Announcement

Collapse
No announcement yet.

অঙ্গীকার পালন,মুমিনের অপরির্হায গুণ।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অঙ্গীকার পালন,মুমিনের অপরির্হায গুণ।

    অঙ্গীকারপালন,মুমিনের অপরির্হায গুণ।
    একজ আদর্শ মুমিন কখনো অঙ্গীকার ভঙ্গ করেনা, কারো কাছে কোন ওয়াদা করলে যে কোন মূল্যে তা পূর্ণ করার চেষ্টা করে, ইসলামি শরিয়ায় ওয়াদা পূর্ণের আনেক গুরুত্ব রয়েছে,আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন।
    وَأَوفُوابِالعَهدِإنَّ العَهدَکَانَ مَسٶولًا .

    "আর অঙ্গীকার পূর্ণ করো, নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, (সূরা ইসরা,১৭:৩৪)
    অঙ্গীকার পালন একজন মুমিনের অপরির্হায গুণ,আর ওয়াদা ভঙ্গ করা মুনাফিকের আলামত,সহিহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে, রসূল(সাইরশাদ করেন,

    ايَةُالمُنَافِقِ ثلَاثٌ:إِِذَاحَدَّثَ کَذَبَ،وَاإِذَاوَعَدَأَخلَفَ،وَإِذَااٶتُمِنَ خَانَ.

    রসূল (সাইরশাদ করেন :মুনাফিকের আলামত তিনটি :যখন কথা বলে, মিথ্যা বলে:অঙ্গীকার করলে, পালন করে না, তার কাছে কোন কিছু আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে।(সহিহুল বুখারী:৩)
    রসূল (সাজীবনে কোন দিন অঙ্গীকার ভঙ্গ করেননি,নবুয়ত লাভ করার পূর্বেও তিনি মানুষের কাছে এতটাই অাস্থাবাঝন ছিলেন সবাই তাকে আল আমিন বলে ডাকত,বাদশা হিরাক্লিয়াস আবু সুফিয়ানের কাছে রাসূল (সাসম্পর্কে যেসব প্রশ্ন জিজ্ঞাস করেছিলেন,তার মধো অন্যতম হল তিনি কি ওয়াদা ভঙ্গ করেন? রাসূল (সামের পরম শত্রু হওয়ার সত্যেও আবু সুফিয়ান সে দিন শিখার করেছিলেন মুহাম্মাদ ওয়াদাহ ভঙ্গ করে না।
    প্রিয় ভাই!কাউকে কথা দেওয়ার আগে চিন্তা করে দেখুন আপনি কথাটি রাখতে পার্ববেন কিনা? কারোর সঙ্গে এমন ওয়াদা করবেন না, যা আপনি পূর্ণ করতে পারবেন না। আনেক দূর্বাগা আছেন যারা যেনে শুনে প্রতারনা করার জন্য ওয়াদা করে।এটা কোন মুমিনের শান হতে পারেনা, আবার এমন একদল মুমিন আছেন যারা কারো কথা ফেলতে পারে না,যে কোন সাহায্য চায় তাকে কথা দিয়ে দেন, কাউকে তারা ফেরত দেন না,পরে দেখা যায় এত ওয়াদা তারা পূর্ণ করতে পারে না, এটা মারাক্তক একটি দুর্বলতা, যে কাজটি করতে পারবেন না তা করার ওয়াদাহ, করা কখনো ঠিক হবেনা, আপনার সাহায্য করার সামর্থ্য না থাকলে তাকে সুজা বলে দিন, ভাই আমার খুব ইচ্ছা আপনাকে সাহায্য করি কিন্তু আমি অক্ষম।কাউকে সাহায্য করার আশা দিয়ে রাখলে, সে আপনার ভরসায় বসে থাকবে। তার চেয়ে আপনার অক্ষমতা কথা তাকে জানিয়ে দিলে সে অন্য কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে। পবিত্র কোরআনের অসংখ্য জায়গায় ওয়াদা পালনের প্রতি কঠিন ভাবে ঝোর দেওয়া হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    وَأَوفُوابِعَهدِاللّٰهِ إِذَاعَاهَدتُم وَلَاتَنقُضُواالأَيمانَ بَعدَتَوکِيدِهَاوَقَدجَعَلتُمُ اللّٰهَ عَليَکُم کَفيِلًاإنَّ اللّٰهَ يَعلَمُ مَاتَفعَلُونَ.


    "তোমরা যখন অঙ্গীকার করো তখন আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ কর।তোমরা পাকাপোক্ত অঙ্গীকার করার পর তা ভঙ্গ করো না এবং তোমরা প্রকৃত পক্ষে নিজেদের জন্য আল্লাহকে জিম্মাদার বানিয়েছ।নিশ্চয় আল্লাহ জানেন,তোমরা জান না। (সূরা নাহল,১৬:৯১)
    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দিন আমিন,ইয়ারব্বাল আলামিন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

  • #2
    জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা।আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা আপনার লেখায় বারাকাহ দান করুন।
    তবে ভাই লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশুদ্ধ বানানের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।একাধিক অশুদ্ধ বানানের কারণে লেখার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।আরেকটি বিষয় হলো ভাই !‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’ এভাবে লেখার অনুরোধ রইলো। (সাঃ),(দ.) না লেখা চাই।
    Last edited by tahsin muhammad; 02-15-2020, 09:57 PM.

