Announcement

Collapse
No announcement yet.

খেলাফত না থাকলে কি অন্য কোন তানজীম করা যাবে না? একটি সংশয়ের নিরসন

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    Originally posted by Muhammad bin maslama View Post
    সত্য প্রকাশ!!! ভাই। আপনি এখন কোথায় হারিয়ে গেলেন? আমি সত্য প্রকাশ আইডিদারী ভাইকে বলবো ভাই আমাদের পরিবার, আমাদের দেশ, আমাদের ইসলামকে আমরা নিজেরাই বাচাতে হবে অন্যরা এখানে আসবে না।
    ভাই, সবর করি , হয়তো আমাদের আক্রমনাত্রক কথার কারনে উনি মর্মাহত । তাই রিপ্ল্য এর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। আল্লাহু আ'লাম।

    Comment


    • #17
      সুবহানাল্লাহ! ইল্ম ও জিহাদ ভাই তো ভালোই লিখেন। দয়া করে আপনার পরিচয় টা দিলে ভালো হত। ভাই কোন কোন মাদরাসায় পরেছেন কি কি সনদ হাসিল করেছেন?

      Comment


      • #18
        Originally posted by Mujahid of Hind View Post
        প্রিয় আখি, কী বলে যে, আপনাকে শুকরিয়া জানাবো ভাষা পাচ্ছি না। আজ মুসলিমদের কচু কাটা করা হচ্ছে আর এক শ্রেণীর ভণ্ডরা বলে বেড়াচ্ছে কাফিরদের সাইস করার জন্য তানজিম করা নাকি নাজায়েজ! এদের কে বুঝাবে??? হিদায়ত আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে।
        আল্লাহ তায়ালা এসব গালি বাজ ফাসেকদের থেকে উম্মাহ কে হেফাজত করুন।আমীন।

        Comment


        • #19
          Originally posted by salahuddin aiubi View Post

          আমি “সত্য প্রকাশ” ভাইকে কয়েকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করব:

          ১. এই হাদিসে প্রত্যেকটি الْخَيْرِ ও الشَّرِّ বলতে মৌলিকভাবে শাসকদের শাসনব্যবস্থাকে বুঝানো হয়েছে। তাই যখন বলেছে, الْخَيْرِ থাকবে, কিন্তু তাতে ধুম্রজাল থাকবে, এর দ্বারা ঐ সকল শাসকদেরকে বুঝানো হয়েছে, যাদের শাসনব্যবস্থাকে খেলাফত বলা হলেও তা খেলাফতে রাশেদার *মত নয়। তারপর যে বলা হয়েছে, আরেকটি الشَّرِّ আসবে, তথা জাহান্নামের দরজায় দাড়িয়ে আহ্বানকারীরা, এর দ্বারাও খেলাফত না থাকার যুগের অসংখ্য খণ্ড খণ্ড রাাষ্ট্রের মুরতাদ শাসক ও তাদের শাসনব্যবস্থাকেই বুঝানো হয়েছে। এই অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সকল শাসকদের সাথে না থেকে মুসলমানদের জামাত ও তাদের ইমামের সাথে থাকতে, যদি থাকে।

          অন্যথায় মুসলমানদের জামাত ও ইমাম না থাকলেও এসকল জাহান্নামের দিকে আহ্বানকারী মুরতাদ শাসকদের ছত্রছায়ায় থাকা যাবে না। বরং এদের থেকে পৃথক হয়ে যেতে হবে। যেমনটা মুজাহিদগণ করছেন, এসকল মুরতাদ শাসকদের ছত্রছায়ায় আনুগত্যের জীবন যাপন না করে তাদের শাসনব্যবস্থা থেকে নিজেদেরকে পৃথক করে নিয়েছেন। আর এক্ষেত্রে তাদেরকে যামানার সবচেয়ে কঠিন কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করতে হচ্ছে। আর রাসূল সা. বলেছেন, গাছের শিকর কামড়ে ধরে হলেও এতে অবিচল থাকতে।

          পক্ষান্তরে যারা এ সকল শাসকদের ছত্রছায়ায় আনুগত্যের জীবন যাপন করছে (অর্থাৎ তাদের শাসন ব্যবস্থা থেকে নিজেকে পৃথক করে নিচ্ছে না, তাদের আবার কষ্ট-ক্লেশ কোথায়? তাদের কি কারণে গাছের শিকড় কামড়ে ধরতে হবে?! এই যে, তাবলীগ কত শান্তিতে আছে!! তারপর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানেরা আলেমরা কত শান্তিতে আছে।

          ২. আমি সত্যপ্রকাশ ভাইকে প্রশ্ন করবো: হুযায়ফা রাযি. এর হাদিসে ‘জিহাদ করতে হবে না’... এই কথা আপনি কোথায় পেলেন? এই হাদিসে তো এই ধরণের কোন কথা নেই। এই হাদিস থেকে আপনি এই কথা মনগড়াভাবে কিভাবে আবিস্কার করলেন? আপনি এর উত্তর দিবেন ইংশাআল্লাহ।

          আর কিছু *মুসলমান মিলে জামাতে নামায পড়লে এটা দল হয়ে যায় না, অনেক মুসলমান মিলে ঈদগাহে একত্রিত হয়ে ঈদের নামায পড়লে এটা দল হয়ে যায় না। অনুরূপ আল্লাহ সকল মুসলমানের উপর ইবাদত হিসাবে যে জিহাদ ফরজ করেছেন, কিছু মুসলমান মিলে তা আদায় করলে এটা দল হয়ে যায় না। এটা তো হল ইবাদত হিসাবে সকলকেই করতে হবে।

          ৩. সত্যপ্রকাশ ভাইকে আরেকটি প্রশ্ন করবো: আপনি যে একটি মত অবলম্বন করেছেন-“তাই আমাদেরকে সব দল মত ছেড়ে নিরেটভাবে কোরআন হাদিস অনুযায়ী আমল করে যেতে হবে।”- (অর্থাৎ জিহাদ করা যাবে না।) আপনি তো এর উপর আরোপিত সকল এশকাল দফা করে এই মতটি গ্রহণ করেননি। এই মতের উপর বিশাল বড় এশকাল আসে- তাহলো রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন: لن يبرح هذا الدين قائما يقاتل عليه عصابة من المسلمين حتي تقوم الساعة
          এর ব্যাখ্যায় মিশকাত কিতাবের শরাহ মিরকাতে লিখা হয়েছে-
          قال رسول الله لن يبرح أي لا يزال هذا الدين قائما يقاتل بالتذكير ويجوز تأنيثه أي يجاهد عليه أي على الدين عصابة بكسر أوله أي جماعة من المسلمين والمعنى لا يخلو وجه الأرض من الجهاد إن لم يكن في ناحية يكون في ناحية أخرى حتى تقوم الساعة أي يقرب قيامها قال الطيبي جملة يقاتل مستأنفة بيان للجملة الأولى وعداه بعلى لتضمينه معنى يظاهر أي يظاهرون بالمقاتلة على أعداء الدين يعني أن هذا الدين لم يزل قائما بسبب مقاتلة هذه الطائفة وما أظن هذه العصابة إلا الفئة المنصورة بالشام وفي نسخة زيادة بالمغرب قلت والأغلب في هذا الزمان بالروم نصرهم الله وخذل أعدائهم قال النووي ورد في الحديث لا يزال أهل المغرب ظاهرين على الحق حتى تقوم الساعة قيل هم أهل الشام وما وراء ذلك قلت فيه بحث فإن أهل المغرب أيضا من الأروام وغيرهم يحاربون الكفار أيدهم الله تعالى فالتحقيق أن المراد بالطائفة الجماعة المجاهدة لا على التعيين فإن فيما وراء النهر أيضا طائفة يقاتلون الكفرة قواهم الله تعالى وجزى المجاهدين عنا خيرا حيث قاموا بفرض الكفاية وأعطوا التوفيق والعناية قال النووي وفيه معجزة ظاهرة فإن هذا الوصف لم يزل بحمد الله تعالى من زمن النبي إلى الآن ولا يزال حتى يأتي أمر الله تعالى اه وهو لا ينافي أن يكون خبرا معناه الأمر كقوله تعالى إنا نحن نزلنا الذكر وإنا له لحافظون الحجر فإنا مأمورون وجوبا أن تحفظ القرآن بالقراءات المتواترة على سبيل الكفاية رواه مسلم وكذا أبو داود وفي معناه حديث لا تزال طائفة من أمتي ظاهرين حتى يأتي أمر الله وهم ظاهرون رواه الشيخان عن المغيرة وحديث ولا تزال طائفة من أمتي قوامة على أمر الله لا يضرها من خالفها رواه ابن ماجه عن أبي هريرة رضي الله عنه وحديث لا تزال طائفة من أمتي
          ظاهرين على الحق حتى تقوم الساعة رواه الحاكم عن عمر نعم هذه الأحاديث شاملة للعلماء أيضا حتى قيل المراد بهم علماء الحديث والله أعلم

          তো আপনি এই হাদিসের কি জবাব দিবেন? পরিস্কার হাদিস তো আপনার মতের বিপক্ষে যাচ্ছে। আপনি পরিস্কার হাদিসের এই এশকাল দফ না করেই ওই মতটা গ্রহণ করে নিলেন কিভাবে? আর এই বিষয়বস্তুর আরো অনেক হাদিস ও আয়াত তো আছেই। তাহলে কি আপনি পূর্ব হতে নিজ থেকে একটি মতকে সিলেক্ট করে রেখেছেন, এখন যে যত কথাই বলুক, আপনি আপনার কথার উপরই অটল থাকবেন?

