Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ১৬ || “আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা” ।। শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ || ১১তম পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ১৬ || “আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা” ।। শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ || ১১তম পর্ব

    আন নাসর মিডিয়া পরিবেশিত
    আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা ।।
    শাইখ
    আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
    এর থেকে || ১তম পর্ব

    ===================


    ০৭. কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করা, তাদের ভ্রষ্টতার মুখোশ উম্মোচন করা, তাদের সাথে বন্ধুত্ব না রাখা এবং তাদের থেকে দূরে থাকার নির্দেশ:



    আল্লাহ তা‘আলা শুধু কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেননি; বরং আমাদেরকে আসলী, মুরতাদ ও মুনাফিক; সকল প্রকার কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    ক. আসলী কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা এবং কাফেররা ইসলামী রাষ্ট্র দখল করে নিলে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ফরযে আইন


    শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,
    وإذا دخل العدو بلاد الإسلام فلا ريب أنه يجب دفعه على الأقرب فالأقرب إذ بلاد الإسلام كلها بمنزلة البلدة الواحدة، وأنه يجب النفير إليه بلا إذن والد ولا غريم، ونصوص أحمد صريحة بهذا.


    وقال أيضاً: وأما قتال الدفع فهو أشد أنواع دفع الصائل عن الحرمة والدين فواجب إجماعاً، فالعدو الصائل الذي يفسد الدين والدنيا لا شيء أوجب بعد الإيمان من دفعه، فلا يشترط له شرط بل يدفع بحسب الإمكان، وقد نص على ذلك العلماء أصحابنا وغيرهم، فيجب التفريق بين دفع الصائل الظالم الكافر وبين طلبه في بلاده.



    শত্রুবাহিনী যখন কোনো ইসলামী রাষ্ট্রে ঢুকে পড়ে, তখন তাদেরকে প্রতিহত করা সন্দেহাতীতভাবে ফরয হয়ে যায়। সে দেশের মুসলমানদের উপর, তারপর তারা না পারলে তাদের পার্শ্ববর্তী দেশের মুসলমানদের উপরকারণ, সমস্ত ইসলামী রাষ্ট্র একটি দেশের ন্যায়। পিতা-মাতা ও ঋণ প্রাপকের অনুমতি ছাড়াই সে যুদ্ধে অংশ নিতে হবে। এ ব্যাপারে আহমাদ রহ. কর্তৃক উদ্ধৃতিগুলো স্পষ্ট।

    তিনি আরও বলেন, আত্মরক্ষামূলক জিহাদ হলো: ইজ্জত ও দ্বীন রক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকার। তা উম্মাহর ঐকমত্যে ফরয। দ্বীন ও দুনিয়ার বিষয়ে ফাসাদ সৃষ্টিকারী হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঈমান আনার পরে আর কোনো ফরয নেই। তাই এতে কোনো শর্ত নেই; বরং সবার জন্য সাধ্যানুযায়ী প্রতিহত করা আবশ্যক। আমাদের আসহাব ও অন্যান্য উলামায়ে কেরাম স্পষ্ট বলেছেন, এখানে জালিম কাফের হানাদার বাহিনী এবং তাদেরকে উক্ত দেশে আহ্বানকারীদের মাঝে পার্থক্য করতে হবে।” (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা, আল-ইখতিয়ারাতুল ইলমিয়্যাহ, কিতাবুল জিহাদ, /৬০৭)

    ইসলামী রাষ্ট্রে আক্রমণকারী কাফেরদেরকে প্রতিহত করার ব্যাপারে ঐকমত্য হওয়ার দলিল সম্বলিত মুজাহিদে আজম শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. এর কঠোর ফতোয়াটি একটু ভেবে দেখুন। ঈমানের পর তাদেরকে প্রতিহত করার চেয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ নেইএটির উপর সমস্ত আলেম একমত হয়েছেন- তার এ তাকীদটিও লক্ষ্য করুন। এরপর কথাটিকে বর্তমান যুগের দরবারি আলেম ও মডারেট দাঈদের কথার সাথে মিলিয়ে দেখুন, যারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে মুসলমানদেরকে জিহাদ থেকে বিরত রাখতে চায়; যাতে আমাদের ভূখণ্ডে হানাদার কাফেরদেরকে নিরাপদে রাখা যায় এবং তাদের মনোবাসনা সহজ শান্তভাবে পূর্ণ করতে পারে।



