Announcement

Collapse
No announcement yet.

ই'দাদ : একটি দায়েমী ফরজ।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ই'দাদ : একটি দায়েমী ফরজ।

    মুসলিম উম্মাহ যে বিষয়টি কে সবচেয়ে বেশি পিছনে ফেলে রাখছে তা হলো ই'দাদ। অথচ ই'দাদ হলো মুসলিম উম্মাহর জন্য দায়েমী ফরজ। জিহাদের মওকা সবসময় হোক বা না হোক কিন্তু একজন মুসলিমের সর্বদাই ই'দাদ পূর্ণ করে রাখা চাই।
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ই'দাদ এর কতটা গুরত্ব দিয়েছেন। দেখুন ৷
    واعدوا لهم ما استطعتم من قوة ومن رباط الخيل ترهبون به عدو الله وعدوكم وآخرين من دونهم.لا تعلمونهم .الله يعلمهم
    অর্থঃ হে মুমিনগণ! তোমরা তাদের মুকাবিলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-ছাউনি প্রস্তুত করে রাখো।যা দ্বারা তোমরা তোমাদের শত্রু ও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার শত্রুদের ভীত-সন্ত্রস্ত করে রাখবে। এবং তাদের ছাড়া ঐ সব লোকদেরও যাদের ব্যাপারে আল্লাহ ই অবগত আছেন।
    সুরা আনফাল ।আয়াত:৬০

    প্রিয় পাঠক! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা চাইলেই আমাদের বিজয় দিতে পারেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি আমাদেরকে প্রস্তুতি গ্রহন করতে বলেছেন।
    উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফতি তাকি উসমানী দাঃবাঃ লেখেন:
    "গোটা মুসলিম উম্মাহর প্রতি এটা এক স্থায়ী নির্দেশ যে, তাঁরা যেন ইসলাম ও মুসলিমদের প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত রাখার লক্ষ্যে সব রকম প্রতিরক্ষা শক্তি গড়ে তোলে। কুরআন মাজিদ সাধারণভাবে 'শক্তি' শব্দ ব্যবহার করে বোঝাচ্ছে যে, রণপ্রস্তুতি বিশেষ কোন অস্ত্রের উপর নির্ভরশীল নয়। বরং যখন যে ধরনের প্রতিরক্ষা শক্তি কাজে আসে, তখন সেইরকম শক্তি অর্জন করা মুসলিমদের জন্য অবশ্য কর্তব্য (ফরয) ৷
    কিছু দূর গিয়ে হযরত লেখেন ,
    আফসোস আজকের মুসলিম বিশ্ব এ ফরয আদায়ে চরম অবেহেলা প্রদর্শন করছে ৷ ফলে আজ তাঁরা অন্যান্য জাতির আশ্রিত ও বশীভূত জাতিতে পরিণত হয়েছে ৷
    (তাফসিরে তাওযিহুল কুরআন, সুরা আনফাল ৬০)
    প্রিয় পাঠক! কি বুঝলেন ? আমরা খুব ইসলাম পালন করছি ৷ তাই না ?
    এভাবে হিসাব কষলে দেখা যাবে আরো কত ফরজ বিধান আমাদের দ্বারা অবহেলিত হচ্ছে ৷
    আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন ৷ আমিন৷
    জঙ্গ যদি হয় যুদ্ধ তবে যোদ্ধারা হলো জঙ্গী,
    অভিধান পুরো শুদ্ধ তবে ফিরাও দৃষ্টিভঙ্গি।
    সন্ত্রাসী কে জঙ্গী বলে বাড়িওনা তার মূল্য,
    সন্ত্রাসী কভূ পারেনা হতে জঙ্গীর সমতুল্য।

