যেভাবে হঠাৎ বাকশক্তি হারালেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন
১৮ মার্চ,২০১৮
0 103
নিউজ ডেস্ক
আরটিএনএন
ঢাকা: নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন আর কথা বলতে পারছেন। হঠাৎ করেই তিনি বাকশক্তি হারিয়েছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি কোনো কথাই বলতে পারছেন না।
চিকিৎসকের কাছে গিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। চিকিৎসক বলেছেন, ভাইরাস জনিত কারণে কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন তিনি।
গতরাতে বিষয়টা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেই জানিয়েছেন তসলিমা। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে তিনি লিখেছেন-
“সকালে উঠে দেখি আমি কথা বলতে পারছি না। কোনও স্বর বেরোচ্ছে না গলা দিয়ে। সাইন ল্যাংগুয়েজ কোনওদিন শিখিনি, কিন্তু দিব্যি ওটাই চালাচ্ছি। কী কারণে ভয়েস হারিয়ে ফেললাম জানি না। ডাক্তারের কাছে এসেছি। ভাবছি ভয়েসটা কি আদৌ ফিরে পাবো। ভয়েস যে এভাবে বলা নেই কওয়া নেই উবে যেতে পারে, জানতাম না।
না, জবান আল্লাহ নেননি, জবান নিয়েছেন ভাইরাস। ডাক্তার জিভ টেনে বার করে দেখতে চাইলেন গলার ভেতরটা। সম্ভব হয়নি। আমি নাকি খুব সেনসিটিভ।
ওষুধ লিখে দিলেন, বলে দিলেন কোনওরকম কথা বলার চেষ্টা যেন না করি। প্রেস্ক্রিপশানের এক নম্বরেই লেখা ভয়েস রেস্ট। এতকাল সরকার আমার বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, এবার কাড়লেন ডাক্তার। অবশ্য বাকই নেই, আবার স্বাধীনতা কিসের!
৩/৪ দিন পরও স্বর ফিরে না এলে ফের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। তখন নাকি মুখে যন্ত্র ঢুকিয়ে ল্যারিংস না দেখতে পারলে নাক দিয়ে যন্ত্র ঢুকিয়ে দেখবেন। ভালো যে ডাক্তারি চাকরি ছেড়েছিলাম।যত বয়স বাড়ছে, তত আমার হাসপাতালে যাওয়ার অনীহা বাড়ছে।”
১৮ মার্চ,২০১৮
0 103
নিউজ ডেস্ক
আরটিএনএন
ঢাকা: নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন আর কথা বলতে পারছেন। হঠাৎ করেই তিনি বাকশক্তি হারিয়েছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি কোনো কথাই বলতে পারছেন না।
চিকিৎসকের কাছে গিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। চিকিৎসক বলেছেন, ভাইরাস জনিত কারণে কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন তিনি।
গতরাতে বিষয়টা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেই জানিয়েছেন তসলিমা। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে তিনি লিখেছেন-
“সকালে উঠে দেখি আমি কথা বলতে পারছি না। কোনও স্বর বেরোচ্ছে না গলা দিয়ে। সাইন ল্যাংগুয়েজ কোনওদিন শিখিনি, কিন্তু দিব্যি ওটাই চালাচ্ছি। কী কারণে ভয়েস হারিয়ে ফেললাম জানি না। ডাক্তারের কাছে এসেছি। ভাবছি ভয়েসটা কি আদৌ ফিরে পাবো। ভয়েস যে এভাবে বলা নেই কওয়া নেই উবে যেতে পারে, জানতাম না।
না, জবান আল্লাহ নেননি, জবান নিয়েছেন ভাইরাস। ডাক্তার জিভ টেনে বার করে দেখতে চাইলেন গলার ভেতরটা। সম্ভব হয়নি। আমি নাকি খুব সেনসিটিভ।
ওষুধ লিখে দিলেন, বলে দিলেন কোনওরকম কথা বলার চেষ্টা যেন না করি। প্রেস্ক্রিপশানের এক নম্বরেই লেখা ভয়েস রেস্ট। এতকাল সরকার আমার বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, এবার কাড়লেন ডাক্তার। অবশ্য বাকই নেই, আবার স্বাধীনতা কিসের!
৩/৪ দিন পরও স্বর ফিরে না এলে ফের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। তখন নাকি মুখে যন্ত্র ঢুকিয়ে ল্যারিংস না দেখতে পারলে নাক দিয়ে যন্ত্র ঢুকিয়ে দেখবেন। ভালো যে ডাক্তারি চাকরি ছেড়েছিলাম।যত বয়স বাড়ছে, তত আমার হাসপাতালে যাওয়ার অনীহা বাড়ছে।”
Comment