই তারা ধারণা করছেন।
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে জাফর ইকবাল (ছবি- ফোকাস বাংলা)
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে জাফর ইকবাল (ছবি- ফোকাস বাংলা)
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলছেন, ফয়জুর টেলিগ্রাম অ্যাপস ব্যবহার করার কথা জানালেও তার আইডি এবং পাসওয়ার্ড সে ভুলে গেছে বলে দাবি করেছে। এজন্য টেলিগ্রাম অ্যাপসে সে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতো তা জানার চেষ্টা চলছে। এছাড়া হামলার সময় ফয়জুরের সঙ্গে একটি মোবাইলও ছিল। ফয়জুর নিজেও তার সঙ্গে মোবাইল ফোন থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর এই মোবাইলটি পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে আটককারী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও মোবাইলটি পায়নি বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলছেন, ফয়জুরের ব্যবহৃত মোবাইলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মোবাইলটি উদ্ধারের পর ফরেনসিক করতে পারলে অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে তার সঙ্গে কাদের যোগাযোগ ছিল তা জানা যাবে।
আটক ফয়জুর
আটক ফয়জুর
ফয়জুরকে প্রথম দিন জিজ্ঞাসাবাদকারী র*্যাবের একজন কর্মকর্তা বলেন, অনলাইনে ফয়জুরের কারও না কারও সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তার বিশ্বাস। এবং সে সেলফ র*্যাডিক্যালাইজড হলেও হামলার জন্য তাকে কেউ না কেউ মোটিভেটেড করেছে বলেও তিনি মনে করছেন। কিন্তু ধূর্ত ফয়জুর এ বিষয়ে মুখ খোলেনি। আর অসুস্থ থাকায় তাকে বেশি চাপ দিয়ে কোনও তথ্য আদায় করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বলছেন, ফয়জুরকে এমনভাবে মোটিভেটেড করা হয়েছিল যে, হামলার সময় মৃত্যুর জন্যও প্রস্তুতি ছিল তার। এজন্য তার কাছ থেকে এখন তথ্য পাওয়া কষ্টকর হচ্ছে। আহত থাকায় তাকে হাসপাতালে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কৌশলী ফয়জুর বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এমনিতেই জঙ্গি সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য আদায় করতে সময় লাগে, ফয়জুরের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।
Comment