          এক বিষয়বস্তুর সকল নুসুসাত একত্রিত করে সকল এশকাল দফা করে একটি মত গ্রহণ না করে শুধু একটি হাদিস দেখেই একটি মত গ্রহণ করে ফেললে তো গোমরাহী সৃষ্টি হবে।
          ভাই!
          আপনি সকল শার কে শাসকদের সাথে কিভাবে খাস করলেন?! নতুন নতুন আযীব ব্যক্ষ্যা হচ্ছে। সরাসরি সাহেরদের ব্যখ্যা দিলে কথা ছিল।
          আর নিচের যে শরাহ দিয়েছেন , সেখানে ভালো করে দেখেন...ততকালিন সময়ে মরতাদের বিরুদ্দে নয় বরং আসলি কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের কথা বলেছেন ...যা ফরজে কিফায়ার যুদ্ধ চলছিল ইমাম/খলিফা কর্তিক।
          এই ব্যপারে বিস্তারিত লিখি সময় নষ্ট করার প্রয়জন মনে করছি না। আর তায়েফাতুল মানসুরাহ কোন দলের নাম না। অধিকাংশ উলামায়ের কেরামএর মতে এটা আহলুস সুন্নাহ অওাল জামাতের আকিদার অনুসারিদের বুঝানো হয়েছে।
          আর কোন কোন হাদিসেই তায়েফাতুল মানসুরাহ তে যোগ দেওয়ার নির্দেশসূচক একটা হাদিস ও আমি পাই নি।।
          তায়েফাতুল মান্সুরাহ এর সঠিক পরিচয় সালাফদের থেকে জেনে নেই। আসুনঃ

          ইয়াজিদ বিন হারুন রাহ বলেনঃ " قال يزيد بن هارون : إن لم يكونوا أصحاب الحديث فلا أدري من هم ? " তাঁরা যদি “আসহাবুল হাদীছ” তথা হাদিছের অনুসারীগণ না হন তাহলে আমি জানি না তাঁরা কারা। ("السلسلة الصحيحة" 1 / 478
          আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক রাহ বলেনঃ- আমার মতে তায়েফাফাতুল ,আনসুরাহ হলোঃ আসহাবুল হাদিছগন।
          " ذكر ابن المبارك حديث النبي صلى الله عليه وسلم : لا تزال طائفة ... قال ابن المبارك : هم عندي أصحاب الحديث " .
          আলী ইবনে মাদিনী রাহ বলেনঃ- তাঁরা হলো আসহাবুল হাদীছ
          " قال محمد بن إسماعيل ( هو البخاري ) قال علي بن المديني : هم أصحاب الحديث "
          ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রাহ কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ-
          " إن لم تكن هذه الطائفة المنصورة أصحاب الحديث , فلا أدري من هم "
          এই তায়েফাতুল মানসুরাহ যদি আসহাবুল হাদিসগন না হন তাহলে আমি জানি না তাঁরা কারা?
          "السلسلة الصحيحة" 1 / 478)
          কাযী ইয়ায রাহ বলেনঃ
          وقال القاضي عياض موضحاً مراد الإمام أحمد: (إنما أراد أحمد أهل السنة والجماعة، ومن يعتقد مذهب أهل الحديث) ]إكمال المعلم بفوائد مسلم: 6/350[.
          ইমাম আহমাদ রাহ এর বক্তব্যের ব্যপারে বলেনঃ- ইমাম আহমাদ আহলুল হাদিস দারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ কে বুঝিয়েছেন।

          আহমাদ বিন সিনান বলেনঃ هم أهل العلم و أصحاب الآثار তাঁরা হলোঃ আহলুল ইলম (উলামা) ও মুহাদ্দিছগন।
          ইমাম বুখারী রাহ বলেনঃ- : يعني أصحاب الحديث তাঁরা হলেনঃ আসহাবুল হাদীছগন।
          সহীহ বুখারীর অন্যত্র তিনি তায়েফা মানসুরার হাদিছ এনে বাব রচনা করে বাবের নাম দিয়েছেনঃ " و هم أهل العلم " তাঁরা হলেন আহলুল ইলম তথা উলামাগণ।
          আল্লামা নাসীরুদ্দীন আলবানী রাহ বলেনঃ-
          و كان الغرض هناك إفادة القراء ما قاله علماء الأمة و أئمة الحديث في الطائفة المنصورة , و أنهم أهل الحديث ] سلسلة الأحاديث الصحيحة ( 1 - كامل )4-467[
          তায়েফাফাতুল মানসুরাহ এর ব্যপারে উলামায়ে উম্মাহ ও আয়িম্মাতুল হাদিছগণ বলেনঃ তাঁরা হলো আহলুল হাদিছ তথা মুহাদ্দিসগণ।
          আল্লামা সুয়ুতী রহ বলেনঃ
          وذهب السيوطي: إلى أنهم المجتهدون، فلا يخلو الزمان من مجتهد حتى تأتي أشراط الساعة الكبرى[20]. الديباج على صحيح مسلم بن الحجاج: 2/780.
          তাঁরা হলেন মুজতাহিদগণ। কেননা কেয়ামত পর্যন্ত সকল যমানায় মুজতাহিদ থাকবে।

          শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ রাহ আকীদাতুল ওয়াসাতিয়াহ কতাবের ১/২৮ পৃষ্ঠায় বলেনঃ- উনার বক্তব্যের মূল কথাঃ ফিরকায়ে নাজিয়া ই হচ্ছে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ । আর আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ ই হচ্ছে তায়েফাতুল মানসুরাহ। [বিস্তারিত নিচে দেওয়া আছে। ]
          العقيدة الواسطية تأليف : شيخ الإسلام ابن تيمية-1-28 متفرقات والخاتمة-
          لَكِنْ لَمَّا أَخْبَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ أُمَّتُهُ سَتَفْتَرِقُ عَلَى ثَلاثٍ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً؛ كُلُّهَا فِي النَّار؛ إلاَّ وَاحِدَةً، وَهِيَ الْجَمَاعَةُ. وَفِي حَدِيثٍ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: (هُمْ مَنْ كَانَ عَلَى مِثْلِ مَا أَنَا عَلَيْهِ الْيَومَ وَأَصْحَابِي)، صَارَ الْمُتَمَسِّكُونَ بِالإسْلامِ الْمَحْضِ الْخَالِصِ عَنِ الشَّوْبِ هُمُ أَهْلُ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ.
          وَفِيهِمُ الصِّدِّيقُونَ، وَالشُّهَدَاءِ، وَالصَّالِحُونَ، وَمِنْهُمُ أَعْلامُ الْهُدَى، وَمَصَابِيحُ الدُّجَى، أُولو الْمَنَاقِبِ الْمَأْثُورَةِ، وَالْفَضَائِلِ الْمَذْكُورَةِ، وَفِيهِمُ الأَبْدَالُ، وَفِيهِمُ أَئِمَّةُ الدِّينِ، الَّذِينَ أَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى هِدَايَتِهِمْ وَدِرَايَتِهِمْ، وَهُمُ الطَّائِفَةُ الْمَنْصُورَةُ الَّذِينَ قَالَ فِيهِمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: (لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي عَلَى الْحَقِّ مَنْصُورَةً، لاَ يَضُرُّهُم مَّنْ خَالَفَهُمْ، وَلاَ مَنْ خَذَلَهُمْ؛ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ)، نَسْأَلُ اللهَ أَنْ يَجْعَلَنَا مِنْهُمْ وَأَنْ لاَ يُزِيغَ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَانَا، وَأَنْ يَهَبَ لَنَا مِن لَّدُنْهُ رَحْمَةً إِنَّهُ هُوَ الوَهَّابُ. وَاللهُ أَعْلَمُ. وَصَلَّى اللهُ عَلَى مُحَمَّدٍ وَآلِهِ وَصَحْبِهِ وَسَلَّمَ تَسْلِيمًا كَثِيرًا..

          ইবনে তাইমিয়া শরহে আকিদাতুল ওয়াসাতিয়াহ এর ১২৪ পৃষ্ঠায় আরো বলেনঃ- - উম্মাতে মুহাম্মদির সকল বাতিল ও পথভ্রষ্ট ফিরকার মাঝে মধ্যমপন্থী দল ( আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআহ ) ই হচ্ছে তায়েফাতুল মানসুরাহ। বিস্তারিত নিন্মে দেখুনঃ-
          وقال ابن تيمية: (بل هم الوسط في فرق الأمة. كما أن الأمة هي الوسط في الأمم، فهم وسط في باب صفات الله سبحانه وتعالى بين أهل التعطيل الجهمية وأهل التمثيل المشبهة، وهم وسط في باب أفعال الله بين الجبرية والقدرية وغيرهم، وفي باب وعيد الله بين المرجئة والوعيدية من القدرية وغيرهم، وفي باب أسماء الإيمان والدين بين الحرورية والمعتزلة وبين المرجئة والجهمية، وفي باب أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم بين الرافضة والخوارج) شرح العقيدة الواسطية: 124[

          ইমাম নববী রাহ শরহে ম্মুসলিম এর মুকাদ্দামাতে বলেন ঃ-
          وأما الإمام النووي فقد قال معمماً القول: (قلت ويحتمل أن هذه الطائفة مفرقة بين أنواع المؤمنين، منهم شجعان مقاتلون، ومنهم فقهاء، ومنهم محدثون، ومنهم زهاد، وآمرون بالمعروف وناهون عن المنكر، ومنهم أهل أنواع أخرى من الخير، ولا يلزم أن يكونوا مجتمعين بل قد يكونون متفرقين في أقطار الأرض)] . شرح صحيح مسلم: 7/77 المقدم[.
          “তায়েফাতুল মানসুরাহ মুমিনদের বিভিন্ন শ্রেণীর (দলে নয়) মধ্যে ছড়িয়ে আছে। যেমন তাদের মধ্যে রয়েছে, বীর সাহসী যোদ্ধাগণ,ফকীহগণ, মুহাদ্দিছগণ, দুনিয়া বিরাগীগণ, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধকারীগন, অনুরুপভাবে কল্যাণকর কাজের অন্যন্য শ্রেণীর মুমিনগন ও এর মধ্যে শামিল। তাঁরা একত্রিত থাকা আবশ্যক নয়, বরং তাঁরা জমীনের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে। “ (শরহে সহীহ মুসলিম ৭/৭৭)

