Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভারতে সত্যিই কি হামলা চালাবে তালেবান?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভারতে সত্যিই কি হামলা চালাবে তালেবান?

    ভারতে সত্যিই কি হামলা চালাবে তালেবান?


    ‘ঈদের পরে ভারতে হামলা চালাবে তালেবান’—সম্প্রতি এরকম একটি নিউজ ছড়িয়ে পড়েছে। নিউজটি সত্য নাকি মিথ্যা—এই বিষয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন, আমাদের কাছে নিউজটির সত্যতা জানতে চেয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে আজ নিউজটির পর্যালোচনা পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা হলো।

    প্রথমত জেনে নেওয়া দরকার নিউজটি কীভাবে ছড়িয়েছে। আফগানিস্তান ইসলামী ইমারতের অফিসিয়াল বার্তার মতো করে তৈরি একটি উর্দু বার্তা অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বার্তাটিতে বলা হয়, ভারতে ঈদুল ফিতরের পরে হামলা চালাবে তালেবান। প্রথমত টুইটারে ছড়ালেও পরে এই বার্তাটি পাকিস্তানের মূলধারার মিডিয়াতেও প্রচার করা হয়। এভাবে সংবাদটি আলোচনায় উঠে আসে।

    আফগানিস্তানের মুসলমানরা শান্তিতে থাকুক এটা ভারত চায় না। ভারত চায় না দখলদার আমেরিকান বাহিনী আফগান ছেড়ে চলে যাক। তাই, তালেবানের সাথে আমেরিকার শান্তি আলোচনার ব্যাপারে ভারতকে শুরু থেকেই নাখোশ দেখা যাচ্ছিল। কেননা আমেরিকা আফগান ছেড়ে যাওয়া মানে আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা তালেবানদের হাতে চলে যাওয়া, আফগানজুড়ে ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হওয়া। আর আফগানে ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মানে হলো—আফগানিস্তানে ভারতের বৃহৎ বাণিজ্যিক ও অন্যান্য স্বার্থ ক্ষুণ্ন হওয়া, হিন্দুত্ববাদী ভারত প্রতিষ্ঠার পথে আফগানিস্তান ইসলামি ইমারত হুমকিরুপে আবির্ভূত হওয়া। এ কারণে আফগানে তালেবানের ইসলামি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে সর্বদাই সরব দেখা গেছে ভারতকে।

    ভারতের এসব শান্তিবিরোধী কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে কিছুদিন আগে তালেবান নেতা শের মুহাম্মাদ আব্বাস স্টানিকজাই বলেছিলেন, ভারত কাবুলের দুর্নীতিবাজ সরকারের পক্ষ নিয়ে সবসময়ই আফগানে নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। তাঁর এই বক্তব্যের পরপরই ঈদের পর ভারতে তালেবানের হামলা চালানো বিষয়ক সংবাদটি ছড়িয়ে পড়ে। তাই স্বাভাবিকভাবেই সংবাদটি পাঠকমহলে বেশ গ্রহণযোগ্যতা পায়, আলোচিত হয়ে উঠে।

    এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে গত ১৮ই মে একটি টুইট বার্তা প্রদান করেন আফগানিস্তান ইসলামী ইমারতের রাজনৈতিক মুখপাত্র মুহতারাম সোহাইল শাহিন হাফিজাহুল্লাহ। সেখানে তিনি ভারতে হামলা করার সংবাদটিকে আফগানিস্তান ইসলামী ইমারতের নীতির সাথে অপ্রাসঙ্গিক আখ্যায়িত করে বলেন, ‘ইসলামী ইমারতের নীতি পরিষ্কার যে, এটি অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।’

    মুহতারাম সোহাইল শাহিন হাফিজাহুল্লাহ-এর উক্ত বার্তা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ভারতে তালেবান হামলা চালাবে মর্মে যে সংবাদটি ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি একটি গুজব। তবে, মুহতারাম সোহাইল শাহিন হাফিজাহুল্লাহ-এর ঐ বার্তাকে কেন্দ্র করে আবার নিকৃষ্টভাবে নিজেদের স্বার্থোদ্ধারে লিপ্ত হয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় মিডিয়াগুলো। তারা এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করতে থাকে যে, ‘কাশ্মীরকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেছে তালেবান’। অথচ, সোহাইল শাহিন হাফিজাহুল্লাহ এর বার্তাতে কাশ্মীর শব্দটিরই উল্লেখ নেই। তাঁর দুই লাইনের উক্ত টুইট বার্তার কোথাও এটা বলা হয়নি যে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বরং তিনি বার্তাটিতে ইসলামী ইমারতের একটি সাধারণ নীতি স্পষ্ট করেছেন মাত্র।

