Announcement

Collapse
No announcement yet.

Warning!!! - গণহত্যা!!!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Warning!!! - গণহত্যা!!!

    Warning
    গণহত্যা

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহি (সা.)। আম্মাবা’আদ।
    “যদি তোমাদের পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্নীয় স্বজন, ব্যবসা, জায়গা সম্পত্তি আল্লাহ, আল্লাহর রসুল ও তার পথে জিহাদের চেয়ে বেশি প্রিয় হয়ে যায় তাহলে অপেক্ষা করো যন্ত্রণাদায়ক আযাব আসা পর্যন্ত। আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না।”

    এই আয়াতে বর্ণিত বৈশিষ্ট্যের সবগুলোই আমাদের মাঝে বিদ্যমান। অতএব চলুন আমরা অপেক্ষা করি মর্মন্তুদ আযাব আসা পর্যন্ত।

    আয়াতের অনুরূপ একটি হাদীস
    “যদি তোমরা ঈনা নামক সুদের কারবারী ও গরুর লেজের পিছনে লেগে যাও (অর্থাৎ সুদী ব্যবসা ও দুনিয়ার কারবার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়া) এবং আল্লাহ রাস্তায় জিহাদ ছেড়ে দাও তাহলে আল্লাহ তোমাদের উপর চাপিয়ে দেবেন মর্মন্তুদ শাস্তি এবং তা ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের থেকে ফিরিয়ে নিবেন না। যতক্ষণ না তোমরা দ্বীনে ফিরে আসো।

    এই হাদীসেও উপরোক্ত আয়াতের মতো বলা হয়েছে যে, দুনিয়ার মোহে ব্যস্ত হয়ে পড়া ও জিহাদ ছেড়ে দেওয়ার কারণে আমাদের উপর মর্মন্তুদ আযাব চাপিয়ে দেয়া হবে।
    অতএব চলুন আমরা মর্মন্তুদ আযাবের জন্য প্রস্তুত হই। এবং তখনই আমরা এই শাস্তি থেকে মুক্তি পাবো যখন এই শাস্তিতে পড়ব এবং বুঝতে পারব যে এখন আমাদের কি করা উচিত। আর আমার তখন দ্বীনের মাঝে ফিরে যাবো আর আল্লাহ আমাদের থেকে আযাব তুলে নিবেন।

    [এখানে উল্লেখ্য যে এই সতর্কবার্তায় কোনো বিষয়ের প্রতি উৎসাহিত / অনুৎসাহিত করা হয়নি। শুধু সামনের আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব সতর্কসংকেত বর্ণনা করা হচ্ছেঅর্থাৎ কুরআন ও হাদীসের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী বর্ণনা করা হচ্ছে। আল্লাহই সবচেয়ে উত্তম জানেন।]

    কিন্তু প্রশ্ন হলো মর্মন্তুদ আযাব কি? মর্মন্তুদ শাস্তির ব্যাখ্যা নিচের হাদিসে।

    মর্মন্তুদ শাস্তি
    “সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন সকল কাফের গোষ্ঠী তোমাদেরকে হত্যা করার জন্য একে অপরকে এমন ভাবে আহবান করবে যেমন খাওয়ার দস্তরখানে সবাইকে খাবার জন্য আহবান করা হয়। (অর্থাৎ সকল কাফের গোষ্ঠী একত্র হয়ে মুসলমানদের পাইকারী হত্যা শুরু করবে)
    সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন যে, ঐদিন কি আমরা সংখ্যায় কম থাকবো। এজন্য সবাই আমাদেরকে হত্যা করতে পারবে।
    রাসুল (সা.) বললেন যে, না বরং তোমরা সংখ্যায় বেশি থাকবে। কিন্তু তোমরা হবে ভেসে যাওয়া খড়কুটোর মতো। আর তোমাদের অন্তরে আল্লাহ ওয়াহহান ঢেলে দিবেন
    সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন, ওয়াহান কি?
    রাসুল (সা.) বললেন, দুনিয়ার মহব্বত ও মৃত্যুর ভয় (মুসনাদে আহমাদের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে দুনিয়ার মহব্বত ও কিতালকে ভয় করা)

    উপরের আয়াত ও হাদীসের ন্যায় এই হাদিসেও একই কথা বলা হয়েছে যে, দুনিয়ার মহব্বতে লেগে যাওয়া এবং মৃত্যু ও কিতালকে (আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যু) ভয় করার কারণেই মর্মন্তুদ শাস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু এই হাদিসে মর্মন্তুদ শাস্তির ব্যাখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। আর সেই মর্মন্তুদ শাস্তির ব্যাখ্যা হলো সকল কাফের গোষ্ঠী তোমাদেরকে হত্যার জন্য একে অপরকে আহবান করবে যেমন দস্তরখানে খাবার খাওয়ার জন্য একে অপরকে ডাকা হয়। অর্থাৎ সকল কাফেরগোষ্ঠী তোমাদেরকে হত্যার জন্য দাঁড়াবে।

    [আবারো উল্লেখ্য যে, এই সতর্কবার্তায় কোনো বিষয়ের প্রতি উৎসাহিত / অনুৎসাহিত করা হয়নি। শুধু সামনের আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব সতর্কসংকেত বর্ণনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ কুরআন ও হাদীসের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী বর্ণনা করা হচ্ছে। আল্লাহই সবচেয়ে উত্তম জানেন।]

    আর বাস্তবতা হলো এই নির্যাতনের স্বীকার হয়েই আমারা তখন আমাদের দ্বীনে মধ্যে ফিরে যাবো। অর্থাৎ জিহাদের মধ্যে ফিরে যাবো। মায়ানমার, কাশ্মীর, ভারতের অনুরূপ হত্যাকাণ্ড আমাদের ঘাড়ে না আসা পর্যন্ত আমরা আমাদের দ্বীনে ফিরতে পারতেছিনা। বাস্তবতা এরকমই দেখা যাচ্ছে। আর আমরা আমাদের দ্বীনের মাঝে ফিরে যাওযার মধ্যে দিয়েই আল্লাহ আমাদের থেকে সমগ্র মুসলিম বিশ্বব্যাপী কাফেরদের নির্যাতনকে উঠিয়ে নিবেন।
    অতএব warning/সতর্কবার্তা হলো একটি গণহত্যা আপনার দিকে হয়তো ধেয়ে আসছে। আপনি সেটাকে গ্রহণ করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন। এবং তারপরই আপনি আমি দ্বীনের মাঝে ফিরে যেতে শুরু করবো ইনশা-আল্লাহ।

