Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাশ্মিরে ৮ বছরের মুসলিম শিশুকে ধর্ষণ খুন ঘোড়াগুলো এসেছে, আমার মেয়েটা আর ফিরল না।”একö

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাশ্মিরে ৮ বছরের মুসলিম শিশুকে ধর্ষণ খুন ঘোড়াগুলো এসেছে, আমার মেয়েটা আর ফিরল না।”একö


    ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে একটি আট বছরের কন্যা শিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার যে মামলার তদন্ত করছিল সেই রাজ্যের পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ, তারা আদালতের কাছে চার্জশীট পেশ করেছে। তদন্তে ঘটনার যে বিবরণ উঠে এসেছে, তা এক কথায় বীভৎসতার চূড়ান্ত পর্যায়।
    এও বলা হয়েছে চার্জশীটে, যে ইসলাম ধর্মাবলম্বী যাযাবর সম্প্রদায়কে হিন্দু প্রধান এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আর তাদের মনে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য ঐ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
    অপহরণ, ধর্ষণ আর হত্যার ঐ মামলায় আট জন অভিযুক্তের মধ্যে চার জন পুলিশ কনস্টেবল বা কর্মকর্তা। এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
    তবে তাদের মুক্তির দাবীতে আর গোটা ঘটনা কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবীতে জম্মু অঞ্চলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ দেখিয়েছে, রাস্তায় নেমেছিলেন জম্মু বার এসোসিয়েশনের সদস্যরা। ধৃতদের মুক্তির দাবী ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে একটি আট বছরের কন্যা শিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার যে মামলার তদন্ত করছিল সেই রাজ্যের পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ, তারা আদালতের কাছে চার্জশীট পেশ করেছে। তদন্তে ঘটনার যে বিবরণ উঠে এসেছে, তা এক কথায় বীভৎসতার চূড়ান্ত পর্যায়।নিয়ে ওই সব বিক্ষোভে দেখা গেছে ভারতের জাতীয় পতাকাও।
    কী অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশীটে?
    জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ বলছে, আট বছরের ঐ কন্যা শিশুকে জম্মু-র কাঠুয়া জেলায় তার বাড়ির কাছ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।
    যাযাবর গুজ্জর জাতি-গোষ্ঠী শিশুটিকে এবছরের ১০ই জানুয়ারি অপহরণ করা হয়, যখন সে পোষা ঘোড়া আর ভেড়াগুলিকে চড়াতে নিয়ে গিয়েছিল।
    জম্মুর যাযাবর সম্প্রদায়
    পরের দিন তার পরিবার হীরানগর থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করে।
    সাত দিন পরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায় কাঠুয়া জেলারই বসানা গ্রামে।ঘটনাটি নিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষোভ বিক্ষোভ বাড়তে থাকে, একসময়ে বিষয়টি পৌঁছায় রাজ্য বিধানসভায়।
    সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ক্রাইম ব্রাঞ্চকে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার কথা ঘোষণা করেন। তদন্তের শুরুতেই দেখা যায় যে ওই কন্যা শিশুর খোঁজ করতে পুলিশ কর্মীরা যখন জঙ্গলে গিয়েছিলেন, তার মধ্যেই এমন দুজন ছিলেন, যারা মৃতদেহটির পোশাক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর আগে একবার জলে ধুয়ে নিয়েছিল।
    সন্দেহ বাড়ায় তাদের জেরা শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে ঐ দুজন পুলিশ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনেই ওই হীরানগর থানায় কর্মরত ছিলেন।
    তল্লাশি চালিয়ে বসানা গ্রামের একটি মন্দির থেকে কিছু চুল খুঁজে পান তদন্তকারীরা। তাঁদের সন্দেহ হয় যে ঐ চুল অপহৃত কন্যা শিশুটির হতে পারে।
    জম্মু উপত্যকা।
    চার্জশীটে বলা হয়েছে, ওই মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন সাঞ্জি রাম নামে যে ব্যক্তি, তিনিই নিজের পুত্র আর ভাইপোর সঙ্গে ওই কন্যা শিশুকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
    গুজ্জর সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করাই উদ্দেশ্য ছিল, যাতে তারা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
    চার্জশীটে বলা হয়েছে, স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে এরকম একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে বাকারওয়াল বা যাযাবর সম্প্রদায়ের ওই মানুষরা গরু জবাই করে আর মাদকের কারবার করে।
