১১সেপ্টম্বরের হামলার পর আমেরিকা আল-কায়েদার সন্দেহভাজন যে কয়েকজন সদস্যের নাম প্রকাশ করেছিলো এদের মধ্যে প্রথম নাম হচ্ছে শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ’র, দ্বিতীয় নাম হচ্ছে আমীরুল মুজাহিদীন হাকীমুল উম্মাহ শায়খ আইমান আজ-জাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ। যাঁকে আল-কায়েদার মগজ বলা হয়। শায়খ আইমান হাফিজাহুল্লাহের ব্যাপারে খু-ব-ই কমই প্রকাশিত হয়েছে এজন্যে লোকেরা কম জানে। প্রখর মেধা, বিচক্ষণতা, অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার জন্যে মুজাহিদদের মধ্যে হাকীমুল উম্মাহ (উম্মতের চিকিৎসক) উপাধিতে প্রসিদ্ধ। শায়খ উসামা রাহিমাহুল্লাহে’র ডানহাত এবং আল-কায়েদার নীতি নির্ধারক হিসেবে প্রসিদ্ধ।
জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ তিনি আবু আব্দুর রাহমান আইমান বিন মুহাম্মদ আজ-জাওয়হিরি ১৫ রমজান ১৩৭০ হিজরি মোতাবেক ১৯৫১ সালে কায়রোর মুয়াদী এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন।
তাঁর দাদা জাওয়াহিরি জামেয়া আজহারের একজন শায়খ ছিলেন। নানা ডাক্তার আব্দুল ওয়াহহাব আযযাম ছিলেন আদাবে শারকিয়্যাহের শিক্ষক, সাহিত্য কলেজের অধ্যক্ষ এবং কায়রো ইউনিভার্সিটির প্রধান। তিনিই আল্লামা ইকবালের কবিতাকে আরবিতে রূপান্তর করেন, আরবি কবি মুতানাব্বীর কবিতার ব্যাখ্যাসহ আরো অনেক গ্রন্থের রচয়িতা।
তাঁর পিতা মুহাম্মদ রাবে’ আজ-জাওয়াহিরি ছিলেন আইনে শামস ইউনিভার্সিটির চিকিৎসা কলেজের শিক্ষক এবং মিশরের প্রসিদ্ধ ডাক্তার।
তাঁর মামা সালিম আযযাম ছিলেন ইউরোপ ইসলামিক বোর্ডের সেক্রেটারি, অন্য মামা মাহফুজ আযযাম মিশরের শ্রমপার্টির প্রধান।
শায়খের শৈশব বেড়ে ওঠে একটি ইসলামি পরিবেশে, বাল্যকাল থেকেই তিনি মসজিদে সালাতে আদায়ে আগ্রহী ছিলেন, বিভিন্ন দারস ও ইলমি হালকায়ে উপস্থিত হতেন, পড়ালেখায় মনোযোগী, খেলাধুলা ও বন্ধুদের থেকে দূরে থাকতেন।
শিক্ষাদীক্ষাঃ শায়খা হানী আস-সিবায়ী হাফিজাহুল্লাহ বলেন, ‘ডাক্তার আইমান আনসারুস-সুন্নাহ মসজিদে যাতায়াত করতেন, সেখানে তাঁর সাথীদের সাথে মিলতেন, দ্বীনি দারস শুনতেন এবং তাজবীদের হালকাতে উপস্থিত হতেন, এটাই ছিলো তাঁর সূচনা; কোনো কোনো হালকাতে কুরআন শরীফ পড়া হত, কোনো কোনো হালকাতে বিভিন্ন শায়খদের কাছ থেকে তাজবীদ শিখা হতো। এরপর তিনি ভাইদেরকে কুরআন ও তাজবীদ শিক্ষা দেওয়া শুরু করেন। অতঃপর তাফসীর পড়া শুরু করেন এবং মাকতাবায়ে সালাফিয়্যাহ থেকে প্রকাশিত কিতাবাদি অধ্যয়ন শুরু করেন’।
প্রচলিত পদ্ধতিতে তাঁর পড়ালেখা একটি সরকারী স্কুল থেকে শুরু হয়। এরপর তিনি মেডিক্যাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কাসরে আইনীতে ভর্তি হন, সেখান থেকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে বের হন। এরপর মাস্টার্স সমাপ্ত করে পাকিস্তানের একটি ইউনিভার্সিটি থেকে সার্জারীতে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন। তাঁর পরিবার একটি ডাক্তার পরিবার হিসেবে প্রসিদ্ধ। শুধু তাঁর বংশেই আছেন ৪০জন ডাক্তার।
