Announcement

Collapse
No announcement yet.

‘অগ্রগামী কাফেলা’ প্রজেক্টের সূচনা ও উম্মাহর প্রতি আবেদন! গৌরবের উত্তরাধিকার আকড়ে ধরা&

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ‘অগ্রগামী কাফেলা’ প্রজেক্টের সূচনা ও উম্মাহর প্রতি আবেদন! গৌরবের উত্তরাধিকার আকড়ে ধরা&

    ‘অগ্রগামী কাফেলা’ প্রজেক্টের সূচনা ও উম্মাহর প্রতি আবেদন!
    ইতিহাস সংরক্ষণ ও গৌরবের উত্তরাধিকার আকড়ে ধরার প্রচেষ্টায়|


    ‘অগ্রগামী কাফেলা’ প্রজেক্টের সূচনা ও উম্মাহর প্রতি আবেদন!

    সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলারই জন্য এবং সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদুর রাসূল্লাহ ﷺ তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবাগণের উপর।

    সম্মানিত ভাইয়েরা! আজকে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও একই সাথে বেদনার বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি। আলহামদুলিল্লাহ এই ভূখ-ের মানুষের জিহাদের ইতিহাস অনেক পুরনো। উপমহাদেশের প্রায় প্রতিটি জিহাদি অঙ্গনে বাংলার বীরপুরুষেরা অংশ গ্রহণ করেছেন। সাইয়েদ আহমাদ শহীদ রহিমাহুল্লাহর জিহাদি আন্দোলন, হাজী শরিয়তুল্লাহ রহিমাহুল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন, শহীদ তিতুমিরের বাশেরকেল্লাহর আন্দোলনসহ আফগান জিহাদ, আরাকান জিহাদেও অংশ নিয়েছেন এই ভূখণ্ডের বীরপুরুষেরা। অনেকে আল্লাহর ইচ্ছায় যুক্ত হয়েছেন গৌরবময় শহীদি কাফেলায়।

    এ মাটিতে তাওহিদবাদী শুহাদার সিলসিলা ছোট নয়... অনেক লম্বা! সেই খুরাসান, শাম থেকে নিয়ে আরাকান ও হিন্দুন্তান জুড়ে যাদের পদচারনা বিস্তৃত! আমরা ভুলিনি গাজী ইমামুদ্দীন বাঙ্গালী রহিমাহুল্লাহর কথা! শাইখ আব্দুর রহমান যশোরী রহিমাহুল্লাহর কথা! আমরা ভুলিনি শাইখ ফজলুর রহমানের কথা। এই তো সেদিন আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন শাইখ মুফতি আব্দুল হান্নান রহিমাহুল্লাহ! আজ চলে গেলেন শাইখ হাফিজ মাওলানা ইয়াহইয়া রহিমাহুল্লাহ! এর আগে তাগুতের কারাগারে জীবন দিয়েছেন শাইখ আবদুর রহমান এবং তাঁর সাথীরা। তাঁদের কাউকেই আমরা ভুলিনি।

    আমাদের মনে আছে খোরাসানের জমিতে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বুকের রক্ত ঢেলে দেয়া উস্তাদ মুহাম্মাদ মিকদাদ, উস্তাদ আবু ইউসুফ আর ভাই সুলাইমানদের কথা, রহিমাহুল্লাহর আজমাইন!

    আলহামদুলিল্লাহ আমাদের অগ্রবর্তীরা ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে ত্যাগ ও কুরবানির উপমা পেশ করে গেছেন! আমাদের চলার পথের পাথেয় রেখে গেছেন! কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হল-

    এই মহাপুরুষদের কীর্তিগাঁথা আমরা স্মরণ রাখিনি! লিপিবদ্ধ রাখিনি! তাঁরা তাঁদের কাজ করে গিয়েছেন, কিন্তু পরের প্রজন্ম আজ তা ভুলতে বসেছে! তাঁদের অবদান আমরা পরের প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারিনি! ফলে প্রজন্মের বড় একটি অংশ বিভ্রান্ত হয়েছে দিকনির্দেশনা না পেয়ে! ভুলে গেছে নিজ করণীয়। ভুলে গেছে নিজ জিম্মাদারির কথা।