    এ নিয়ে এর আগে দুই তরফেই পুলিশের কাছে বহু অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ জমা হয়েছে। চার্জশীটে পুলিশ এটাও উল্লেখ করেছে যে ধর্ষণের আগে ঐ মন্দিরে কিছু পুজোও করা হয়।
    ৬০ বছর বয়সী সাঞ্জি রাম, তার ছেলে বিশাল আর নাবালক ভাইপো, চার পুলিশ কর্মী এবং আরেক ব্যক্তি গোটা ঘটনায় সরাসরি যুক্ত।
    ঐ কন্যা শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে আসার পরে তাকে মাদক খাইয়ে অচেতন করে রাখা হয়েছিল। তার মধ্যেই তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।
    অভিযুক্তদের মধ্যে যে নাবালক রয়েছে, সে তার চাচাতো দাদা সাঞ্জি রামের ছেলে বিশালকে উত্তর প্রদেশের মীরঠ শহর থেকে ডেকে আনে ফোন করে যাতে, সে-ও ওই কন্যা শিশুটিকে ধর্ষণ করতে পারে।
    চার্জশীটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, টানা ধর্ষণ করার পরে যখন অভিযুক্তরা ঠিক করে যে এবার ওই কন্যা শিশুটিকে মেরে ফেলার সময় হয়েছে, তখন একজন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী অন্যদের বলে, “এখনই মেরো না। দাঁড়াও। আমি ওকে শেষবারের মতো একবার ধর্ষণ করে নিই।”
    তারপরে ওই পুলিশ কর্মী নিজে চেষ্টা করে কন্যা শিশুটিকে হত্যা করতে, কিন্তু সে ব্যর্থ হয়।
    শেষে নাবালক অভিযুক্তই ওই কন্যা শিশুকে হত্যা করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয় একটা পাথর দিয়ে। ময়নাতদন্তে জানা গেছে যে ওই কন্যা শিশুটিকে মাদকের বড়ি খাইয়ে তারপরে ধর্ষণ করা হয়েছে।
    অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে বিক্ষোভ
    ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে যখন একের পর এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হতে থাকেন, তখন থেকেই শুরু হয় প্রতিবাদ। প্রথমে স্থানীয় একটি সদ্য গঠিত হিন্দু সংগঠন বিক্ষোভে নামে। সেখানে হাজির ছিলেন বিজেপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী।
    তাদেরই একজন, বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক ও বিধানসভার সদস্য অশোক কউল বিবিসির প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, “এলাকার মানুষের সঙ্গে তো থাকতেই হবে। তবে দলের তরফে এই ঘটনার নিন্দা তো করাই হয়েছে। আর আমরা চাইছি কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো – সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক।” বিজেপিও জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে সরকারের অংশীদার।
    ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
    ঐরকম একটি বিক্ষোভ মিছিলের ছবি রয়েছে বিবিসির কাছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মিছিলকারীদের হাতে রয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা।
    ওই বিক্ষোভ মিছিলের পরে মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি টুইট করে মন্তব্য করেছিলেন, “ধর্ষণের অভিযোগে ধৃতদের পক্ষ নিয়ে মিছিল হচ্ছে দেখে আমি হতবাক হয়ে যাচ্ছি। এই সব বিক্ষোভে আবার জাতীয় পতাকা রয়েছে! আমি আতঙ্কিত। এটাতো জাতীয় পতাকার অবমাননা।”
    এর পরেই অবশ্য বিজেপির নেতৃত্ব ওইসব বিক্ষোভ থেকে নিজের দলের লোকদের সরিয়ে নেন।
    তবে এবার বিক্ষোভে নামে আইনজীবীরা।গ্রেপ্তারীর প্রতিবাদে জম্মুতে যে হরতাল হয়েছিল ১১ই এপ্রিল, তাতে যুক্ত হয়ে রাস্তায় নেমেছিল বার এসোসিয়েশন।
    তবে সব আইনজীবী বা বার এসোসিয়েশন যে এই ঘটনায় ধৃতদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন, এমনটা নয়।ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা যাতে চার্জশীট পেশ না করতে পারেন, তার জন্য রীতিমতো ঘেরাও চলতে থাকে।
    আদালত চত্বরেই চলতে থাকে স্লোগান। শেষমেশ অনেক রাতে ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা চার্জশীট জমা করতে সক্ষম হন।
    ওই কন্যা শিশুর পিতা বিবিসিকে বলেছেন, “যখন দেখছিলাম মেয়ের ওপরে অত্যাচারীদের সমর্থনে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল হচ্ছে, মনে হল আমার মেয়েটা আরও একবার ধর্ষিতা হল।”
    ‘ঘোড়াগুলো ফিরল, মেয়েটা আর ফিরল না’
    ওই কন্যা শিশুর মা বিবিসিকে জানিয়েছেন, “আমরা তো জীবজন্তু পালন করেই জীবনযাপন করি। ছয়মাস জম্মুতে বাকিটা কাশ্মীরে থাকি আমরা। নদনদীর কাছাকাছি।
    মেয়েটা জন্তুগুলোকে ভীষণ ভালবাসত। ১০ তারিখ দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বলল, আমি জঙ্গলে যাই – ঘোড়াগুলোকে নিয়ে আসি। ঘোড়াগুলো তো ফিরে এসেছে, মেয়েটা আর ফিরল না।”
    সূত্র: বিবিসি
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