    গণহত্যার কথা শুনে আশ্চর্য হবেন না।
    কারণ, এ পর্যন্ত মায়ানমার, সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, বোখারা-সমরকন্দ সহ মুসলিম বিশ্বের যতগুলো জায়গা কাফেরদের দ্বারা গণহত্যার শিকার হয়েছে আমাদের ন্যায় তারাও বেশ কিছু বছর পূর্বে আমাদের মতোই শান্তিপূর্ণ জীবন-যাপন করছিলো। হয়তো কিছু ব্যতিক্রমতা আছে। আপনি ১০ বছর পূর্বের মুসলিম বিশ্ব আর বর্তমানের মুসলিম বিশ্বের নির্যাতনের হালচালের পরিসংখ্যান দেখলেই সহজে বুঝতে পারবেন। আমেরিকা ও ভারতের ইসলাম বিদ্বেষী নেতৃত্ব ও তাদের মনোভাবের দিকে তাকালে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে। তাহলে সামনে বছরগুলোতে আপনার জন্য আল্লাহ ও তার রাসুলের ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী মর্মন্তুদ শাস্তি এসেই যাচ্ছে। যেহেতু কুরআন ও হাদীসের কথা মিথ্যা হতে পারে না। আর মর্মন্তুদ শাস্তি যদি হয় গণহত্যা তাহলে আশ্চর্য হবেন না। কারণ আল্লাহ যেমন বড় তেমনি তার বিরুদ্ধে আমাদের নাফরমানীও তত বড়। আর তার মর্মন্তুদ শাস্তিও তত বড়। আর এর দ্বারা আমরা আমাদের দ্বীনে ফিরার পরই আমাদের থেকে এই শাস্তি উঠে যাবে।
    [উল্লেখ্য আমরা বাংলাদেশের মুসলিমরা ভৌগলিকভাবে তিন দিকে ভারতের হিন্দু ও মায়ানমারের বৌদ্ধ দ্বারা বেষ্ঠিত। আরো উল্লেখ্য যে, ভারতের কট্টর হিন্দুরা গোরক্ষার নামে ও হিন্দুত্ববাদের নামে মুসলিম হত্যাকাণ্ডে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে আর অপরদিকে মায়ানমারের বৌদ্ধরা তো মুসলিমদের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পুরো বিশ্বের মাঝে তুলনাহীন।
    অতএব তাদের গণহত্যার হাত যদি আমাদের উপর এসে পড়ে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। কারণ আমরা আছি ভারতের হিন্দু ও মায়ানমারের বৌদ্ধ দ্বারা তিন দিক বেষ্ঠিত। আর একদিকে আছে বঙ্গোপসাগর। ভালো করে মনে রাখুন যদি পরিস্থিতি এটাই হয় তবে রোহিঙ্গারা তো বাংলাদেশে পালানোর সুযোগ পেয়েছে কিন্তু আপনি বঙ্গোপসাগর ছাড়া কোনো পালানোর জায়গা পাবেন না। বাধ্য হয়েই আপনাকে দ্বীনের মাঝে ফিরে আসতে হবে।]

    [সবশেষ আবারো উল্লেখ্য করা হলো যে, এই সতর্কবার্তায় কোনো বিষয়ের প্রতি উৎসাহিত / অনুৎসাহিত করা হয়নি। শুধু সামনের আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব সতর্কসংকেত বর্ণনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ কুরআন ও হাদীসের আলোকে ভবিষ্যতবানী বর্ণনা করা হচ্ছে। আল্লাহই সবচেয়ে উত্তম জানেন।]

    [নিশ্চয়ই আল্লাহই সবচেয়ে উত্তম জানেন। এই কথাগুলো বলা হলো শুধুমাত্র একজন মুসলিম হিসেবে আমার চোখ-কান খোলা রাখা প্রয়োজন, তাই। নতুবা, আল্লাহই তার ও তার রাসুলের সকল কথার ব্যাখ্যা জানেন। যদি এই কথাগুলোর মাঝে কোনো ভুল থেকে থাকে তবে আল্লাহ যেনো আপনাদের মাধ্যমে / অন্য কোনো মাধ্যমে আমার কথার ভুলগুলোকে শুধরে দিন।]
    Warning
    গণহত্যা



    Last edited by khalid-hindustani; 12-21-2017, 09:49 PM.

  • #2
    আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন, আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন, আল্লাহ আমাদের হক্বের উপর অটল রাখুন,আমিন।
    আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
    আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

    Comment


    • #3
      Warning
      গণহত্যা
      ।হে ভাই সেই শাস্তি আমাদের জন্যও আসছে? আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন।
      Last edited by রক্ত ভেজা পথ; 12-23-2017, 10:23 AM.

      Comment


      • #4
        বিপদ ঘনিয়ে আসছে! ভয়ের বিষয়!! আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন!

        Comment


        • #5
          قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّىٰ يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ ۗ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ [٩:٢٤]

          “যদি তোমাদের পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্নীয় স্বজন, ব্যবসা, জায়গা সম্পত্তি আল্লাহ, আল্লাহর রসুল ও তার পথে জিহাদের চেয়ে বেশি প্রিয় হয়ে যায় তাহলে অপেক্ষা করো যন্ত্রণাদায়ক আযাব আসা পর্যন্ত। আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না।”


          এই আয়াতে বর্ণিত বৈশিষ্ট্যের সবগুলোই আমাদের মাঝে বিদ্যমান। অতএব চলুন আমরা অপেক্ষা করি মর্মন্তুদ আযাব আসা পর্যন্ত।
          ঠিক বলেছেন ভাই মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের এগুলো অপেক্ষা তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন
          ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

          Comment


          • #6
            আল্লাহ আমাদের হিদায়তের উপর অটল রাখুন।

            Comment


            • #7
              "আমি দুর্বল আর অক্ষমদের দোষ দেই না, যারা তাদের সাধ্যমত সর্বোচ্চটুকু করার চেষ্টা করে। আল্লাহ্* বলেন-

              দুর্বলের উপর, পীড়িতের উপর আর ব্যয় করার মত কোন সম্বল যাদের নেই তাদের উপর কোন অভিযোগ নেই, যদি তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বস্ত হয়ে থাকে। সৎ কর্মপরায়ণদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করার কোন সুযোগ নেই, আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। "(৯:৯১)

              বরং দোষ সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের যারা স্বেচ্ছায় উদাসীনতাকে বেছে নিয়েছে। যারা উম্মাহর ব্যাপারে অমনোযোগী আর অসতর্ক হওয়াকে বেছে নিয়েছে। যারা উম্মাহর বাস্তবতাকে অবহেলা করার, এই বাস্তবতা সম্পর্কে নির্বিকার থাকার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহন করেছে। দোষ তাদের যারা সর্বদা আল্লাহ্*র শত্রু কাফিরদের মিথ্যাচারকে বিশ্বাস করাকে বেছে নিয়েছে, যদিও তারা জানে এই কাফিররা মিথ্যাচারী।

              দোষ তাদের যারা দুনিয়ার আমোদপ্রমোদ নিয়ে মেতে আছে এবং ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার উপকরণ আর বিনোদনের পিছনে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে চলছে, পশুর মত জীবন অতিবাহিত করছে, আর সত্যের অন্বেষণ ও সত্যের সহায়তা করা থেকে বিরত থাকছে। এরাই দোষী, ব্যক্তিক্রম তারা যাদের উপর আল্লাহ্*র রহমত আছে।

              আর দোষ সেইসব নেতাদের, সেইসব বক্তা, সেইসব “জ্ঞানী” আর অভিজাতদের যারা গা বাচানোর কর্মসুচি, নিরাপত্তাবেষ্টিত সেমিনার-সিম্পোসিয়াম, আর আমোদ নিয়ে ব্যস্ত। যারা আল্লাহ্*র শত্রুদের সাথে এক কাতারে দাঁড়িয়ে উপহাস,বিদ্রূপ আর ঠাট্টা তামাশায় লিপ্ত হয় আর বলে – এই সব লোকেরা তো সন্ত্রাসী কারন তারা অমুক শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। আর এরকম অনেক কথাই তারা বলে। তাদের উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক।


