৭০০ ভারতীয় সেনার আত্মহত্যা
নয়া দিগন্ত অনলাইন
২৫ মার্চ ২০১৮,রবিবার, ০৭:৪২
ভারতের সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ বাহিনীর প্রায় ৭০০ জওয়ান গত ছয় বছরে আত্মহত্যা করেছে। বিভিন্ন অভিযানেও এত জওয়ান নিহত হয়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পার্লামেন্টারি প্যানেলকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা পার্লামেন্টারি কমিটিকে বলেন, এ আত্মহত্যার কারণ হলো স্থিতিশীলতার অভাব, একাকীত্ব ও পারিবারিক সমস্যা। পার্লামেন্টারি কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজেপি নেতা মুরলি মনোহর জোশি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “গত ছয় বছরে, সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের প্রায় ৭০০ জওয়ান আত্মহত্যা করেছে। আর বছরে স্বেচ্ছায় অবসরে গেছে ৯০০০ জওয়ান।”
জওয়ানদের আত্মহত্যা ও স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়ার ব্যাপারে পার্লামেন্ট কমিটির উদ্বেগের জবাবে এ তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়।
প্রাপ্ত তথ্য ব্যাখ্যা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের কাছে ছয় বছরের সম্পূর্ণ তথ্য নেই। ২০০১ সালে বিএসএফের, ২০১২ সালে সিআরপিএল, ২০০৬ সালে আইটিবিপি, ২০১৩ সালে সিআইএসএল ও এসএসবি এবং ২০১৪ সালে আসাম রাইফেলস বাহিনীর তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০১২ সালে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ১৮৯ জন জওয়ান আত্মহত্যা করে। একই সময়ে বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে ১৭৫ জন।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ২০০১ সালে ৫২৯টি আত্মহত্যার ঘটনা রয়েছে। আর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে ৪৯১ জন।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের ৬২ জন জওয়ান ২০০৬ সালে আত্মহত্যা করেছে, যেখানে অভিযানে নিহত হয়েছে মাত্র ১৬ জন।
সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সে ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬৩ জন আত্মঘাতী হয়েছে, যেখানে অভিযানে নিহত হয়েছে মাত্র একজন।
২০১৩ সাল থেকে নিয়ে সশস্ত্র সীমা বাল বাহিনীতে আত্মঘাতী হয়েছে ৩২ জন আর অভিযানে নিহত হয়েছে চারজন।
আসাম রাইফেলসের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের পর ২৭ জন আত্মহত্যা করেছে আর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে ৩৩ জন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আত্মহত্যা ও অভিযানে নিহতের সংখ্যার অনুপাত সবচেয়ে বেশি এসএসবিতে (১:৮)। এরপরই রয়েছে সিআইএসএফ (১:৬৩) এবং আইটিবিপি (১:৪)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কমিটিকে জানিয়েছে, “আমরা আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের ভেতরে আলোচনা করেছি। আমাদের অনুসন্ধানে যেটা পাওয়া গেছে, সেটা হলো মূলত স্থিতিশীলতার অভাব, নিঃসঙ্গতা এবং পারিবারিক সমস্যার কারণেই এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। জওয়ানদের ১০-১১ মাস একটানা ঘরের বাইরে থাকতে হয়, যেটা বৈবাহিক সমস্যা তৈরি করে। সন্দেহ, পাল্টা-সন্দেহ থেকে অভিযোগ ওঠে। ফলাফল আত্মহত্যা।”
মন্ত্রণালয় কমিটিকে জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাহিনীগুলোর কাজের চাপ অনেক বেশি এবং জওয়ানরা খুব কমই ছুটি পান। সিআরপিএফ এবং এমনকি বিএসএফ ও আইটিবিপি বাহিনীকেও আসাম থেকে কেরালা এবং কেরালা থেকে কাশ্মীরে ছোটাছুটির মধ্যে থাকতে হয়।
স্বরাষ্ট্র সচিব কমিটিকে জানান, “তাই জওয়ানরা একটা জায়গায় থাকতে পারে না। তাছাড়া তাদের নির্দিষ্ট কোন জায়গায় হেডকোয়ার্টারও নেই। এটাও সম্ভবত তাদের আত্মহত্যার একটা কারণ হয়ে থাকতে পারে।”