  • #2
    বর্শার ছায়াতলেই মুসলিমদের নিরাপত্তা

    Originally posted by কালো পতাকা View Post
    ওই কন্যা শিশুর পিতা বিবিসিকে বলেছেন, “যখন দেখছিলাম মেয়ের ওপরে অত্যাচারীদের সমর্থনে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল হচ্ছে, মনে হল আমার মেয়েটা আরও একবার ধর্ষিতা হল।”
    !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
    তরবারীর মাঝেই সমাধান

    Comment


    • #3
      Originally posted by khalid-hindustani View Post
      !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
      তরবারীর মাঝেই সমাধান
      জি ভাই মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের কবুল করুন আমিন
      ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

      Comment


      • #4
        হে আল্লাহ প্রত্যেক মুজাহিদ ভাই কে শামের এই মুজাহিদ ভাইয়ের মতো আমাদের শিশু সন্তান কে রক্ষা করার তৌফিক দার করুন আমিন
        ভিডিও লিংক:
        https://www.youtube.com/watch?v=5hAlKlQ2g1Q
        বি:দ্র: ইউটিউব লিংকটি সাময়িক সময়ের জন্য দেওয়া হয়েছে পরবর্তীতে পিক্লাউডে আপলোড করে দেওয়া হবে ইনশা,,,,
        ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

        Comment


        • #5
          ভারতে মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গা 'পরিকল্পিত' মনে করার ৯টি কারণ

          রামনবমী পালনকে কেন্দ্র করে ভারতে গত মাসে যে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছিল, সেগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল একইরকম - যাতে মনে হতে পারে যেন একটাই পরিকল্পনার ভিত্তিতে দাঙ্গাগুলো হয়েছে।
          মার্চের শেষ সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গ আর বিহার রাজ্যে মোট দশটি সাম্প্রদায়িক অশান্তি ঘটেছিল ।
          ঘটনাগুলির যেসব প্রতিবেদন বিবিসি-র সংবাদদাতারা পাঠিয়েছিলেন, তার তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করেছে বিবিসির হিন্দি বিভাগ। এতে দেখা যাচ্ছে, একই ভাবে ওইসব অশান্তি শুরু হয়েছে, হাজির ছিলেন একই ধরণের যুবকরা, তাদের গলায় ছিল একই ধরণের স্লোগান।
          হামলার শিকারও হয়েছিলেন একই ধরণের মানুষ।
          তাই এ অশান্তি, হিংসা বা অগ্নিসংযোগ কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়াই, অনিয়ন্ত্রিতভাবে, হঠাৎ ঘটে গেছে - ঘটনাক্রম বিশ্লেষণ করে এরকমটা মনে করা কঠিন।