    এই নীতির আলোকে এটাই স্পষ্ট হয় যে, তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত, আফগানিস্তান ব্যতীত অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাঁরা হস্তক্ষেপ করেন না। যেহেতু কাশ্মীর আফগানিস্তানের অংশ নয়, তাই কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতে হামলা চালাতে চায় না তালেবান। সুতরাং, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নাকি পাকিস্তানের, নাকি আলাদা একটি দেশ—এর কোনোটিই মুহতারাম সোহাইল শাহিন হাফিজাহুল্লাহ এর বার্তা থেকে বুঝা যায় না।

    তাই এটা স্পষ্ট যে, ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যেই মুহতারাম সোহাইল শাহিন হাফিজাহুল্লাহ এর বার্তাটিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। এক্ষেত্রে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো হলুদ সাংবাদিকতার জ্বলন্ত উদাহরণ।

    যাইহোক, ‘তালেবান ভারতে হামলা চালাবে না’—এটা মূলত আগে থেকেই নিশ্চিত। তালেবান বহুবার তাদের বৈদিশিক নীতি স্পষ্ট করেছে। তবুও নতুন করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদী ভারত এখন যদিও আনন্দে ভাসছে, তবে আশা করা যায় অচিরেই তাদের এই আনন্দ চির বেদনায় পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ। কেননা, তালেবান ভারতে হামলা না চালালেও তালেবানের অনুগত আল-কায়েদা উপমহাদেশের অধীনস্ত শাখাগুলো হিন্দুত্ববাদী ভারতকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, বিইযনিল্লাহ। বরং, কাশ্মীরে আল-কায়েদার শাখা আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ হিন্দুত্ববাদী সেনাদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে লড়াইও চালিয়ে যাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ। অতএব তালেবান ভারতে হামলা চালাবে কি না—তা আলোচনার আগে জেনে নেওয়া দরকার যে, ইতোমধ্যেই ভারতে তালেবানের অনুগত আল-কায়েদা উপমহাদেশ শাখা হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং চূড়ান্ত আঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আলহামদুলিল্লাহ।

    লেখক: আহমাদ উসামা আল-হিন্দ, সম্পাদক, আল-ফিরদাউস নিউজ।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মাশাআল্লাহ,,,
    খুব সুন্দর ও সময়োপযোগী আলোচনা।
    মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ,, বার্তাটি পড়ে আমার সন্দেহ সংশয় দূর হয়েগেছে।
      আল্লাহ সকল মুজাহিদ ভাইদেরকে সুস্থ ও নিরাপদে রাখুন,আমিন।
      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

      Comment


      • #4
        ভারত শুধু মিডিয়া আর কিছু গোয়েন্দা সংস্থা এর উপর ভিক্তি করেই সব ফাতাহ করতে চায়, কেমন যেন এই দু'টা তাদের আমরন বাচিঁয়ে রাখবে, আমার তো মনে হয় কিছু দিন পর এই দু'টার পূজা -আরাধনা শুরু করে দিব। (আল্লাহু আ'লাম)
        আর আমরা মুসলমানরাও তাদের মত মানুষ পূজা শুরু করে নিজেরদেরকে গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ করে ফেলেছি, কবে আময়াদের জীবন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পথে চলে গোলামীর জিন্দেগী থেকে মুক্ত হতে পারব? আল্লাহ আমাদের মুরদা দিল কে সতেজ করুন! আমিন

        Comment


        • #5
          ! আমাকে সঠিক বুজ দান করুন ! আমিন ।। ।।

          Comment


          • #6
            এই গুরুত্বপূর্ণ লেখাটিকে খুব বেশী করে স্যোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। যাতে কেউ বিভ্রান্ত না হোন এবং প্রোপাগান্ডায় কান না দেন।
            “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

            Comment


            • #7
              আল ফিরদাউস মিডিয়া ভাইদের প্রতি অনুরোধ,, আপনারা যদি জঙ্গি শব্দটির উপর একটি ভিডিও বানাতেন তাহলে আমরা অনেকেই উপকৃত হতাম।
              বিষয়, জঙ্গি শব্দটিকে এদেশের অনেক মুসলিম গালী হিসেবে নিচ্ছেন। কিন্তু কুফফার ও ত্বাগুত মুজাহিদ ভাইদেরই জঙ্গি বলছেন।
              এক মুসলিম ভাইয়ের সাথে কথা হলো, যিনি এক সময় শাইখ রাহমানি হাফিজাহুল্লাহ এর ভক্ত ছিলো, কিন্তু শাইখকে গ্রেফতার করার পরে অনেকের মতো ওনি চুপ হয়ে গেছেন। এবং শাইখ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযুক্ত সেটা বলছেন।
              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

