Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমরা কি অহংকারকে পূর্নভাবে অন্তর থেকে দূর করেছি?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমরা কি অহংকারকে পূর্নভাবে অন্তর থেকে দূর করেছি?

    আমরা কি অহংকারকে পূর্নভাবে অন্তর থেকে দূর করেছি?

    যাদের সম্পদ নেই তারা কখনো সম্পদের অহংকার করে না অথবা যাদের কাছে অন্যের সম্পদ গচ্ছিত থাকে তারাও কখনো সেটা নিয়ে অহংকার করে না। কারণ অহংকার শুধু সেই জিনিসেই আসে যা নিজের মালিকানাধীন মনে করা হয়।

    যখন কেহ ভাবে আমার শক্তি আছে, জ্ঞান আছে, সম্পদ আছে, যোগ্যতা আছে তখনই মনে শয়তান কুমন্ত্রণা দেয় যে, তুমি তো অমুক থেকে বড় বা তমুক থেকে বেশি যোগ্য। মনে অহংকার বাসা বাধতে থাকে।

    অনেকে এই সমস্যার সমাধানে অন্তরে এই ধারনা উদয় করার চেষ্টা করেন যে, আমি এখনো তেমন কিছুই হতে পারি নি বা আমার দ্বারা তেমন বড় কোন কাজই তো হয় নি। কিন্তু যেখানে নিজের চোখে দেখছে সে অনেক কিছুই পারছে তখন সুক্ষ্মভাবে আত্বিক গরিমা থেকেই যায়, কারণ নিজের চোখকে তো আর অবিশ্বাস করতে পারবে না। অনেকে ভিবিন্ন কাজে ব্যস্ত থেকে তা ভুলে থাকার চেষ্টা করেন।

    অহংকারের মনস্তাত্ত্বিক সমধান হচ্ছে, প্রথমত; কোন কিছুই নিজের মনে না করা। আমি যে ভাল কাজ করেছি তা আমার না বরং আল্লাহর নেয়ামত। আমার যোগ্যতার মালিক আমি নই বরং আল্লাহর রহমত। আমি যা পারছি তা আমার শক্তি হচ্ছে না বরং আল্লাহ তায়ালার শক্তিতে হচ্ছে। "লা হাউলা ও ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল"।

    দ্বিতীয়ত; নিজেকে কিছুই মনে না করা। অন্যের থেকে ছোট নাকি বড় বিতর্ক হবে তো তখন যখন আমার কিছু থাকবে, কিন্তু নিজের কিছু না থাকলে অহংকার মনোভাব আসবে কিভাবে?

    অর্থাৎ এমনটা ভাবা যে, আমি সাধারণ একটা গাছের পাতা থেকেও নিম্ন যদি আল্লাহ তায়ালা সাহায্য না করেন, আল্লাহ তায়ালার সাহায্য ছাড়া আমি আসলে শূন্য, পৃথিবীর সবকিছু থেকে নিকৃষ্ট। যেমনটা সাহাবারা নিজেদের ব্যপারে ভাবতেন।

    বারবার এই চিন্তাটা মনে গভীর থেকে ভাবলে এক সময় দৃঢ়ভাবে বসে যাবে ইনশাআল্লাহ।
    Last edited by আবু মাহমুদ; 04-18-2020, 03:01 PM.
    লিখার মধ্যে যা ভুল তা আমার ও শয়তানের পক্ষ থেকে
    আর যদি সঠিক হয় তাহলে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত

  • #2
    আখি, আপনার পোস্টটি এডিট করে দিলে ভালো হয়।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      অহংকারের মনস্তাত্ত্বিক সমধান হচ্ছে, প্রথমত; কোন কিছুই নিজের মনে না করা। আমি যে ভাল কাজ করেছি তা আমার না বরং আল্লাহর নেয়ামত। আমার যোগ্যতার মালিক আমি নই বরং আল্লাহর রহমত। আমি যা পারছি তা আমার শক্তি হচ্ছে না বরং আল্লাহ তায়ালার শক্তিতে হচ্ছে।
      জাযাকাল্লাহ আখি, সুন্দর লিখেছেন, কুরআন হতে আমরা এ বিষয়টি জানতে পারি, সুলাইমান আলাইহিস সালাম যখন বিলকিসের সিংহাসনটি নিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন এবং চোখের পলকে তা তাঁর সামনে হাজির হয়ে গেলো, তখন তিনি তার এই মুজিযাকে নিজের শক্তিমত্তা না বলে আল্লাহ তায়ালার দিকে সম্বন্ধযুক্ত করেন। তিনি বলেন,