          আল্লামা শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ রাহ বলেনঃ-
          من هم أهل الطائفة المنصورة ؟
          قال البخاري : ( هم أهل العلم ) .
          وذكر كثير من العلماء أن المقصود بالطائفة المنصورة هم : ( أهل الحديث )
          وقال النووي : ( ويحتمل أن هذه الطائفة مفرقة بين أنواع المؤمنين : منهم شجعان مقاتلون ، ومنهم فـقـهـاء ، ومنهم محدّثون ، ومنهم زهّاد ، وآمرون بالمعروف وناهـون عن المنكر ومنهم أنواع أخرى من الخير . )
          وقال أيضا : ( يجوز أن تكون الطائفة جماعة متعددة من أنواع المؤمنين ، ما بين
          شجاع وبصير بالحرب وفقيه ومحدّث ومفسّر وقائم بالأمر بالمعروف والنهي عن المنكر وزاهد وعابد ) .
          وقال ابن حجر رحمه الله - مفصّلاً القول في المسألة ( ولا يلزم أن يكونوا مجتمعين في بلد واحد بل يجوز اجتماعهم في قطر واحد وافتراقهم في أقطار الأرض ، ويجوز أن يجتمعوا في البلد الواحد وأن يكونوا في بعض منه دون بعض ، ويجوز إخلاء الأرض كلها من بعضهم أولاً فأولاً ، إلى أن لا يبقى إلا فرقة واحدة ببلد واحد فإذا انقرضوا جاء أمر الله )
          “কারা তায়েফাতুল মানসুরাহ?
          ইমাম বুখারী বলেনঃ- তাঁরা হলেন উলামাগন।
          অসংখ্য উলামায়ে কেরাম তায়েফাতুল মানসুরাহ বলতে “আহলুল হাদীছগণ” এর কথা উল্লেখ করেছেন।
          ইমাম নববী বলেনঃ- তায়েফাতুল মানসুরাহ মুমিনদের বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে ছড়িয়ে আছে। যেমন তাদের মধ্যে রয়েছে, বীর সাহসী যোদ্ধাগণ,ফকীহগণ, মুহাদ্দিছগণ, দুনিয়া বিরাগীগণ, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধকারীগন, অনুরুপভাবে কল্যাণকর কাজের অন্যন্য শ্রেণীর মুমিনগন ও এর মধ্যে শামিল। তাঁরা একত্রিত থাকা আবশ্যক নয়, বরং তাঁরা জমীনের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে। (শরহে সহীহ মুসলিম ৭/৭৭)
          শাইখ মুনাজ্জিদ বলেনঃ
          وكلام العلماء يدور على أن هذه الطائفة ليست محصورة في فئة معينة من الناس كما أنـها ليست محددة ببلد معين ، وإن كان آخرها يكون بالشام وتقاتل الدجال كما أخبر النبي صلى الله عليه وسلم .
          ولا شك أن المشتغلين بعلم الشريعة - عـقيدة وفقها وحديثا وتفسيرا وتعلما وتعليما ودعوة وتطبيقا - هم أولى القوم بصفة الطائـفة المنصورة وهم الأولى بالدعوة والجهاد والأمر بالمعروف والنهي عن المنكر والرد على أهل البدع إذ أن ذلك كله لابد أن يـقترن بالعلم الصحيح المأخوذ من الوحي .
          نسأل الله أن يجعلنا منهم ، وصلى الله على نبينا محمد
          উয়ালামাগনের কথার সারাংশ হলো; তায়েফাতুল মানসুরাহ মানুষের কোন নির্দিষ্ট দলের মধ্যে ও স্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। যদিও তাঁর শেষ তায়েফাটি (ইমাম মাহদি) শামের মধ্যে দাজ্জালকে হত্যা করবে।
          নিশ্চয়ই ইলমে শরিয়ার আকিদা,ফিকহ,হাদি্*স তাফসীর, তা’লীম, তায়াল্লুম,তাতবীক ইত্যাদির কাজে যারা নিয়োজিত তারাই তায়েফাতুল মানসুরাহ হওয়ার বেশী হকদার।......
          আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভূক্ত করুন। আমীন।
          .https://islamqa.info/ar/206


          قال شيخ الإسلام رحمه الله: " هذا الحديث حديث ثابت متواتر من جهة استفاضة ثبوته عند الأئمة، ومخرج في الصحيحين من غير وجه وفي غيرهما. وهذا الحديث فيه تقرير لكون الأمة سيدخلها افتراق واختلاف في مسائل أصول الدين، ولهذا وصف عليه الصلاة والسلام هذه الطائفة بأنها الفرقة الناجية المنصورة إلى قيام الساعة، وأنهم على أمر الله ورسوله صلى الله عليه وسلم " انتهى من " شرح حديث الافتراق"(1/31) .
          ولمزيد الفائدة ينظر جواب السؤال رقم : (206)

          শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেছেন,……………………
          তায়েফায়ে মানসুরাহ হলো ফিরকায়ে নাজিয়া। তারাই কিয়ামত পর্যন্ত সাহায্যপ্রাপ্ত হবেন। তাঁরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিধানের উপর কায়েম থাকবে। “শরহে হাদিসে আল ইফতেরাক” ১/৩১)

          Comment


          • #20
            Originally posted by Ustad Ahmad Faruq View Post
            ভাই! আপনি এভামে ভিন্নমতকে আক্রমন করে গালি দিয়ে কথা বলছেন কেন?!
            কারো সমস্যা থাকলে শালিন ভাষায় আদবের সাথে কথা বলতে শিখা দরকার আমাদের। উনি ভন্ড না ভালো সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। তাহলে তো উনি ও আপনাকে বা আমাকে উলটা একই জবাব বা এক ধাপ বেড়ে বলার সুজগ আপনি নিজেই করে দিচ্ছেন! সন্মানিত মডারেটোর ভাইদের নিকট কি এইসব গালি/আক্রমন্মূলক কথাগুলো দৃষতিগোচর হয় না।
            আসুন আমরা শালিন হয়। আন্দাজে কাউকে কার গুলাম না বানাই। এখানে দলিল এর আলোকে আলচনা হতে পারে। তাই বলে এত কিছু কিভাবে বলেন আপনি! হাশরের মাঠে এই জন্যে হিসাব দিতে হবে আপনার দাবি মিথ্যা হলে।
            ভাই,যারা মুসলিমদের হত্যার সুযোগ করে দিইএবং দ্বীনের বিকৃতিকে চেয়ে চেয়ে দেখে এদের ভণ্ড না অন্য বলা উচিত ছিলো। আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, শাইখ সুদাইস একবার দুয়াই বলা ছিলো ট্রাম্প ও সালমান নাকি বিশ্ব শান্তির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এব্যাপারে আপনার অভিমত কি????
            ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

            Comment


            • #21
              Originally posted by karimul islam View Post
              হাদিসে ৭৩ দলে বিভক্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। ১ টা সঠিক ও ৭২ টি ভ্রান্ত। যদি দল করলে ৭২ ফেরকার কোন ফিরকায় পড়তে হয় তাহলে মুসলিমদের খলিফা যখন থাকবেনা তখন আহলুস সুন্নাহর জামাত হবে কারা? আর বর্তমান যামানায় আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত কারা?সঠিক দল তো একটা আছে? সেটি কারা হবে? তারা সবাই কি একাকী বসে থাকবে?
              খলিফা না থাকলে যখন দিফায়ী জিহাদ হবে তখন দিফায়ী জিহাদ বাদ দিয়ে কি বসে থাকতে হবে? কারন এখানে জিহাদ করতে তো সবাই একসাথে হবে তখন একটা দলের মত হয়ে যাবে। এখানে যেহেতু দল নিষেধ তাহলে এ দল করাও নিষেধ। তাহলে সমস্ত ফুকাহায়ে কেরাম যে ফতুয়া দিয়েছেন "দিফায়ী জিহাদের ক্ষেত্রে কোন আমির লাগবেনা এটার ব্যাপারে কি বলেন?
              ইবনে তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ মংগলদের সাথে জিহাদ করেছেন তখন খলিফা কে ছিল? খলিফা না থাকলে উনি দল বানালেন কেন?সালাহুদ্দীন আইয়ুবি রহিমাহুল্লাহ উনি কি খলিফা ছিলেন? নুরুদ্দীন জেংকির মৃত্যুর পরে উনি কোন খেলাফাতের অধীনে যুদ্ধ করেছেন? উনি দল বানিয়েছেন কেন?
              আপনি কি পুরো ইসলামী ইতিহাসকে কলংকিত করবেন? হাদিসের ব্যাখ্যা কি শুধু একটি হাদিস থেকে নিলে হবে? নাকি সংশ্লিষ্ট সব হাদিস মিলেয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে?
              আপনি বলেছেন দলমত ছেড়ে দিয়ে নিরেটভাবে কুরয়ান সুন্নাহ অনুসরন করতে হবে। বর্তমানে কেউ জিহাদ না করলে সে কিভাবে কুরয়ান সুন্নাহর অনুসরন করল? আমাকে বুঝিয়ে দিন। যখন মুসলিমদের শাসক কাফের হয়ে যায় তখন তাকে অপসারনের চেষ্টা না করে সামর্থ্যের মাঝে থাকা আমল করলে কিভাবে কুরয়ান সুন্নাহ মানা হচ্ছে? আহলুস সুন্নাহর আকিদা কি এমন?
              সব হাদিসেরই ব্যাখ্যা আছে। সবার ব্যাখ্যা মিলতে না ও পারে। এ ব্যাখ্যায়ও মতানৈক্য থাকতে পারে। ইলম ও জিহাদ ভাই যে আলোচনা করেছেন এর বিরুদ্ধে বাইযাবীর ব্যাখ্যা দিয়ে কিভাবে দলীল দিচ্ছেন যখন অন্যান্য হাদিসের সাথে এটা সাংঘর্ষিক।
              ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের পোস্টটা পড়ুন। গোড়ামী ও দালালী ছাড়ু ন। ফোরামে ফিতনা ছড়াবেন না।
              ভাই কি দালালি আপনি করছেন না সত্য প্রকাশ ভাই করছে এটা বুঝা যাবে কেয়ামতের মাঠে প্রমানিত হবে ইনশাআল্লাহ এখানে গায়ের জুরে ও নিজের ইচ্ছামত না বুঝে কুরয়ান হাদিস থেকে বুঝতে হবে।

