কমেন্ট এবং কমিটমেন্ট...
দাওয়া ইলাল্লাহতে আলহামদুলিল্লাহ সৃজনশীল পোস্ট এবং কমেন্টের সংখ্যা এখন অনেক বেড়েছে।মান এবং পরিমাণ দুই দিক থেকেই দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।ধারাবাহিক মাশওয়ারা এবং নসীহা যেহেতু আমাদের দায়িত্বের অংশ এবং উত্তরোত্তর উন্নতির পথে সহায়ক-তাই আল্লাহর উপর ভরসা করে কিছু কথা লিখছি।
কমেন্ট করার আগে...
.যে কোন কমেন্ট করার আগেই খেয়াল করে নিতে হবে-কি জন্য করছি? কি উদ্দেশ্যে করছি? ফায়দা কী হবে? শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক আছে কি না?
অর্থাত-ইখলাস ও নিয়তের শুদ্ধতা, শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধতা এবং লাভ ক্ষতির বাস্তবতা।
এটা শুধু কমেন্ট করার ক্ষেত্রেই না-আমাদের জীবনের সকল কথা ও কাজের ক্ষেত্রেই।ইমাম বুখারী রহঃ আলাদা অধ্যায় এনেছেন-باب العلم قبل القول والعمل
কেন কমেন্ট করবঃ
শুধু মাত্র কমেন্ট করার জন্যই আমরা কমেন্ট করি না।কোনো না কোনো ফায়েদা থাকতে হবে, তাইনা?
কমেন্টের ফায়দাগুলোর মধ্যে একটা হল-
১.এতে পোস্টকারী ভাই উৎসাহ বোধ করেন।এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ, তবে একমাত্র কারণ না।
আরো যেসব বিষয় লক্ষ রেখে আমরা কমেন্ট করতে পারি তা হল-
২.পোস্টে বা কমেন্টে কোন ভুল থাকলে নসীহার অংশ হিসেবে শুধরে দেওয়া।এটা কমেন্ট করার সবচে গুরুত্বপূর্ণ ফায়েদাগুলোর একটি।ব্যক্তিগত ভাবে আমার ওই ভাইদের কমেন্টগুলোই বেশি মনে আছে যেগুলোতে আমার কোন ভুল ধরে দেয়া হয়েছিল।(জাযাহুমুল্লাহু খাইরান)
৩.যখন পোস্টের আলোচ্য বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট উপকারী কোন বিষয় জানা থাকে সেটা কমেন্টে নিয়ে আসা।
বিশেষ করে উক্ত বিষয়ে লেখা কোনো রিসালাহ-বই-পত্র-আর্টিকেল বা অডিও ভিডিও থাকলে লিংক দেওয়া যেতে পারে।
প্রাসঙ্গিক উপকারী কোনো তথ্য জানা থাকলে দেওয়া যেতে পারে-যা লেখাকে শক্তিশালী করে।
৪.খুব গুরুত্বপূর্ণ কোন লেখা, সবারই পড়া উচিত-কিন্তু পেছনে চলে গেছে।সেটা কমেন্ট করে সামনে নিয়ে আসা যায় মাঝে মাঝে।ওই কমেন্টটাতেও অতিরিক্ত উপকারী কিছু থাকলে ভালো।
বিশেষ করে বিভিন্ন উপলক্ষে অনেক লেখা হয় যে উপলক্ষগুলো নিয়মিত ফিরে আসে।যেমন-রমাদান,ইদ।তো সময়টা আবার আসলে পোস্টটাকে আবার সামনে আনা যায়।
৫.কোন লেখায় আলাদা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিল-কিন্তু ঘটনা ক্রমে পর্যাপ্ত ভিউ হবার আগেই পেছনে চলে গেছে।সেখানে কমেন্ট করে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে।খুব ইম্পর্টেন্ট মনে হলে বা ভালো লাগলে রেটিং করা যেতে পারে বা মডারেটর ভাইদের কাছে important এ অন্তর্ভুক্ত করার অাবেদন করা যেতে পারে।
কেমন হবে কমেন্টঃ
১ সৃজনশীলতা