  • #2
    প্রিয় পাঠক! কি বুঝলেন ? আমরা খুব ইসলাম পালন করছি ৷ তাই না ?
    এভাবে হিসাব কষলে দেখা যাবে আরো কত ফরজ বিধান আমাদের দ্বারা অবহেলিত হচ্ছে ৷
    আফসোস হয়!
    আমরা যাদেরকে কর্ণধার দাবি করি। তারা নিজেরা অনেক ফতোয়া প্রদান করে। অথচ তাঁদের কাজ আর ফতোয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন।
    আর বেশির ভাগ সময় দেখা যায়,তাগুত-মুরতাদ-গণতন্ত্র-দার-ওয়ালা বারা এমন বিষয় আসলে তাঁরা হয়তো মুখে কুলুপ এটে রাখে বা মনগড়া ফতোয়া প্রদান করে।

    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের পথে কবুল করুন। উলামায়ে সু থেকে হেফাজত করেন। আমিন
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

    Comment


    • #3
      মাশাল্লাহ, আখিঁ চালিয়ে যান এভাবে।
      “দ্বীনের জন্য রক্ত দিতে দৌড়ে বেড়ায় যারা,সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরী তারা”–TBangla

      Comment


      • #4
        কত সত্য কথা।
        আসুক না যত বাধাঁ যত ঝর সাইক্লোন কিতালের পথে মোরা চলবোই

        Comment


        • #5
          Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post
          আফসোস হয়!
          আজ আমরা কর্ণধার দাবি করি। তারা নিজেরা অনেক ফতোয়া প্রদান করে। অথচ তাঁদের কাজ আর ফতোয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন।
          আর বেশির ভাগ সময় দেখা যায়,তাগুত-মুরতাদ-গনতন্ত্র(গণতন্ত্র)-দার-ওয়ালা বারা এমন বিষয় আসলে তাঁরা হয়তো মুখে কুলুপ এটে রাখে বা মনগড়া ফতোয়া প্রদান করে।

          আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের পথে কবুল করুন। উলামায়ে সু থেকে হেফাজত করেন। আমিন
          আমিন ছুম্মা আমিন।

          Comment


          • #6
            মাশা-আল্লাহ,, ভাইজান আল্লাহ আপনাদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন।
            আসলে বলতে গেলে অনেক কিছু চলে আসে। আমাদের জন্য উচিত হলো অন্ততপক্ষে আল্লাহ যাদেরকে জিহাদ বুঝার, এবং তাওহীদ বুঝার তাওফিক দান করেছেন তারা জিহাদী কাজে লেগে যাওয়া। কে আসলো, আর কে না আসলো/কে করলো, আর কে না করলো সেটা দেখার বিষয় নয়। আল্লাহ যাদের জিহাদের জন্য কবুল করেন তারাই জিহাদ করে। বদর, উহুদ, খন্দক সবাই করতে পারেনি। ইয়াহুদী..... যারা গর্ব করতো যে, আমাদের মাঝে নবী আসবে। এরপর যখন নবী আসলেন তখন নবীকে অনুসরণীয় না বানিয়ে শত্রু বানিয়ে ফেললেন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন আমীন।
            আমাদের কমেন্টগুলো যেনো এমন হয় যে, আমরা সমস্ত মুসলিমদের প্রোটেক্ট করি। এদেশের আলিমদের প্রতি সহানুভূতি যেনো প্রকাশ পায়। প্রিয় ভাইয়েরা, আমাদের জন্য উচিত হবে না এদেশের আলিমদের প্রতিপক্ষ বানানো। আল্লাহ আমাদের ছহিহ মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন। অনেক আলিম আছেন যারা স্পষ্টভাবে আল কায়েদার বিরোধিতা করে!!! আমাদের জন্য তাদের পেছনে লেগে যাওয়া উচিত হবে না। ভাইয়েরা,কাফেররাও চাই আমরা যেনো আমাদের ভাইদের পেছনে লেগে যায়, এবং তাদের হত্যা করি। jmb ,,ভাইয়েরা সঠিক কাজ করার পরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসলিমরা প্রকৃতপক্ষে ইসলাম বুঝে না।
            اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