          বিবিসি-র সংবাদদাতারা বিহার আর পশ্চিমবঙ্গের দাঙ্গা বা হিংসা কবলিত এলাকাগুলি থেকে যেসব প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন, তার মধ্যে ৯টি বিষয় রয়েছে, যা প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই মোটামুটিভাবে এক । কোথাও তা দাঙ্গার রূপ নিয়েছিল, কোথাও ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের মধ্যেই শেষ হয়েছে।
          এই ৯টি বিষয় থেকেই মনে হওয়া স্বাভাবিক যে দশটি আলাদা শহরে বিচ্ছিন্নভাবে, কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই ওই হিংসাত্মক ঘটনাগুলি ঘটে নি।
          ১. উগ্র মিছিল, যুববাহিনী, গেরুয়া পতাকা, বাইক...

          বিহারের ভাগলপুরে ১৭ই মার্চ সাম্প্রদায়িক অশান্তির শুরু। সেদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবের পুত্র অর্জিত চৌবে 'হিন্দু নববর্ষে'র দিন এক শোভাযাত্রা বের করেছিলেন।
          সেখান থেকে মুসলমানদের ওপরে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে ওই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়।
          সেদিন থেকে রামনবমী পর্যন্ত ঔরঙ্গাবাদ, সমস্তিপুরের রোসড়া আর নওয়াদার মতো শহরগুলিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে।
          প্রতিটা জায়গাতেই রামনবমীর দিন উগ্র মিছিল বার করা হয়েছিল। বাইকে চেপে যুবকরা ওইসব মিছিলে সামিল হয়েছিল। তাদের মাথায় গেরুয়া ফেট্টি ছিল। সঙ্গে ছিল গেরুয়া ঝান্ডা।
          ঘটনাচক্রে সমস্তিপুরের মিছিলে মোটরবাইক ছিল না। কিন্তু বাকি বিষয়গুলির মিল পাওয়া যাচ্ছে।
          হিন্দু নববর্ষ দিনটিও নতুন আবিষ্কার হয়েছে। রামনবমীর শোভাযাত্রাও বেশীরভাগ শহরেই আগে বড় করে হতে দেখে নি কেউ।
          গতবছর উত্তরপ্রদেশের সাহারাণপুরে রাণা প্রতাপ জয়ন্তীতে শোভাযাত্রা বেরনোর পরেই দলিতশ্রেণীর মানুষের ওপরে আক্রমণ হয়েছিল।
          মেওয়াড়ের রাণা প্রতাপের জন্মজয়ন্তী সাহারাণপুরে একেবারেই নতুন আমদানি হয়েছিল গত বছর থেকে।
          ২. শোভাযাত্রাগুলির আয়োজন করেছিল একই ধরণের নানা নামের সংগঠন

          যে সব এলাকায় রামনবমীর শোভাযাত্রা থেকে অশান্তি ছড়িয়েছে, সেগুলির প্রত্যেকটিরই আয়োজন করেছিল একই ভাবধারার সংগঠন, যদিও একেক জায়গায় তাদের নাম ছিল একেক রকম।
          সংগঠনগুলি প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারতীয় জনতা পার্টি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ আর বজরং দলের সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে যুক্ত।
          ঔরঙ্গাবাদ আর রোসড়ায় তো বিজেপি এবং বজরং দলের নেতারা সরাসরিই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন।
          বেশ কয়েকটি জায়গায় দেখা গেছে অপরিচিত কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠনও জমকালো শোভাযাত্রা বার করেছে।
          ভাগলপুরে 'ভাগওয়া (গেরুয়া রঙের হিন্দি) ক্রান্তি' আর ঔরঙ্গাবাদে 'সাবর্ণ ক্রান্তি' নামের জন্ম হয়েছিল।
          দাঙ্গার পরে ওই সদ্যোজাত সংগঠনগুলির কোনও নেতাই দেখা করতে বা আমাদের সংবাদদাতাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন নি।
          পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল-রাণীগঞ্জ বা পুরুলিয়া অথবা উত্তর ২৪ পরগণা জেলাগুলির যেসব অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়েছিল, সেখানেও বিজেপি নেতাদের সমর্থন ছিল রামনবমীর শোভাযাত্রাগুলিতে।
          তবে আসানসোলে হিন্দুদের দোকান আর ঘরগুলিতেও আগুন দেওয়া হয়েছিল। হিন্দু পরিবারগুলিকেও বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় শিবিরে চলে যেতে হয়েছিল।
          ৩. বিশেষ একটি রাস্তা ধরেই মিছিল নিয়ে যাওয়ার জেদ