কমেন্টে অবশ্যই সৃজনশীলতা কাম্য।যেন তাকরার এবং তাকীদ না হয়ে তাসিসের ফায়েদা হয়।পুনরাবমত্তির বদলে নতুন কিছু আসে।পর্যাপ্ত উৎসাহব্যাঞ্জক কমেন্ট এসে গেলে নতুন করে প্রশংসা সূচক কমেন্ট না করাই ভালো।নতুন কোন লেখায় বা নতুন কোন মেম্বারের কোন সম্ভাবনার আলো ফুটে ওঠলে সেখানে অবশ্যই উৎসাহমূলক কমেন্ট করা।
মোটকথা কমেন্ট যেন হয় সৃজনশীল,কমেন্ট যেন হয়ে ওঠে সুন্দর একটি দক্ষতা ও শিল্প।
২.সচেতনতা,শালীনতা ও দায়িত্ববোধঃ
এটা সবচে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।কমেন্টকারী ভাইকে অবশ্যই সংযত হতে হবে।কারণ-মনে রাখতে হবে কমেন্টকারী ভাইয়ের জন্য খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার হল- ইনফিআল এবং তাআছছুর। আলোড়িত হওয়া এবং প্রভাবিত হওয়া।
হৃদয়ের গভীর থেকে লেখা অথবা প্রচুর দলীল আদিল্লা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সাজানো একটি লেখা পাঠকের উপর প্রভাব ফেলতেই পারে।এ ছাড়াও পাঠকের নিজস্ব আবেগ অনুভূতি ও চিন্তার নিজস্ব প্রতিক্রিয়া আছে।
কিন্তু এ প্রভাব যেন আমাদেরকে অসংযত না করে।আমরা যেন শরীয়ার সীমারেখা কে ছাড়িয়ে না যাই।আমরা যেন অশালীন না হই।
এখন থেকেই এই সচেতনতার ব্রান্ডিং করা উচিত।সবার মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া উচিত এই ব্যাপারটায়।কারণ অনলাইন ও অফলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এখন বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে।সুতরাং আপনার আমার কথা ও কাজগুলো যেন ভালো মেসেজ বহন করে অন্যের জন্য, উপকার বয়ে আনে দ্বীনের জন্য।
যেটা ফরজ সেটা তো করতেই হবে।কিন্তু যেটা জায়েজ,শুধুই মুবাহ-সেখানে তাফাক্কুহের পরিচয় হল-লাভ ক্ষতির হিসাব করা।মাসলাহা-মাফসাদার বিবেচনা করা।এবং ভেবে চিন্তে কাজ করা-কিভাবে করব, কোন স্টাইলে করব..
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে কবুল করুন,ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিন।আমীন।
দাওয়া ইলাল্লাহতে আলহামদুলিল্লাহ সৃজনশীল পোস্ট এবং কমেন্টের সংখ্যা এখন অনেক বেড়েছে।মান এবং পরিমাণ দুই দিক থেকেই দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।ধারাবাহিক মাশওয়ারা এবং নসীহা যেহেতু আমাদের দায়িত্বের অংশ এবং উত্তরোত্তর উন্নতির পথে সহায়ক-তাই আল্লাহর উপর ভরসা করে কিছু কথা লিখছি।
কমেন্ট করার আগে...
.যে কোন কমেন্ট করার আগেই খেয়াল করে নিতে হবে-কি জন্য করছি? কি উদ্দেশ্যে করছি? ফায়দা কী হবে? শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক আছে কি না?
অর্থাত-ইখলাস ও নিয়তের শুদ্ধতা, শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধতা এবং লাভ ক্ষতির বাস্তবতা।
এটা শুধু কমেন্ট করার ক্ষেত্রেই না-আমাদের জীবনের সকল কথা ও কাজের ক্ষেত্রেই।ইমাম বুখারী রহঃ আলাদা অধ্যায় এনেছেন-باب العلم قبل القول والعمل
কেন কমেন্ট করবঃ
শুধু মাত্র কমেন্ট করার জন্যই আমরা কমেন্ট করি না।কোনো না কোনো ফায়েদা থাকতে হবে, তাইনা?