              আল্লাহ্*র কসম! এরা হল উম্মাহ এবং মুসলিমদের কলঙ্ক। এরা সবাই অপরাধী এবং এদের সবাইকে নিজ অপরাধ অনুসারে দায়ী করা হবে। তাদের মধ্যে যারা জীবিত আছে তারা দুনিয়াতেই আফসোস করবে, আর যারা তাওবা না করে, নিজেদের সংশোধন না করে মৃত্যুবরণ করবে তারা আখিরাতেও আফসোস করবে।

              যখন তাদের পালা আসবে তখন তারা আফসোস করবে। আর যুদ্ধ-বিগ্রহ, দুর্যোগ, ধ্বংস,গণহত্যা এবং খুন তাদের কাছেও আসবে। তখন তারা হাহাকার করবে আর চিৎকার করবে। তারা সে সময় আপত্তি করবে, অভিমান করবে, প্রতিবাদ করবে, যেন তারা নিষ্পাপ, অসহায় নির্দোষ মানুষ, যারা কোন অপরাধ করে নি অথবা কোন ভুল করে নি। নিজেদের বিপর্যয়ের সময় তারা ভুলে যাবে যে তারা ইতিপূর্বে উম্মাহর দুরবস্থা সময় উম্মাহকে পরিত্যাগ করেছিল। কিন্তু তাদের রব এবং আমাদের রব ভুলবেন নাঃ

              "যে মন্দকাজ করবে তাকে তার প্রতিফল দেয়া হবে। আর সে তার জন্য আল্লাহ ছাড়া কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।" (৪/১২৩)

              কোন ব্যক্তি যদি অপর মুসলিমের মর্যাদার লঙ্ঘন ও অধিকার ধূলিসাৎ হতে দেখার পরও সেই বিপর্যয়ের সময় তার মুসলিম ভাইকে পরিত্যাগ করে, তাহলে যখন সে নিজে আল্লাহর সাহায্যের মুখাপেক্ষী হবে তখন আল্লাহ তাকে পরিত্যাগ করবেন।"

              - শায়খ আবু আবদুর রাহমান আল-মিসরাতি রাহিমাহুল্লাহ

              Comment


              • #8
                প্রিয় ভাই! ! হাদিসগুলোর হাওলা তথা রেফারেন্স যোগ করে দিন ৷

                Comment


                • #9
                  এই সতর্কবার্তাটিকে কিছুটা দালিলিক ও গুছালো করে ফাইনাল প্রকাশের জন্য আলেম ভাইদের সহায়তা কামণা করছি।
                  অনুগ্রহপূর্বক কোনো আলেম, কুরআন হাদিস বিষয়ে বিজ্ঞ কোনো ভাই এটা আপডেট করে দিবেন।

                  এবং আমি আশা করি ভাইরা শাহ নেয়ামত উল্লাহর ভবিষ্যত বানি দিয়ে দলিল দেয়ার বদলে কুরআন হাদীসের মধ্যেই যে আমাদের ভবিষ্যতবানী উল্লেখ করা আছে সে জন্য এই সতর্কবার্তাটিকে বেশি করে প্রচার করবেন।

                  কারণ ঘূর্ণিঝড় আসার পূর্বে সতর্ক সংকেত দেয়া যেমন সরকারের দ্বায়িত্ব। তেমনি জাতির রাহবার হিসেবে গণহত্যার সতর্কতা সংকেত পৌছে দেওয়াও আমাদের দ্বায়িত্ব।

                  ভাইরা দয়া করে এই লেখাটাকে এড়িয়ে যাবেন না। এটাকে গুরুত্বের সাথে নিন। এই বার্তার সংশোধনের ব্যপারে সহায়তা করুন। জাতিকে সংশোধিত বার্তার মাধ্যমে সতর্ক করতে গাফিলতি করা আমাদের উচিত হবে না।

                  জাতির রাহবার হিসেবে তাদেরকে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব সংকেত ব্যপক পরিসরে পৌছে দেওয়া আমাদেরই দ্বায়িত্ব।
                  Last edited by khalid-hindustani; 12-25-2017, 01:08 PM.

                  Comment


                  • #10
                    ঘূর্নিঝড় আসলে কিন্তু সবাইকে নিয়ে টান দিবে , কাউকে নিবে কাউকে ছাড়বে তা হবেনা কিন্তু ৷ তাই আমি মনে করি এগুলো জনসাধারনের কাছেও বলা উচিত , সতর্ক করা উচিত ৷

                    Comment


                    • #11
                      মুসলিম গণহত্যা: জিহাদ ত্যাগের ভয়াবহ পরিণতি!

                      মুসলিম গণহত্যা: জিহাদ ত্যাগের ভয়াবহ পরিণতি!
                      originally posted by: ইলম ও জিহাদ

                      কয়েক দিন পূর্বে এক ভাই (গণহত্যা) শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি কয়েকটা আয়াত ও হাদিস এনে দেখাতে চেষ্টা করেছেন- আরাকান, কাশ্মির সহ অন্যান্য মুসলিম ভূখণ্ডে চলমান গণহত্যার মূল কারণ- জিহাদ ছেড়ে দেয়া। আমরাও যদি জিহাদ ছেড়ে বসে থাকি, তাহলে আমাদের উপরও এই গণহত্যা আপতিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।

                      আরেক ভাই এ লেখাটাকে একটু তাহকীক ও পরিমার্জন করে দেয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। এর ভিত্তিতেই আমার এ লেখা। মূল কথা ভাইয়ের লেখায় এসে গেছে। আমি আরেকটু তাহকীকের সাথে বিষয়টা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আল্লাহ তাআলা সবাইকে কবুল করুন।
                      কুরআন ও হাদিসে সুস্পষ্ট বিধৃত হয়েছে যে, জিহাদ ছেড়ে দিলে মুসলমানদের উপর আযাব-গজব, শাস্তি-অপমান আর লাঞ্চনা নেমে আসবে। আখেরাতের আযাব তো আছেই, দুনিয়াতেই তাদের উপর এগুলো আপতিত হবে। তাদের শত্রুরা তাদের উপর বিজয়ী হয়ে যাবে। আর কাফেররা যদি কখনো মুসলমানদের বাগে পায়, তাহলে তাদের উপর নির্মম অত্যাচার চালাবে। তাদেরকে অপদস্ত, অপমানিত ও লাঞ্চিত করবে।
                      আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
                      {كَيْفَ وَإِنْ يَظْهَرُوا عَلَيْكُمْ لَا يَرْقُبُوا فِيكُمْ إِلًّا وَلَا ذِمَّةً يُرْضُونَكُمْ بِأَفْوَاهِهِمْ وَتَأْبَى قُلُوبُهُمْ وَأَكْثَرُهُمْ فَاسِقُونَ (8) اشْتَرَوْا بِآيَاتِ اللَّهِ ثَمَنًا قَلِيلًا فَصَدُّوا عَنْ سَبِيلِهِ إِنَّهُمْ سَاءَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ (9) لَا يَرْقُبُونَ فِي مُؤْمِنٍ إِلًّا وَلَا ذِمَّةً وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُعْتَدُونَ (10)}
                      “কিভাবে (তোমরা তাদের বিশ্বাস করবে)? এরা যদি কখনো তোমাদের উপর জয় লাভ করতে পারে, তাহলে তারা (যেমনি) আত্মীয়তার বন্ধনের তোয়াক্কা করবে না, (তেমনি) চুক্তির মর্যাদাও তারা দেবে না। তারা (শুধু) মুখ দিয়ে তোমাদের খুশি রাখার চেষ্টা করে, কিন্তু তাদের অন্তরগুলো সেসব কথা (কিছুতেই) মেনে নেয় না। মূলত এদের অধিকাংশ ব্যক্তিই অবাধ্য। এরা আল্লাহ তাআলার আয়াতসমূহ সামান্য (বৈষয়িক) মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে এবং মানুষকে তাঁর পথ থেকে দূরে রেখেছে। তারা যা করছে, নিশ্চয়ই তা বড় জঘন্য কাজ। (কোনো) ঈমানদার লোকের ব্যাপারে এরা (যেমন) আত্মীয়তার ধার ধারে না, (তেমনি) কোন অঙ্গীকারের মর্যাদাও এরা রক্ষা করে না। মূলত এরাই সীমালঙ্গনকারী।” (তাওবা: ৮-১০)