          অশান্তি ছড়িয়েছিল যেসব শহরে, তার প্রত্যেকটির ক্ষেত্রেই মুসলমান প্রধান এলাকা দিয়ে রামনবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে যাওয়ার জন্য জিদ ধরা হয়েছিল।
          নওয়াদায় রামনবমীর আগেই জেলা প্রশাসন ধর্মীয় নেতাদের ডেকে একটা শান্তি বৈঠক করেছিল।
          মুসলমান প্রধান এলাকা দিয়ে শোভাযাত্রা নিয়ে যাওয়ার সময়ে 'পাকিস্তান মুর্দাবাদ' স্লোগান যাতে না দেওয়া হয়, তার জন্য অনুরোধ করেছিল প্রশাসন। কিন্তু বিজেপি ওই প্রস্তাবে ঘোর আপত্তি তোলে।
          নওয়াদার সংসদ সদস্য ও বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং বলেছিলেন, "পাকিস্তান মুর্দাবাদ স্লোগান ভারতে দেওয়া হবে না তো আর কোথায় দেওয়া হবে?"
          বিহারের ঔরঙ্গাবাদ, রোসড়া, ভাগলপুর বা পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল - সব শহরেই একই ঘটনা হয়েছে।
          স্থানীয় মানুষরা বিবিসি-র সংবাদদাতাদের জানিয়েছেন যে মিছিলের রুট পরিকল্পিতভাবেই মুসলমান প্রধান এলাকাগুলো দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
          ৪. উস্কানিমূলক স্লোগান আর ডিস্ক জকি

          যেসব জায়গায় শোভাযাত্রা বার করা হয়েছিল, তার প্রতিটি জায়গাতেই মুসলমানদের 'পাকিস্তানী' বলা হয়েছে। বাজানো হয়েছে ডি জে-ও।
          'যখনই হিন্দুরা জেগে উঠেছে, তখনই মুসলমানরা ভেগেছে' - এরকম স্লোগানও উঠেছে মিছিল থেকে।
          ঔরঙ্গাবাদ, রোসড়া, আসানসোল আর রাণীগঞ্জ এলাকায় প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ মানুষ, স্থানীয় সাংবাদিক এমন কি পুলিশ কর্মীরাও বিবিসি সংবাদদাতাদের জানিয়েছেন যে স্লোগান দিয়ে কীভাবে মুসলমানদের উস্কানোর চেষ্টা হয়েছিল মিছিলগুলো থেকে।
          ঔরঙ্গাবাদে কবরস্থানে গেরুয়া ঝান্ডা লাগিয়ে দেওয়ার ছবি এসেছে বিবিসি-র কাছে।
          রোসড়ার 'তিন মসজিদ'-এ ভাঙ্গচুড় করে গেরুয়া ঝান্ডা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
          প্রত্যেকটা মিছিলেই একই ধরণের রেকর্ড করা গান বাজানো হয়েছিল।
          রাণীগঞ্জের এক বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা রাজেশ গুপ্তা বিবিসিকে বলেছিলেন, "হ্যাঁ,গান বাজানো হয়েছে। কিন্তু ওগুলো তো পাকিস্তান বিরোধী গান ছিল। কাউকে উস্কানি দেওয়ার জন্য বাজানো তো হয় নি।"
          যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, রামনবমীর মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পাকিস্তান বিরোধী গান কেন?
          তিনি জবাব দিয়েছিলেন, "যেখানেই সুযোগ পাব আমরা দেশভক্তি আর জাতীয়তাবাদী চিন্তা চেতনা প্রকাশ করব। কোনও সুযোগই আমরা হারাতে চাই না। ভারতে যদি পাকিস্তান বিরোধী গান না বাজে, তাহলে কোথায় বাজবে?"
          বিহারের নওয়াদা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আর পশ্চিমবঙ্গের রাণীগঞ্জের এই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতার বক্তব্যে আশ্চর্য মিল।
          ৫. 'ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া'র থিয়োরী