    হে ভাই! অতীত, সে তো অতীত হয়ে গেছে! ভুল যা হবার তাতো হয়ে গেছে! কিন্তু আমাদের হাতে এখনো কিছু সময় রয়ে গেছে, আমাদের ভুল শুধরে নেয়ার! এখনো সময় আছে আমাদের পূর্বপুরুষদের কীর্তিগাঁথা সংরক্ষণের! নতুন প্রজন্মকে তাঁদের পূর্বসূরিদের চিনিয়ে দেওয়ার!

    সম্মানিত ভাইয়েরা! আসুন আমরা যার যার জায়গা থেকে অগ্রগামীদের জীবনী, অবদান ও ইতিহাস লিখে রাখি! সংরক্ষণ করি! নতুন প্রজন্মের কাছে বিগত প্রজন্মের বীরত্ব ও ত্যাগের গল্প তুলে ধরা আমাদেরই দায়িত্ব।
    আলা ইন্না নাসরাল্লাহি কারিব!

    সম্মানিত ভাইয়েরা! গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাপারটি নিয়ে আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন শুরু করতে যাচ্ছেন "অগ্রগামী কাফেলা” নামে একটি প্রজেক্ট! বাংলার জিহাদি আন্দোলনের পরিচিত বা অপরিচিত সিংহপুরুষদের নিয়ে আপনিও আপনার স্মৃতিচারণ লিখে পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেইলে! পাঠাতে পারেন বাংলার জিহাদি আন্দোলনের মুজাহিদদের জীবনী, তাঁদের কোন বাণী, তাঁদের লিখিত কোন চিঠি বা বই অথবা বয়ান এমনকি দুর্লভ ভিডিও কিংবা অডিও! ইনশাআল্লাহ প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণ ও তাহকীকের পর এগুলোকে প্রকাশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ!
    আসুন আমরা সবাই শামিল হই ইতিহাস সংরক্ষণ ও গৌরবের উত্তরাধিকার আকড়ে ধরার এ প্রচেষ্টায়।
    লেখা পাঠানোর ঠিকানা- contact@alfirdaws.org







    আরজগুজার
    কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
    আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন
    ৩ আগস্ট ২০১৯ঈসায়ী
    ১ যিলহজ্জ ১৪৪০হিজরি






    PICTURE













    PDF









    VIDEO









    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আল্লাহ আপনাদের কাজকে সফল করুন ৷ আপনাদেরকে কবুল করুন ৷
    মৃত্যু ও বন্দিত্বের ভয় ঝেড়ে ফেলে চলুন ঝাঁপিয়ে পড়ি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে।

    Comment


    • #3
      আমি একসময় হুজির সাথে ছিলাম, কিন্তু আল কায়দার সাথে হুজির পার্থক্যটুকু বুঝে আসে যখন আল কায়দায় যোগদান করি। আল কায়দাই যোগদানের পর আমার খুবকরে বুঝে আমার আগের তানজিমের ভুলগুলো। হুজির সাথে অনেকদিন ছিলাম, হুজির বড় বড় আমিরগন গ্রেফতার হবার পরে হুজির অন্যান্য নেতাদের পক্ষ থেকে সংঘটিত করার কাজটি প্রাই বন্ধ হয়্রে গিয়েছিল। সাথী সংগ্রহের ক্ষেত্রেএ হুজিরকিছু ত্রুটি ছিলো। দেখেছি ওপেন সাথী সংগ্রহ করা হতো, ওপেন মিটিং করা হতো। একজন সাথীকে পুরোপুরি একটিভ করে তুলার ক্ষেত্রে অনেক ত্রুটি ছিলো। সাথী সংগ্রহের কোন পদ্ধতি/ মানহাজের প্রতি লক্ষ রাখা হত না। একজন প্রাতিষ্ঠানিক আমীরের কাছে কেও বলত ভাই আমি হুজির সাথে যোগ দিব, বাস হয়ে যেত। হুজির সাথে পাল্লা দিয়ে জেএমবির ভাইয়েরাও সাথী সংগ্রহ করত। দ্রখা গিয়েছিল একটা গ্রুপ আরেকটা গ্রুপের অপ্রকাশ্য শুত্রু। আর এমনটিই হয়েছিল। আমাদের দেখা ঘটনা ঃ জেএমবির কত ভাইকে ধরয়িয়ে দিয়েছিল সাধারণ মাদ্রাসার ছাত্ররা।।তাহলে বুঝন এদেশের মাদ্রাসাগুলোতে কী দ্বীন শিক্ষ দেওয়া হচ্ছে। এখন মাদ্রাসায় পুরোদমে জিহাদ বিরোধী প্রজম্ম তৈরি হচ্ছে। আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন আমীন।
      والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