              Comment


              • #22
                Originally posted by Ustad Ahmad Faruq View Post


                ভাই!
                আপনি সকল শার কে শাসকদের সাথে কিভাবে খাস করলেন?! নতুন নতুন আযীব ব্যক্ষ্যা হচ্ছে। সরাসরি সাহেরদের ব্যখ্যা দিলে কথা ছিল।
                আর নিচের যে শরাহ দিয়েছেন , সেখানে ভালো করে দেখেন...ততকালিন সময়ে মরতাদের বিরুদ্দে নয় বরং আসলি কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের কথা বলেছেন ...যা ফরজে কিফায়ার যুদ্ধ চলছিল ইমাম/খলিফা কর্তিক।
                এই ব্যপারে বিস্তারিত লিখি সময় নষ্ট করার প্রয়জন মনে করছি না। আর তায়েফাতুল মানসুরাহ কোন দলের নাম না। অধিকাংশ উলামায়ের কেরামএর মতে এটা আহলুস সুন্নাহ অওাল জামাতের আকিদার অনুসারিদের বুঝানো হয়েছে।
                আর কোন কোন হাদিসেই তায়েফাতুল মানসুরাহ তে যোগ দেওয়ার নির্দেশসূচক একটা হাদিস ও আমি পাই নি।।
                তায়েফাতুল মান্সুরাহ এর সঠিক পরিচয় সালাফদের থেকে জেনে নেই। আসুনঃ

                ইয়াজিদ বিন হারুন রাহ বলেনঃ " قال يزيد بن هارون : إن لم يكونوا أصحاب الحديث فلا أدري من هم ? " তাঁরা যদি “আসহাবুল হাদীছ” তথা হাদিছের অনুসারীগণ না হন তাহলে আমি জানি না তাঁরা কারা। ("السلسلة الصحيحة" 1 / 478
                আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক রাহ বলেনঃ- আমার মতে তায়েফাফাতুল ,আনসুরাহ হলোঃ আসহাবুল হাদিছগন।
                " ذكر ابن المبارك حديث النبي صلى الله عليه وسلم : لا تزال طائفة ... قال ابن المبارك : هم عندي أصحاب الحديث " .
                আলী ইবনে মাদিনী রাহ বলেনঃ- তাঁরা হলো আসহাবুল হাদীছ
                " قال محمد بن إسماعيل ( هو البخاري ) قال علي بن المديني : هم أصحاب الحديث "
                ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রাহ কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ-
                " إن لم تكن هذه الطائفة المنصورة أصحاب الحديث , فلا أدري من هم "
                এই তায়েফাতুল মানসুরাহ যদি আসহাবুল হাদিসগন না হন তাহলে আমি জানি না তাঁরা কারা?
                "السلسلة الصحيحة" 1 / 478)
                কাযী ইয়ায রাহ বলেনঃ
                وقال القاضي عياض موضحاً مراد الإمام أحمد: (إنما أراد أحمد أهل السنة والجماعة، ومن يعتقد مذهب أهل الحديث) ]إكمال المعلم بفوائد مسلم: 6/350[.
                ইমাম আহমাদ রাহ এর বক্তব্যের ব্যপারে বলেনঃ- ইমাম আহমাদ আহলুল হাদিস দারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ কে বুঝিয়েছেন।

                আহমাদ বিন সিনান বলেনঃ هم أهل العلم و أصحاب الآثار তাঁরা হলোঃ আহলুল ইলম (উলামা) ও মুহাদ্দিছগন।
                ইমাম বুখারী রাহ বলেনঃ- : يعني أصحاب الحديث তাঁরা হলেনঃ আসহাবুল হাদীছগন।
                সহীহ বুখারীর অন্যত্র তিনি তায়েফা মানসুরার হাদিছ এনে বাব রচনা করে বাবের নাম দিয়েছেনঃ " و هم أهل العلم " তাঁরা হলেন আহলুল ইলম তথা উলামাগণ।
                আল্লামা নাসীরুদ্দীন আলবানী রাহ বলেনঃ-
                و كان الغرض هناك إفادة القراء ما قاله علماء الأمة و أئمة الحديث في الطائفة المنصورة , و أنهم أهل الحديث ] سلسلة الأحاديث الصحيحة ( 1 - كامل )4-467[
                তায়েফাফাতুল মানসুরাহ এর ব্যপারে উলামায়ে উম্মাহ ও আয়িম্মাতুল হাদিছগণ বলেনঃ তাঁরা হলো আহলুল হাদিছ তথা মুহাদ্দিসগণ।
                আল্লামা সুয়ুতী রহ বলেনঃ
                وذهب السيوطي: إلى أنهم المجتهدون، فلا يخلو الزمان من مجتهد حتى تأتي أشراط الساعة الكبرى[20]. الديباج على صحيح مسلم بن الحجاج: 2/780.
                তাঁরা হলেন মুজতাহিদগণ। কেননা কেয়ামত পর্যন্ত সকল যমানায় মুজতাহিদ থাকবে।

                শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ রাহ আকীদাতুল ওয়াসাতিয়াহ কতাবের ১/২৮ পৃষ্ঠায় বলেনঃ- উনার বক্তব্যের মূল কথাঃ ফিরকায়ে নাজিয়া ই হচ্ছে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ । আর আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ ই হচ্ছে তায়েফাতুল মানসুরাহ। [বিস্তারিত নিচে দেওয়া আছে। ]
                العقيدة الواسطية تأليف : شيخ الإسلام ابن تيمية-1-28 متفرقات والخاتمة-
                لَكِنْ لَمَّا أَخْبَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ أُمَّتُهُ سَتَفْتَرِقُ عَلَى ثَلاثٍ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً؛ كُلُّهَا فِي النَّار؛ إلاَّ وَاحِدَةً، وَهِيَ الْجَمَاعَةُ. وَفِي حَدِيثٍ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: (هُمْ مَنْ كَانَ عَلَى مِثْلِ مَا أَنَا عَلَيْهِ الْيَومَ وَأَصْحَابِي)، صَارَ الْمُتَمَسِّكُونَ بِالإسْلامِ الْمَحْضِ الْخَالِصِ عَنِ الشَّوْبِ هُمُ أَهْلُ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ.
                وَفِيهِمُ الصِّدِّيقُونَ، وَالشُّهَدَاءِ، وَالصَّالِحُونَ، وَمِنْهُمُ أَعْلامُ الْهُدَى، وَمَصَابِيحُ الدُّجَى، أُولو الْمَنَاقِبِ الْمَأْثُورَةِ، وَالْفَضَائِلِ الْمَذْكُورَةِ، وَفِيهِمُ الأَبْدَالُ، وَفِيهِمُ أَئِمَّةُ الدِّينِ، الَّذِينَ أَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى هِدَايَتِهِمْ وَدِرَايَتِهِمْ، وَهُمُ الطَّائِفَةُ الْمَنْصُورَةُ الَّذِينَ قَالَ فِيهِمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: (لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي عَلَى الْحَقِّ مَنْصُورَةً، لاَ يَضُرُّهُم مَّنْ خَالَفَهُمْ، وَلاَ مَنْ خَذَلَهُمْ؛ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ)، نَسْأَلُ اللهَ أَنْ يَجْعَلَنَا مِنْهُمْ وَأَنْ لاَ يُزِيغَ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَانَا، وَأَنْ يَهَبَ لَنَا مِن لَّدُنْهُ رَحْمَةً إِنَّهُ هُوَ الوَهَّابُ. وَاللهُ أَعْلَمُ. وَصَلَّى اللهُ عَلَى مُحَمَّدٍ وَآلِهِ وَصَحْبِهِ وَسَلَّمَ تَسْلِيمًا كَثِيرًا..

                ইবনে তাইমিয়া শরহে আকিদাতুল ওয়াসাতিয়াহ এর ১২৪ পৃষ্ঠায় আরো বলেনঃ- - উম্মাতে মুহাম্মদির সকল বাতিল ও পথভ্রষ্ট ফিরকার মাঝে মধ্যমপন্থী দল ( আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআহ ) ই হচ্ছে তায়েফাতুল মানসুরাহ। বিস্তারিত নিন্মে দেখুনঃ-
                وقال ابن تيمية: (بل هم الوسط في فرق الأمة. كما أن الأمة هي الوسط في الأمم، فهم وسط في باب صفات الله سبحانه وتعالى بين أهل التعطيل الجهمية وأهل التمثيل المشبهة، وهم وسط في باب أفعال الله بين الجبرية والقدرية وغيرهم، وفي باب وعيد الله بين المرجئة والوعيدية من القدرية وغيرهم، وفي باب أسماء الإيمان والدين بين الحرورية والمعتزلة وبين المرجئة والجهمية، وفي باب أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم بين الرافضة والخوارج) شرح العقيدة الواسطية: 124[

                ইমাম নববী রাহ শরহে ম্মুসলিম এর মুকাদ্দামাতে বলেন ঃ-
                وأما الإمام النووي فقد قال معمماً القول: (قلت ويحتمل أن هذه الطائفة مفرقة بين أنواع المؤمنين، منهم شجعان مقاتلون، ومنهم فقهاء، ومنهم محدثون، ومنهم زهاد، وآمرون بالمعروف وناهون عن المنكر، ومنهم أهل أنواع أخرى من الخير، ولا يلزم أن يكونوا مجتمعين بل قد يكونون متفرقين في أقطار الأرض)] . شرح صحيح مسلم: 7/77 المقدم[.
                “তায়েফাতুল মানসুরাহ মুমিনদের বিভিন্ন শ্রেণীর (দলে নয়) মধ্যে ছড়িয়ে আছে। যেমন তাদের মধ্যে রয়েছে, বীর সাহসী যোদ্ধাগণ,ফকীহগণ, মুহাদ্দিছগণ, দুনিয়া বিরাগীগণ, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধকারীগন, অনুরুপভাবে কল্যাণকর কাজের অন্যন্য শ্রেণীর মুমিনগন ও এর মধ্যে শামিল। তাঁরা একত্রিত থাকা আবশ্যক নয়, বরং তাঁরা জমীনের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে। “ (শরহে সহীহ মুসলিম ৭/৭৭)