                      অন্যত্র ইরশাদ করেন-
                      {إِنْ يَثْقَفُوكُمْ يَكُونُوا لَكُمْ أَعْدَاءً وَيَبْسُطُوا إِلَيْكُمْ أَيْدِيَهُمْ وَأَلْسِنَتَهُمْ بِالسُّوءِ وَوَدُّوا لَوْ تَكْفُرُونَ}
                      “(তাদের চরিত্র হচ্ছে এই যে) যদি এরা তোমাদের কাবু করতে পারে, তাহলে এরা তোমাদের মারাত্মক শত্রুতে পরিণত হবে। (শুধু তাই নয়) নিজেদের হাত ও কথা দিয়ে তোমাদের তোমাদের অনিষ্ট সাধন করবে। (আসলে) এরা এটাই চায় যে, তোমরাও তাদের মতো কাফের হয়ে যাও।” (মুমতাহিনা: ২)

                      এ ছাড়াও আরো অনেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা কাফেরদের এ হীন চরিত্রের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।



                      এই সীমালঙ্গনকারী, অবাধ্য, পাপাচারি ও হীন চরিত্রের কাফেরদের দমানোর জন্য আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের উপর জিহাদ ফরয করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
                      {وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّه لِلّهِ}
                      “আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল কর, যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দ্বীন-আনুগত্য পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়।” (আনফাল: ৩৯)
                      {فَإِذَا انْسَلَخَ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدْتُمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ}
                      “অত:পর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা করা এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক। তবে তারা যদি তাওবা করে – মুসলমান হয়ে যায় – এবং সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয়: তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (তাওবা: ৫)
                      {قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ}
                      “তোমরা কিতাল কর আহলে কিতাবের সেসব লোকের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের উপর ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তার রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম করে না এবং সত্য দ্বীন গ্রহণ করে না, যতক্ষণ না তারা নত হয়ে স্বহস্তে জিযিয়া প্রদান করে।” (তাওবা: ২৯)


                      এখন যদি মুসলমানরা আল্লাহর আদেশের মূল্য না দিয়ে জিহাদ ছেড়ে দুনিয়ার সুখ-শান্তি আর আরাম-আয়েশে লিপ্ত হয়, তাহলেই দেখা দেবে বিপত্তি। তাদের দুশমনরা তাদের উপর চেপে বসবে। তাদের উপর নির্মম নির্যাতন চালাবে। তাদেরকে অপদস্থ ও লাঞ্চিত করবে। তাদেরকে ব্যাপকভাবে হত্যা করবে। এ ব্যাপারে অনেক আয়াত ও হাদিসে সতর্কবাণী এসেছে। এখানে আমি কয়েকটা আয়াত ও হাদিস উল্লেখ করছি:


                      আয়াত
                      আয়াত-১:
                      {يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انْفِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الْأَرْضِ أَرَضِيتُمْ بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْآخِرَةِ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الْآخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ. إِلَّا تَنْفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ}
                      “হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কী হল, যখন তোমাদের বলা হয়, আল্লাহর রাস্তায় (যুদ্ধে) বের হও, তখন তোমরা যমীনের প্রতি প্রবলভাবে ঝুঁকে পড়? তবে কি তোমরা আখিরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে সন্তুষ্ট হলে? অথচ দুনিয়ার জীবনের ভোগ-সামগ্রী আখিরাতের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। যদি তোমরা (যুদ্ধে) বের না হও, তাহলে তিনি তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক আযাব দেবেন এবং তোমাদের পরিবর্তে অন্য এক কওম আনয়ন করবেন। তোমরা তাঁর কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আর আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” (তাওবা: ৩৮-৩৯)
                      এ আয়াতে হুঁশিয়ার করা হয়েছে, যদি তোমরা প্রয়োজনের সময় জিহাদে বের না হও, তাহলে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মর্মন্তুদ শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হবে। এ শাস্তি আখেরাতে যেমন আসবে, দুনিয়াতেও আসবে।
                      আল্লামা সা’দী রহ. (মৃত্যু: ১৩৭৬হি.) বলেন,
                      {إلا تنفروا يعذبكم عذابا أليما} في الدنيا والآخرة. اهـ
                      “যদি তোমরা (যুদ্ধে) বের না হও, তাহলে তিনি দুনিয়া ও আখেরাতে তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক আযাব দেবেন।” (তাফসীরে সা’দী: ৩৩৭)
                      আল্লামা নাসাফী রহ. (মৃত্যু: ৭১০হি.) বলেন,
                      أوعدهم بعذاب أليم مطلق يتناول عذاب الدراين وأنه يهلكهم ويستبدل بهم قوما آخرين خير منهم وأطوع. اهـ
                      “আল্লাহ তাআলা (দুনিয়া বা আখেরাত- এর কোন একটার মাঝে সীমাবদ্ধ করণ ব্যতীত) নিঃশর্ত আযাবের ধমকি দিয়েছেন, যার মাঝে দুনিয়া-আখেরাত উভয় আযাবই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি (এও জানিয়েছেন যে, তিনি) তাদেরকে ধ্বংস করে দেবেন। তাদের স্থলে অন্য জাতি আনয়ন করবেন, যারা তাদের চেয়ে উত্তম এবং তাদের চেয়ে আল্লাহ তাআলার অধিক আনুগত্যশীল হবে।” (তাফসীরে নাসাফী: ১/৬৮০)
                      ইবনে আশূর রহ. (মৃত্যু: ১৩৯৩হি.) মত ব্যক্ত করেছেন, এ আয়াতে বিশেষভাবে দুনিয়াবি শাস্তির কথাই বলা হয়েছে। কারণ, এ আয়াতে জিহাদ ছেড়ে দেয়ার দুটি পরিণতির কথা বলেছেন-
                      ১. আল্লাহর আযাব আপতিত হবে।
                      ২. তাদের স্থলে অন্য জাতি সৃষ্টি করবেন।
                      এ দুটি পরিণতির কথা একই আয়াতে একই সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। আর অন্য জাতি সৃষ্টি যেহেতু দুনিয়াতেই হবে, তাই তার সাথে উল্লেখিত আযাবও দুনিয়াতেই আসবে। আর এ আযাব হবে- কাফেরদের বিজয় এবং মুসলমানদের গণহত্যা।
                      ইবনে আশূর রহ. (মৃত্যু: ১৩৯৩হি.) বলেন,
                      وقيل: المراد بالعذاب الأليم عذاب الدنيا كقوله: أن يصيبكم الله بعذاب من عنده أو بأيدينا [التوبة: 52] ... وقد يرجح هذا الوجه بأنه قرن بعواقب دنيوية في قوله: ويستبدل قوما غيركم ... فالمقصود تهديدهم بأنهم إن تقاعدوا عن النفير هاجمهم العدو في ديارهم فاستأصلوهم وأتى الله بقوم غيرهم. اهـ
                      “বলা হয়, আয়াতে ‘যন্ত্রণাদায়ক আযাব’ দ্বারা উদ্দেশ্য- দুনিয়াতেই শাস্তি আপতিত হবে, যেমন- আল্লাহ তাআলার এ বাণীতে দুনিয়াবি শাস্তি উদ্দেশ্য:
                      {أن يصيبكم الله بعذاب من عنده أو بأيدينا}
                      ‘তোমাদের ব্যাপারে আমরা প্রতিক্ষায় আছি: আল্লাহ তাআলা হয়তো নিজ হাতে তোমাদের শাস্তি দেবেন, নতুবা আমাদের হাত দিয়ে (তোমাদের উপর শাস্তি পৌঁছাবেন)। (তাওবা: ৫২)
                      এ ব্যাখ্যাটি এ দিক থেকে অগ্রাধিকার পায় যে, আল্লাহ তাআলার বাণী- ‘তোমাদের পরিবর্তে অন্য এক কওম আনয়ন করবেন’ এর মাধ্যমে দুনিয়াবি যে শাস্তির কথা বিধৃত করেছেন, এরই সাথে একে উল্লেখ করেছেন। … উদ্দেশ্য- যদি তারা জিহাদে বের না হয়ে বসে থাকে, তাহলে তাদের শত্রুরা তাদের দেশে আক্রমণ করে তাদেরকে সমূলে হত্যা করবে। তখন আল্লাহ তাআলা (দ্বীনের নুসরত ও কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য) অন্য এক জাতি আনয়ন করেবেন।” (আত-তাহরিরু ওয়াত-তানভীর: ১০/১৯৯)


