>> "ইসলামে বন্দী মুক্তি"<<
পর্ব:- ৪
হে মুসলিম উম্মাহ!!
কিভাবে তোমরা স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছো, আর মজলুম বন্দীদের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছো??, এটা কিভাবে বৈধ হতে পারে??
অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ-
{إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ}،
"নিশ্চয় সকল মুমিন একে অপরের ভাই। (সূরা হুজরাতঃ ১০)
তিনি আরো বলেনঃ-
{وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ}
"মুমিনগণ একে অপরের বন্ধু/অভিভাবক। (সূরা তাওবাঃ ৭১)
হে মুসলিম উম্মাহ!! কিভাবে তোমরা স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছো, আর মজলুম বন্দীদের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছো??,
এটা কিভাবে বৈধ হতে পারে??
অথচ তোমাদের নবী বলেছেনঃ- أطعموا الجائعَ، وعُودوا المريضَ، وفُكُّوا العَاني
"তোমরা ক্ষুধার্তদেরকে পানাহার দাও, রোগীকে চিকিৎসা দাও, আর বন্দীদের মুক্ত কর। (সহিহ বুখারী)
হাদিসের العَاني (আল আনি) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো أسير তথা বন্দী।
রাসূল (সঃ) আরো বলেনঃ-
(إنَّ على المسلمين من فيئهم أن يُفادوا أسيرهم، ويؤدوا عن غارِمهم).
"মুসলিমদের উপর অর্পিত দায়িত্ব হলো, ১.তাদের বন্দী ভাইকে মুক্ত করা, ২.তাদের ঋণ পরিশোধের ব্যাবস্তা করা। (সুনানে সাঈদ ইবনে মানসুর)
তিনি (সঃ) আরো বলেনঃ-
(ما من امرئٍ يَخذُلُ امرءاً مُسلماً في موطنٍ يُنتقصُ فيه عِرضهِ، ويُنتهكُ فيه من حُرمَتِه، إلا خذَلَه اللهُ تعالى في موطنٍ يُحبُّ فيه نصرَتَهُ، وما مِن أحدٍ ينصرُ مُسلماً في موطنٍ يُنتقَصُ فيه من عِرضهِ، ويُنتهكُ فيه من حُرمتِه، إلا نصرَهُ اللهُ في موطنٍ يُحبُّ فيه نصرتَهُ).
"যে ব্যক্তি তার কোন মুসলিম ভাইকে এমন স্থানে পরিত্যাগ করল, যেখানে তার সম্মান হরণ করা হচ্ছে,
তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকেও এমন স্থানে পরিত্যাগ করবেন যেখানে সে সাহায্যর মুখাপেক্ষী হবে, আর যে তার মুসলিম ভাইকে এমন স্থানে সাহায্য করল, যেখানে তাঁর হুরমত নষ্ট করা হচ্ছে,
— তাহলে আল্লাহ তায়ালাও তাকে এমন স্থানে সাহায্য করবেন যেখানে তার সাহায্যের প্রয়োজন হবে।
(আহমদ, ১৬৪১৫ আবু দাউদ, ৪৮৮৪)
আর এর চেয়ে সর্বোচ্চ خذلان তথা পরিত্যাগ আর কি হতে পারে যে, উম্মাহ তার ক্লান্তিলগ্নে ও সংকটে তার সন্তানদের আন্তরিকতা থেকে বঞ্চিত হয়, যারা তাদের দ্বীন ও তার হুরমত রক্ষার্থে প্রস্তুত হওয়ার প্রয়োজন ছিল??..।
রাসূল (সঃ) বলেনঃ-
(مَنْ نصَرَ أخاهُ بالغيبِ نصَرَهُ اللهُ في الدنيا والآخرة).
"যে ব্যাক্তি তার মুসলিম ভাইকে তার অনুপস্থিতিতে সাহায্য করবে, আল্লাহ তা'লাও তাকে দুনিয়া-আখেরাত উভয় জাহানে সাহায্য করবেন। (বাইহাকি)
হে মুসলিম উম্মাহ!! কিভাবে তোমরা স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছো, আর মজলুম বন্দীদের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছো??, এটা কিভাবে বৈধ হতে পারে??