ইসলামি আন্দোলন ও জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহঃ শায়খ নিজে তাঁর ইসলামি আন্দোলন সম্পর্কে বলেন, ‘ইসলামি আন্দোলনে আমার সূচনা হয় এই জামাআতুল জিহাদ দ্বারা, তখন ছিলো ১৯৬৬ সাল, সায়্যিদ কুতুব শহীদ রাহ’র হত্যার পর এই দলের জন্ম হয়। ১৯৮০সালের শেষদিকে ১৯৮১সালের শুরুর দিকে আমি আফগানিস্তানে সেখানকার পরিস্থিতি কাছ থেকে দেখার জন্যে সফর করি’।
আফগান থেকে ফেরার পর ১৯৮১সালের শেষদিকে শায়খকে মিসরের ফেরআউন ইসরাইলের রক্ষক আমেরিকার গোলাম আনোয়ার সাদাতকে হত্যা করার অভিযোগে তাঁর দল জামায়াতুল জিহাদকে সন্দেহ করে শায়খকে গ্রেফতার করা হয়। লাগাতার ৩ বছর কারাগারে বন্দী থাকার পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই তিন বছর গভীরভাবে ইসলামি পুস্তকাদি অধ্যয়ন করে চলমান ইসলামি আন্দোলনকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর সৌদী আরবে চলে যান, সেখান থেকে পাকিস্তানে চলে যান। সেখানে তিনি একটি ক্লিনিক খুলেন, যেখায় আফগান মুহাজিরদেরকে ফ্রী চিকিৎসা দিতে থাকেন। এখানেই প্রথমে পরিচিত হন শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ’র সাথে। এরপর আফগান জিহাদে শরীক হন।
এ ব্যাপারে শায়খ নিজে বলেন, ‘জেল থেকে মুক্তির পর আমি ভাইদেরকে নতুনভাবে জড়ো করা শুরু করি, আমরা সিদ্ধান্ত নেই আফগান রণাঙ্গনকে ট্রেনিংয়ের উপযুক্ত ক্ষেত্র হিসেবে। আল্লাহ এব্যাপারে আমাদেরকে অনেক তাওফিক দেন’।
শায়খের সংক্ষিপ্ত জীবনরেখা -
• ১৪০৫ হিজরি (১৯৮৫সাল) শায়খ পাকিস্তানের আফগান সীমান্তে আহতদের চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকেন।
• ১৪১৩ হিজরি (১৯৯২সাল) শায়খ উসামা বিন লাদেনের সাথে সুদান হিজরত করেন।
• ১৪১৬ হিজরি( ১৯৯৬ সাল) আফগানিস্তানে তালেবান আধিপত্যের পর ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ ঘোষণার পর হিজরত করেন।
• ১৪১৮ হিজরি (১৯৯৮সাল) তিনি নিজের দল তানযীমে জিহাদ বিলুপ্ত করে শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহের নেতৃত্বে অন্যান্য দলের সমন্বয়ে ‘আল-জাবহাতুল ইসলামিয়্যাহ আল-আলামিয়্যাহ লিক্বিতালিল ইয়াহুদ ওয়াসসালিবিয়্যীন’ (ইয়াহুদী-ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জিহাদি ইসলামিক ফ্রন্ট) প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে আল-কায়েদা নামে পরিচিত।
শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহের শাহাদতের পর তিনিই বর্তমানে আমাদের আমীরুল মুজাহিদীনের ভুমিকায় আবির্ভূত হয়েছেন। আল্লাহ শায়খের হায়াত বৃদ্ধি করুন। শায়খকে হেফাজত করুন। আমীন।
শায়খের রচনাবলীঃ
• ফুরসানুন তাহতা রায়াতিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম(নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঝান্ডাতলের অশ্বারোহী)ঃ ৭০০এর অধিক পৃষ্ঠার আরবি গ্রন্থ। যেখানে শায়খ বিগত ৫০ বছরের বিভিন্ন ইসলামি, জিহাদি দল ও সংগঠনের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভাষায় আত্মজীবনী আকারে লিপিবদ্ধ করেছেন।
• আস-সুবহু ওয়াল ক্বিনদীল (প্রভাত এবং নিভু নিভু প্রদীপ)ঃ পাকিস্তানের সংবিধানকে যারা শরীয়াহ সংবিধান বলেন তাদের জবাবে একটি ইলমি আলোচনা।
• আল-হাসাদুল মুর... ইখওয়ানুল মুসলিমীন ফী সিত্তীনা আমান (তিক্ত অর্জনঃ মুসলিম ব্রাদারহুডের ষাট বছর)ঃ ইখওয়ানুল মুসলিমীনের ব্যর্থতা ইত্যাদি নিয়ে লিখা।