                      আয়াত-২:
                      {قُلْ إِنْ كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُمْ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّى يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ}
                      “বলুন (হে নবী!) তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের সে সম্পদ যা তোমরা অর্জন করেছ, আর সে ব্যবসা যার মন্দা হওয়ার আশঙ্কা তোমরা করছ এবং সে বাসস্থান যা তোমরা পছন্দ করছ- যদি (এগুলো) তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তবে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তাআলার (পক্ষ থেকে তাঁর আযাবের) ঘোষণা আসা পর্যন্ত। আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।” (তাওবা: ২৪)
                      এসব জিনিস জিহাদের চেয়ে প্রিয় হওয়ার অর্থ- এগুলোর কারণে জিহাদ ছেড়ে দেয়া। আর যখন জিহাদ ছেড়ে দেবে, তখনই আল্লাহ তাআলার আযাব আপতিত হবে। আযাব বিভিন্নভাবে আসতে পারে: আসমানী মুসিবতও হতে পারে, আবার কাফেরদের হাতে নিষ্পেষিত হওয়ার মাধ্যমেও হতে পারে, যেমনটা ১ নং আয়াতে আলোচিত হয়েছে।
                      আল্লামা আলূসি রহ. (মৃত্যু: ১২৭০হি.) বলেন,
                      فَتَرَبَّصُوا أي انتظروا حَتَّى يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ أي بعقوبته سبحانه لكم عاجلا أو آجلا على ما روي عن الحسن. اهـ آ:2\409
                      “হাসান বসরী রহ. থেকে বর্ণিত (আয়াতের অর্থ): তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তাআলার শাস্তির, দুনিয়াতে কিংবা আখিরাতে।” (রুহুল মাআনী: ২/৪০৯)
                      হাফেয ইবনে কাসীর রহ. (মৃত্যু: ৭৭৪হি.) বলেন,
                      أمر تعالى رسوله أن يتوعد من آثر أهله وقرابته وعشيرته على الله وعلى رسوله وجهاد في سبيله ... أي: إن كانت هذه الأشياء (أحب إليكم من الله ورسوله وجهاد في سبيله فتربصوا) أي: فانتظروا ماذا يحل بكم من عقابه ونكاله بكم؛ ...
                      وروى الإمام أحمد، وأبو داود –واللفظ له –من حديث أبي عبد الرحمن الخراساني، عن عطاء الخراساني، عن نافع، عن ابن عمر قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: "إذا تبايعتم بالعينة، وأخذتم بأذناب البقر، ورضيتم بالزرع، وتركتم الجهاد، سلط الله عليكم ذلا لا ينزعه حتى ترجعوا إلى دينكم" . اهـ
                      “যারা নিজেদের পরিবার পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও জ্ঞাতি-গোষ্ঠীকে আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর রাস্তায় জিহাদের উপর অগ্রাধিকার দেবে, তাদেরকে শাস্তির হুঁশিয়ারি শুনাতে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে আদেশ দিয়েছেন। … অর্থাৎ যদি এ সকল বিষয় তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তাহলে তোমরা অপেক্ষা কর ঐ মর্মন্তুদ আযাব ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির, যা তোমাদের উপর আপতিত হবে। ...
                      ইমাম আহমদ রহ. এবং আবু দাউদ রহ. হযরত ইবনে উমার রাদি. থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি- ‘যখন তোমরা সুদি কারবারে লিপ্ত হবে, গরুর লেজ ধরে পড়ে থাকবে, কৃষি কাজেই সন্তুষ্ট থাকবে এবং জিহাদ ছেড়ে দেবে- তখন আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর চাপিয়ে দেবেন লাঞ্চনা। যতক্ষণ তোমরা তোমাদের দ্বীনে ফিরে না আসবে, ততক্ষণ তোমাদের থেকে তা দূর করবেন না।” (তাফসীরে ইবনে কাসীর: ৪/১২৪)