          আর এস এস এবং বিজেপি নেতারা মুসলমানদের ওপরে হামলার ঘটনাগুলিকে ক্রিয়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়া বলে ব্যাখ্যা করেছেন সব ক্ষেত্রেই।
          ঔরঙ্গাবাদের এক আর এস এস নেতা সুরেন্দ্র কিশোর সিং জানিয়েছিলেন, রামনবমীর মিছিলের ওপরে মুসলমানরা পাথর আর চপ্পল ছুঁড়েছে - এরকম গুজব ছড়িয়েছিল।
          পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলেও রামনবমীর মিছিলের ওপরে মুসলমানরা পাথর ছুঁড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
          তবে কোনও ঘটনার তদন্তেই এখনও পর্যন্ত এরকম কিছু পাওয়া যায় নি, যাতে মনে করা যেতে পারে যে পাথর বা চপ্পল কোনও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের তরফ থেকে ছোঁড়া হয়েছিল।
          ৬. মাপা হিংসা, বাছাই করে অগ্নিসংযোগ

          বেশীরভাগ শহরেই হিংসা ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয় নি - অন্তত পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যাতে না চলে যায়, যেখানে কারও মৃত্যু হয়। কিন্তু মানুষের জীবন-জীবিকার ক্ষতি যাতে হয়, সেরকম ভাবেই হামলা হয়েছিল।
          ব্যতিক্রম অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ। সেখানে মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে।
          ঔরঙ্গাবাদে ৩০টি দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল - যার মধ্যে ২৯টি-ই মুসলমানদের দোকান।
          জেনে বুঝেই যে ঠিক ওই কয়েকটি দোকানেই আগুন দেওয়া হয়েছিল, সেটা বোঝাই যায়।
          সেখানকার হিন্দু যুব বাহিনীর নেতা অনিল সিংয়ের বাড়িতেই এমন একটি দোকান রয়েছে, যেটির মালিক মুসলমান।
          সেই দোকানটি সুরক্ষিত থেকেছে।
          পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য হিন্দু সম্প্রদায়ের দোকানেও ভাঙ্গচুর চালানো হয়েছে, আগুন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানকার মুসলমান সম্প্রদায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন যে তাঁরাই যদি দোকানে আগুন দিয়ে থাকবেন বা ঘরবাড়ি ভাঙ্গচুর করে থাকবেন, তাহলে বেছে বেছে কেন করবেন সেটা। পাশাপাশি থাকা হিন্দুদের দোকানগুলির মধ্যে কয়েকটিতেই আগুন ধরানো হয়েছিল বা ভাঙ্গচুর চালানো হয়েছিল, সেটা বিবিসি-র সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদনগুলি থেকেই স্পষ্ট।
          আবার যারা ভাঙচুর বা অগ্নি সংযোগ করেছে, সেই ভীড়ের মধ্যে কারা ছিল, তা নিয়ে ভিন্ন মতামত পাওয়া গেছে।
          ঔরঙ্গাবাদের মুসলমানরা বলেছেন ভাঙচুর চালিয়েছে যারা, তারা বহিরাগত।
          আবার ভাগলপুর এবং নওয়াদার ঘটনায় স্থানীয়রাই জড়িত ছিলেন, এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
          পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল আর রাণীগঞ্জেও দুই সম্প্রদায়ের মানুষই অভিযোগ করেছেন যে ভাঙচুর বা আগুন লাগানোর ঘটনায় যারা জড়িত ছিল, তারা কেউ এলাকার মানুষ নয়।
          ঔরঙ্গাবাদের জেলা শাসক রাহুল রঞ্জন মাহিওয়াল জানিয়েছেন যে ভাঙ্গচুরের যারা জড়িত ছিল, তারা পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে এসেছিল।
          পশ্চিমবঙ্গ থেকেও একই ধরণের বক্তব্য পাওয়া গেছে।
          ৭. প্রশাসনের ভূমিকা

          বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে প্রশাসন একরকম নির্বাক দর্শকের ভূমিকায় থেকেছে।
          ঔরঙ্গাবাদের ২৬ মার্চ যে মিছিল হয়েছিল, সেখান থেকে মসজিদের দিকে চপ্পল ছোঁড়া, কবরস্থানে গেরুয়া ঝান্ডা পুঁতে দেওয়া বা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপমানজনক স্লোগান দেওয়া হয়েছিল।
          তবুও পরের দিন মুসলমান-প্রধান এলাকা দিয়েই মিছিল করার অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন।
          প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের যখন বিবিসি সংবাদদাতারা বিষয়টি নিয়ে জানতে চান, তখন জবাব পাওয়া গিয়েছিল যে লিখিতভাবে কথা দেওয়া হয়েছিল যে আর গন্ডগোল হবে না। সেই জন্যই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
          ভাগলপুর, রোসড়া বা আসানসোলেও মিছিলকারীদের তুলনায় পুলিশের সংখ্যা এতটাই কম ছিল যে তারা বিশেষ কিছুই করে উঠতে পারে নি।
          তবে নওয়াদা, ভাগলপুর আর রোসড়ায় স্থানীয় মুসলমানরা এটাও বলেছেন যে প্রশাসন যদি সতর্ক না হত, বা মাঠে না নামত, তাহলে পরিণাম আরও মারাত্মক হয়ে উঠতে পারত।
          ঔরঙ্গাবাদে দাঙ্গা কবলিত এলাকার মানুষ অবশ্য বলেছেন যে প্রশাসনের চোখের সামনেই শহর জ্বলছিল।
          ৮. সামাজিক মাধ্যমে গুজব

          পশ্চিমবঙ্গ আর বিহারের যে সব অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছিল, প্রথমেই সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বেশ কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন।
          তার মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরণের গুজব ছড়ানো হয়েছে।
          ঔরঙ্গাবাদে গুজব রটেছিল যে মুসলমানরা চারজন দলিত শ্রেণীর হিন্দুকে হত্যা করেছে।
          রামনবমীর মিছিলের ওপরে মুসলমানরা হামলা করেছে, এরকম গুজবও ছড়ানো হয়েছিল।
          আসানসোল আর রাণীগঞ্জেও বড়সড় দাঙ্গা হচ্ছে বলে খবর রটানো হয়েছিল - যার ফলে মানুষ নিজের ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল।
          ৯. মুসলমানদের মধ্যে আতঙ্ক, অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দোল্লাস

          যেসব এলাকায় দাঙ্গা বা সাম্প্রদায়িক অশান্তি হয়েছে, তার পরে মুসলমানদের মধ্যে একটা আতঙ্ক তৈরী হয়েছে।
          ঔরঙ্গাবাদের এক বাসিন্দা ইমরোজ মধ্য প্রাচ্যে রোজগারের অর্থ জমিয়ে দেশে ফিরে এসে জুতোর ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
          তার দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
          এখন ইমরোজ ঠিক করেছেন এই দেশে আর ব্যবসা করবেন না। পরিবার নিয়ে তিনি হংকং চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
          অন্যান্য এলাকার মুসলমানরাও ভাবতে শুরু করেছেন যে ব্যবসা বোধহয় তুলেই দিতে হবে।
          উল্টোদিকে ওই সব এলাকায় বসবাসকারী হিন্দু যুবকদের মধ্যে একটা জয়ের আনন্দ দেখতে পাওয়া গেছে।
          ভাগলপুরের এক যুবক শেখর যাদব বুক চিতিয়ে বলছিলেন, "ইঁট ছুঁড়লে তো এইভাবেই জবাব দেওয়া হবে।"

