Announcement

Collapse
No announcement yet.

দৃষ্টি আকর্ষণ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    বুঝতে পেরেছি ভাই। জাযাকাল্লাহ।

    Comment


    • #17
      Originally posted by masum shariar View Post
      ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
      সম্মানিত ভাই! আপনার অধিকাংশ সংশয় মূলত একটি প্রশ্নকে কেন্দ্র করেই। সেটি হলো- বেসামরিক কাফেরদের হত্যা করার বিধান। যেমন আপনি বলেছেন,


      আপনার এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর আশা করি এই লিংকের লেখাটিতে পাবেন ইনশাআল্লাহ। লিংক: https://darulilm.org/2017/06/07/targetting_harbis/

      এই লেখাটি পড়ার পরও যদি কোনো সংশয় থাকে, তাহলে অবশ্যই জানাবেন ভাই ইনশাআল্লাহ।

      আপনার পরবর্তী কথাটি হলো,



      অর্থাৎ, আপনার কথা হলো- মুজাহিদীনের হামলাসমূহের জন্য কাফেররা মুসলিমদের দেশগুলোতে হামলা করছে। এক্ষেত্রে আপনার একটি বিষয় জানা থাকা দরকার যে, মুজাহিদরা কাফেরদের উপর হামলা করার পূর্ব থেকেই কাফেররা মুসলিমদের দেশসমূহে তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে। কখনো অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের মাধ্যমে, কখনো বায়তুল আকসা দখলের মাধ্যমে, কখনো দাদাগিরি করতে, বাণিজ্য কার্যক্রমের অন্তরালে, আর সর্বশেষে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে। এভাবে, মুজাহিদগণ কাফেরদের বিরুদ্ধে হামলা করার পূর্ব থেকেই সন্ত্রাসী কাফেররা মুসলিমদের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। যাইহোক, এখানে এ কথাটি বলার কারণ হলো- মুজাহিদগণ যদি কাফেরদের উপর হামলা না করতেন, তাহলেও কাফেররা মুসলিমদের উপর হামলা করতেই থাকতো।
      এখানে আরো একটি বিষয় বুঝতে হবে, কাফেররা হামলা না করলেও কাফেরদের উপর মুজাহিদীনের হামলা অবৈধ হয়ে যাবে না, বরং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ অব্যাহত থাকবে। [এই পয়েন্টটা হয়তো ভালোভাবে বুঝাতে পারিনি ভাই। দয়া করে, এই পয়েন্টে কোনো সংশয় সৃষ্টি হলে আবার জানাবেন ইনশাআল্লাহ। ]

      আপনার পরবর্তী বিষয়টি হলো-



      আমার জানামতে, পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে তাগুত বলার কারণ ২টি। একটি হলো তারা মানবরচিত আইনের প্রহরী। তাদের মাধ্যমে তাগুত সরকার মানবরচিত আইন বাস্তবায়ন করে।
      দ্বিতীয়টি হলো- তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফেরদের সহায়তাকারী। আর, মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কাফেরদের সহায়তা করা কুফরে আকবার।

      তাই তাদেরকে মূলত দলগতভাবে মুরতাদ বাহিনী বলা হয়। তবে, তাদের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ মুসলিমও থাকতে পারে। এই কথাটি আপনি যেমন বলছেন, তেমনি মুজাহিদগণও বলেছেন।