নয়া দিগন্ত অনলাইন
২৫ মার্চ ২০১৮,রবিবার, ০৭:৪২
ভারতের সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ বাহিনীর প্রায় ৭০০ জওয়ান গত ছয় বছরে আত্মহত্যা করেছে। বিভিন্ন অভিযানেও এত জওয়ান নিহত হয়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পার্লামেন্টারি প্যানেলকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা পার্লামেন্টারি কমিটিকে বলেন, এ আত্মহত্যার কারণ হলো স্থিতিশীলতার অভাব, একাকীত্ব ও পারিবারিক সমস্যা। পার্লামেন্টারি কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজেপি নেতা মুরলি মনোহর জোশি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “গত ছয় বছরে, সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের প্রায় ৭০০ জওয়ান আত্মহত্যা করেছে। আর বছরে স্বেচ্ছায় অবসরে গেছে ৯০০০ জওয়ান।”
জওয়ানদের আত্মহত্যা ও স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়ার ব্যাপারে পার্লামেন্ট কমিটির উদ্বেগের জবাবে এ তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়।
প্রাপ্ত তথ্য ব্যাখ্যা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের কাছে ছয় বছরের সম্পূর্ণ তথ্য নেই। ২০০১ সালে বিএসএফের, ২০১২ সালে সিআরপিএল, ২০০৬ সালে আইটিবিপি, ২০১৩ সালে সিআইএসএল ও এসএসবি এবং ২০১৪ সালে আসাম রাইফেলস বাহিনীর তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০১২ সালে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ১৮৯ জন জওয়ান আত্মহত্যা করে। একই সময়ে বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে ১৭৫ জন।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ২০০১ সালে ৫২৯টি আত্মহত্যার ঘটনা রয়েছে। আর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে ৪৯১ জন।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের ৬২ জন জওয়ান ২০০৬ সালে আত্মহত্যা করেছে, যেখানে অভিযানে নিহত হয়েছে মাত্র ১৬ জন।
সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সে ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬৩ জন আত্মঘাতী হয়েছে, যেখানে অভিযানে নিহত হয়েছে মাত্র একজন।
২০১৩ সাল থেকে নিয়ে সশস্ত্র সীমা বাল বাহিনীতে আত্মঘাতী হয়েছে ৩২ জন আর অভিযানে নিহত হয়েছে চারজন।
আসাম রাইফেলসের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের পর ২৭ জন আত্মহত্যা করেছে আর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে ৩৩ জন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আত্মহত্যা ও অভিযানে নিহতের সংখ্যার অনুপাত সবচেয়ে বেশি এসএসবিতে (১:৮)। এরপরই রয়েছে সিআইএসএফ (১:৬৩) এবং আইটিবিপি (১:৪)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কমিটিকে জানিয়েছে, “আমরা আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের ভেতরে আলোচনা করেছি। আমাদের অনুসন্ধানে যেটা পাওয়া গেছে, সেটা হলো মূলত স্থিতিশীলতার অভাব, নিঃসঙ্গতা এবং পারিবারিক সমস্যার কারণেই এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। জওয়ানদের ১০-১১ মাস একটানা ঘরের বাইরে থাকতে হয়, যেটা বৈবাহিক সমস্যা তৈরি করে। সন্দেহ, পাল্টা-সন্দেহ থেকে অভিযোগ ওঠে। ফলাফল আত্মহত্যা।”
মন্ত্রণালয় কমিটিকে জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাহিনীগুলোর কাজের চাপ অনেক বেশি এবং জওয়ানরা খুব কমই ছুটি পান। সিআরপিএফ এবং এমনকি বিএসএফ ও আইটিবিপি বাহিনীকেও আসাম থেকে কেরালা এবং কেরালা থেকে কাশ্মীরে ছোটাছুটির মধ্যে থাকতে হয়।
স্বরাষ্ট্র সচিব কমিটিকে জানান, “তাই জওয়ানরা একটা জায়গায় থাকতে পারে না। তাছাড়া তাদের নির্দিষ্ট কোন জায়গায় হেডকোয়ার্টারও নেই। এটাও সম্ভবত তাদের আত্মহত্যার একটা কারণ হয়ে থাকতে পারে।”
Comment