২০১৬ সালের ২৪ মার্চ ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে আব্দুল ফাতাহ আল শরিফ নামের এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনা ইলোর আজারিয়া। জেরুজালেমভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন বিটিসেলেম ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কোনও ধরনের প্ররোচনা ছাড়াই শরিফের মাথায় গুলি করছে ওই ইসরায়েলি সেনা। সেসময় আজারিয়া দাবি করেছিল, ‘আল-শরিফের কাছে বিস্ফোরক বেল্ট আছে এবং যে কোনও সময় বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে’ এমন আশঙ্কায় গুলি করেছিল সে। শুরুতে ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে অসাড় অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিলেন ফাতাহ আল-শরিফ। এর কিছুক্ষণ পর মাথায় গুলি করে তাকে হত্যা করে আজারিয়া।
শরিফকে হত্যার দায়ে আজারিয়ার বিরুদ্ধে ১৮ মাসের সাজা ঘোষণা করা হয়। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে সাজা ভোগ করছিল সে। ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ গাদি আইসেনকট পরে আজারিয়ার সাজার মেয়াদ চার মাস কমিয়ে দেন। মার্চে একটি প্যারোল বোর্ড সাজার মেয়াদ আরও কমিয়ে দেয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল ১০ মে মুক্তি পাবে আজারিয়া।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে মিডল ইস্ট আই জানায়, ভাইয়ের বিয়েতে অংশ নেওয়ার জন্য সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার দুইদিন আগেই ছাড়া পেয়েছে আজারিয়া। তেল আবিবের কাছে অবস্থিত তাজিরিফিম সামরিক আদালত থেকে মুক্তি পায় সে।
মঙ্গলবার (৮ মে) এক সেনা মুখপাত্র ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘সে যে মুক্তি পেয়েছে তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।’
ইলোরের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগপত্রে লেখা ছিল,‘সন্ত্রাসী ... মাটিতে পড়েছিলেন,তিনি তখনও জীবিত এবং আশেপাশের মানুষ ও সেনাদের জন্য কোনও রকম হুমকির কারণ ছিলেন না।’
ওই সেনার বিচার নিয়ে ইসরায়েলে বিভক্ত মত রয়েছে। উগ্রপন্থীরা ওই ফিলিস্তিনি তরুণকে হত্যা করাকে ন্যায্যতা দিচ্ছে। অপরদিকে,অনেকে তাকে বিচারের মুখোমুখি করাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক গবেষণায় দেখা যায়, ইসরায়েলিরা মনে করেন, হামলাকারীকে গুলি করাটা আইনসম্মত। তবে সামরিক আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সার্জেন্ট আজারিয়া আইন ভঙ্গ করে মাটিতে পড়ে থাকা একজন আহত হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
শরিফকে হত্যার দায়ে আজারিয়ার বিরুদ্ধে ১৮ মাসের সাজা ঘোষণা করা হয়। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে সাজা ভোগ করছিল সে। ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ গাদি আইসেনকট পরে আজারিয়ার সাজার মেয়াদ চার মাস কমিয়ে দেন। মার্চে একটি প্যারোল বোর্ড সাজার মেয়াদ আরও কমিয়ে দেয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল ১০ মে মুক্তি পাবে আজারিয়া।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে মিডল ইস্ট আই জানায়, ভাইয়ের বিয়েতে অংশ নেওয়ার জন্য সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার দুইদিন আগেই ছাড়া পেয়েছে আজারিয়া। তেল আবিবের কাছে অবস্থিত তাজিরিফিম সামরিক আদালত থেকে মুক্তি পায় সে।
মঙ্গলবার (৮ মে) এক সেনা মুখপাত্র ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘সে যে মুক্তি পেয়েছে তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।’
ইলোরের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগপত্রে লেখা ছিল,‘সন্ত্রাসী ... মাটিতে পড়েছিলেন,তিনি তখনও জীবিত এবং আশেপাশের মানুষ ও সেনাদের জন্য কোনও রকম হুমকির কারণ ছিলেন না।’
ওই সেনার বিচার নিয়ে ইসরায়েলে বিভক্ত মত রয়েছে। উগ্রপন্থীরা ওই ফিলিস্তিনি তরুণকে হত্যা করাকে ন্যায্যতা দিচ্ছে। অপরদিকে,অনেকে তাকে বিচারের মুখোমুখি করাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক গবেষণায় দেখা যায়, ইসরায়েলিরা মনে করেন, হামলাকারীকে গুলি করাটা আইনসম্মত। তবে সামরিক আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সার্জেন্ট আজারিয়া আইন ভঙ্গ করে মাটিতে পড়ে থাকা একজন আহত হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
Comment