শ্রীলঙ্কায় ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মুখে আরও সহিংসতার আশঙ্কা করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে ক্যান্ডিতে কারফিউ জারির পর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার আশঙ্কায় সারাদেশে ১০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সহিংসতায় ইন্ধনদাতাদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংঘাতকবলিত ক্যান্ডি শহরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। একটি মসজিদেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের মুখপাত্র দয়াসিরি জয়াসেকারা রয়টার্স’কে জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেশের অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সহিংসতা উসকে দিতে চাইছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় বছরখানেক ধরেই শ্রীলঙ্কায় মুসলিম বিদ্বেষ বাড়ছিল। জীবন বাঁচাতে কিছু রোহিঙ্গা মুসলিম শ্রীলঙ্কায় আশ্রয় নিলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে দেশটির উগ্রপন্থীরা। গত সেপ্টেম্বরে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্বে রাজধানী কলম্বোতে জাতিসংঘের একটি সেফ হাউসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ওপর হামলে পড়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা। সাম্প্রতিক সহিংসতায় গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল দেশটির জনপ্রিয় পর্যটন নগরী ক্যান্ডি। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও সেখানে বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে এক সংঘর্ষে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। বেশ কয়েকটি দোকান ও মসজিদে হামলা চালানো হয়। ৫ মার্চ ২০১৮ সোমবার ক্যান্ডিতে নতুন করে মুসলিম মালিকানাধীন একটি দোকান জ্বালিয়ে দেয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলী বৌদ্ধরা। মূলত ওই অগ্নিসংযোগ থেকেই দাঙ্গার সূত্রপাত। দাঙ্গায় আহত এক বৌদ্ধের মৃত্যুর পর সংঘাত চরম আকার ধারণ করে। সহিংসতা ঠেকাতে সোমবার রাতে ক্যান্ডিতে কারফিউ জারি করা হয়। তবে দেশজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারাদেশে ১০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে এর মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে।
শ্রীলঙ্কার উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের অভিযোগ, দেশটিতে মুসলমানরা বৌদ্ধদের বলপূর্বক ধর্মান্তরিত করছে। তারা বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোতে ভাঙচুর করছে। কিছু পর্যবেক্ষক চলমান সহিংসতার জন্য কট্টর বৌদ্ধ সংগঠন বোদু বালা সেনা’কে (বিবিএস) দায়ী করছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবারের ঘটনায় দুই ডজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস শ্রীলঙ্কার নির্বাহী পরিচালক রজিত কার্থি টেন্নাকুন। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সিংহলি বৌদ্ধদের টেলডেনিয়া শহরে জড়ো করা হয়েছে। সেই জটলা থেকেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মারাত্মক অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের অদক্ষতার ফলে ব্যাপক আকারে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়তে পেরেছে।
শ্রীলঙ্কায় ২ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার ৭৫ শতাংশ বৌদ্ধ, ১০ শতাংশ মুসলিম ও ১৩ শতাংশ হিন্দু। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালের জুনে দেশটিতে মুসলিমবিদ্বেষী প্রচারণার কারণে রক্তক্ষয়ী আলুথগামা দাঙ্গা শুরু হয়। ওই সময়ে শত শত মুসলমান গৃহহীন হয়ে পড়েন। তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাথ্রিপালা শিরসেনা ২০১৫ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর ওই ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই তদ্ন্ত প্রতিবেদনের কোনও অগ্রগতি হয়নি। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। একটি মসজিদেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের মুখপাত্র দয়াসিরি জয়াসেকারা রয়টার্স’কে জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেশের অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সহিংসতা উসকে দিতে চাইছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় বছরখানেক ধরেই শ্রীলঙ্কায় মুসলিম বিদ্বেষ বাড়ছিল। জীবন বাঁচাতে কিছু রোহিঙ্গা মুসলিম শ্রীলঙ্কায় আশ্রয় নিলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে দেশটির উগ্রপন্থীরা। গত সেপ্টেম্বরে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্বে রাজধানী কলম্বোতে জাতিসংঘের একটি সেফ হাউসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ওপর হামলে পড়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা। সাম্প্রতিক সহিংসতায় গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল দেশটির জনপ্রিয় পর্যটন নগরী ক্যান্ডি। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও সেখানে বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে এক সংঘর্ষে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। বেশ কয়েকটি দোকান ও মসজিদে হামলা চালানো হয়। ৫ মার্চ ২০১৮ সোমবার ক্যান্ডিতে নতুন করে মুসলিম মালিকানাধীন একটি দোকান জ্বালিয়ে দেয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলী বৌদ্ধরা। মূলত ওই অগ্নিসংযোগ থেকেই দাঙ্গার সূত্রপাত। দাঙ্গায় আহত এক বৌদ্ধের মৃত্যুর পর সংঘাত চরম আকার ধারণ করে। সহিংসতা ঠেকাতে সোমবার রাতে ক্যান্ডিতে কারফিউ জারি করা হয়। তবে দেশজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারাদেশে ১০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে এর মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে।
শ্রীলঙ্কার উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের অভিযোগ, দেশটিতে মুসলমানরা বৌদ্ধদের বলপূর্বক ধর্মান্তরিত করছে। তারা বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোতে ভাঙচুর করছে। কিছু পর্যবেক্ষক চলমান সহিংসতার জন্য কট্টর বৌদ্ধ সংগঠন বোদু বালা সেনা’কে (বিবিএস) দায়ী করছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবারের ঘটনায় দুই ডজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস শ্রীলঙ্কার নির্বাহী পরিচালক রজিত কার্থি টেন্নাকুন। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সিংহলি বৌদ্ধদের টেলডেনিয়া শহরে জড়ো করা হয়েছে। সেই জটলা থেকেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মারাত্মক অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের অদক্ষতার ফলে ব্যাপক আকারে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়তে পেরেছে।
শ্রীলঙ্কায় ২ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার ৭৫ শতাংশ বৌদ্ধ, ১০ শতাংশ মুসলিম ও ১৩ শতাংশ হিন্দু। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালের জুনে দেশটিতে মুসলিমবিদ্বেষী প্রচারণার কারণে রক্তক্ষয়ী আলুথগামা দাঙ্গা শুরু হয়। ওই সময়ে শত শত মুসলমান গৃহহীন হয়ে পড়েন। তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাথ্রিপালা শিরসেনা ২০১৫ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর ওই ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই তদ্ন্ত প্রতিবেদনের কোনও অগ্রগতি হয়নি। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
Comment