                আল্লামা শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ রাহ বলেনঃ-
                من هم أهل الطائفة المنصورة ؟
                قال البخاري : ( هم أهل العلم ) .
                وذكر كثير من العلماء أن المقصود بالطائفة المنصورة هم : ( أهل الحديث )
                وقال النووي : ( ويحتمل أن هذه الطائفة مفرقة بين أنواع المؤمنين : منهم شجعان مقاتلون ، ومنهم فـقـهـاء ، ومنهم محدّثون ، ومنهم زهّاد ، وآمرون بالمعروف وناهـون عن المنكر ومنهم أنواع أخرى من الخير . )
                وقال أيضا : ( يجوز أن تكون الطائفة جماعة متعددة من أنواع المؤمنين ، ما بين
                شجاع وبصير بالحرب وفقيه ومحدّث ومفسّر وقائم بالأمر بالمعروف والنهي عن المنكر وزاهد وعابد ) .
                وقال ابن حجر رحمه الله - مفصّلاً القول في المسألة ( ولا يلزم أن يكونوا مجتمعين في بلد واحد بل يجوز اجتماعهم في قطر واحد وافتراقهم في أقطار الأرض ، ويجوز أن يجتمعوا في البلد الواحد وأن يكونوا في بعض منه دون بعض ، ويجوز إخلاء الأرض كلها من بعضهم أولاً فأولاً ، إلى أن لا يبقى إلا فرقة واحدة ببلد واحد فإذا انقرضوا جاء أمر الله )
                “কারা তায়েফাতুল মানসুরাহ?
                ইমাম বুখারী বলেনঃ- তাঁরা হলেন উলামাগন।
                অসংখ্য উলামায়ে কেরাম তায়েফাতুল মানসুরাহ বলতে “আহলুল হাদীছগণ” এর কথা উল্লেখ করেছেন।
                ইমাম নববী বলেনঃ- তায়েফাতুল মানসুরাহ মুমিনদের বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে ছড়িয়ে আছে। যেমন তাদের মধ্যে রয়েছে, বীর সাহসী যোদ্ধাগণ,ফকীহগণ, মুহাদ্দিছগণ, দুনিয়া বিরাগীগণ, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধকারীগন, অনুরুপভাবে কল্যাণকর কাজের অন্যন্য শ্রেণীর মুমিনগন ও এর মধ্যে শামিল। তাঁরা একত্রিত থাকা আবশ্যক নয়, বরং তাঁরা জমীনের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে। (শরহে সহীহ মুসলিম ৭/৭৭)
                শাইখ মুনাজ্জিদ বলেনঃ
                وكلام العلماء يدور على أن هذه الطائفة ليست محصورة في فئة معينة من الناس كما أنـها ليست محددة ببلد معين ، وإن كان آخرها يكون بالشام وتقاتل الدجال كما أخبر النبي صلى الله عليه وسلم .
                ولا شك أن المشتغلين بعلم الشريعة - عـقيدة وفقها وحديثا وتفسيرا وتعلما وتعليما ودعوة وتطبيقا - هم أولى القوم بصفة الطائـفة المنصورة وهم الأولى بالدعوة والجهاد والأمر بالمعروف والنهي عن المنكر والرد على أهل البدع إذ أن ذلك كله لابد أن يـقترن بالعلم الصحيح المأخوذ من الوحي .
                نسأل الله أن يجعلنا منهم ، وصلى الله على نبينا محمد
                উয়ালামাগনের কথার সারাংশ হলো; তায়েফাতুল মানসুরাহ মানুষের কোন নির্দিষ্ট দলের মধ্যে ও স্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। যদিও তাঁর শেষ তায়েফাটি (ইমাম মাহদি) শামের মধ্যে দাজ্জালকে হত্যা করবে।
                নিশ্চয়ই ইলমে শরিয়ার আকিদা,ফিকহ,হাদি্*স তাফসীর, তা’লীম, তায়াল্লুম,তাতবীক ইত্যাদির কাজে যারা নিয়োজিত তারাই তায়েফাতুল মানসুরাহ হওয়ার বেশী হকদার।......
                আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভূক্ত করুন। আমীন।
                .https://islamqa.info/ar/206


                قال شيخ الإسلام رحمه الله: " هذا الحديث حديث ثابت متواتر من جهة استفاضة ثبوته عند الأئمة، ومخرج في الصحيحين من غير وجه وفي غيرهما. وهذا الحديث فيه تقرير لكون الأمة سيدخلها افتراق واختلاف في مسائل أصول الدين، ولهذا وصف عليه الصلاة والسلام هذه الطائفة بأنها الفرقة الناجية المنصورة إلى قيام الساعة، وأنهم على أمر الله ورسوله صلى الله عليه وسلم " انتهى من " شرح حديث الافتراق"(1/31) .
                ولمزيد الفائدة ينظر جواب السؤال رقم : (206)

                শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেছেন,……………………
                তায়েফায়ে মানসুরাহ হলো ফিরকায়ে নাজিয়া। তারাই কিয়ামত পর্যন্ত সাহায্যপ্রাপ্ত হবেন। তাঁরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিধানের উপর কায়েম থাকবে। “শরহে হাদিসে আল ইফতেরাক” ১/৩১)
                আল্লাহ তায়ালা আমাদের বুঝ দান করুন আমিন ustad ahmad faruk ভাইকে আল্লাহ কবুল করুন।

                Comment


                • #23
                  Originally posted by Ustad Ahmad Faruq View Post
                  সুবহানাল্লাহ! ইল্ম ও জিহাদ ভাই তো ভালোই লিখেন। দয়া করে আপনার পরিচয় টা দিলে ভালো হত। ভাই কোন কোন মাদরাসায় পরেছেন কি কি সনদ হাসিল করেছেন?
                  গোয়েন্দারা তো এত নির্বোধ হওয়ার কথা না যে, সরাসরি আম ফোরামে কারো পরিচয় জিজ্ঞেস করবে। তবে আপনাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে কিছু গোয়েন্দা এমন নির্বোধও আছে। আচ্ছা, আপনার পরিচয়টা একটু বলুন তো, আপনার বাড়ি কোথায়? আপনি কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পড়েছেন? কি কি ডিগ্রি হাসিল করেছেন? এখন কোন ডিপার্টমেন্টে থেকে ফিতনা ছড়ানোয় লিপ্ত আছেন?

                  Comment


                  • #24
                    Originally posted by Ustad Ahmad Faruq View Post


                    ভাই!
                    আপনি সকল শার কে শাসকদের সাথে কিভাবে খাস করলেন?! নতুন নতুন আযীব ব্যক্ষ্যা হচ্ছে। সরাসরি সাহেরদের ব্যখ্যা দিলে কথা ছিল।
                    আর নিচের যে শরাহ দিয়েছেন , সেখানে ভালো করে দেখেন...ততকালিন সময়ে মরতাদের বিরুদ্দে নয় বরং আসলি কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের কথা বলেছেন ...যা ফরজে কিফায়ার যুদ্ধ চলছিল ইমাম/খলিফা কর্তিক।
                    এই ব্যপারে বিস্তারিত লিখি সময় নষ্ট করার প্রয়জন মনে করছি না। আর তায়েফাতুল মানসুরাহ কোন দলের নাম না। অধিকাংশ উলামায়ের কেরামএর মতে এটা আহলুস সুন্নাহ অওাল জামাতের আকিদার অনুসারিদের বুঝানো হয়েছে।
                    আর কোন কোন হাদিসেই তায়েফাতুল মানসুরাহ তে যোগ দেওয়ার নির্দেশসূচক একটা হাদিস ও আমি পাই নি।।
                    তায়েফাতুল মান্সুরাহ এর সঠিক পরিচয় সালাফদের থেকে জেনে নেই। আসুনঃ

                    ইয়াজিদ বিন হারুন রাহ বলেনঃ " قال يزيد بن هارون : إن لم يكونوا أصحاب الحديث فلا أدري من هم ? " তাঁরা যদি “আসহাবুল হাদীছ” তথা হাদিছের অনুসারীগণ না হন তাহলে আমি জানি না তাঁরা কারা। ("السلسلة الصحيحة" 1 / 478
                    আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক রাহ বলেনঃ- আমার মতে তায়েফাফাতুল ,আনসুরাহ হলোঃ আসহাবুল হাদিছগন।
                    " ذكر ابن المبارك حديث النبي صلى الله عليه وسلم : لا تزال طائفة ... قال ابن المبارك : هم عندي أصحاب الحديث " .
                    আলী ইবনে মাদিনী রাহ বলেনঃ- তাঁরা হলো আসহাবুল হাদীছ
                    " قال محمد بن إسماعيل ( هو البخاري ) قال علي بن المديني : هم أصحاب الحديث "
                    ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রাহ কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ-
                    " إن لم تكن هذه الطائفة المنصورة أصحاب الحديث , فلا أدري من هم "
                    এই তায়েফাতুল মানসুরাহ যদি আসহাবুল হাদিসগন না হন তাহলে আমি জানি না তাঁরা কারা?
                    "السلسلة الصحيحة" 1 / 478)
                    কাযী ইয়ায রাহ বলেনঃ
                    وقال القاضي عياض موضحاً مراد الإمام أحمد: (إنما أراد أحمد أهل السنة والجماعة، ومن يعتقد مذهب أهل الحديث) ]إكمال المعلم بفوائد مسلم: 6/350[.
                    ইমাম আহমাদ রাহ এর বক্তব্যের ব্যপারে বলেনঃ- ইমাম আহমাদ আহলুল হাদিস দারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ কে বুঝিয়েছেন।