কমেন্টের ফায়দাগুলোর মধ্যে একটা হল-
১.এতে পোস্টকারী ভাই উৎসাহ বোধ করেন।এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ, তবে একমাত্র কারণ না।
আরো যেসব বিষয় লক্ষ রেখে আমরা কমেন্ট করতে পারি তা হল-
২.পোস্টে বা কমেন্টে কোন ভুল থাকলে নসীহার অংশ হিসেবে শুধরে দেওয়া।এটা কমেন্ট করার সবচে গুরুত্বপূর্ণ ফায়েদাগুলোর একটি।ব্যক্তিগত ভাবে আমার ওই ভাইদের কমেন্টগুলোই বেশি মনে আছে যেগুলোতে আমার কোন ভুল ধরে দেয়া হয়েছিল।(জাযাহুমুল্লাহু খাইরান)
৩.যখন পোস্টের আলোচ্য বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট উপকারী কোন বিষয় জানা থাকে সেটা কমেন্টে নিয়ে আসা।
বিশেষ করে উক্ত বিষয়ে লেখা কোনো রিসালাহ-বই-পত্র-আর্টিকেল বা অডিও ভিডিও থাকলে লিংক দেওয়া যেতে পারে।
প্রাসঙ্গিক উপকারী কোনো তথ্য জানা থাকলে দেওয়া যেতে পারে-যা লেখাকে শক্তিশালী করে।
৪.খুব গুরুত্বপূর্ণ কোন লেখা, সবারই পড়া উচিত-কিন্তু পেছনে চলে গেছে।সেটা কমেন্ট করে সামনে নিয়ে আসা যায় মাঝে মাঝে।ওই কমেন্টটাতেও অতিরিক্ত উপকারী কিছু থাকলে ভালো।
বিশেষ করে বিভিন্ন উপলক্ষে অনেক লেখা হয় যে উপলক্ষগুলো নিয়মিত ফিরে আসে।যেমন-রমাদান,ইদ।তো সময়টা আবার আসলে পোস্টটাকে আবার সামনে আনা যায়।
৫.কোন লেখায় আলাদা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিল-কিন্তু ঘটনা ক্রমে পর্যাপ্ত ভিউ হবার আগেই পেছনে চলে গেছে।সেখানে কমেন্ট করে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে।খুব ইম্পর্টেন্ট মনে হলে বা ভালো লাগলে রেটিং করা যেতে পারে বা মডারেটর ভাইদের কাছে important এ অন্তর্ভুক্ত করার অাবেদন করা যেতে পারে।
কেমন হবে কমেন্টঃ
১ সৃজনশীলতা
কমেন্টে অবশ্যই সৃজনশীলতা কাম্য।যেন তাকরার এবং তাকীদ না হয়ে তাসিসের ফায়েদা হয়।পুনরাবমত্তির বদলে নতুন কিছু আসে।পর্যাপ্ত উৎসাহব্যাঞ্জক কমেন্ট এসে গেলে নতুন করে প্রশংসা সূচক কমেন্ট না করাই ভালো।নতুন কোন লেখায় বা নতুন কোন মেম্বারের কোন সম্ভাবনার আলো ফুটে ওঠলে সেখানে অবশ্যই উৎসাহমূলক কমেন্ট করা।
মোটকথা কমেন্ট যেন হয় সৃজনশীল,কমেন্ট যেন হয়ে ওঠে সুন্দর একটি দক্ষতা ও শিল্প।
২.সচেতনতা,শালীনতা ও দায়িত্ববোধঃ
এটা সবচে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।কমেন্টকারী ভাইকে অবশ্যই সংযত হতে হবে।কারণ-মনে রাখতে হবে কমেন্টকারী ভাইয়ের জন্য খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার হল- ইনফিআল এবং তাআছছুর। আলোড়িত হওয়া এবং প্রভাবিত হওয়া।
হৃদয়ের গভীর থেকে লেখা অথবা প্রচুর দলীল আদিল্লা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সাজানো একটি লেখা পাঠকের উপর প্রভাব ফেলতেই পারে।এ ছাড়াও পাঠকের নিজস্ব আবেগ অনুভূতি ও চিন্তার নিজস্ব প্রতিক্রিয়া আছে।
কিন্তু এ প্রভাব যেন আমাদেরকে অসংযত না করে।আমরা যেন শরীয়ার সীমারেখা কে ছাড়িয়ে না যাই।আমরা যেন অশালীন না হই।
এখন থেকেই এই সচেতনতার ব্রান্ডিং করা উচিত।সবার মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া উচিত এই ব্যাপারটায়।কারণ অনলাইন ও অফলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এখন বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে।সুতরাং আপনার আমার কথা ও কাজগুলো যেন ভালো মেসেজ বহন করে অন্যের জন্য, উপকার বয়ে আনে দ্বীনের জন্য।
যেটা ফরজ সেটা তো করতেই হবে।কিন্তু যেটা জায়েজ,শুধুই মুবাহ-সেখানে তাফাক্কুহের পরিচয় হল-লাভ ক্ষতির হিসাব করা।মাসলাহা-মাফসাদার বিবেচনা করা।এবং ভেবে চিন্তে কাজ করা-কিভাবে করব, কোন স্টাইলে করব..
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে কবুল করুন,ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিন।আমীন।
Comment