    খ. ইসলামী রাষ্ট্রের মুরতাদ শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা


    ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো মতবাদে দেশ পরিচালনাকারী এবং ইয়াহুদী-খ্রিস্টানদের বন্ধু মুরতাদ শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বর্তমান যুগের ফরযে আইন জিহাদের অন্যতম একটি রূপ। এ বিষয়টি সে সকল বিষয়ের অন্তর্গত একটি বিষয়, যার উপর উলামায়ে কেরাম একমত রয়েছেন এবং এ ব্যাপারে তাঁরা ফতোয়া দিয়েছেন। আমরা তার কিয়দাংশ এখানে উল্লেখ করব। মহান আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-

    فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ﴿النساء: ٦٥﴾



    কিন্তু না, আপনার পালনকর্তার কসম! তারা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক মানবে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজেদের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।” (সূরানিসা: ৬৫)

    ০১. ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেন, রাসূলের আনুগত্য অধ্যায়: আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-

    وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ ﴿المائدة: ٩٢﴾
    তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর।” (সূরামায়িদা: ৯২)
    وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا لِيُطَاعَ بِإِذْنِ اللَّهِ ﴿النساء: ٦٤﴾
    বস্তুত আমি একমাত্র এ উদ্দেশ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি, যাতে আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী তাঁদের আদেশ-নিষেধ মান্য করা হয়।” (সূরানিসা: ৬৪)

    مَن يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ﴿النساء: ٨٠﴾

    যে ব্যক্তি রাসূলের হুকুম মান্য করে, সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল।” (সূরানিসা: ৮০)

    فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ﴿النساء: ٦٥﴾



    কিন্তু না, আপনার পালনকর্তার কসম! তারা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক মানবে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজেদের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।” (সূরা নিসা: ৬৫)

    উক্ত আয়াতসমূহ দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা এ কথা তাকীদ দিয়ে বুঝাতে চেয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনুগত্য করা মানে আল্লাহরই আনুগত্য করা। সুতরাং তাঁর অবাধ্য হওয়ার মানে স্বয়ং আল্লাহরই অবাধ্য হওয়া। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-

    فَلْيَحْذَرِ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَن تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ ﴿النور: ٦٣﴾



    অতএব যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা এ বিষয়ে সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় তাদেরকে স্পর্শ করবে অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে।” (সূরানূর: ৬৩)

    এ আয়াতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরোধিতার ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরোধী এবং তাঁর আনীত ধর্ম মেনে নেওয়া থেকে বিরতদেরকে এবং তাতে সন্দেহকারীদেরকে ঈমান থেকে বহির্ভূত বলা হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-

    فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ﴿النساء: ٦٥﴾



    কিন্তু না, আপনার পালনকর্তার কসম! তারা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক মানবে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজেদের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।” (সূরানিসা: ৬৫)


    আয়াতে حرج শব্দের ব্যাখ্যায় বলা হয়, মুজাহিদ রহ. থেকে বর্ণিত, حرج এর অর্থ সন্দেহ। তবে حرج এর আসল অর্থ সংকীর্ণতা। সুতরাং আয়াতের অর্থ এও হতে পারে যে, সন্দেহাতীত ভাবে মেনে নেওয়া, এ ক্ষেত্রে মনে কোনো সংকীর্ণতা না রাখা; বরং খোলা মনে, জেনে-শুনে এবং বিশ্বাসের সাথে মেনে নেওয়া।

    এ আয়াত প্রমাণ করে যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার বা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোনো আদেশ প্রত্যাখ্যান করে, সে ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে যায়। চাই সন্দেহ করে প্রত্যাখ্যান করুক বা গ্রহণ করা থেকে বিরত থেকে প্রত্যাখ্যান করুক বা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রত্যাখ্যান করুক।