                    আহমাদ বিন সিনান বলেনঃ هم أهل العلم و أصحاب الآثار তাঁরা হলোঃ আহলুল ইলম (উলামা) ও মুহাদ্দিছগন।
                    ইমাম বুখারী রাহ বলেনঃ- : يعني أصحاب الحديث তাঁরা হলেনঃ আসহাবুল হাদীছগন।
                    সহীহ বুখারীর অন্যত্র তিনি তায়েফা মানসুরার হাদিছ এনে বাব রচনা করে বাবের নাম দিয়েছেনঃ " و هم أهل العلم " তাঁরা হলেন আহলুল ইলম তথা উলামাগণ।
                    আল্লামা নাসীরুদ্দীন আলবানী রাহ বলেনঃ-
                    و كان الغرض هناك إفادة القراء ما قاله علماء الأمة و أئمة الحديث في الطائفة المنصورة , و أنهم أهل الحديث ] سلسلة الأحاديث الصحيحة ( 1 - كامل )4-467[
                    তায়েফাফাতুল মানসুরাহ এর ব্যপারে উলামায়ে উম্মাহ ও আয়িম্মাতুল হাদিছগণ বলেনঃ তাঁরা হলো আহলুল হাদিছ তথা মুহাদ্দিসগণ।
                    আল্লামা সুয়ুতী রহ বলেনঃ
                    وذهب السيوطي: إلى أنهم المجتهدون، فلا يخلو الزمان من مجتهد حتى تأتي أشراط الساعة الكبرى[20]. الديباج على صحيح مسلم بن الحجاج: 2/780.
                    তাঁরা হলেন মুজতাহিদগণ। কেননা কেয়ামত পর্যন্ত সকল যমানায় মুজতাহিদ থাকবে।

                    শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ রাহ আকীদাতুল ওয়াসাতিয়াহ কতাবের ১/২৮ পৃষ্ঠায় বলেনঃ- উনার বক্তব্যের মূল কথাঃ ফিরকায়ে নাজিয়া ই হচ্ছে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ । আর আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ ই হচ্ছে তায়েফাতুল মানসুরাহ। [বিস্তারিত নিচে দেওয়া আছে। ]
                    العقيدة الواسطية تأليف : شيخ الإسلام ابن تيمية-1-28 متفرقات والخاتمة-
                    لَكِنْ لَمَّا أَخْبَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ أُمَّتُهُ سَتَفْتَرِقُ عَلَى ثَلاثٍ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً؛ كُلُّهَا فِي النَّار؛ إلاَّ وَاحِدَةً، وَهِيَ الْجَمَاعَةُ. وَفِي حَدِيثٍ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: (هُمْ مَنْ كَانَ عَلَى مِثْلِ مَا أَنَا عَلَيْهِ الْيَومَ وَأَصْحَابِي)، صَارَ الْمُتَمَسِّكُونَ بِالإسْلامِ الْمَحْضِ الْخَالِصِ عَنِ الشَّوْبِ هُمُ أَهْلُ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ.
                    وَفِيهِمُ الصِّدِّيقُونَ، وَالشُّهَدَاءِ، وَالصَّالِحُونَ، وَمِنْهُمُ أَعْلامُ الْهُدَى، وَمَصَابِيحُ الدُّجَى، أُولو الْمَنَاقِبِ الْمَأْثُورَةِ، وَالْفَضَائِلِ الْمَذْكُورَةِ، وَفِيهِمُ الأَبْدَالُ، وَفِيهِمُ أَئِمَّةُ الدِّينِ، الَّذِينَ أَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى هِدَايَتِهِمْ وَدِرَايَتِهِمْ، وَهُمُ الطَّائِفَةُ الْمَنْصُورَةُ الَّذِينَ قَالَ فِيهِمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: (لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي عَلَى الْحَقِّ مَنْصُورَةً، لاَ يَضُرُّهُم مَّنْ خَالَفَهُمْ، وَلاَ مَنْ خَذَلَهُمْ؛ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ)، نَسْأَلُ اللهَ أَنْ يَجْعَلَنَا مِنْهُمْ وَأَنْ لاَ يُزِيغَ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَانَا، وَأَنْ يَهَبَ لَنَا مِن لَّدُنْهُ رَحْمَةً إِنَّهُ هُوَ الوَهَّابُ. وَاللهُ أَعْلَمُ. وَصَلَّى اللهُ عَلَى مُحَمَّدٍ وَآلِهِ وَصَحْبِهِ وَسَلَّمَ تَسْلِيمًا كَثِيرًا..

                    ইবনে তাইমিয়া শরহে আকিদাতুল ওয়াসাতিয়াহ এর ১২৪ পৃষ্ঠায় আরো বলেনঃ- - উম্মাতে মুহাম্মদির সকল বাতিল ও পথভ্রষ্ট ফিরকার মাঝে মধ্যমপন্থী দল ( আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআহ ) ই হচ্ছে তায়েফাতুল মানসুরাহ। বিস্তারিত নিন্মে দেখুনঃ-
                    وقال ابن تيمية: (بل هم الوسط في فرق الأمة. كما أن الأمة هي الوسط في الأمم، فهم وسط في باب صفات الله سبحانه وتعالى بين أهل التعطيل الجهمية وأهل التمثيل المشبهة، وهم وسط في باب أفعال الله بين الجبرية والقدرية وغيرهم، وفي باب وعيد الله بين المرجئة والوعيدية من القدرية وغيرهم، وفي باب أسماء الإيمان والدين بين الحرورية والمعتزلة وبين المرجئة والجهمية، وفي باب أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم بين الرافضة والخوارج) شرح العقيدة الواسطية: 124[

                    ইমাম নববী রাহ শরহে ম্মুসলিম এর মুকাদ্দামাতে বলেন ঃ-
                    وأما الإمام النووي فقد قال معمماً القول: (قلت ويحتمل أن هذه الطائفة مفرقة بين أنواع المؤمنين، منهم شجعان مقاتلون، ومنهم فقهاء، ومنهم محدثون، ومنهم زهاد، وآمرون بالمعروف وناهون عن المنكر، ومنهم أهل أنواع أخرى من الخير، ولا يلزم أن يكونوا مجتمعين بل قد يكونون متفرقين في أقطار الأرض)] . شرح صحيح مسلم: 7/77 المقدم[.
                    “তায়েফাতুল মানসুরাহ মুমিনদের বিভিন্ন শ্রেণীর (দলে নয়) মধ্যে ছড়িয়ে আছে। যেমন তাদের মধ্যে রয়েছে, বীর সাহসী যোদ্ধাগণ,ফকীহগণ, মুহাদ্দিছগণ, দুনিয়া বিরাগীগণ, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধকারীগন, অনুরুপভাবে কল্যাণকর কাজের অন্যন্য শ্রেণীর মুমিনগন ও এর মধ্যে শামিল। তাঁরা একত্রিত থাকা আবশ্যক নয়, বরং তাঁরা জমীনের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে। “ (শরহে সহীহ মুসলিম ৭/৭৭)

                    আল্লামা শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ রাহ বলেনঃ-
                    من هم أهل الطائفة المنصورة ؟
                    قال البخاري : ( هم أهل العلم ) .
                    وذكر كثير من العلماء أن المقصود بالطائفة المنصورة هم : ( أهل الحديث )
                    وقال النووي : ( ويحتمل أن هذه الطائفة مفرقة بين أنواع المؤمنين : منهم شجعان مقاتلون ، ومنهم فـقـهـاء ، ومنهم محدّثون ، ومنهم زهّاد ، وآمرون بالمعروف وناهـون عن المنكر ومنهم أنواع أخرى من الخير . )
                    وقال أيضا : ( يجوز أن تكون الطائفة جماعة متعددة من أنواع المؤمنين ، ما بين
                    شجاع وبصير بالحرب وفقيه ومحدّث ومفسّر وقائم بالأمر بالمعروف والنهي عن المنكر وزاهد وعابد ) .
                    وقال ابن حجر رحمه الله - مفصّلاً القول في المسألة ( ولا يلزم أن يكونوا مجتمعين في بلد واحد بل يجوز اجتماعهم في قطر واحد وافتراقهم في أقطار الأرض ، ويجوز أن يجتمعوا في البلد الواحد وأن يكونوا في بعض منه دون بعض ، ويجوز إخلاء الأرض كلها من بعضهم أولاً فأولاً ، إلى أن لا يبقى إلا فرقة واحدة ببلد واحد فإذا انقرضوا جاء أمر الله )
                    “কারা তায়েফাতুল মানসুরাহ?
                    ইমাম বুখারী বলেনঃ- তাঁরা হলেন উলামাগন।
                    অসংখ্য উলামায়ে কেরাম তায়েফাতুল মানসুরাহ বলতে “আহলুল হাদীছগণ” এর কথা উল্লেখ করেছেন।
                    ইমাম নববী বলেনঃ- তায়েফাতুল মানসুরাহ মুমিনদের বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে ছড়িয়ে আছে। যেমন তাদের মধ্যে রয়েছে, বীর সাহসী যোদ্ধাগণ,ফকীহগণ, মুহাদ্দিছগণ, দুনিয়া বিরাগীগণ, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধকারীগন, অনুরুপভাবে কল্যাণকর কাজের অন্যন্য শ্রেণীর মুমিনগন ও এর মধ্যে শামিল। তাঁরা একত্রিত থাকা আবশ্যক নয়, বরং তাঁরা জমীনের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে। (শরহে সহীহ মুসলিম ৭/৭৭)
                    শাইখ মুনাজ্জিদ বলেনঃ
                    وكلام العلماء يدور على أن هذه الطائفة ليست محصورة في فئة معينة من الناس كما أنـها ليست محددة ببلد معين ، وإن كان آخرها يكون بالشام وتقاتل الدجال كما أخبر النبي صلى الله عليه وسلم .
                    ولا شك أن المشتغلين بعلم الشريعة - عـقيدة وفقها وحديثا وتفسيرا وتعلما وتعليما ودعوة وتطبيقا - هم أولى القوم بصفة الطائـفة المنصورة وهم الأولى بالدعوة والجهاد والأمر بالمعروف والنهي عن المنكر والرد على أهل البدع إذ أن ذلك كله لابد أن يـقترن بالعلم الصحيح المأخوذ من الوحي .
                    نسأل الله أن يجعلنا منهم ، وصلى الله على نبينا محمد
                    উয়ালামাগনের কথার সারাংশ হলো; তায়েফাতুল মানসুরাহ মানুষের কোন নির্দিষ্ট দলের মধ্যে ও স্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। যদিও তাঁর শেষ তায়েফাটি (ইমাম মাহদি) শামের মধ্যে দাজ্জালকে হত্যা করবে।
                    নিশ্চয়ই ইলমে শরিয়ার আকিদা,ফিকহ,হাদি্*স তাফসীর, তা’লীম, তায়াল্লুম,তাতবীক ইত্যাদির কাজে যারা নিয়োজিত তারাই তায়েফাতুল মানসুরাহ হওয়ার বেশী হকদার।......
                    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভূক্ত করুন। আমীন।
                    .https://islamqa.info/ar/206


