Announcement

Collapse
No announcement yet.

দাজ্জাল আসার পূর্বে খাদ্য সঙ্কটের বাস্তবতা এবং মুমিনদের করণীয়

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দাজ্জাল আসার পূর্বে খাদ্য সঙ্কটের বাস্তবতা এবং মুমিনদের করণীয়



    দাজ্জাল আগমনের পূর্বে কয়েক ধাপে সমগ্র বিশ্বে খাদ্য সংকট তৈরি হবে। চূড়ান্ত খাদ্য সঙ্কট এমন পরিস্থিতি তৈরি করবে যে, এক সপ্তাহ ঘুরে একটা মহল্লা থেকে খাওয়ার জন্য একটি রুটি পাওয়া যাবে না। আর দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ হবে সদ্য প্রস্তুতকৃত গরম গরম রুটি ও ভূনা গোস্তের ভান্ডার নিয়ে। দিনের পর দিন ক্ষুধার্ত থাকা কোনো মানুষের সামনে যদি এমন লোভনীয় খাবার নিয়ে হাজির হয়ে একটি মাত্র শর্তের বিনিময়ে খাবার দেয়া হয় তাহলে তার অবস্থা কেমন হবে তা বোঝার জন্য ২/১ দিন অভূক্ত থেকে সহজেই উপলব্ধি করা সম্ভব।
    .
    করোনা ভাইরাস ইস্যুতে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে বাংলাদেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ খাদ্য সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে। যদি পরিস্থিতি এমনই থাকে তাহলে আগামী এক মাসের মধ্য এই সঙ্কটের ভয়াবহতা আরো স্পষ্টরুপে প্রকাশিত হবে। আর এই পরিস্থিতি আগামী ২-৩ মাস ধরে জারি থাকলে ভয়াবহতা কোন পর্যায়ে পৌঁছবে তা সহজেই আনুমেয়।
    .

    এরুপ পরিস্থিতিতে মুমিনদের জন্য সম্ভাব্য করনীয় এমন হতে পারেঃ

    ১. রসুল সল্লাল্লাহু আ'লাইহিওয়াসাল্লামের সুন্নাহ ছিলো তিনি যখনই কোন পেরেশানির সম্মুখীন হতেন তখনই সলাতে দাঁড়িয়ে যেতেন। তাই আমরা যেন হালতের বিপরীতে আল্লাহজাল্লা শানহুর দরবারে বেশি বেশি আমল পেশ করি ইনশাআল্লাহ।

    ২. ইউসুফ আলাইহিস্সালাম স্বপ্নের বিপরীতে শাসককে খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় যে পদ্ধতি বাতলে দিয়েছিলেন আমরা তার উপর আমল করতে পারি ইনশাআল্লাহ। সহজে অনেকদিন সংরক্ষণ করা যায় এমন খাবার যেমন - চাল, ডাল, গম, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, খেজুর, মধু ইত্যাদি খাবার যথাসম্ভব সংরক্ষণ করে রাখা উত্তম হবে ইনশাআল্লাহ।

    ৩. খাদ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি যাদের পক্ষে সুযোগ আছে হাঁস-মুরগী, ছাগল-ভেড়া ইত্যাদি পালনের তাদের উচিত যথাসম্ভব গবাদিপশু পালনের ব্যবস্থা রাখা। খাদ্য সঙ্কটের সময় দুধ, ডিম, গোস্তের যোগান দেয়া যেকারো জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।

    ৪. টাকা-ডলারের বিরপীতে স্বর্ণ, রৌপ্য মজুদ করতে থাকা। অনেক বড় ক্রাইসিস দেখা না দিল স্বর্ণ বা স্বর্ণালঙ্কার হাতছাড়া না করা। নিজের যাবতীয় টাকা-পয়সা ব্যাঙ্কে ফেলে রাখা ক্ষতির কারণ হতে পারে। উত্তম হবে অর্থ-সম্পদ এমন কোথাও বা কোনভাবে মজুদ করা যেন চাইলেই তা হস্তগত করা যায় ইনশাআল্লাহ।