              Comment


              • #8
                আলহামদুলিল্লাহ!
                জাযাকুমুল্লাহ! বিষয়টি ক্লিয়ার করার জন্য। আমাদের এই লিখাটি বেশি বেশি প্রচার-প্রসার করা দরকার।
                আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
                জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
                বিইযনিল্লাহ!

                Comment


                • #9
                  সোস্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত ৷
                  যাতে করে সংশয় দূর হয়ে যায় ৷
                  গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

                  Comment


                  • #10
                    আলহামদুলিল্লাহ। বহু পেরেশানির মধ্যে ছিলাম নিউজটির ব্যাপারে। অনেক কিছুই এখন স্পষ্ট হল।

                    জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
                    হে মু'মিনগণ! তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও।

                    Comment


                    • #11
                      আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্ এই জটিলতা থেকে প্রশান্ত করলেন,,

                      Comment


                      • #12
                        আমার বিষয় টি স্পষ্ট হয়ে গেলো, জাজাকাল্লাহ আখি খুবই প্রয়োজনীয় ও সময় উপযোগী পোষ্ট।

                        Comment


                        • #13
                          আফগানিস্তান আপডেট- ইনফরমেশন ওয়ারফেয়ার এন্ড প্রোপোগান্ডা

                          বৈদেশিক সৈন্য আফগানিস্তানের ভূমি ত্যাগ করবে এটা অনেকে মেনে নিতে পারছে না। তারা চায় অ্যামেরিকা সারাজীবন আফগানিস্তানে অবস্থান করুক কেননা তারা জানে তালিবানকে তারা কাবু করতে পারবে না এবং ইসলামিক ইমারাহ কায়েম আঁটকে রাখতে পারবে না। সাম্প্রতি ডিল বিরোধীরা তাই তালিবানের বিরুদ্ধে চতুর্মাত্রিক যুদ্ধ শুরু করেছে। তালিবান বিরোধী প্রধান দল হল আফগানিস্তানের পোপাট রেজিম এবং পাক-আফগানিস্তানের সেকুলার গ্রুপ। তবে এদের শক্তি অনেক সীমিত। বিরোধীদের মধ্যে সবচে শক্তিধর হল ভারত। ভারত কোনো ভাবেই চায় না এই ডিল বাস্তবায়ন হোক।

                          ভারত তালিবানের বিরুদ্ধে ইনফরমেশন ওয়ার শুরু করেছে। প্রথমে তালিবানের প্রতি মানুষকে উস্কে দেয়ার জন্য আফগান সরকার এবং ভারতের raw মিলে আইসিসের মাধ্যমে কাবুলের হসপিটালে হামলা করালো। তারা জেনে বুঝে এমন লোকেশন সিলেক্ট করেছিল। যাতে সর্বাধিক দুর্বল এবং নিরাপরাধ মানুষ মারা যায়। ছোট ছোট শিশু, গর্ভবতী মা ইত্যাদি ছিল তাদের প্রধান টার্গেট। হলও তাই। অতপর তাৎক্ষণিক ভাবে মিডিয়াতে এই হামলার দোষ তালিবানের উপর চাপিয়ে নিউজ প্রচার করা হল। মিডিয়া, টুইটার, ফেইসবুক সকল প্লাটফর্মে সাধারণ মানুষ আবেগের বশবর্তী হয়ে তালিবানের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করল। বিশেষ করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মডারেট সেকুলাররা সবচে বেশি মায়াকান্না করল। তালিবান দ্রুত এই হামলার জন্য নিন্দা জানালো এবং বিস্তারিত ও দালিলিক ভাবে জানিয়ে দিল যে তারা এতে জড়িত ছিল না। পরে রিপোর্ট প্রকাশ করল। সব মিলিয়ে দুয়েক দিন পরে তালিবান বিরোধী মিথ্যা প্রোপোগান্ডা সবাই বুঝতে পারল। এমনকি অ্যামেরিকাও এই হামলার দায় চাপালো আইসিসের উপর।
                          কিন্তু আফগান পোপাট রেজিমের প্লান ব্যর্থ হওয়া সত্তেও তারা তালিবানের বিরুদ্ধে অফেন্সিভ যুদ্ধ ঘোষণা করল। যা তারা আগে থেকেই চাচ্ছিল, কেননা অ্যামেরিকা চলে গেলে এরা টিকতে পারবে না।

