Tweet
আন নাসর মিডিয়া
কর্তৃক প্রকাশিত
নিরাপত্তা: কখন, কোথায়, কেন ও কিভাবে?
উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ||
এর থেকে
পর্ব- ০৮
==================================================
===============================
কর্তৃক প্রকাশিত
নিরাপত্তা: কখন, কোথায়, কেন ও কিভাবে?
উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ||
এর থেকে
পর্ব- ০৮
==================================================
===============================
নিরাপত্তা কি শুধু নিজেকে বাঁচানোর জন্য?
আমার ভাইয়েরা! এ কথাটিকে একটি শরয়ী কায়েদা (নীতি) মনে করবেন। কেউ যেন এটা মনে না করে যে, যিনি নিরাপত্তা অবলম্বন করছেন, তিনি শুধুই তার দেহ সত্ত্বাকে বাঁচানোর জন্য এটি করছেন। মনে রাখবেন, যখন থেকে আমি নিরাপত্তা অবলম্বন করছি, যদি সে নিরাপত্তা শুধু শুধু নিজের এ দেহ সত্ত্বাকে বাঁচানোর জন্য হয় বা নিজের আরামের যিন্দেগী বা আয়েশী যিন্দেগীকে (যা কিছু দিনের জন্য আমার লাভ হয়েছে) হেফাজত করার জন্য হয়, তাহলে তা কখনোই নিরাপত্তা হতে পারে না। নিরাপত্তা হয় কোন কাজের জন্য خُذُوا حِذْرَكُم এর পর যে ف এসেছে, তা এসেছে পরবর্তী বুঝানোর জন্য। (বুঝা গেল! নিরাপত্তা গ্রহনের পর কোন কাজে নেমে পড়তে হবে) অর্থাৎ নিরাপত্তা হতে হবে যুদ্ধে বের হওয়ার জন্য।
আমরা যারা ঘরে বসে নিরাপত্তা অবলম্বন করতে চাই এবং বিলকুল চুপ থেকে কিছু দিন কাটিয়ে দিতে চাই। তাদের সবার নিয়ত থাকতে হবে যে, কামরায় বসে বসে চিন্তা ও পরিকল্পনা গ্রহন করব এবং এমন লক্ষ্য স্থির করব, যাতে কুফরের ক্ষতি হয়। যদি কারো এই নিয়ত না হয়। বরং নিয়ত হয়, আমি নিজেকে বাঁচাবো। তাহলে আল্লাহ না করুক! তার জিহাদই কবুল হবে না।
সুতরাং ভাইয়েরা আমার! যেহেতু আমাদের সবার চিন্তা এমন হওয়া উচিত। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজেকে ওসামা বিন লাদেন মনে করা, আমীরুল মু’মিনীন মোল্লা উমর মনে করা। আমীরুল মু’মিনীন মোল্লা উমর রহ.কে দেখুন! কুফরের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তার দ্বারা। তা সত্ত্বেও তিনি কি তাদের কোন মিসাইলে শহীদ হয়েছেন? হননি। তিনি তাদের কোন গুলিতেও শহীদ হননি। তাদের যত গোয়েন্দা সংস্থা ছিল, তাদের যত উপায়-উপকরণ ছিল, সবকিছু অন্ধ হয়ে গেছে তার খোঁজে। আর আল্লাহ তা‘আলা তাকে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। এটা তাদের জন্য চূড়ান্ত লাঞ্ছনা ও অপদস্থতা, তাদের প্রযুক্তির জন্য মারাত্মক অসম্মানজনক। আমীরুল মু’মিনীন মোল্লা উমর রহ. তাদেরকে একটা নিদর্শন দেখিয়ে গেছেন যে, যখন কোন আল্লাহর বান্দা আল্লাহর আনুগত্য করে, শরীয়তের উপর আমল করে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে এ রকমভাবেই সাহায্য করেন। শাহাদাত অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয়। আল্লাহ তা‘আলা যেন আমাদের সকলকে শাহাদাত নসীব করেন। শাহাদাত ব্যতীত অপর কোন মৃত্যু যেন আমাদের না হয়। কিন্তু সর্বযুগেই আল্লাহ তা‘আলা খালিদ বিন ওয়ালিদ রাযি. এর মত বুযুর্গ মানুষকে দেখান, যার মৃত্যু কেবল আল্লাহরই হাতে। পুরো আফগানিস্তান জুড়ে তারা অভিযান চালিয়েছেন, প্রত্যেক এক দু’ কিলোমিটার পরপর তারা বোমা মেরেছে। যে বড় ব্যক্তিত্বের জন্য তারা বোমা মেরেছে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর শরীরে একটি গুলিও বিদ্ধ হতে দেননি। তার কারণ কি? তার কারণ তিনি আল্লাহ তা‘আলার আদেশের উপর আমল করেছেন- خُذُوا حِذْرَكُم এর উপর আমল করেছেন। যখন তিনি خُذُوا حِذْرَكُم এই নির্দেশের উপর আমল করেছেন, আল্লাহ তা‘আলা তাকে সাহায্য করেছেন। আল্লাহর কসম! এটা একেবারেই বিস্ময়কর বিষয়! যখনই আমাদের ভাইয়েরা উপায়-উপকরণ অবলম্বন করেছেন, আল্লাহ তা‘আলা তাতে তাদের জন্য বারাকাহ দিয়েছেন।
আমি যখনই চিন্তা করি, হতভম্ব হয়ে যাই যে, যে স্থাপনাগুলোতে (কেন্দ্রসমূহে) আমরা উপায়-উপকরণ অবলম্বন করেছি, আল্লাহ তা‘আলা তাতে তাদের অন্ধ করে দিয়েছেন এবং তারা সেখানে আমাদেরকে দেখতে পায়নি। আমরা আরো দেখেছি যে, যখন আমরা উপায়-উপকরণ ব্যবহার করেছি, তখন তাদের পক্ষে আমাদের উপর বোমা বর্ষণ করা সম্ভব হয়নি। আল্লাহর সাহায্যের এটি একটা রাস্তা। আল্লাহর কসম! আমরা সব মুজাহিদীন যতক্ষণ পর্যন্ত এটা না বুঝব যে, আমরা শুধু আল্লাহরই জন্য এবং শরীয়তের উপর আমল করার জন্যই এমনটি করছি। এই যে উপায়-উপকরণের ব্যবহার, এটা শরীয়তেরই একটা অংশ। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা (নিরাপত্তার জন্য) এটা ব্যবহার না করব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের শরীয়তের উপর আমল হবে না। আমি পুনরায় বলছি- নিরাপত্তা গ্রহণের কারণে যে ব্যক্তি মনে কষ্ট পায়, এ সব মূলনীতি তার জন্য প্রযোজ্য। তার কাজ হবে নিজের অন্তরে পাথর রাখা অর্থাৎ নিজের অন্তরকে শক্ত রাখা এবং নিজ ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক আরও বেশী মজবুত করা।
আরও পড়ুন