                      আয়াত-৩:
                      {وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ}
                      “তোমরা (অকাতরে) আল্লাহর রাস্তায় (অর্থ-সম্পদ) ব্যয় কর। (অর্থ-সম্পদ আঁকড়ে ধরে) নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের অতলে নিক্ষেপ করো না। আর ইহসান (সুকর্ম) কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ মুহসিন(সুকর্মশীল)দেরকে ভালোবাসেন।” (বাক্বারা: ১৯৫)
                      অর্থাৎ তোমরা যদি অর্থ-সম্পদ অর্জনের দিকে মনোনিবেশ কর, সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখ, কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদে তা ব্যয় না কর, তাহলে কাফেররা তোমাদের উপর বিজয়ী হয়ে তোমাদের ধ্বংস করে দেবে। কাজেই জিহাদ ছেড়ে অর্থ-সম্পদের দিকে মনোনিবেশ করে নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না। হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এই ব্যাখ্যাই বর্ণিত আছে।
                      ইমাম তিরমিযি রহ. বর্ণনা করেন-
                      عن أبي عمران التجيبي قال: "غزونا من المدينة نريد القسطنطينية , وعلى أهل مصر عقبة بن عامر - رضي الله عنه - وعلى الجماعة عبد الرحمن بن خالد بن الوليد فأخرج الروم إلينا صفا عظيما منهم وألصقوا ظهورهم بحائط المدينة فخرج إليهم من المسلمين مثلهم أو أكثر , فحمل رجل من المسلمين على صف الروم حتى دخل فيهم , فصاح الناس وقالوا: مه , مه؟ , لا إله إلا الله , يلقي بيديه إلى التهلكة فقام أبو أيوب الأنصاري - رضي الله عنه - فقال: يا أيها الناس , إنكم تتأولون هذه الآية هذا التأويل , وإنما أنزلت هذه الآية فينا معشر الأنصار , لما أعز الله الإسلام وكثر ناصروه , قال بعضنا لبعض - سرا دون رسول الله - صلى الله عليه وسلم -: إن أموالنا قد ضاعت , وإن الله قد أعز الإسلام , وكثر ناصروه , فلو أقمنا في أموالنا , فأصلحنا ما ضاع منها , فأنزل الله على نبيه - صلى الله عليه وسلم - يرد علينا ما قلنا: {وأنفقوا في سبيل الله ولا تلقوا بأيديكم إلى التهلكة} فكانت التهلكة أن نقيم في أموالنا ونصلحها , وندع الجهاد. قال أبو عمران: فلم يزل أبو أيوب شاخصا يجاهد في سبيل الله حتى دفن بالقسطنطينية" [جامع الترمذي: 2972]
                      “আবু ইমরান আত-তুজিবি রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কুসতুনতুনিয়ার জিহাদের উদ্দেশ্যে মদীনা থেকে বের হলাম। তখন মিশরের গভর্নর ছিলেন হযরত উকবা ইবনে আমের রাদি.। আমাদের জামাতের আমির ছিলেন আব্দুর রহমান ইবনে খালেদ ইবনে ওয়ালিদ রহ.। রোমবাসী আমাদের বিরুদ্ধে তাদের বিশাল এক বাহিনী পাঠাল। তারা তাদের শহরের দেয়ালের দিকে পশ্চাত করে তাদের সারি সাজালো। তাদের মোকাবেলায় মুসলমানদের থেকে তেমনই কিংবা তার চেয়েও বড় এক বাহিনী বের হল। তখন মুসলমানদের এক ব্যক্তি রোমানদের বিশাল সারিতে একাই হামলা করে বসল এবং তাদের সারির একেবারে ভেতরে প্রবেশ করে গেল (যার ফলে তার মৃত্যু নিশ্চিত ছিল)। তখন লোকজন চিৎকার করে বলতে লাগলো- ‘(কি কর?) থাম! থাম! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ! এ ব্যক্তি নিজ হাতে নিজেকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করছে।’ তখন আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে গেলেন। বললেন, ‘ওহে লোক সকল! তোমরা এ আয়াতের এই ব্যাখ্যা করছো। (তোমাদের ব্যাখ্যা সঠিক নয়।) এ আয়াত তো আমরা আনসারদের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে। আল্লাহ তাআলা যখন ইসলামকে শক্তিশালী করলেন, তার সাহায্যকারীও অনেক হয়ে গেল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অগোচরে আমাদের একে অপরকে বললো- আমাদের ধন-সম্পদ তো নষ্ট হয়ে গেল। এদিকে আল্লাহ তাআলা ইসলামকে শক্তিশালী করেছেন। তার সাহায্যকারীও তৈয়ার হয়েছে অনেক। কাজেই আমরা যদি (কিছু দিন জিহাদ বন্ধ রেখে) আমাদের ধন-সম্পদের কাছে অবস্থান করে সেগুলোর পরিচর্যা করতাম! তখন আমাদের এই মতামতকে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ তাআলা তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এ আয়াত নাযিল করলেন-
                      {وأنفقوا في سبيل الله ولا تلقوا بأيديكم إلى التهلكة}
                      “তোমরা (অকাতরে) আল্লাহর রাস্তায় (অর্থ-সম্পদ) ব্যয় কর। (অর্থ-সম্পদ আঁকড়ে ধরে) নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের অতলে নিক্ষেপ করো না।”
                      অতএব, ধ্বংসে নিক্ষেপ করার অর্থ- জিহাদ ছেড়ে আমাদের ধন-সম্পদের পরিচর্যায় লিপ্ত হওয়া।’
                      আবু ইমরান রহ. বলেন, এরপর থেকে আবু আইয়ূব আনসারি রাদি. সর্বদা জিহাদেই লিপ্ত থাকেন। অবশেষে যখন শহীদ হলেন, তখন কুসতুনতুনিয়াতে তাকে দাফন করা হয়।” (জামে তিরমিযি: হাদিস নং ২৯৭২)




                      হাদিস


                      হাদিস-১:
                      عن أبي بكر الصديق - رضي الله عنه - قال: قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم -: "ما ترك قوم الجهاد , إلا عمهم الله بالعذاب" [المعجم الأوسط للطبراني: 3839؛ الترغيب والترهيب: 2158، قال المنذري: رواه الطبراني بإسناد حسن]
                      “হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যে জাতিই জিহাদ ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা ব্যাপকভাবে তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন।” (মু’জামে ত্ববরানী: ৩৮৩৯)
                      এই ব্যাপক আযাব গণহত্যার সূরতেও হতে পারে।


                      হাদিস-২:
                      عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عيه وسلم قال: "إذا تبايعتم بالعينة، وأخذتم أذناب البقر، ورضيتم بالزرع، وتركتم الجهاد؛ سلط الله عليكم ذلاً لا ينزعه حتى ترجعوا إلى دينكم" [ابو داوود: 3464]
                      “হযরত ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমার সূত্রে বর্ণিত যে, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘যখন তোমরা সুদি কারবারে লিপ্ত হবে, গরুর লেজ ধরে পড়ে থাকবে, কৃষি কাজেই সন্তুষ্ট থাকবে এবং জিহাদ ছেড়ে দেবে- তখন আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর চাপিয়ে দেবেন লাঞ্চনা। যতক্ষণ তোমরা তোমাদের দ্বীনে ফিরে না আসবে, ততক্ষণ তোমাদের থেকে তা দূর করবেন না।” (সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৬৪)
                      কৃষি কাজে সন্তুষ্ট থাকার অর্থ- কৃষি কাজসহ অন্যান্য দুনিয়াবি কাজ-কর্মে লিপ্ত হয়ে জিহাদ ছেড়ে দেয়া। তখনই তা লাঞ্চনার কারণ হবে। যেমন, বুখারী শরীফের হাদিসে এসেছে-