          Comment


          • #6
            হে আল্লাহ এই মাকে দরজ দারুন করার তৌফিক দান কর

            Comment


            • #7
              উম্মাহর এই পরিস্থিতিতে শুধু মুনাফিকরাই পিছনর থাকতে পারে। এই সময়ওেপিছনে বসে থাকা কোন সোচ্চার মু'মিনের কাজ হতে পারে না।

              Comment


              • #8
                হে আল্লাহ এই মাকে দরজ দারুন করার তৌফিক দান কর

                Comment


                • #9
                  কাশ্মীরের ধর্ষণ ও হত্যা নিয়ে সরব হতে দেরি কেন?

                  ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৮ বছরের শিশু হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় পুরো রাজ্য ক্ষোভে ফেটে পড়লেও সেই বিক্ষোভের উত্তাপ পৌঁছায়নি দিল্লিতে।

                  ২০১২ সালের দিল্লির গণধর্ষণের ঘটনায় পুরো রাজ্য যেভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছিলো সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতিবাদে কেউ এতোটা সরব হয়নি।

                  কাশ্মীর উপত্যকার গণমাধ্যমগুলো এই ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে প্রচার করলেও বেশিরভাগ জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোয় পায়নি কোন কভারেজ।

                  কাশ্মীরের স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ তারা জানুয়ারি মাসেই এই খবরটি প্রচারে দিল্লি অফিসে যোগাযোগ করেছিলো। তাদের কাছে এই রোমহর্ষক ঘটনার চাইতে কাশ্মীর উপত্যকায় টিউলিপ বাগান উদ্বোধনের খবরটিকে বেশি জরুরি মনে হয়েছে।

                  পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি কেন্দ্রীয় নিউজ নেটওয়ার্কগুলো হঠাৎ করেই সংবাদটি প্রচারে উঠেপড়ে লাগে।

                  প্রশ্ন ওঠে, ঘটনার ৪ মাস পর হঠাৎ কেন নড়েচড়ে বসলো দিল্লি মিডিয়া? হিন্দু ডানপন্থী দলগুলো তাদের কমিউনিটির এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানানোই কি তাদের নজর আকর্ষণের কারণ?

                  এ বিষয়ে ভারতের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সম্পাদক শেখর গুপ্ত জানান, এ ধরণের আচরণ দিল্লির সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রকৃত চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। যেখানে তারা জাতীয় সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত এবং প্রভাবিত। বিশেষত সেনা নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের খবর প্রচারে তারা বরাবরই পক্ষপাতদুষ্ট।

                  এর পেছনে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি ধর্মীয় অনুভূতিকে বড় কারণ হিসেবে দেখছেন তিনি। বিশেষ করে হিন্দু ডানপন্থী সংগঠনগুলো এমনকি ক্ষমতাসীন বিজেপির দুজন মন্ত্রী গ্রেফতারকৃতদের প্রতি সমর্থন জানানোর পর এটি আলোচনায় উঠে আসে।

                  এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিশ্চুপ ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন কম ওঠেনি। তিনি তার টুইট বার্তায় সুবিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েই চুপ করে যান।


                  এ বিষয়ে সমাজ বিশ্লেষক ডক্টর বিশ্বনাথান বলেন, দিল্লির সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিনিয়ত হত্যা , ধর্ষণ, সহিংসতা, নির্যাতন, লুটপাটের খবর প্রচার করতে করতে গা সওয়া হয়ে গেছে। প্রতিটি খবরেই তারা অতিরঞ্জন কিছু খুঁজতে চায়। যা তাদের নৈতিক বোধকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

                  তিনি বলেন, মিডিয়া আর রাজনীতিবিদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ধর্ম, গোত্র ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে পড়ায় এখন আর মানবাধিকার বলে কিছু নেই। তার মতে, এখনকার মানুষের বিবেক অনেকটা রিপ ভ্যান উইঙ্কলের ঘুমের মতো।

                  Comment

                  Working...
                  X