                    قال شيخ الإسلام رحمه الله: " هذا الحديث حديث ثابت متواتر من جهة استفاضة ثبوته عند الأئمة، ومخرج في الصحيحين من غير وجه وفي غيرهما. وهذا الحديث فيه تقرير لكون الأمة سيدخلها افتراق واختلاف في مسائل أصول الدين، ولهذا وصف عليه الصلاة والسلام هذه الطائفة بأنها الفرقة الناجية المنصورة إلى قيام الساعة، وأنهم على أمر الله ورسوله صلى الله عليه وسلم " انتهى من " شرح حديث الافتراق"(1/31) .
                    ولمزيد الفائدة ينظر جواب السؤال رقم : (206)

                    শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেছেন,……………………
                    তায়েফায়ে মানসুরাহ হলো ফিরকায়ে নাজিয়া। তারাই কিয়ামত পর্যন্ত সাহায্যপ্রাপ্ত হবেন। তাঁরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিধানের উপর কায়েম থাকবে। “শরহে হাদিসে আল ইফতেরাক” ১/৩১)
                    জনাব সত্যপ্রকাশ! আপনি আমার প্রশ্নকে পাশ কাটিয়ে কথা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেন। কারণ আপনার কাছে প্রশ্নগুলোর কোন উত্তর নেই।
                    আপনি তায়েফাতুল মানসুরার ব্যাপারে ইমামদের অনেক আকওয়াল পেশ করলেন। তো আমি তো তায়েফাতুল মানসুরা বিষয়ে আপনাকে প্রশ্ন করিনি। আমি নির্দিষ্ট একটি হাদিস পেশ করেছি, যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, সর্বদা একটি দল ইসলামের জন্য যুদ্ধ করতে থাকবে। হাদিসের শব্দটি হল, يقاتل عليه عصابة من المسلمين حتي تقوم الساعة আপনি এর জবাব দিন!!
                    আর আপনি যে তায়েফাতুল মানসুরার ব্যাপারে অনেকগুলো উদ্ধিৃতি দিলেন, সেগুলো কি এই হাদিসের ব্যাখ্যা? আপনি এই হাদিসের ভিন্ন ব্যাখ্যা থাকলে পেশ করুন! কেউ যদি এই হাদিসের এমন ব্যাখ্যা করে থাকে যে, “সর্বদা একদল যুদ্ধ করতে থাকবে” এর অর্থ হল, সর্বদা একদল হাদিস বর্ণনা করতে থাকবে, তাহলে সেটা দিন!! আপনি আমার প্রশ্নগুলো উপরে উঠিয়ে সেগুলোর উত্তর না দিয়ে অন্য জায়গায় গিয়ে পানি ঘোলা করছেন্ কেন?

                    আর হুযায়ফা রাযি. এর হাদিসে فاعتزل تلك الفرق كلها এর তো দাঁতভাঙ্গা জবাব পেয়ে গেছেন। সেটার ব্যাপারে আর কোন কথা বলছেন না কেন? সেটার ব্যাপারে কি আপনার কোন উত্তর আছে?

                    আর আপনি ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের জিজ্ঞাসাগুলোর পার্ট পার্ট জবাব দিচ্ছেন না কেন؟ কমেন্ট করছেন, অথচ সেগুলোর জবাব না দিয়ে অন্য কথা বলছেন। তাহলে তো আপনার ভেতরটা উম্মোচিত হয়ে গেল।


                    Comment


                    • #25
                      তায়েফাতুল মানসুরা মুহাদ্দিসগন তখন হবেন যখন তারা পরিপুর্ণ দীন মেনে চলছেন। বর্তমানে জিহাদা ছাড়া কেউ পরিপুর্ন দীন মানতে পারবেনা। কারন জিহাদ ফরযে আইন। এ সময় তরক করা যাবেনা।তাই বর্তমানের যে মুহাদ্দিসরা জিহাদে না এসে জিহাদের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা তো তায়েফাতুল মানসুরা হবেনা।আর আহলুস সুন্নাহ তায়েফাতুল মানসুরা এটা ঠিক। আহলুস সুন্নাহর মাঝে কি জিহাদ নাই? তাহলে বর্তমানে তায়েফা মানসুরা কারা? আহলুস সুন্নাহ কারা? যারা জিহাদ বাদ দিয়ে তায়েফা মানসুরা হয়ে যাবে? আহলুস সুন্নাহ হয়ে যাবে?

                      Comment


                      • #26
                        Originally posted by Ustad Ahmad Faruq View Post
                        সুবহানাল্লাহ! ইল্ম ও জিহাদ ভাই তো ভালোই লিখেন। দয়া করে আপনার পরিচয় টা দিলে ভালো হত। ভাই কোন কোন মাদরাসায় পরেছেন কি কি সনদ হাসিল করেছেন?
                        এটি আমাদের ফোরাম। এখানে অন্য কেও মাস্তানি করুক আমরা চাই না।
                        বিরোধীরা যতই চিল্লাচিল্লি করুক আমরা ইনশাআল্লাহ ত্বাগুতের মসনদে আগুন জ্বালাবোই।
                        والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

                        Comment


                        • #27
                          Originally posted by Ustad Ahmad Faruq View Post
                          আল্লাহ তায়ালা এসব গালি বাজ ফাসেকদের থেকে উম্মাহ কে হেফাজত করুন।আমীন।
                          ফাসেক আরেকজনকে বলছে ফাসেক!!!
                          والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

                          Comment


                          • #28
                            Originally posted by safetyfirst View Post
                            ফাসেক আরেকজনকে বলছে ফাসেক!!!
                            আচ্ছা! আমার ফাসেকির কি প্রমান আপনার কাছে আছে ভাই?! আমি ত এখানে কাউকে গালি দেই নি। জিদের বশে এভাবে চলতে থাকলে ফিতনার প্রলম্বিত হবে।আল্লাহ মাআফ করুন। আমীন।

                            Comment


                            • #29
                              Originally posted by safetyfirst View Post
                              এটি আমাদের ফোরাম। এখানে অন্য কেও মাস্তানি করুক আমরা চাই না।
                              বিরোধীরা যতই চিল্লাচিল্লি করুক আমরা ইনশাআল্লাহ ত্বাগুতের মসনদে আগুন জ্বালাবোই।
                              ভাই! আপনার কথা দেখে মএ হচ্ছে এই ফোরামে ভিন্ন মতের কেউ কথা বলার অনুমতি নেই?! কথা বলা অন্যায়?! তাহলে তো প্রতিটি দল তাদের কাছে আছে তা নিয়েই উৎফুল্ল" প্রমান করছেন। আমি কার দালাল নই। একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় অনেকেই খেয়াল না করে এক তরফাভাবে আক্রমন , দোষারোপ করে যাচ্ছে, আর তা হলো। এই ফোরমাএ এসব বিষোয়ে লেখালেখি শুরু করেছেন কোন আইডি / ব্যক্তি?! আমার দেখেয়া মতে ইলম ও জিহাদ ভাই ি এসব সংষয়ের অবতারনা করেছেন এই ফোরামে। তাই ফিতনা তারাই ছড়াচ্ছেন। না হয় এগুলো এখানে আলচনার কথা না। ইল্ম ও জিহাদ ভাইয়ের একতরফা ব্যখ্যা ও ভুল ব্যাখ্যার কারনে বাকিরা রেপ্ল্যসওরুপ কমেন্ট করেছেন। এখুন এসে উলটা ফিতনা ছড়ানোর তোহমত দেওয়া হচ্ছে কাদেরকে?!! সুনহানাল্লাহ।

                              আর সালাহুদ্দীন আইয়বী ভাই!
                              আপনার বা আপনাদের প্রশ্নের জবাব আমি দিতে পারি তবে এখানে যেভাবে আক্রমন করে কথা বলা হয় গালি দেওয়া হয় আসলে কথা বলার শালিন পরিবেশ এখানে আর বাকি নেই। তাই এই দলিয় ফোরামে আমি রিপ্লায়ি দেওয়ার আগ্রহ নেই।
                              আর আমি যে সত্য কথন আই ডি তা আপনি কিভাবে বললেন???!! আপনি কি গায়েব জানেন ভাই?! ধারনার উপর এভাবে মথ্যা কথা ছড়ানোর কি প্রয়জোন ভাই? তায়েফাতুম মানসুরাহ এর ব্যপারে ইলম ও জিহাদ ভাই বার বার এটাকে একটা দল বলতেছিলেন।তাই ভাইয়ের জন্যে আমি উপড়ের উলামায়ে কেরাম , সালাফগনের সুস্পষ্ট মতামত উল্লেখ করেছি।
                              আসলে এতোদিন ফোরামে এসব আচরন আর আক্রমন দেখে আমার মনে হচ্ছে এ, এখানে এভাবে এগুলোর সুরহা হবে না। পরিবেশ ও না। এইসব ভারচুয়াল জগতে একজন আরেকজঙ্কে জানার ও চেনার,যাচাইয়ের কোনই সুযোগ থাকে না। আমরা কার কাচ থেকে ইলম নিচ্চি তাও বুঝার সুযোগ নেই। এই জন্যেই এই ধরনের অজ্ঞাত ও গোপনীয় জগত থেকে ইলম নেওয়া নিরাপদ নয়। সামনাসামনি বসে আলাপ করাই ফায়দাজনক। আর আমি গোয়েন্দা কিনা তা আপনার বড় ভাইয়ের ভালো ভাবেই জানেন আপনারা না জানলেও। তবে আমি অন্ধ মুকাল্লিদ নই। আমার দ্বীন আমাকে বুঝে নিতে হবে। কম বয়স্ক, অযোগ্য, অপরিচিত ধরা ছূয়ার বাহিরে কোন ভারচুয়াল ব্যক্তি / উতস থেকে ইল্ম নেওয়া আমি সেইফ মনে করি না। তবে হ্যা আমি আপনাদের কথাগুলো পড়ি।দলিল গুলো যাচাই করার চেষ্টা করি সাধ্যমত। আমার কাছে যখনি সত্য হিসেবে প্রিকাশিত হবে সেটা আমি মানতে বাধ্য। আল্লাহর কাছে তাইফিক চাই তিনি যেন তা মানার মাদ্দা আমাকে দান করেন ও সত্যের উপর অটল রাখেন। তাই উম্মাহর বড় বড় গ্রহনযোগ্য উলামাদের নিকট থেকেও আমরা বিষোয়গুলো যাচাই করে নিতে পারি ইনশাল্লাহ,
                              যেমন আমাদের দেশের মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব দা বা এর মতামত জানতে পারি ও শাইখ এর মতাদর্শ জেনে নেওয়া যায়। শাইখ তো এরকম ফাত্বওইয়া ও আমল করছেন অলে আমার জানা নেই। শাইখ কোন দল করেন বলেও জানা নেই। এরকম বর্তমানে পুরা আরব জাহানের আরো অনেক নির্ভরযোগ্য উলামায়ে কেরামগন ও এরকম কোন ফাত্বওইয়া দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। সাশক মুরতাদ হলে হতে পারে...তবে তাঁর ব্যপারে কি করনীয় উলামায়ে কেরামগন বলে দিয়েছেন সে অনুযায়ী আমল করা হবে ইনশাল্লাহ। তবে শাশকের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর মাধ্যম অনেক হতে পারে আল্লাহু আ'লাম। সামর্থ না থাকলে যে হিজরত পর্যন্ত করতে বলা হয়েছে ইল্ম ও জিহাদ ভাইয়ের উল্লেখিত ইজমার বক্তব্যে।