অথচ তোমাদের নবী বলেছেনঃ-
(المؤمنُ من أهلِ الإيمان بمنزلة الرأسِ من الجسد، يألَمُ المؤمنُ لما يُصيبُ أهلَ الإيمان، كما يألَمُ الرأسُ لما يصيبُ الجسدَ).
"ঈমানদার সকল মুমিন একটি দেহের মস্তকের নেয়, তাদের কোন এক ভাই যদি ব্যথা পায় তাহলে তারাও তার ব্যথায় ব্যথিত হয়, যেমনিভাবে শরীরের কোন অংশে আঘাত পেলে তার মস্তকও সেটা অনুভব করে। (মুসনদে আহমদ, ৫/৩৪০ আস-সিলসিলাতুস সহিহা, ১১৩৭)
তিনি (সঃ) আরো বলেনঃ-
(المؤمنون كرجلٍ واحدٍ، إذا اشتكى رأسَهُ اشتكى كلُّه، وإن اشتكى عينَهُ اشتكى كلُّه)
"সকল মুমিন একটি দেহের ন্যায়, (শরীরের) মাথার অংশ যদি ব্যথা পায়, তাহলে পুরো শরীর তা অনুভব করে অথবা তার চোখে যদি ব্যথা পায়, তো পুরো শরীর ব্যথিত হয়। (সহিহ বোখারী)
রাসুলের বাণী المؤمنون (আল মুমিনুন) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো; বর্ণ, গোত্র জন্মভূমি নির্বিশেষে সকল মুমিন তারা পরস্পরের সহযোগী ও সহানুভূতিশীল হবে, তারা এমন একটি দেহের ন্যায়, যার কিছু অংশে কষ্ট পাবার দ্বারা অন্য অংশ ব্যাথিত হয় এবং এক অংশ অন্য অংশের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়, অথচ আমরা কি (পরস্পরে) এমন??
হে মুসলিম উম্মাহ!! কিভাবে তোমরা স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছো, আর মজলুম বন্দীদের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছো??, এটা কিভাবে বৈধ হতে পারে??
অথচ তোমাদের নবী বলেছেনঃ-
(ترى المؤمنين في تراحُمِهم وتوادِّهم، وتعاطُفِهم، كمثلِ الجسدِ إذا اشتكى عضواً تداعى لهُ سائرُ الجسدِ بالسَّهرِ والحُمَّى).
"তুমি মুমিনদেরকে দেখবে যে তারা পরস্পরে বন্ধুত্বতা ও সহানুভূতিশীলতার
ক্ষেত্রে এমন একটি শরীরের নেয়, যার কোন অঙ্গ ব্যাথা পাওয়া মাত্রই পুরো শরীর অনিদ্রা ও জ্বরে ভোগে। (সহিহ বুখারী)।
কিভাবে তোমরা স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছো, আর মজলুম বন্দীদের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছো??, এটা কিভাবে বৈধ হতে পারে??
অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ-
{إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ}،
"নিশ্চয় সকল মুমিন একে অপরের ভাই। (সূরা হুজরাতঃ ১০)
তিনি আরো বলেনঃ-
{وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ}
"মুমিনগণ একে অপরের বন্ধু/অভিভাবক। (সূরা তাওবাঃ ৭১)
হে মুসলিম উম্মাহ!! কিভাবে তোমরা স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছো, আর মজলুম বন্দীদের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছো??,
এটা কিভাবে বৈধ হতে পারে??
অথচ তোমাদের নবী বলেছেনঃ- أطعموا الجائعَ، وعُودوا المريضَ، وفُكُّوا العَاني
"তোমরা ক্ষুধার্তদেরকে পানাহার দাও, রোগীকে চিকিৎসা দাও, আর বন্দীদের মুক্ত কর। (সহিহ বুখারী)
হাদিসের العَاني (আল আনি) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো أسير তথা বন্দী।
রাসূল (সঃ) আরো বলেনঃ-
(إنَّ على المسلمين من فيئهم أن يُفادوا أسيرهم، ويؤدوا عن غارِمهم).