                      হাদিস-৩:
                      عن أبي أمامة الباهلي – رضي الله عنه – قال – ورأى سكة وشيئا من آلة الحرث – فقال: سمعت النبي – صلى الله عليه وسلم – يقول: " لا يدخل هذا بيت قوم إلا أدخله الله الذل " [صحيح البخاري: 2321]
                      “হযরত আবু উমামা বাহিলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি একদা একটা লাঙ্গলের ফলা এবং আরো কয়েকটা কৃষি-যন্ত্র দেখে বললেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, এগুলো যে ঘরেই প্রবেশ করবে, আল্লাহ তাআলা সেখানেই লাঞ্চনা ঢুকিয়ে দেবেন।” (সহীহ বুখারী: ২৩২১)
                      ২ নং হাদিসে দ্বীনে ফিরে আসার দ্বারা উদ্দেশ্য- সুদি কারবার বর্জন করা এবং জিহাদের পথে বাধা এমন সব দুনিয়াবি পেশা-কর্ম বাদ দিয়ে আবার জিহাদে ফিরে আসা। যেমন, মুসনাদে আহমদের এক হাদিসে এসেছে-


                      হাদিস-৪:
                      عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: "لئن تركتم الجهاد وأخذتم بأذناب البقر وتبايعتم بالعينة ليلزمنكم الله مذلة في رقابكم لا تنفك عنكم حتى تتوبوا إلى الله وترجعوا على ما كنتم عليه" [المسند للإمام أحمد: 5007]
                      “যদি তোমরা জিহাদ ছেড়ে দিয়ে গরুর লেজ ধরে পড়ে থাক এবং সুদি কারবারে লিপ্ত হও, তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাদের ঘাড়ে এমন এক লাঞ্চনা চাপিয়ে দেবেন, যা তোমাদের থেকে দূর হবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের পূর্বের অবস্থায় ফিরে আস।” (মুসনাদে আহমদ: ৫০০৭)
                      হাদিস-৫:
                      عن أبي أمامة الباهلي – رضي الله عنه – قال: قال رسول الله – صلى الله عليه وسلم -: " من لم يغز , أو يجهز غازيا , أو يخلف غازيا في أهله بخير , أصابه الله بقارعة قبل يوم القيامة " [ابو داود: 2505، ابن ماجه: 2762]
                      “হযরত আবু উমামা বাহিলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নিজেও যুদ্ধ করেনি, কোন যুদ্ধাকে জিহাদের সরঞ্জাম প্রস্তুত করেও দেয়নি এবং উত্তমভাবে কোন মুজাহিদের পরিবারের দেখাশুনাও করেনি, আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের পূর্বেই তাকে কোন ধ্বংসাত্মক বিপদে নিপতিত করবেন। (আবু দাউদ: ২৫০৫)


                      হাদিস-৬:
                      عن أبي عمران التجيبي قال: "غزونا من المدينة نريد القسطنطينية , وعلى أهل مصر عقبة بن عامر - رضي الله عنه - وعلى الجماعة عبد الرحمن بن خالد بن الوليد فأخرج الروم إلينا صفا عظيما منهم وألصقوا ظهورهم بحائط المدينة فخرج إليهم من المسلمين مثلهم أو أكثر , فحمل رجل من المسلمين على صف الروم حتى دخل فيهم , فصاح الناس وقالوا: مه , مه؟ , لا إله إلا الله , يلقي بيديه إلى التهلكة فقام أبو أيوب الأنصاري - رضي الله عنه - فقال: يا أيها الناس , إنكم تتأولون هذه الآية هذا التأويل , وإنما أنزلت هذه الآية فينا معشر الأنصار , لما أعز الله الإسلام وكثر ناصروه , قال بعضنا لبعض - سرا دون رسول الله - صلى الله عليه وسلم -: إن أموالنا قد ضاعت , وإن الله قد أعز الإسلام , وكثر ناصروه , فلو أقمنا في أموالنا , فأصلحنا ما ضاع منها , فأنزل الله على نبيه - صلى الله عليه وسلم - يرد علينا ما قلنا: {وأنفقوا في سبيل الله ولا تلقوا بأيديكم إلى التهلكة} فكانت التهلكة أن نقيم في أموالنا ونصلحها , وندع الجهاد. قال أبو عمران: فلم يزل أبو أيوب شاخصا يجاهد في سبيل الله حتى دفن بالقسطنطينية" [جامع الترمذي: 2972]
                      “আবু ইমরান আত-তুজিবি রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কুসতুনতুনিয়ার জিহাদের উদ্দেশ্যে মদীনা থেকে বের হলাম। তখন মিশরের গভর্নর ছিলেন হযরত উকবা ইবনে আমের রাদি.। আমাদের জামাতের আমির ছিলেন আব্দুর রহমান ইবনে খালেদ ইবনে ওয়ালিদ রহ.। রোমবাসী আমাদের বিরুদ্ধে তাদের বিশাল এক বাহিনী পাঠাল। তারা তাদের শহরের দেয়ালের দিকে পশ্চাত করে তাদের সারি সাজালো। তাদের মোকাবেলায় মুসলমানদের থেকে তেমনই কিংবা তার চেয়েও বড় এক বাহিনী বের হল। তখন মুসলমানদের এক ব্যক্তি রোমানদের বিশাল সারিতে একাই হামলা করে বসল এবং তাদের সারির একেবারে ভেতরে প্রবেশ করে গেল (যার ফলে তার মৃত্যু নিশ্চিত ছিল)। তখন লোকজন চিৎকার করে বলতে লাগলো- ‘(কি কর?) থাম! থাম! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ! এ ব্যক্তি নিজ হাতে নিজেকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করছে।’ তখন আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে গেলেন। বললেন, ‘ওহে লোক সকল! তোমরা এ আয়াতের এই ব্যাখ্যা করছো। (তোমাদের ব্যাখ্যা সঠিক নয়।) এ আয়াত তো আমরা আনসারদের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে। আল্লাহ তাআলা যখন ইসলামকে শক্তিশালী করলেন, তার সাহায্যকারীও অনেক হয়ে গেল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অগোচরে আমাদের একে অপরকে বললো- আমাদের ধন-সম্পদ তো নষ্ট হয়ে গেল। এদিকে আল্লাহ তাআলা ইসলামকে শক্তিশালী করেছেন। তার সাহায্যকারীও তৈয়ার হয়েছে অনেক। কাজেই আমরা যদি (কিছু দিন জিহাদ বন্ধ রেখে) আমাদের ধন-সম্পদের কাছে অবস্থান করে সেগুলোর পরিচর্যা করতাম! তখন আমাদের এই মতামতকে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ তাআলা তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এ আয়াত নাযিল করলেন-
                      {وأنفقوا في سبيل الله ولا تلقوا بأيديكم إلى التهلكة}
                      “তোমরা (অকাতরে) আল্লাহর রাস্তায় (অর্থ-সম্পদ) ব্যয় কর। (অর্থ-সম্পদ আঁকড়ে ধরে) নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের অতলে নিক্ষেপ করো না।”
                      অতএব, ধ্বংসে নিক্ষেপ করার অর্থ- জিহাদ ছেড়ে আমাদের ধন-সম্পদের পরিচর্যায় লিপ্ত হওয়া।’
                      আবু ইমরান রহ. বলেন, এরপর থেকে আবু আইয়ূব আনসারি রাদি. সর্বদা জিহাদেই লিপ্ত থাকেন। অবশেষে যখন শহীদ হলেন, তখন কুসতুনতুনিয়াতে তাকে দাফন করা হয়।” (জামে তিরমিযি: হাদিস নং ২৯৭২)