            Comment


            • #7
              Originally posted by forsan313 View Post
              মাশা-আল্লাহ,, ভাইজান আল্লাহ আপনাদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন।
              আসলে বলতে গেলে অনেক কিছু চলে আসে। আমাদের জন্য উচিত হলো অন্ততপক্ষে আল্লাহ যাদেরকে জিহাদ বুঝার, এবং তাওহীদ বুঝার তাওফিক দান করেছেন তারা জিহাদী কাজে লেগে যাওয়া। কে আসলো, আর কে না আসলো/কে করলো, আর কে না করলো সেটা দেখার বিষয় নয়। আল্লাহ যাদের জিহাদের জন্য কবুল করেন তারাই জিহাদ করে। বদর, উহুদ, খন্দক সবাই করতে পারেনি। ইয়াহুদী..... যারা গর্ব করতো যে, আমাদের মাঝে নবী আসবে। এরপর যখন নবী আসলেন তখন নবীকে অনুসরণীয় না বানিয়ে শত্রু বানিয়ে ফেললেন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন আমীন।
              আমাদের কমেন্টগুলো যেনো এমন হয় যে, আমরা সমস্ত মুসলিমদের প্রোটেক্ট করি। এদেশের আলিমদের প্রতি সহানুভূতি যেনো প্রকাশ পায়। প্রিয় ভাইয়েরা, আমাদের জন্য উচিত হবে না এদেশের আলিমদের প্রতিপক্ষ বানানো। আল্লাহ আমাদের ছহিহ মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন। অনেক আলিম আছেন যারা স্পষ্টভাবে আল কায়েদার বিরোধিতা করে!!! আমাদের জন্য তাদের পেছনে লেগে যাওয়া উচিত হবে না। ভাইয়েরা,কাফেররাও চাই আমরা যেনো আমাদের ভাইদের পেছনে লেগে যায়, এবং তাদের হত্যা করি। jmb ,,ভাইয়েরা সঠিক কাজ করার পরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসলিমরা প্রকৃতপক্ষে ইসলাম বুঝে না।
              খুব বাস্তবসম্মত কথা মাশা আল্লাহ! আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দ্বীন কায়েমের মুবারক পথে জনসাধারণ ও আলেমসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার তাওফিক দান করুন। আমীন!
              আসুন! নববী মানহাযে শান্তির জন্য কাজ করি!!

              Comment


              • #8
                আমাদের দেশে জিহাদের উপর ভিত্তি করে আলিমগণ দুটি ফ্রন্টে বিভক্ত।
                ১/ বর্তমান সরকারকে মুসলিম শাসক মনে করে।
                ২/ বর্তমান সরকারকে ত্বাগুত মনে করে।
                দলিল আদিল্লার দিক দিয়ে ২য় গ্রুপটি ১ম গ্রুপ থেকে শরীয়তের উপর বেশি প্রতিষ্ঠিত। কুরআন সুন্নার দলিলই বলে দিবে কারা আসলে হকের উপর। আর এ-ই দুটি ইখতিলাফ নিয়েই আলিমদের দু দলে বিভক্ত হয়ে যাওয়া মূল কারণ। এখানে কোন মাজহাব বিষয় নয়। এখানে অন্য কিছু কাজ করে, সেটা হচ্ছে আকিদার জ্ঞান সেই সাথে তার পূর্ণ প্রয়োগ। আর আল্লাহর হেদায়েত। মাখলুকের ভয় তুচ্ছ মনে করা এটি আকিদার গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার উপর নির্ভর করে জিহাদী জীবনের ফলাফল। ফলাফল এজন্য বলেছি, কারণ ভয়ের কারণেই মহান এ-ই পথ থেকে সরে পড়েন অনেকে, আবার অনেকে ভয়ের কারণে এ-ই পথে পা বাড়ান না। এ-ই জন্য ভয় শুধু আল্লাহর জন্য খাছ করা। আল্লাহকে একমাত্র হাকেম মানা এটি আকিদার আরো গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিচার করার দায়িত্ব / ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর।
                اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

                Comment


                • #9
                  এই দায়েমী ফরজের ব্যাপারে আমাদের অনেক গাফলতি রয়েছে। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন ও তাওফিক দান করুন। আমীন
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment

                  Working...
                  X