•
এছাড়া রয়েছে ছোট ছোট বার্তা ও পুস্তিকা। যেমন- নিশ্চয় ফিলিস্তিন আমাদের এবং প্রত্যেক মুসলমানদের ইস্যু, ত্বাওয়াগীতদের সাথে কথোপকথন, কুদসের পথ কায়রো হয়ে অতিক্রম করবে, আল-ওয়ালা ওয়াল বারা, কুরআনের ঝান্ডাতলে মানুষ ও ভূমির মুক্তি, মুসলমানদের মিসর জল্লাদদের চাবুক এবং গাদ্দার দোসদের হাতে ইত্যাদি।
জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ তিনি আবু আব্দুর রাহমান আইমান বিন মুহাম্মদ আজ-জাওয়হিরি ১৫ রমজান ১৩৭০ হিজরি মোতাবেক ১৯৫১ সালে কায়রোর মুয়াদী এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন।
তাঁর দাদা জাওয়াহিরি জামেয়া আজহারের একজন শায়খ ছিলেন। নানা ডাক্তার আব্দুল ওয়াহহাব আযযাম ছিলেন আদাবে শারকিয়্যাহের শিক্ষক, সাহিত্য কলেজের অধ্যক্ষ এবং কায়রো ইউনিভার্সিটির প্রধান। তিনিই আল্লামা ইকবালের কবিতাকে আরবিতে রূপান্তর করেন, আরবি কবি মুতানাব্বীর কবিতার ব্যাখ্যাসহ আরো অনেক গ্রন্থের রচয়িতা।
তাঁর পিতা মুহাম্মদ রাবে’ আজ-জাওয়াহিরি ছিলেন আইনে শামস ইউনিভার্সিটির চিকিৎসা কলেজের শিক্ষক এবং মিশরের প্রসিদ্ধ ডাক্তার।
তাঁর মামা সালিম আযযাম ছিলেন ইউরোপ ইসলামিক বোর্ডের সেক্রেটারি, অন্য মামা মাহফুজ আযযাম মিশরের শ্রমপার্টির প্রধান।
শায়খের শৈশব বেড়ে ওঠে একটি ইসলামি পরিবেশে, বাল্যকাল থেকেই তিনি মসজিদে সালাতে আদায়ে আগ্রহী ছিলেন, বিভিন্ন দারস ও ইলমি হালকায়ে উপস্থিত হতেন, পড়ালেখায় মনোযোগী, খেলাধুলা ও বন্ধুদের থেকে দূরে থাকতেন।
শিক্ষাদীক্ষাঃ শায়খা হানী আস-সিবায়ী হাফিজাহুল্লাহ বলেন, ‘ডাক্তার আইমান আনসারুস-সুন্নাহ মসজিদে যাতায়াত করতেন, সেখানে তাঁর সাথীদের সাথে মিলতেন, দ্বীনি দারস শুনতেন এবং তাজবীদের হালকাতে উপস্থিত হতেন, এটাই ছিলো তাঁর সূচনা; কোনো কোনো হালকাতে কুরআন শরীফ পড়া হত, কোনো কোনো হালকাতে বিভিন্ন শায়খদের কাছ থেকে তাজবীদ শিখা হতো। এরপর তিনি ভাইদেরকে কুরআন ও তাজবীদ শিক্ষা দেওয়া শুরু করেন। অতঃপর তাফসীর পড়া শুরু করেন এবং মাকতাবায়ে সালাফিয়্যাহ থেকে প্রকাশিত কিতাবাদি অধ্যয়ন শুরু করেন’।
প্রচলিত পদ্ধতিতে তাঁর পড়ালেখা একটি সরকারী স্কুল থেকে শুরু হয়। এরপর তিনি মেডিক্যাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কাসরে আইনীতে ভর্তি হন, সেখান থেকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে বের হন। এরপর মাস্টার্স সমাপ্ত করে পাকিস্তানের একটি ইউনিভার্সিটি থেকে সার্জারীতে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন। তাঁর পরিবার একটি ডাক্তার পরিবার হিসেবে প্রসিদ্ধ। শুধু তাঁর বংশেই আছেন ৪০জন ডাক্তার।
ইসলামি আন্দোলন ও জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহঃ শায়খ নিজে তাঁর ইসলামি আন্দোলন সম্পর্কে বলেন, ‘ইসলামি আন্দোলনে আমার সূচনা হয় এই জামাআতুল জিহাদ দ্বারা, তখন ছিলো ১৯৬৬ সাল, সায়্যিদ কুতুব শহীদ রাহ’র হত্যার পর এই দলের জন্ম হয়। ১৯৮০সালের শেষদিকে ১৯৮১সালের শুরুর দিকে আমি আফগানিস্তানে সেখানকার পরিস্থিতি কাছ থেকে দেখার জন্যে সফর করি’।
