যাজাকাল্লাহ মুহতারাম ভাই, ভুল হলে অবশ্যই ক্ষমা চাই।
তবে আপনার লেখার ভিত্তিতে কয়েকটা বিষয় বলতে চাচ্ছি; আমার আসলে উনার এই ভাবে ভুল ধরাটা শুধু মডারেটরদের জন্য ছিল না। বরং সামগ্রিক ভাবেই আমার মনে হয়েছে যে, এই ভাবে কারো ব্যপারে কোন প্রমান ছাড়া ধারণা করা যে, উনার মন-মেজাজ ভাল নাই তাই এমন করেছেন, এটা শরিয়াতে নিষিদ্ধ।
আরেকটা ব্যাপার; আপনি বলেছেন (ইনসাফ ও সাম্য ও সমতা)। অনেকেই মনে করে ইনসাফ মানে সমান হওয়া, যা সঠিক নয়। ইনসাফ নামে মুত্বলাক সবার সাথে সমান করা নয়। বরং প্রত্যেককে তার মর্যাদা ও বৈশিষ্টের পরিমাণ অনুযায়ী আচরণ করতে হবে। আল্লাহর নবী থেকে খুলাফায়ে রাশেদীন থেকেও এই ব্যপারে অনেক ঘটনা আছে। এই বিষয়টা নিয়ে শাইখ আতিয়াতুল্লাহ লীবী উনার (الثقافة و الوعي) কিতাবে অনেক বিস্তারিত ও সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন।
যার ইলম, ইমান, আমল, তাক্বওয়া, দ্বীনের ক্ষেত্রে কুরবানী, দায়িত্ব ও মাসুলিয়্যাত বেশি; তাকে অবশ্যই সেই সেই ব্যক্তি থেকে বেশি মর্যাদা, সম্মান ও ছাড়া দিতে হবে, ভুল হলে ক্ষমা করতে হবে যার মাঝে এগুলো কম বা নেই। এটাই ইনসাফ, এটাই আদল। সর্বক্ষেত্রে সমান করার ইনসাফ নয়।
উমর রাজি. আবু উবাইদা রাজি.কে বলেছিলেন; তুমি ছাড়া অন্য কেহ এমন কথা বললে প্রচন্ড মাইর দিতাম, কিন্তু তুমি হিসেবে ছাড় দিচ্ছি। কারণ উনার মর্যাদা অন্যদের থেকে বেশি ছিল, তাই ভুলের ক্ষেত্রে ছাড় পেয়েছেন।
সর্বপ্রথম খারেজী জুল খুয়াইসিরাহ এটাই ভেবেছিল যে, ইনসাফ নামে সমান করা। যার ভিত্তিতে আল্লাহর নবীকে পর্যন্ত বলেছিল; আপনি ইনসাফ করুন।
তবে ইহার অর্থ এই নয় যে, আমির বা মডারেটরদের ভুল হলেও মেনে নিতে হবে, চুপ করে থাকবে বা এমন কিছু। আমরা আমাদের আমীরদের কোন কথা এই জন্যে মানি না যে, এটা আমাদের আমির বলেছেন বা আমার জামাত এমনটা মনে করে। বরং আমরা তাদের কথা মানি, কারণ এটা শরিয়াহ অনুযায়ী হয়েছে।
তবে ইহার অর্থ ইহাও নয় যে, আমিররা কোন ভুল করলে তাদের আনুগত্য থেকে বেরিয়ে যাব। বরং স্পষ্ট কোন ভুল করলেও আমরা কখনো আমিরদের আগুনগত্য থেকে বের হব না বা খারাপ আচরণ করব না। বরং কুফুরী হওয়ার পর্যন্ত তাদের সাথেই থাকব। এই বিষয়গুলো নিয়েও শাইখ আতিয়াতুল্লাহ উনার হিসবা ফোরামের সাক্ষাতকারে বিস্তারিত আলাপ করেছেন।
আর ভাই, আপনি যেভাবে সহজ ভাবে বলে ফেলেছেন যে, আমিররা কোন ভুল করলে ঝাগড়া করব, এইভাবে যদি সবাই নিজের ব্যক্তিগত দৃষ্টিতে ভুল দেখলেই ঝগড়া শুরু করে, তাহলে ভাই, এক মাস পরে এই জামাতে আর কোন শৃঙ্খলা খুঁজে পাবেন না। অধিকাংশই দেখে যাবে তার ইলমের ঘাটতির কারনে ব্যক্তিগত দৃষ্টিতে কোন ভুল দেখলেও আমিরের সাথে ঝগড়া শুরু করবে। আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন।
এমন হতে পারে, আমিরের যদি এমন ভুল দেখে যা শুধরানোর উচিত, তাহলে অন্য বিজ্ঞ ভাইদের সাথে পরামর্শ করে জেনে নিবে, এমন করাটা আসলেই ভুল কিনা নাকি তার কাছে এমন মনে হচ্ছে। তারপর উত্তমভাবে তার মর্যাদা ও ইতায়াত ঠিক রেখে বিষয়টা উপস্থাপন করবে। আল্লাহু আলাম।