"মুসলিমদের উপর অর্পিত দায়িত্ব হলো, ১.তাদের বন্দী ভাইকে মুক্ত করা, ২.তাদের ঋণ পরিশোধের ব্যাবস্তা করা। (সুনানে সাঈদ ইবনে মানসুর)
তিনি (সঃ) আরো বলেনঃ-
(ما من امرئٍ يَخذُلُ امرءاً مُسلماً في موطنٍ يُنتقصُ فيه عِرضهِ، ويُنتهكُ فيه من حُرمَتِه، إلا خذَلَه اللهُ تعالى في موطنٍ يُحبُّ فيه نصرَتَهُ، وما مِن أحدٍ ينصرُ مُسلماً في موطنٍ يُنتقَصُ فيه من عِرضهِ، ويُنتهكُ فيه من حُرمتِه، إلا نصرَهُ اللهُ في موطنٍ يُحبُّ فيه نصرتَهُ).
"যে ব্যক্তি তার কোন মুসলিম ভাইকে এমন স্থানে পরিত্যাগ করল, যেখানে তার সম্মান হরণ করা হচ্ছে,
তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকেও এমন স্থানে পরিত্যাগ করবেন যেখানে সে সাহায্যর মুখাপেক্ষী হবে, আর যে তার মুসলিম ভাইকে এমন স্থানে সাহায্য করল, যেখানে তাঁর হুরমত নষ্ট করা হচ্ছে,
— তাহলে আল্লাহ তায়ালাও তাকে এমন স্থানে সাহায্য করবেন যেখানে তার সাহায্যের প্রয়োজন হবে।
(আহমদ, ১৬৪১৫ আবু দাউদ, ৪৮৮৪)
আর এর চেয়ে সর্বোচ্চ خذلان তথা পরিত্যাগ আর কি হতে পারে যে, উম্মাহ তার ক্লান্তিলগ্নে ও সংকটে তার সন্তানদের আন্তরিকতা থেকে বঞ্চিত হয়, যারা তাদের দ্বীন ও তার হুরমত রক্ষার্থে প্রস্তুত হওয়ার প্রয়োজন ছিল??..।
রাসূল (সঃ) বলেনঃ-
(مَنْ نصَرَ أخاهُ بالغيبِ نصَرَهُ اللهُ في الدنيا والآخرة).
"যে ব্যাক্তি তার মুসলিম ভাইকে তার অনুপস্থিতিতে সাহায্য করবে, আল্লাহ তা'লাও তাকে দুনিয়া-আখেরাত উভয় জাহানে সাহায্য করবেন। (বাইহাকি)
হে মুসলিম উম্মাহ!! কিভাবে তোমরা স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছো, আর মজলুম বন্দীদের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছো??, এটা কিভাবে বৈধ হতে পারে??
অথচ তোমাদের নবী বলেছেনঃ-
(المؤمنُ من أهلِ الإيمان بمنزلة الرأسِ من الجسد، يألَمُ المؤمنُ لما يُصيبُ أهلَ الإيمان، كما يألَمُ الرأسُ لما يصيبُ الجسدَ).
"ঈমানদার সকল মুমিন একটি দেহের মস্তকের নেয়, তাদের কোন এক ভাই যদি ব্যথা পায় তাহলে তারাও তার ব্যথায় ব্যথিত হয়, যেমনিভাবে শরীরের কোন অংশে আঘাত পেলে তার মস্তকও সেটা অনুভব করে। (মুসনদে আহমদ, ৫/৩৪০ আস-সিলসিলাতুস সহিহা, ১১৩৭)
তিনি (সঃ) আরো বলেনঃ-
(المؤمنون كرجلٍ واحدٍ، إذا اشتكى رأسَهُ اشتكى كلُّه، وإن اشتكى عينَهُ اشتكى كلُّه)
"সকল মুমিন একটি দেহের ন্যায়, (শরীরের) মাথার অংশ যদি ব্যথা পায়, তাহলে পুরো শরীর তা অনুভব করে অথবা তার চোখে যদি ব্যথা পায়, তো পুরো শরীর ব্যথিত হয়। (সহিহ বোখারী)
রাসুলের বাণী المؤمنون (আল মুমিনুন) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো; বর্ণ, গোত্র জন্মভূমি নির্বিশেষে সকল মুমিন তারা পরস্পরের সহযোগী ও সহানুভূতিশীল হবে, তারা এমন একটি দেহের ন্যায়, যার কিছু অংশে কষ্ট পাবার দ্বারা অন্য অংশ ব্যাথিত হয় এবং এক অংশ অন্য অংশের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়, অথচ আমরা কি (পরস্পরে) এমন??