                      হাদিস-৭:
                      عن ثوبان قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- : "يوشك الأمم أن تداعى عليكم كما تداعى الأكلة إلى قصعتها. فقال قائل: ومن قلة نحن يومئذ؟ قال: بل أنتم يومئذ كثير ولكنكم غثاء كغثاء السيل ولينزعن الله من صدور عدوكم المهابة منكم وليقذفن الله فى قلوبكم الوهن. فقال قائل: يا رسول الله! وما الوهن؟ قال: حب الدنيا وكراهية الموت" [ابو داود: 4299]
                      “হযরত সাওবান রাদি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- অচিরেই এমন সময় আসবে, যখন অন্য জাতি-গোষ্ঠীগুলো তোমাদের বিরুদ্ধে একে অপরকে আহ্বান করবে, যেমন খাবার পাত্র সামনে নিয়ে একে অপরকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এক জন জিজ্ঞেস করল, তখন আমাদের সংখ্যার স্বল্পতার কারণে কি এমনটা হবে? তিনি উত্তর দিলেন, (না) বরং তোমরা তখন সংখ্যায় থাকবে অনেক। কিন্তু তোমরা তখন স্রোতে ভাসমান খর-কুটার মতো হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা তোমাদের শত্রুর অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দেবেন। আর তোমাদের অন্তরে আল্লাহ ঢেলে দেবেন ‘ওয়াহান’। এক জন জিজ্ঞেস করল, ‘ওয়াহান’ কি ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি *উত্তর দিলেন, দুনিয়ার মহব্বত এবং মরণের ভয়।” (আবু দাউদ: ৪২৯৯)
                      অন্য বর্ণনায় এসেছে-
                      "يوشك أن تداعى عليكم الأمم من كل أفق" [المسند للامام أحمد: 22397]
                      “অচিরেই এমন সময় আসবে, যখন পৃথিবীর সকল প্রান্ত থেকে অন্য জাতি-গোষ্ঠীগুলো তোমাদের বিরুদ্ধে একে অপরকে আহ্বান করবে।” (মুসনাদে আহমদ: ২২৩৯৭)


                      মরণের ভয় দ্বারা যুদ্ধ-জিহাদে অনিহা এবং শহীদি মরণের ভীতি উদ্দেশ্য। যেমন, মুসনাদে আহমদের এক বর্ণনায় এসেছে-
                      "قالوا: وما الوهن يا رسول الله؟ قال: حبكم الدنيا وكراهيتكم القتال" [المسند للامام أحمد: 8713]
                      “সাহাবগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওয়াহান’ কি ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি *উত্তর দিলেন, দুনিয়ার মহব্বত এবং যুদ্ধের প্রতি অনিহা।” (মুসনাদে আহমদ: ৮৭১৩)


                      اللهم احفظنا من كلّ بلاء في الدنيا وعذاب في الآخرة، وجنِّبنا مكائد الشيطان والظلم والخيانة والكيد والحسد وغيرها من الآفات برحمتك يا أرحم الراحمين.





                      ডক:


                      পিডিএফ:

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহ আমাদের হিদায়তের উপর অটল রাখুন

                        Comment


                        • #13
                          আল্লাহ আমাদের কে আপনার মুমিন বান্দাদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করে নিন। এবং আমাদের মাফ করুন।
                          শরিয়াহর জন্য আমরা নিবেদিত.....

                          Comment


                          • #14
                            আজ হলো নিউজিল্যান্ডে গণহত্যা। কোনো কিছু আশ্চর্যজনক নয়। কোনোটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সবই একই সূত্রে গাথা
                            আমাদের প্রতিরক্ষা আমাদেরই করতে হবে। কোনো পুলিশি সংস্থা, কোনো জাতিসংঘ আমাদের সাহায্য করবে না। তারা শুধু বরাবরের মতো সাহায্যের ভান করবে।

                            ১৬ মিনিটের ১০ মিনিট ভিডিওটি দেখুন এই লিঙ্কে:


                            প্রতিশোধের আ্গুন জ্বালিয়ে তুলুন নিজের মাঝে।

                            Comment


                            • #15
                              Originally posted by khalid-hindustani View Post
                              আজ হলো নিউজিল্যান্ডে গণহত্যা। কোনো কিছু আশ্চর্যজনক নয়। কোনোটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সবই একই সূত্রে গাথা
                              আমাদের প্রতিরক্ষা আমাদেরই করতে হবে। কোনো পুলিশি সংস্থা, কোনো জাতিসংঘ আমাদের সাহায্য করবে না। তারা শুধু বরাবরের মতো সাহায্যের ভান করবে।

                              ১৬ মিনিটের ১০ মিনিট ভিডিওটি দেখুন এই লিঙ্কে:


                              প্রতিশোধের আ্গুন জ্বালিয়ে তুলুন নিজের মাঝে।
                              আজকের নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ক্রুসেডার কর্তৃক হামলা আমাদের দুটি হাদিস মনে করিয়ে দেয়ঃ
                              ১. আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “শীঘ্রই মানুষ তোমাদেরকে আক্রমণ করার জন্য আহবান করতে থাকবে, যেভাবে মানুষ তাদের সাথে খাবার খাওয়ার জন্য একে অন্যকে আহবান করে”।
                              জিজ্ঞেস করা হলোঃ তখন কি আমরা সংখ্যায় কম হবো? তিনি বললেনঃ “না, বরং তোমরা সংখ্যায় হবে অগণিত। কিন্তু তোমরা সমুদ্রের ফেনার মতো হবে, যাকে সহজেই সামুদ্রিক স্রোত বয়ে নিয়ে যায় এবং আল্লাহ তোমাদের শত্রুর অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দিবেন (মুসলিম টেরোরিস্ট ছাড়া আর কাদেরকেই-বা কুফফাররা ভয় পায়) এবং তোমাদের অন্তরে আল ওয়াহান ঢুকিয়ে দিবেন”।
                              জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে আল্লাহর রাসূল, আল ওয়াহান কি? তিনি বললেনঃ “দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা এবং ক্বিতালকে (যুদ্ধকে) অপছন্দ করা”। [মুসনাদে আহমদ] ২. “যখন তোমরা ঈনা জাতীয় সুদী পদ্ধতিতে লেনদেন করবে, গরুর লেজ আঁকড়ে ধরবে, কৃষিকাজেই সন্তুষ্ট থাকবে এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে তখন আল্লাহ তোমাদের উপর লাঞ্ছনা ও অপমান চাপিয়ে দিবেন।
                              তোমরা তোমাদের দ্বীনে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহ তোমাদেরকে এই অপমান থেকে মুক্তি দিবেন না”।
                              [সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ ইজারা, হাদিস নং ৩৪৬২] আল্লাহ্ তা’আলা শহীদদের কবুল করুন।
                              ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

                              Comment

                              Working...
                              X