      Comment


      • #4
        মুহতারাম ভাইয়েরা! আমরা হাফিজ্জী হুজুরের নাতি শহীদ রহমাতুল্লাহ ভাইকেও ভুলে যাইনি। আল্লাহ সুব. সকলের শাহাদাতগুলো কবুল করুন,আমীন।
        আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
        জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
        বিইযনিল্লাহ!

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়ালা আপনাদের কাজে বারাকাহকে আর বাড়িয়ে দিক আমিন
          জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
          পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ! অত্যন্ত চমৎকার ও সময়উপযোগি একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের প্রজন্ম আসলেই পূর্ববর্তিদের ইতিহাস ভূলেগেছে..! এমনকি কুফ্ফার মিডিয়ার প্রোপাগান্ডার কারনে তারা পূর্ববর্তিদের সম্পর্কে সঠিক ধারনা করতে পারছেনা। তাই আমি বলব ‘আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন’ এর এই উদ্দোগটি যথোপোযুক্ত। আল্লাহ তাআলা আপনাদের কাজগুলোকে সহজ করুন। আমিন
            যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান। (সূরা যুমার-18)

            Comment


            • #7
              Originally posted by খুররাম আশিক View Post
              আমি একসময় হুজির সাথে ছিলাম, কিন্তু আল কায়দার সাথে হুজির পার্থক্যটুকু বুঝে আসে যখন আল কায়দায় যোগদান করি। আল কায়দাই যোগদানের পর আমার খুবকরে বুঝে আমার আগের তানজিমের ভুলগুলো। হুজির সাথে অনেকদিন ছিলাম, হুজির বড় বড় আমিরগন গ্রেফতার হবার পরে হুজির অন্যান্য নেতাদের পক্ষ থেকে সংঘটিত করার কাজটি প্রাই বন্ধ হয়্রে গিয়েছিল। সাথী সংগ্রহের ক্ষেত্রেএ হুজিরকিছু ত্রুটি ছিলো। দেখেছি ওপেন সাথী সংগ্রহ করা হতো, ওপেন মিটিং করা হতো। একজন সাথীকে পুরোপুরি একটিভ করে তুলার ক্ষেত্রে অনেক ত্রুটি ছিলো। সাথী সংগ্রহের কোন পদ্ধতি/ মানহাজের প্রতি লক্ষ রাখা হত না। একজন প্রাতিষ্ঠানিক আমীরের কাছে কেও বলত ভাই আমি হুজির সাথে যোগ দিব, বাস হয়ে যেত। হুজির সাথে পাল্লা দিয়ে জেএমবির ভাইয়েরাও সাথী সংগ্রহ করত। দ্রখা গিয়েছিল একটা গ্রুপ আরেকটা গ্রুপের অপ্রকাশ্য শুত্রু। আর এমনটিই হয়েছিল। আমাদের দেখা ঘটনা ঃ জেএমবির কত ভাইকে ধরয়িয়ে দিয়েছিল সাধারণ মাদ্রাসার ছাত্ররা।।তাহলে বুঝন এদেশের মাদ্রাসাগুলোতে কী দ্বীন শিক্ষ দেওয়া হচ্ছে। এখন মাদ্রাসায় পুরোদমে জিহাদ বিরোধী প্রজম্ম তৈরি হচ্ছে। আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন আমীন।
              এই দেশে হুজির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল প্রেশ ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেই। এটা ছিল সেপ্টেম্বর ইভেন্টের বহু পূর্বে এমনি কি নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের দুই বছরের মাথায়, যখনও নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের হাওয়া মুলত এইদেশের বুকে আঘাত হানে নাই। তাহলে বুঝা যাচ্ছে ঐসময় হুজির আত্মপ্রকাশটা সিক্রেট সংগঠন হিসেবে