তবে আপনার লেখার ভিত্তিতে কয়েকটা বিষয় বলতে চাচ্ছি; আমার আসলে উনার এই ভাবে ভুল ধরাটা শুধু মডারেটরদের জন্য ছিল না। বরং সামগ্রিক ভাবেই আমার মনে হয়েছে যে, এই ভাবে কারো ব্যপারে কোন প্রমান ছাড়া ধারণা করা যে, উনার মন-মেজাজ ভাল নাই তাই এমন করেছেন, এটা শরিয়াতে নিষিদ্ধ।
আরেকটা ব্যাপার; আপনি বলেছেন (ইনসাফ ও সাম্য ও সমতা)। অনেকেই মনে করে ইনসাফ মানে সমান হওয়া, যা সঠিক নয়। ইনসাফ নামে মুত্বলাক সবার সাথে সমান করা নয়। বরং প্রত্যেককে তার মর্যাদা ও বৈশিষ্টের পরিমাণ অনুযায়ী আচরণ করতে হবে। আল্লাহর নবী থেকে খুলাফায়ে রাশেদীন থেকেও এই ব্যপারে অনেক ঘটনা আছে। এই বিষয়টা নিয়ে শাইখ আতিয়াতুল্লাহ লীবী উনার (الثقافة و الوعي) কিতাবে অনেক বিস্তারিত ও সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন।
যার ইলম, ইমান, আমল, তাক্বওয়া, দ্বীনের ক্ষেত্রে কুরবানী, দায়িত্ব ও মাসুলিয়্যাত বেশি; তাকে অবশ্যই সেই সেই ব্যক্তি থেকে বেশি মর্যাদা, সম্মান ও ছাড়া দিতে হবে, ভুল হলে ক্ষমা করতে হবে যার মাঝে এগুলো কম বা নেই। এটাই ইনসাফ, এটাই আদল। সর্বক্ষেত্রে সমান করার ইনসাফ নয়।
উমর রাজি. আবু উবাইদা রাজি.কে বলেছিলেন; তুমি ছাড়া অন্য কেহ এমন কথা বললে প্রচন্ড মাইর দিতাম, কিন্তু তুমি হিসেবে ছাড় দিচ্ছি। কারণ উনার মর্যাদা অন্যদের থেকে বেশি ছিল, তাই ভুলের ক্ষেত্রে ছাড় পেয়েছেন।
সর্বপ্রথম খারেজী জুল খুয়াইসিরাহ এটাই ভেবেছিল যে, ইনসাফ নামে সমান করা। যার ভিত্তিতে আল্লাহর নবীকে পর্যন্ত বলেছিল; আপনি ইনসাফ করুন।
তবে ইহার অর্থ এই নয় যে, আমির বা মডারেটরদের ভুল হলেও মেনে নিতে হবে, চুপ করে থাকবে বা এমন কিছু। আমরা আমাদের আমীরদের কোন কথা এই জন্যে মানি না যে, এটা আমাদের আমির বলেছেন বা আমার জামাত এমনটা মনে করে। বরং আমরা তাদের কথা মানি, কারণ এটা শরিয়াহ অনুযায়ী হয়েছে।
তবে ইহার অর্থ ইহাও নয় যে, আমিররা কোন ভুল করলে তাদের আনুগত্য থেকে বেরিয়ে যাব। বরং স্পষ্ট কোন ভুল করলেও আমরা কখনো আমিরদের আগুনগত্য থেকে বের হব না বা খারাপ আচরণ করব না। বরং কুফুরী হওয়ার পর্যন্ত তাদের সাথেই থাকব। এই বিষয়গুলো নিয়েও শাইখ আতিয়াতুল্লাহ উনার হিসবা ফোরামের সাক্ষাতকারে বিস্তারিত আলাপ করেছেন।
আর ভাই, আপনি যেভাবে সহজ ভাবে বলে ফেলেছেন যে, আমিররা কোন ভুল করলে ঝাগড়া করব, এইভাবে যদি সবাই নিজের ব্যক্তিগত দৃষ্টিতে ভুল দেখলেই ঝগড়া শুরু করে, তাহলে ভাই, এক মাস পরে এই জামাতে আর কোন শৃঙ্খলা খুঁজে পাবেন না। অধিকাংশই দেখে যাবে তার ইলমের ঘাটতির কারনে ব্যক্তিগত দৃষ্টিতে কোন ভুল দেখলেও আমিরের সাথে ঝগড়া শুরু করবে। আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন।
এমন হতে পারে, আমিরের যদি এমন ভুল দেখে যা শুধরানোর উচিত, তাহলে অন্য বিজ্ঞ ভাইদের সাথে পরামর্শ করে জেনে নিবে, এমন করাটা আসলেই ভুল কিনা নাকি তার কাছে এমন মনে হচ্ছে। তারপর উত্তমভাবে তার মর্যাদা ও ইতায়াত ঠিক রেখে বিষয়টা উপস্থাপন করবে। আল্লাহু আলাম।
Comment