      আপনার পরবর্তী সংশয়টি হলো-



      এটি কুরআন-সুন্নাহর স্পষ্ট খেলাফ, সাহাবায়ে-কেরাম, তাবেঈ-তাবেঈনের মতের সম্পূর্ণ বিপরীত। কেননা সকল সাহাবায়ে কেরামের ইজমা অনুযায়ী ঐ সমস্ত ব্যক্তিদেরকে মুরতাদ ফতওয়া দেয়া হয়েছে, যারা ইসলামের সকল বিধান পালন করলেও শুধুমাত্র একটি পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যারা দাবি করেছে যাকাত রাসূলের সময় ছিল, এর হুকুম বর্তমানে বাকি নেই।
      অনেকে বলে থাকেন, উপরোক্ত মতটি ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) এর, অথচ ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) ঐ ব্যক্তিদেরকে কাফের আখ্যায়িত করেছেন যারা আল্লাহ্*র সকল বিধান মানতো, নামায পড়তো, রোযা রাখতো, হজ্জ করতো, যাকাত দিতো, কিন্তু শুধুমাত্র বলতো কুরআন মাখলুক (অর্থাৎ, কুরআন কে তৈরি করা হয়েছে – অথচ আল্লাহর ‘কথা’ এর ব্যাপারে এমন উক্তি সরাসরি কুফরী)। ইবনে আবী হাতেম বর্ণনা করেন:
      قال ابن أبي حاتم الحافظ ثنا أحمد بن محمد بن مسلم ثنا على ابن الحسن الكراعي قال: قال أبو يوسف: ناظرت أبا حنيفة ستة أشهر فاتفق رأينا على أن من قال: القرآن مخلوق فهو كافر
      ইমাম আবূ ইউসুফ (রহঃ) বলেছেন, আমি ইমাম আবূ হানীফার সাথে ছয় মাস বাহাস (পর্যালোচনা) করেছি, অতঃপর আমরা একমত পোষণ করেছি যে, যে ব্যক্তি বলবে কুরআন মাখলুক সে কাফের। (ইমাম বায়হাকী (রহঃ) সহীহ সনদে এই আছারটি উল্লেখ করেছেন।) (ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা-৪০ প্রকাশনা:ইদারাতুল কুরআন, করাচী]
      আহমদ বিন কাসেম বিন আতিয়্যাহ্* বলেন:
      قال أحمد بن القاسم بن عطية : سمعت أبا سليمان الجوزجاني يقول: سمعت محمد ابن الحسن يقول: والله لا أصلي خلف من يقول: القرآن مخلوق؛ ولا استفتي إلا أمرت بالإعادة. "كتاب العلو
      ইমাম মুহাম্মাদ (রহঃ) বলেছেন, আল্লাহ্*র শপথ আমি ঐ ব্যক্তির পিছনে নামায পড়ি না যে বলে কুরআন মাখলুক। (কেউ পড়লে) তাকে পুনরায় পড়ার আদেশ দিয়ে ফতওয়া প্রদান করি। (ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা-৪০ প্রকাশনা:ইদারাতুল কুরআন, করাচী]
      সুতরাং, উপরোক্ত মতটি যেভাবে বর্ণনা করা হয় তা আবূ হানীফা (রহঃ) এর মত হতে পারে না। আর যদি হয়েও থাকে, তার যে অর্থ নেয়া হয় সেটি সঠিক নয়। এর অর্থ হবে কেউ যদি একশটি কাজ করে, আর তার নিরান্নব্বইটি কাজই এমন যা অস্পষ্ট কুফরের উপস্থিতি প্রমাণ করে, কিন্তু একটি কাজ তাকে মুমিন হিসাবে সাব্যস্ত করে, তাহলে তাকে কাফের বলা যাবে না। কেননা ইসলাম হল ইয়াক্বীনী বিষয় যা সংশয় দ্বারা দূরীভূত হয় না।
      আল্লামা কাশ্মীরী (রহঃ) বর্ণনা করেছেন:
      وفي "الهندية" : إذا كان في المسألة وجوه توجب الكفر، ووجه واحد يمنع، فعلى المفتي أن يميل إلى ذلك الوجه، إلا إذا صرح بإرادة توجب الكفر، فلا ينفعه التأويل حينئذ
      ফতওয়ায়ে হিন্দিয়ার মধ্যে এসেছে, যদি কোনো মাসআলায় এমন একাধিক বিষয় থাকে যা কুফরকে সাব্যস্ত করে, কিন্তু একটি বিষয় বিরত রাখে তখন মুফতির জন্য আবশ্যক হল সে মতটিই গ্রহণ করা। কিন্তু সে যদি তার ইচ্ছা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে এবং তা কুফরকে সাব্যস্ত করে, তাহলে আর কোনো ব্যাখ্যাই কাজে আসবে না। (ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা-৫৯ প্রকাশনা:ইদারাতুল কুরআন, করাচী]

      নির্দেশনা:
      কুফরে বাওয়াহ তথা স্পষ্ট কুফরের দ্বারা মানুষ কাফের হয়ে যায়। এক্ষেত্রে অন্য কোনো নেক আমলের দিকে লক্ষ্য করা হয় না।