                          এই প্রোপোগান্ডা শেষ হতে না হতেই ভারতের রো তালিবানের একটি মিথ্যা তথ্য মিডিয়াতে ছড়ালো। তালিবান ভারতের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছে। ইদের পরেই গাযওয়াতুল হিন্দের ডাক দিয়েছে। এই খবর দেখেই অতি আবেগি পাকিস্তানীরা ভালো করে চিন্তা না করে প্রচার শুরু করে দিল। পাকিস্তানের মিডিয়া তথ্য যাচাই না করে রাতারাতি খবর রাষ্ট্র করে দিল। তালিবান বুঝতে পেরে সাথে সাথে এই তথ্য প্রচারকারী তালিবানের টুইটার আইডি ফেইক তা জানিয়ে দিল। কিন্তু তবুও প্রোপোগান্ডা থেমে নেই। এখন তা পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।

                          যদি তালিবান সত্যিই এমন করত তাহলে সবচে বড় ক্ষতি হত তালিবানের। সবচে লাভবান হত ভারত। তালিবান ডিলে বলেছে তারা ভিন্ন দেশে আক্রমণ করবে না। এখন জিহাদ ঘোষণার অর্থ তালিবান এগ্রিমেন্ট ভঙ্গ করেছে। তখন অ্যামেরিকা আফগানিস্তানে থাকতে বাধ্য হয়ে পড়বে। তালিবানের যুদ্ধ আগের মতই চলবে। অন্যদিকে আফগানিস্তানের সাথে ভারতের কোনো বর্ডার নেই, তাই ভারত আক্রমণের অর্থ হল পাকিস্তানের মদদে এই হামলা হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ তালিবান হল পাকিস্তানের প্রক্সি আর্মি। এতে ভারত এক তীর দিয়ে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের প্রবলেম সল্ভ করে ফেলত। তাই এমন খবর শোনা ও প্রচারের আগে চিন্তা করুন, ভাবুন। এটা ছিল এগ্রিমেন্টের পর ভারতের সবচে বড় ইনফরমেশন ওয়ার। যা তালিবান সুন্দর ভাবেই মোকাবেলা করতে পেরেছে। তাহলে কি তালিবান ভারতের বিরুদ্ধে অন্য মুসলিম দেশ গুলোর মত নিরব থাকবে? এটা তো তালিবান কখনো বলেনি, প্রক্সি যুদ্ধর যুগে তালিবান পিছিয়ে থাকবে তা আমি মনে করি না।

                          আফগানিস্তানে ভারতের রোল নিয়ে তালিবান অফিসার মোল্লা মুহাম্মাদ আব্বাস স্টেকেনযায়ি স্পস্ট বলেছেন 'গত ৪০ বছর ভারত আফগানিস্তানে নেগেটিভ রোল প্লে করেছে'। ভারতের সাথে তাদের সংলাপ নিয়ে চিন্তিত না হয়ে এই উক্তি জেনে রাখলেই হবে। উপরন্তু ভারতের সাথে তালেবানের সংলাপের অর্থ হল আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ- আশ্রাফ গনির দুর্বল হয়ে যাওয়া, তারা বুঝে যাবে ভারত এখন তাদের সাপোর্ট দিতে পারবে না। এতে করে ইমারাত প্রতিষ্ঠা আরও সহজ হয়ে পড়বে। আর ভারত এখন আমেরিকা-চীনের নিউ কোল্ড ওয়ারে ফেসে আছে। ৯/১১ এর পরে বিশ্ব আবার সেইপ চেঞ্জ করছে। তা নিয়ে অন্য সময় আলোচনা করব ইংশাআল্লাহ।


                          —ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
                          প্রকাশকাল: 18 ই মে 2020 ঈসায়ী

                          Comment


                          • #14
                            মাশাআল্লাহ,
                            খুব ভালো লাগলো ভাই!
                            আর এ বিষয়ে আমি কিলিয়ার হলাম ভাই!

                            Comment


                            • #15
                              আমাদের জন্য একান্ত কর্তব্য মিডিয়াতে শক্তি বাড়ানো, সামনের দিনগুলোতে আরো প্রোপাগাণ্ডার তারা চালাবে মনে হচ্ছে।
                              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                              Comment

                              Working...
                              X