    সাহাবায়ে কেরাম যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারীদেরকে মুরতাদ ঘোষণা দিয়ে তাদেরকে হত্যা করা এবং স্ত্রী-সন্তানকে গ্রেফতার করার হুকুম দিয়েছিলেন, এ আয়াতে তাঁদের কাজের বৈধতার প্রমাণ করে। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ করেছেন, যে ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদেশ ও রায় মানবে না, সে ঈমানদারদের অন্তর্ভুক্ত নয়।” (ইমাম শাফেয়ী রহ. প্রণীত আহকামুল কুরআন, ৩/১৮০-১৮১)

    মহান আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-

    أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ حُكْمًا لِّقَوْمٍ يُوقِنُونَ ﴿المائدة: ٥٠﴾



    তবে কি তারা জাহেলী যুগের ফায়সালা কামনা করে? আল্লাহ অপেক্ষা বিশ্বাসীদের জন্য উত্তম ফায়সালাকারী কে?”(সূরামায়িদা: ৫০)

    আল্লামা ইবনে কাসীর রহ. বলেন,

    ينكر تعالى على من خرج عن حكم الله المحكم، المشتمل على كل خير، الناهي عن كل شر، وعدل إلى ما سواه من الآراء والأهواء والاصطلاحات التي وضعها الرجال بلا مستند من شريعة الله، كما كان أهل الجاهلية يحكمون به من الضلالات والجهالات بما يضعونها بآرائهم وأهوائهم، وكما يحكم به التتار من السياسات الملكية المأخوذة عن ملكهم جنكز خان الذي وضع لهم الياسق، وهو عبارة عن كتاب مجموع من أحكام قد اقتبسها عن شرائع شتى من اليهودية والنصرانية والملة الإسلامية وغيرها، وفيها كثير من الأحكام أخذها من مجرد نظرة وهواه، فصارت في بنيه شرعاً متبعاً، يقدمونها على الحكم بكتاب الله وسنة رسول الله صلى الله عليه وسلم، فمن فعل ذلك فهو كافر يجب قتاله حتى يرجع إلى حكم الله ورسوله، فلا يحكم سواه في قليل ولا كثير.



    আল্লাহ তা‘আলা তাদের কর্মকাণ্ডকে নিন্দা জানাচ্ছেন, যারা আল্লাহ তা‘আলার অলঙ্ঘনীয় বিধান- যা সব ধরনের কল্যাণ সমৃদ্ধ এবং সব ধরনের অকল্যাণকে প্রতিহতকারী; তা থেকে বের হয়ে প্রবৃত্তি, নিজস্ব ধ্যান-ধারণা, শরীয়াহর বাহিরের মানব রচিত পরিভাষাসমূহের দিকে প্রত্যাবর্তন করে।

    যেমন, জাহেলী যুগের মানুষ মানুষের মস্তিষ্ক ও প্রবৃত্তিপ্রসূত মূর্খতা ও ভ্রষ্টতাপূর্ণ চিন্তা দ্বারা নিজেদের পরিচালনা করত। তেমনিভাবে তাতার শাসকগোষ্ঠী চেঙ্গিস খান প্রণীত ইয়াসিক দ্বারা দেশ পরিচালনা করত। ইয়াসিকের সার কথা হলো, এটি এমন একটি আইন সংকলন; যাতে আইন গ্রহণ করা হয়েছে ইয়াহুদী, খ্রিস্টান, ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্ম থেকে। তাতে এমন কতক আইন আছে, যা শুধুমাত্র প্রবৃত্তি ও চাহিদাপ্রসূত। ফলে সেটি তার উত্তরসূরীদের নিকট অনুসরণীয় শরীয়ায় পরিণত হলো। তারা এটিকে আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহর উপর অগ্রাধিকার দিত। সুতরাং যে ব্যক্তি এমন কাজ করবে, সে কাফের হয়ে যাবে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিধানে ফিরে না আসা পর্যন্ত তার সাথে যুদ্ধ করা ওয়াজিব। সামান্য কি বেশি; কোনো বিষয়েই শরীয়াহর বাহিরে গিয়ে হুকুম দেওয়া যাবে না।” (তাফসীরে ইবনে কাসীর, /৬৮)





    আরও পড়ুন
    ১০তম পর্ব ---------------------------------------------------------------------------------------------- ১২তম পর্ব
    Last edited by tahsin muhammad; 08-31-2024, 07:18 PM.
Working...
X