    Comment


    • #3
      অঙ্গীকার পালন: মুমিনের অপরির্হায গুণ ||

      একজন আদর্শ মুমিন কখনো অঙ্গীকার ভঙ্গ করেনা। কারো কাছে কোন ওয়াদা করলে যে কোন মূল্যে তা পূর্ণ করার চেষ্টা করে। ইসলামি শরিয়ায় ওয়াদা পূরণের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন:

      وَأَوفُوابِالعَهدِإنَّ العَهدَکَانَ مَسٶولًا .

      "আর অঙ্গীকার পূর্ণ করো, নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (সূরা ইসরা, ১৭:৩৪)

      অঙ্গীকার পালন একজন মুমিনের অপরির্হায গুণ। আর ওয়াদা ভঙ্গ করা মুনাফিকের আলামত। সহিহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,

      ايَةُالمُنَافِقِ ثلَاثٌ:إِِذَاحَدَّثَ کَذَبَ،وَاإِذَاوَعَدَأَخلَفَ،وَإِذَااٶتُمِنَ خَانَ.

      মুনাফিকের আলামত তিনটি। যখন কথা বলে মিথ্যা বলে। অঙ্গীকার করলে পালন করে না। তার কাছে কোন কিছু আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে। (সহিহুল বুখারী: ৩)

      রাসূল (ﷺ) জীবনে কোন দিন অঙ্গীকার ভঙ্গ করেননি। নবুয়ত লাভ করার পূর্বেও তিনি মানুষের কাছে এতটাই আস্থাভাজন ছিলেন, সবাই তাকে আল আমিন বলে ডাকত। বাদশা হিরাক্লিয়াস আবু সুফিয়ানের কাছে রাসূল (ﷺ) এর সম্পর্কে যেসব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো- তিনি কি ওয়াদা ভঙ্গ করেন?
      রাসূল (ﷺ) এর পরম শত্রু হওয়ার সত্তেও আবু সুফিয়ান সে দিন স্বীকার করেছিলেন মুহাম্মাদ (ﷺ) ওয়াদাহ ভঙ্গ করেননা।

      প্রিয় ভাই! কাউকে কথা দেওয়ার আগে চিন্তা করে দেখুন আপনি কথাটি রাখতে পারবেন কিনা? কারোর সঙ্গে এমন ওয়াদা করবেন না, যা আপনি পূর্ণ করতে পারবেন না। অনেক দুর্ভাগা আছেন, যারা যেনে শুনে প্রতারণা করার জন্য ওয়াদা করে। এটা কোন মুমিনের শান হতে পারেনা।

      আবার এমন একদল মুমিন আছেন, যারা কারো কথা ফেলতে পারে না। যে কোন সাহায্য চায় তাকে কথা দিয়ে দেন, কাউকে তারা ফেরত দেন না। পরে দেখা যায় এত ওয়াদা তারা পূর্ণ করতে পারে না। এটা মারাত্মক একটি দুর্বলতা। যে কাজটি করতে পারবেন না তা করার ওয়াদা করা কখনো ঠিক হবেনা। আপনার সাহায্য করার সামর্থ্য না থাকলে তাকে সোজা বলে দিন, ভাই আমার খুব ইচ্ছা আপনাকে সাহায্য করি, কিন্তু আমি অক্ষম। কাউকে সাহায্য করার আশা দিয়ে রাখলে সে আপনার ভরসায় বসে থাকবে। তার চেয়ে আপনার অক্ষমতার কথা তাকে জানিয়ে দিলে সে অন্য কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে।

      পবিত্র কোরআনের অসংখ্য জায়গায় ওয়াদা পালনের প্রতি কঠিনভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

      وَأَوفُوابِعَهدِاللّٰهِ إِذَاعَاهَدتُم وَلَاتَنقُضُواالأَيمانَ بَعدَتَوکِيدِهَاوَقَدجَعَلتُمُ اللّٰهَ عَليَکُم کَفيِلًاإنَّ اللّٰهَ يَعلَمُ مَاتَفعَلُونَ.

      "তোমরা যখন অঙ্গীকার করো তখন আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ কর। তোমরা পাকাপোক্ত অঙ্গীকার করার পর তা ভঙ্গ করো না এবং তোমরা প্রকৃতপক্ষে নিজেদের জন্য আল্লাহকে জিম্মাদার বানিয়েছ। নিশ্চয় আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না। (সূরা নাহল, ১৬:৯১)

      আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দিন। আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।
      হে মু'মিনগণ! তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও।

      Comment


      • #4
        Originally posted by tahsin muhammad View Post
        আরেকটি বিষয় হলো ভাই !‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’ এভাবে লেখার অনুরোধ রইলো। (সাঃ),(দ.) না লেখা চাই।
        ভাই!এটার ব্যাপারে কোন শরঈ নিষেধাজ্ঞা আছে?(ভাল ভাবে খেয়াল আসছে না)কোথায় যেন একটা হাদিসের কিতাবে সংক্ষিপ্ত এমন দুরূদ দেখা দেখছিলাম ৷ ভালভাবে খেয়াল আসছে না ৷
        "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

        Comment

        Working...
        X