      ---
      এই বিষয়টি আশা করি স্পষ্ট হয়েছে ভাই।

      আপনার পরবর্তী কথা হলো হলো-


      আপনার এ কথার উত্তর সংক্ষেপে আদনান মারুফ ভাই দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। উনার কমেন্ট পড়ে নিলেই আশা করি বিষয়টি বুঝার কথা ইনশাআল্লাহ।

      আপনার আরেকটি জিজ্ঞাসা হলো-


      এই বিষয়ে সংক্ষেপে বললে,

      আইসিসকে তাদের বাতিল মতবাদের কারণে ও মুসলিমদের রক্তকে হালাল করে নেওয়ার কারণে উলামায়ে কেরামগণ খারেজী ফতোয়া প্রদান করেছেন। আইএসের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এই লিংকের প্রকাশনাগুলো পড়ুন-- https://justpaste.it/anti_is

      আল-কায়েদা ও তালেবান বর্তমান যুগের হক্বপন্থী মুজাহিদীন সংগঠনগুলোর অন্যতম। আর, তাদের পরস্পরের মাঝে সম্পর্ক হলো- আল-কায়েদা তালেবানের হাতে বায়াতবদ্ধ।


      আপনার সর্বশেষ জানার বিষয় হলো-



      এই বিষয়ে কী বলতে পারি ভাই? আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন, কেন তারা মুজাহিদগণকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেয়! মনে রাখতে হবে, চোর কখনো চুরির অপরাধের শাস্তির কথাবার্তাও সহ্য করতে পারে না। ডাকাতির বিরুদ্ধে কথা বললে ডাকাত সহ্য করতে পারে না।
      আর, মুসলিমরা আন্তর্জাতিক তথ্য সন্ত্রাসের শিকার। মিডিয়ার ধোঁকায় মুসলিমরা মুজাহিদীনকে ভুল বুঝছে। সংক্ষেপে এটুকুই বললাম ভাই। এসব প্রশ্নের বিস্তারিত আপনি মুজাহিদীনের বিভিন্ন প্রকাশনাসমূহ পড়লে বুঝবেন আশা করি ইনশাআল্লাহ।

      ভুল হলে ক্ষমা করবেন, শুধরিয়ে দিবেন বলে প্রত্যাশা। আর, অধমের জন্য দোয়া করবেন ইনশাআল্লাহ।
      মাশা আল্লাহ ভাই খুবই সুন্দর বিশদ ও গুরুত্বপূর্ন আলোচনা করেছেন তারপরেও সালাহউদ্দীন ইউসুফ ভাইকে অনুরোধ করবো অনলাইন অফলাইনে এ বিষয়ে আরো গভীর ইলম হাসিল করতে এ ক্ষেত্রে আমাদের ভাইদের darulilm.org সাইটটি আপনার খুবি উপকারে আসবে পাশাপাশি gazwah.net ও বহমান দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরাম নিয়মিত ব্রাউজ করতে থাকুন! আপনার ইলম হাসিল হবে, দারুল ইলম ও গাজওয়াসহ এই ফোরামে এ আই এস সম্পর্কে দলীলভিত্তিক পান্ডুলিপি বহু মওজুদ রয়েছে তাই ঘাটাঘাটি করে ইলম হাসিল করার বিশেষ অনুরোধ রইলো!

      আমি এক আলিমকে বলতে শুনেছি "দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরাম এতো এক ইলমের দরিয়া"
      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

      Comment


      • #18
        অনেক সংশয় দূর হল প্রিয় ভাইয়েরা।

        তার মানে শ্রীলঙ্কার চার্চে হামলা কোন সন্ত্রাসী নয় বরং জিহাদী হামলা ছিল।

        ভাই জেএমবি কি জিহাদী সংগঠন?

        Comment


        • #19
          ভাই, জেএমবি কি জিহাদী সংগঠন????
          জি ভাই,, আপনি নিয়মিত ফোরামে অবস্থান করুন, ইনশা-আল্লাহ অনেক বিষয়ে সংদেহ দূর হবে।

          Comment


          • #20
            ইনশাআল্লাহ ভাই। তাহলে টিভি মিডিয়াতে বাংলা ভাই কিংবা শায়েখ আবদুর রহমান সম্পর্কে ভুল সংবাদ দিয়েছে?

            ৬৪ টি জেলায় বোমা হামলার ঘটনা কেন হল ভাই একটু বলবেন দয়া করে?

            Comment

            Working...
            X