হে মুসলিম উম্মাহ!! কিভাবে তোমরা স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছো, আর মজলুম বন্দীদের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছো??, এটা কিভাবে বৈধ হতে পারে??
অথচ তোমাদের নবী বলেছেনঃ-
(ترى المؤمنين في تراحُمِهم وتوادِّهم، وتعاطُفِهم، كمثلِ الجسدِ إذا اشتكى عضواً تداعى لهُ سائرُ الجسدِ بالسَّهرِ والحُمَّى).
"তুমি মুমিনদেরকে দেখবে যে তারা পরস্পরে বন্ধুত্বতা ও সহানুভূতিশীলতার
ক্ষেত্রে এমন একটি শরীরের নেয়, যার কোন অঙ্গ ব্যাথা পাওয়া মাত্রই পুরো শরীর অনিদ্রা ও জ্বরে ভোগে। (সহিহ বুখারী)।
নুমান ইবনে বশীর (রাঃ) বলেন
রাসূল (সাঃ) বলেছেন;
মুমিনদের একে অপরের প্রতি সম্প্রতি দয়া মায়া ও মমতার উদাহরণ একটি দেহের মত
যখন দেহের এক অঙ্গ পীড়িত হয় তখন তার জন্য সারা দেহ অনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়
আমাদের ভাই ও বোনেরা যখন তাগ্বুতের বন্দীশালায় অত্যন্ত নির্মমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে
তখন আমরা কীভাবে তাদের ভুলে গিয়ে শান্তি বোধ করতে পারি ?
আমরা তাদের ভুলে গিয়ে
কীভাবে নিজেদের কে নিরাপদ ভাবতে পারি ?
আমরা তাদের স্ত্রী সন্তানদের কথা ভুলে গিয়ে কীভাবে
নিজেদের স্ত্রী সন্তানদের মুখ দেখে প্রশান্ত হতে পারি ?
আজ তাদের পরীক্ষা চলছে
কাল এই পরীক্ষা আমার উপরে আস্তে পারে কেমন হবে তখন ?
যদি ঠিক আজকে আমার মত আগামীকালে সমস্ত মুসলিমরা আমার ব্যাপারে ভুলে যায় !?
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আমাদের নির্যাতিত নিপীড়িত
ভাই বোনদের ব্যাপারে কখনোই
ভুলে যাবেন না
স্মরণ করুন,
তাদের উপর নির্যাতনের
সেই রিদয় বিদরক সেই মুহূর্তগুলোর কথা
অশ্রু শক্তি কন্ঠে ,
তারা আসা করেন আমরা
তাদের ভুলে যাবো না
প্রতিটি দিন নতুন সূর্যের সাথে সাথে তারা নতুন আসায় বুক বাধেন
নিশ্চয় আমার ভাইয়েরা
আমাকে ভুলে যাই নি
প্রতিদিন রাতের আঁধারে সাথে
সাথে তারা নিজেদের
সান্তনা দেয় ইন শা আল্লাহ
আগামীকাল ভোরের আলোর সাথে সাথে আমার ভাইয়েরা আবার চেষ্টা শুরু করবে
আমরা মুক্ত হব ইন শা আল্লাহ
সত্যিই কী আপনি তাদের
কে ভুলে থাকতে পারেন ??
__নীরবতার প্রাচীর
Comment