ছিলনা ছিল কেবলই একটি জিহাদি তানজিম। এবং সেটা কতটুকু বাঞ্ছনীয় ছিল, বাকীদের কথা বলতে পারবোনা, আমি মনে করি সময়ের দাবীতে অধিকাংশই সঠিক ছিল, ফলে আশাতীত ফলাফল এসেছিল, অগনিত লোক ভুলে যাওয়া জিহাদ শব্দটাকে শিক্ষা থেকে বাদ পড়া জিহাদি কাজকে এত বড় একটা ইবাদতকে সাদরে গ্রহন করেছে এবং এটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আর যারা এই কাজকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন, এবং যারা নিয়ে এসেছিলেন তারা ছিলেন এক একজন সহজসরল এবং সরলমনা মানুষগুলো, এক একজন আল্লাহ ওয়ালা এবং জটিলহীন ছিলেন, কিছু দিন আগে চলে যাওয়া আমাদের ইয়াহিয়া (রঃ) ভাই সহ উনার সাথের আমাদের শ্রদ্ধেয় মুরুব্বীগণ। উনাদের উদ্দেশ্য ছিল এই দেশের সব মানুষ এই ইবাদতের ভাগীদার হয়ে যাক। আমি মনে করি, উনাদের দায়িত্বের পুরাটাই উনারা সম্পন্ন করেছেন।
              তারপর এইদেশের মাটিতে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের হাওয়ার আঘাত আসতে শুরু করে, সংগঠনটিও সিক্রেট সংগঠনে রূপান্তর লাভ করে বিশ্বের অন্যান্য সিক্রেট সংগঠনের মতই। নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের আঘাতটা সামাল দেয়া খুব একটা সম্ভব ছিল না। আর ভুল তো প্রত্যেক জায়গায় কিছু না কিছু থাকে। আর সত্যি বলতে এই দুর্যোগের সময় সামনে তো আমরাই ছিলাম আমাদের দায়িত্ব ছিলনা এটা যতটুকু সম্ভব সামাল দেয়ার? আমার মনে হয় যদি ত্রুটি হয় সেগুলো আমাদের উপরই বর্তায়। আল্লাহ আমাদের মাফ করে দিন।
              দুনিয়ার প্রত্যেক তানজিমগুলো প্রায় একই ক্যাটাগরিতে জম্ম লাভ করে হোক প্রকাশ্যে অথবা গোপনে, কেবল তানজিমুল কায়েদা ছাড়া, তানজিমুল কায়েদা জম্ম থেকেই ওয়েল অরগানাইজড। সুবহানআল্লাহ তানজিমুল কায়েদা এমনভাবে সংগঠন করা হয়েছে দুনিয়ার সব পরাশক্তিগুলো যতই চেষ্টা করুক তারা ভাঙ্গতে পারবেনা। সবচেয়ে বড় কারন হচ্ছে তানজিমের হাই প্রোফাইলগুলো ওদের সব ধরনের কল্পনার বাহিরে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, শায়েখ আবু আব্দুল করিম আল-মাসরি (হাঃ), কিছুদিন আগে শামের মুজাহিদ ভাইদের অপারেশানগত মতভিন্নতার কারনে তাদের মধ্যে ঐক্য তৈরির হওয়ার জন্য সুপারভিশানের কাজ করেন। আমেরিকান কুফুরি শক্তি যখন উনার ব্যাপারে জানতে পারে তারা তো পেরেশান। আলহামদুলিল্লাহ্* এটা আল্লাহরই ইচ্ছা। আলহামদুলিল্লাহ্* দুনিয়ার অনেক তানজিমই আলকায়েদার সাথে মার্জ হয়ে গেছে।
              সময়ের আলোকে হুজির এই পরিনতি হওয়ারই ছিল। হ্যাঁ হুজি সিক্রেটে রূপান্তরিত হওয়ার পরেও অনেক কাজ ছিল লুজলি টাইপ, যেটা ক্ষতি কারক। কিন্তু অন্যান্য দেশের গোপন সংগঠনগুলোও তো একই সময়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কেন?! এটার ব্যাখ্যা খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন, আসলে এটা উনার পক্ষ থেকে বলা চলে অ্যালার্ম ছিল, শায়েখ আবু মুস’আব আস-সুরী (আল্লাহ উনাকে মুক্ত করুন), উনি বলতেছেন, সংগঠনগুলোর গঠনতন্ত্র ছিল (hierarchical) আনুক্রমিক, যেটা নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের ক্যাম্পেইন অনুযায়ী ধ্বংসাত্মক। সেপ্টেম্বর ইভেন্টের পর কাফেরদের ক্রুসেড ঘোষণার পর প্রত্যেকটা দেশের জিহাদিগণ আক্রান্ত হচ্ছিল। শুধু মিডেল ইস্ট থেকে ২০০৮ সালের শেষের দিকে কয়েক মাসের মধ্যে ১০০০০০ জন জিহাদিদের গ্রেপ্তার করে, এরা ছিল স্থানীয় সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইয়েমেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ফিলিফাইন, সিরিয়া, মিশর, সোমালিয়া, সুদান, ইন্দোনেশিয়া আরও অনেক দেশের, এদের বেশির ভাগই ছিল প্রবাসী বহিরাগত তারা কিন্তু সবাই গোপন ভাবে কাজ করতেছিল। আমাদের কথাই বলি আমাদের প্রায় সব সাথীই গ্রেপ্তার হয়। কিভাবে? আমাদের এক সাথী ছিল পরোক্ষ সে শুধু আমাদের ভালবাসত, কোন কাজের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল না, সে মোবাইল কার্ড বিক্রি করত, এটা অবৈধতার কারনে সে গ্রেপ্তার হয়। হয়ত তার কাছ ছোট খাট একটা আলামত তারা পেয়েছিল ছোট খাট কোনকিছুর, যেটা একটা মুসলিম দেশে বসবাসকারী কিছু প্রবাসীর প্রায় শতজন লোককে গ্রেপ্তার করার জন্য বাধ্য হয়, এটা আসলে যথেষ্ট না এতবড় প্রয়াস পাওয়ার। এটা ছিল সময়ের আলোকে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের সিস্টেম অনুযায়ী কাফেরদের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর উপর ছাপ সৃষ্টির ফল। শায়েখ আবু মুস’আব আস-সুরীর دعوة المقاومة الإسلامية العالمية কিতাবের ইতিহাস অধ্যায় পড়তে এটা বুঝা যাবে। আমি উনার কিতাবের ছোট একটা কলাম তুলে ধরছি,
              ● সংগঠনের পদ্ধতিগুলোর কোন ভুল ছিলনা, না ভুল ছিল সংগঠনগুলো নিজেই সর্বজনীনভাবে, কিন্তু এটা ছিল কেবল সময়ের পরিবর্তন এবং এটা হচ্ছে ১৯৯০ সালের পর নতুন বাস্তবতার সুচনা, যেটা ঐ পদ্ধতিগুলোকে পরিণত করে ধ্বংসাত্মক। আফগানিস্থানে আমার কিছু লেকচারে এটা বোঝানোর জন্য আমি একটা উদাহরণ পেশ করেছিলাম এবং আমি সেটা এখানেও পুনরাবৃত্তি করবো... ধরুন আপনার একটা শক্তিশালী এবং অসাধারণ ইলেকট্রিক মেশিন আছে, কিন্তু এটা শুধু কাজ করে ১১০ ভোল্টের পুরনো ইলেকট্রিক সিস্টেমে। তারপর, কি হল সব দেশেই বৈদ্যুতিক শক্তিগুলো ২২০ ভোল্টেজে রূপান্তর লাভ করলো। কি ঘটবে যদি আপনি জোর করে এটা ব্যাবহার করেন !? মেশিনে আগুন ধরে যাবে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দেবে এবং হতে পারে আপনি বৈদ্যুতিক শক খেতে পারেন !! এখানে নিঃসন্দেহে বলা যায় এটা মেশিনের দুর্বলতা নয়, কারণ এটা পুরোপুরি ঠিক আছে এবং তার সময়ে এটা কাজ করার জন্য যথেষ্ট উপযোগী, কিন্তু নতুনত্ব একে অচল করে দিয়েছে এবং এর যুক্তিযুক্ত অবস্থান যাদুঘরেই মানায় ! দীর্ঘদিন আপনি এটা ব্যাবহারের ফলে এটার প্রতি আপনার প্রচুর ভালবাসা জম্মাবে, কিন্তু আবেগ বাস্তবতাকে পরিবর্তন করেনা। মেশিন কাজ করার জন্য আর উপযুক্ত নয়। সময়ের পরিবর্তন হয়েছে মেশিন তার সেবা থেকে অবসর গ্রহণ করেছে। এবং এটাই করেছে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার আমাদের সাংগঠনিক মেশিনের সাথে, ‘আঞ্চলিক – গোপনীয়তা – অনুক্রমভিত্তিক’ মডেলের জলুস থাকা সত্ত্বেও।