      هَذَا مِنْ فَضْلِ رَبِّي

      এটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। -সূরা নামল, ৪০

      পক্ষান্তরে যখন কারুনকে আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সম্পদ দান করার প্রতি উৎসাহিত করা হয় এবং যমিনে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে নিষেধ করা হয় তখন সেই পাপিষ্ঠ বলে উঠে,

      قَالَ إِنَّمَا أُوتِيتُهُ عَلَى عِلْمٍ عِنْدِي

      আমি তো আমার জ্ঞান (ও যোগ্যতা) বলে এ সম্পদের অধিকারী হয়েছি। -সূরা কাসাস, ৭৮
      الجهاد محك الإيمان

      জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

      Comment


      • #4
        Originally posted by আদনানমারুফ View Post
        জাযাকাল্লাহ আখি, সুন্দর লিখেছেন, কুরআন হতে আমরা এ বিষয়টি জানতে পারি, সুলাইমান আলাইহিস সালাম যখন বিলকিসের সিংহাসনটি নিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন এবং চোখের পলকে তা তাঁর সামনে হাজির হয়ে গেলো, তখন তিনি তার এই মুজিযাকে নিজের শক্তিমত্তা না বলে আল্লাহ তায়ালার দিকে সম্বন্ধযুক্ত করেন। তিনি বলেন,

        هَذَا مِنْ فَضْلِ رَبِّي

        এটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। -সূরা নামল, ৪০

        পক্ষান্তরে যখন কারুনকে আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সম্পদ দান করার প্রতি উৎসাহিত করা হয় এবং যমিনে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে নিষেধ করা হয় তখন সেই পাপিষ্ঠ বলে উঠে,

        قَالَ إِنَّمَا أُوتِيتُهُ عَلَى عِلْمٍ عِنْدِي

        আমি তো আমার জ্ঞান (ও যোগ্যতা) বলে এ সম্পদের অধিকারী হয়েছি। -সূরা কাসাস, ৭৮
        মাশা আল্লাহু খুবি সুন্দর আলোচোন।
        আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন আমিন।
        হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

        Comment


        • #5
          মুহতারাম পোষ্টকারী ভাই আপনার প্রতি বিনীত অনুরোধ দয়া করে আপনি আপনার পোষ্টটি ইডিট করে নিন, আপনার আলোচনাটি খুবই সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ তাই দয়াকরে পোষ্টটিও সুন্দর করে নিন ইংশা আল্লাহ.........।
          হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

          Comment


          • #6
            Originally posted by আদনানমারুফ View Post
            জাযাকাল্লাহ আখি, সুন্দর লিখেছেন, কুরআন হতে আমরা এ বিষয়টি জানতে পারি, সুলাইমান আলাইহিস সালাম যখন বিলকিসের সিংহাসনটি নিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন এবং চোখের পলকে তা তাঁর সামনে হাজির হয়ে গেলো, তখন তিনি তার এই মুজিযাকে নিজের শক্তিমত্তা না বলে আল্লাহ তায়ালার দিকে সম্বন্ধযুক্ত করেন। তিনি বলেন,

            هَذَا مِنْ فَضْلِ رَبِّي

            এটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। -সূরা নামল, ৪০

            পক্ষান্তরে যখন কারুনকে আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সম্পদ দান করার প্রতি উৎসাহিত করা হয় এবং যমিনে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে নিষেধ করা হয় তখন সেই পাপিষ্ঠ বলে উঠে,

            قَالَ إِنَّمَا أُوتِيتُهُ عَلَى عِلْمٍ عِنْدِي

            আমি তো আমার জ্ঞান (ও যোগ্যতা) বলে এ সম্পদের অধিকারী হয়েছি। -সূরা কাসাস, ৭৮
            যাজাকাল্লাহ ভাই, আসলে কুরয়ানের আয়াত নিয়ে ফিকির করলেই আল্লাহ তায়ালা অনেক কিছু অন্তরে ঢেলে দেন। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ও আমাদের সবাইকে ফিকিরের তাওফীক দান করুন।
            লিখার মধ্যে যা ভুল তা আমার ও শয়তানের পক্ষ থেকে
            আর যদি সঠিক হয় তাহলে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ।
              অনেক সুন্দর পোষ্ট করেছেন।
              আল্লাহ আপনার কাজে বারাকাহ দান করুন,আমিন।
              ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

              Comment

              Working...
              X