                              আমি আসলে ফোরমাএ এগুলোর আলচনা করতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু ভাইদের নিকট জানতে চাওয়া হলে ভাইরাই ফোরমে প্রশ্ন করতে বলেছিলেন। যদিও সেটাও আমি ভাইদের মধ্যে ভুল বুঝাবুজির আশঙ্কায় ও ভিব্রান্তকর ব্যাখ্যার আশঙ্কায় পরিহার করছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম যে, ভাইরাও নিজ ইচ্ছা ও অনেকটা প্লান মাফিক একের পর এক ঈল্ম ও জিহাদ ভাই (হালত দেখে মনে হচ্ছে ইমারাহ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উনাকে) এই ধরনের সংশয়মূলক পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছেন ছড়াচ্ছেন।
                              উনি ভিন্ন মতকে আক্রমন করেও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলতেও দিধাবোধ করছেন না অনেক সময়। আলেমগনের ভাষা ও আচরন আমরা অনেক উত্তম কামনা করি।
                              আর ইল্ম ও জিহাদ ভাই যেভাবে এগুলো পিছনে সময় ব্য্য করছেন মনে হচ্ছে ভাই অনেকটা ফুল টাইম পষ্ট দেওয়ার পিছনে ব্য্য করেন আল্লাহু আ'লাম। আমি ভাই ব্যস্ত মানুষ রুজি রজগারের ফিকির করে কিছু টাইম করে এখানে সময় দিতে কষ্ট হয়। তাই আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার সময় কুলাতে পারি না। তপবে তাই বলে যে, আপনাদের প্রশ্নের জবাব আমার কাছে নেই তা ন্য। লিখতে সময় লাগে অনেক, সাম্নাস্মনি বস্লে দলিল দিয়ে কথা বলা সহগ হয় সময় ও বাচে।
                              এখানে অনেকটা প্রতিপক্ষের ন্যায় আচরন হয়ে যাচ্ছে। সত্য /সঠিক দলিল পেলেও ক জন মানতে রাজি তা নিয়ে আমার সংশয় হচ্ছে। তাই অবস্থাদৃশটে মনে হচ্ছে ফরাম আজকাল ফিতনায় পরিনত হয়েছে । আল্লাহ তায়ালা আমাকে আপনাদের সবাইকে গুমরাহি থেকে হেফাজত করুন। সঠিক পথে সিরাতে মুসতাকিমে পরিচালিত করুন। আমীন।

                              Comment


                              • #30
                                قُلْتُ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ جَمَاعَةٌ وَلاَ إِمَامٌ قَالَ فَاعْتَزِلْ تِلْكَ الْفِرَقَ كُلَّهَا
                                এখানে হুযাইফা রাঃ হাদিসে (নফীর পরে নফী এনে লায়ে নফী জিন্সের মাধ্যমে নফী করা হয়েছে অর্থাৎ) ইমাম এবং জামাত কোনটিই যদি না থাকে বলা হয়েছে , আর সেটি হবে হুবুবে রীহের পুর্ব মুহুর্তে উকবা ইবনে আমের রাঃ বর্নিত মুসলিম শরীফের বর্ননা ও এটিই , আর এই মতই পূষন করেন নব্ববী আছকালানি সহ অন্যান্য ব্যখ্যাতাগন । পরিষ্কার ভাবে ইমাম এবং জামাত ২ টি বস্তুর শুন্যতার অবস্থায় সব দল ছাড়তে বলা হয়েছে । শুধু ইমাম নাথাকলে জামাত থাকা সত্বেও সব জামাত ছাড়তে বলা হছে কি?

                                وَلَوْ أَنْ تَعَضَّ بِأَصْلِ شَجَرَةٍ حَتَّى يُدْرِكَكَ الْمَوْتُ وَأَنْتَ عَلَى ذَلِكَ
                                কোন গাছের শিকড় কামড়িয়ে পড়ে থাকবে, যতক্ষণ না সে অবস্থায় তোমার মৃত্যু উপস্থিত হয়।
                                এর অর্থ কি এই নয় যে গাছেড় শিকড় কামরে ধরা ছাড়া যদি আর কোন উপায় ই নাথাকে তখনই শিকড় কামড়িয়ে পড়ে তাহাকবে , যদি অন্যান্য আরো যতসামান্য হলেও অন্য কিছু উপায় উপায় শরিয়ত সম্মতভাবে থাকে সেটি কে কি ছাড়তে বলা হয়েছে? ওয়ালাও বিশিক্কি তামরাতিন ।
                                اتقوا النار ولو بشق تمرة
                                "জাহান্নাম থেকে বাচার চেষ্টা করো যদিও খেজুরের টুকরা (ছদকা )দিয়ে হয় "এর অর্থ কি এটা যে পুর্ন খেজুর থাকলেও ভগ্নাংশই দিতে হবে?



                                تحفة الموحدين في بعض مسائل أصول الدين (ص: 332)
                                قال النووي - رحمه الله -: (وهذه كلها وما في معناها على ظاهرها وأما الحديث الآخر (لا تزال طائفة من أمتي ظاهرين على الحق إلى يوم القيامة) فليس مخالف لهذه الأحاديث لأن معنى هذا أنهم لا يزالون على الحق حتى تقبضهم هذه الريح اللينة قرب القيامة وعند تظاهر أشراطها فأطلق في هذا الحديث بقاءهم إلى قيام الساعة على أشراطها ودنوها المتناهي والله أعلم) [شرح صحيح مسلم: 2: ص 132]، وقال - رحمه الله -: (القيامة إنما تقوم على شرار الخلق كما جاء في الرواية الأخرى وتأتى الريح من قبل اليمن فتقبض أرواح المؤمنين قرب الساعة وقد تقدم قريبًا في باب الريح التي تقبض أرواح المؤمنين بيان هذا ..
                                قال القاضي عياض رحمه الله وفى رواية ابن أبى جعفر يقول لا الله إلا الله والله سبحانه وتعالى أعلم) [شرح صحيح مسلم: 2: ص 178]، وقال ابن حجر - رحمه الله -: (والجمع بينه - أي حديث قيام الساعة على شرار الخلق - وبين حديث "لا تزال طائفة" حمل الغاية في حديث لا تزال طائفة على وقت هبوب الريح الطيبة التي تقبض روح كل مؤمن ومسلم فلا يبقى إلا الشرار فتهجم الساعة عليهم بغتة) [فتح الباري: 13: ص 19]، وقال - رحمه الله -: (وقد استشكلوا على ذلك حديث (لا تزال طائفة من أمتي ظاهرين على الحق حتى يأتي أمر الله) فإن ظاهر الأول أنه لا يبقى أحد من المؤمنين فضلًا بالحق وظاهر الثاني البقاء ويمكن أن يكون المراد بقوله "أمر الله" هبوب تلك الريح فيكون الظهور قبل هبوبها فبهذا الجمع يزول الإشكال بتوفيق الله تعالى فأما بعد هبوبها فلا يبقى إلا الشرار وليس فيهم مؤمن فعليهم تقوم الساعة وعلى هذا فآخر الآيات المؤذنة بقيام الساعة هبوب تلك الريح) [فتح الباري: 13: ص 85]، ويؤكد الجمع الذي ذكره النووي وابن حجر رحمهما الله حديث عبد الرحمن بن شماسة المهري عند مسلم قال: كنت عند مسلمة بن مخلد، وعنده عبد الله بن عمرو بن العاص فقال عبد الله: (لا تقوم الساعة إلا على شرار الخلق هم شر من أهل الجاهلية لا يدعون الله بشيء إلا رده عليهم)، فبينما هم على ذلك أقبل عقبة بن عامر فقال له مسلمة: يا عقبة! اسمع ما يقول عبد الله فقال عقبة: هو أعلم وأما أنا فسمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول (لا تزال عصابة من أمتي يقاتلون على أمر الله، قاهرين لعدوهم، لا يضرهم من خالفهم، حتى تأتيهم الساعة، وهم على ذلك)، فقال عبد الله: أجل ثم يبعث الله ريحًا كريح المسك مسها مس الحرير فلا تترك نفسًا في قلبه مثقال حبة من الإيمان إلا قبضته، ثم يبقى شرار الناس، عليهم تقوم الساعة)

                                Comment

                                Working...
                                X