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ! আল ফিরদাউসের ভাইদের উদ্যেগ ও কার্যাবলী আলহামদুলিল্লাহ প্রশান্তিদায়ক! আল্লাহ ভাইদের হিম্মতকে বাড়িয়ে দিন এবং দান করুন অবিচলতা! আর আমাদেরও জেনো ভাইদের সাথে কবুল করেন!
                আমরা হয়তো বাঁচি, নয়তো শহীদ হই!

                Comment


                • #9
                  আলহামদুলিল্লাহ
                  ভাইদেরকে আল্লাহ জাযা দান করুন এই ধরনের কাজ হাতে নেয়ার জন্য। এটা খুবই কাজ হবে আমাদের ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য।

                  Comment


                  • #10
                    মাসাআল্লাহ, আলহাদুলিল্লাহ, খুবই আনন্দদায়ক সংবাদ। আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের খেদমতকে কবুল করুন এবং তাতে বারাকাহ দান করুন। আমীন
                    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                    Comment


                    • #11
                      আল ফেরদৌস এর ভাইদের মেহনতকে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন এবং তা বেগবান করেন// আমিন//
                      পাশাপাশি আরেকটা কথা বলতে হয়, খালজী দ্য সেভেন্টিন ভাইয়ের কথা আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেই। কারণ তিনি অসম্ভব দামি কথা বলেছেন। আল্লাহ তাআলা তার মাথায় আরো বেশি সূক্ষ্মতা দান করুন//আমীন//
                      এ প্রসঙ্গে আসলে বলতেই হয়, পূর্ববর্তী সংগঠনগুলো টুকটাক ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা বাদ দিলে অবশ্যই তারা হকের উপর ছিল এবং তাদের অবস্থান ও স্ট্রাটেজি সঠিক ছিল। আর আমরা যখন হরকাতুল জিহাদ -জেএমবির মত হকপন্থী অন্যান্য সংগঠনের কথা বলব, তখন সেটা যেন অবশ্যই হয় আত্মসমালোচনার আঙ্গিকে। কারণ তারা তো আমাদেরই ভাই। আমরা মনে করি ঈমানী বন্ধন সাংগঠনিক বন্ধনের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী। আর এই ইমা নিবন্ধন এর ওপর জোর দেযয়াই আলকায়েদার স্ট্রাটেজি। এ বিষয়গুলো আমরা লক্ষ্য রাখবে ইনশাআল্লাহ

                      Comment

                      Working...
                      X