আফগান থেকে ফেরার পর ১৯৮১সালের শেষদিকে শায়খকে মিসরের ফেরআউন ইসরাইলের রক্ষক আমেরিকার গোলাম আনোয়ার সাদাতকে হত্যা করার অভিযোগে তাঁর দল জামায়াতুল জিহাদকে সন্দেহ করে শায়খকে গ্রেফতার করা হয়। লাগাতার ৩ বছর কারাগারে বন্দী থাকার পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই তিন বছর গভীরভাবে ইসলামি পুস্তকাদি অধ্যয়ন করে চলমান ইসলামি আন্দোলনকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর সৌদী আরবে চলে যান, সেখান থেকে পাকিস্তানে চলে যান। সেখানে তিনি একটি ক্লিনিক খুলেন, যেখায় আফগান মুহাজিরদেরকে ফ্রী চিকিৎসা দিতে থাকেন। এখানেই প্রথমে পরিচিত হন শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ’র সাথে। এরপর আফগান জিহাদে শরীক হন।
এ ব্যাপারে শায়খ নিজে বলেন, ‘জেল থেকে মুক্তির পর আমি ভাইদেরকে নতুনভাবে জড়ো করা শুরু করি, আমরা সিদ্ধান্ত নেই আফগান রণাঙ্গনকে ট্রেনিংয়ের উপযুক্ত ক্ষেত্র হিসেবে। আল্লাহ এব্যাপারে আমাদেরকে অনেক তাওফিক দেন’।
শায়খের সংক্ষিপ্ত জীবনরেখা -
• ১৪০৫ হিজরি (১৯৮৫সাল) শায়খ পাকিস্তানের আফগান সীমান্তে আহতদের চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকেন।
• ১৪১৩ হিজরি (১৯৯২সাল) শায়খ উসামা বিন লাদেনের সাথে সুদান হিজরত করেন।
• ১৪১৬ হিজরি( ১৯৯৬ সাল) আফগানিস্তানে তালেবান আধিপত্যের পর ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ ঘোষণার পর হিজরত করেন।
• ১৪১৮ হিজরি (১৯৯৮সাল) তিনি নিজের দল তানযীমে জিহাদ বিলুপ্ত করে শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহের নেতৃত্বে অন্যান্য দলের সমন্বয়ে ‘আল-জাবহাতুল ইসলামিয়্যাহ আল-আলামিয়্যাহ লিক্বিতালিল ইয়াহুদ ওয়াসসালিবিয়্যীন’ (ইয়াহুদী-ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জিহাদি ইসলামিক ফ্রন্ট) প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে আল-কায়েদা নামে পরিচিত।
শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহের শাহাদতের পর তিনিই বর্তমানে আমাদের আমীরুল মুজাহিদীনের ভুমিকায় আবির্ভূত হয়েছেন। আল্লাহ শায়খের হায়াত বৃদ্ধি করুন। শায়খকে হেফাজত করুন। আমীন।
শায়খের রচনাবলীঃ
• ফুরসানুন তাহতা রায়াতিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম(নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঝান্ডাতলের অশ্বারোহী)ঃ ৭০০এর অধিক পৃষ্ঠার আরবি গ্রন্থ। যেখানে শায়খ বিগত ৫০ বছরের বিভিন্ন ইসলামি, জিহাদি দল ও সংগঠনের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভাষায় আত্মজীবনী আকারে লিপিবদ্ধ করেছেন।
• আস-সুবহু ওয়াল ক্বিনদীল (প্রভাত এবং নিভু নিভু প্রদীপ)ঃ পাকিস্তানের সংবিধানকে যারা শরীয়াহ সংবিধান বলেন তাদের জবাবে একটি ইলমি আলোচনা।
• আল-হাসাদুল মুর... ইখওয়ানুল মুসলিমীন ফী সিত্তীনা আমান (তিক্ত অর্জনঃ মুসলিম ব্রাদারহুডের ষাট বছর)ঃ ইখওয়ানুল মুসলিমীনের ব্যর্থতা ইত্যাদি নিয়ে লিখা।
•
এছাড়া রয়েছে ছোট ছোট বার্তা ও পুস্তিকা। যেমন- নিশ্চয় ফিলিস্তিন আমাদের এবং প্রত্যেক মুসলমানদের ইস্যু, ত্বাওয়াগীতদের সাথে কথোপকথন, কুদসের পথ কায়রো হয়ে অতিক্রম করবে, আল-ওয়ালা ওয়াল বারা, কুরআনের ঝান্ডাতলে মানুষ ও ভূমির মুক্তি, মুসলমানদের মিসর জল্লাদদের চাবুক এবং গাদ্দার দোসদের হাতে ইত্যাদি।