    ৫. দ্বীনি কারণ ব্যতিত গ্রামাঞ্চল ও মফস্বল এলাকা ছেড়ে শহরাঞ্চলে স্থানান্তরিত না হওয়া। শহরাঞ্চলে অবস্থিত ব্যক্তিদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহতা দেখা দিবে খাবার পানির যোগান ঠিক রাখা। তাই অবস্থানভেদে খাবার পানির পর্যাপ্ত যোগান দেয়া যাবে এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে।

    ৬. প্রয়োজনীয় ঔষধ-পত্র, খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ রাখা।

    ৭. জীবন-যাপনের ক্ষেত্রে নবীওয়ালা, সাহাবীওয়ালা যুহুদ অবলম্বনে পারিবারিকভাবে অভ্যস্ত হতে থাকা।

    আল্লাহজাল্লা শানহু এই গাফেল উম্মতকে দ্বীনের উপর ইস্তিকামাত দান করুন, হিদায়াতের সাথে হিফাজত করুন। আমীন....

  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ,, খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, আল্লাহ আপনাদের কাজ কবুল করুন আমীন। আলু/ দেশী ছোট্র আলু, মিষ্টি কুমড়া,এ যাতীয় আরো কিছু খাবার আছে এগুলোও গুদামজাত / সংরক্ষণ করা যায়।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      দাজ্জাল আসার পূর্বে হিন্দুস্তান বিজয় হবে । কিন্তু হিসাব মিলাতে পারছিনা'ত!!
      "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ ভাই।

        কিন্তু ভাই, এই সংকটকে দাজ্জাল আসার পূর্বের খাদ্য সংকটের সাথে কিভাবে মিলানো যায়, কারণ দাজ্জাল আসার আগে তো ইমাম মাহদি আসবেন। আর মাহদির আমলে তো সমস্ত কিছুর প্রাচুর্য সৃষ্টি হবে?? তাহলে কেমনে হল???

        Comment


        • #5
          Originally posted by salahuddin aiubi View Post
          জাযাকাল্লাহ ভাই।

          কিন্তু ভাই, এই সংকটকে দাজ্জাল আসার পূর্বের খাদ্য সংকটের সাথে কিভাবে মিলানো যায়, কারণ দাজ্জাল আসার আগে তো ইমাম মাহদি আসবেন। আর মাহদির আমলে তো সমস্ত কিছুর প্রাচুর্য সৃষ্টি হবে?? তাহলে কেমনে হল???
          ওয়াআনতুম ফা জাযাকুমুল্লাহু খয়রান!
          মুহতারাম ভাই! করোনা ভাইরাস ইস্যুতে যেভাবে খাদ্য সঙ্কট তৈরি হচ্ছে তার আলোকে দাজ্জাল আগমনের পূর্বের খাদ্য সঙ্কটের যে হালত হবে তা উপলব্ধি করা এবং প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ফিকির করার বিষয়ে সামান্য খেয়াল পেশ করা হয়েছে এখানে। মূলত দাজ্জাল আসার আগে খাদ্য সঙ্কটের যে বাস্তবতা হবে তা বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে বুঝে আসা সহজ এটা বুঝানো উদ্দেশ্য। তবে ভাই, ইমাম মাহদি আগে আসবেন নাকি দাজ্জাল আগে আসবে এমন নিশ্চিত কোন বর্ণনা আমার জানা নেই। আপনি জানালে উপকৃত হতাম। তবে ইমাম মাহদি, দাজ্জাল, ঈসা আলাইহিস্সালামের আগমন এগুলো একই চেইনের আলামত হবে এতটুকু জানা আছে।

          Comment


          • #6
            Originally posted by আলী ইবনুল মাদীনী View Post
            দাজ্জাল আসার পূর্বে হিন্দুস্তান বিজয় হবে । কিন্তু হিসাব মিলাতে পারছিনা'ত!!
            বর্তমান প্রেক্ষাপটই দাজ্জাল আগমনের পূর্ববর্তী সময় পোস্টে এমটি বলা হয়নি ভাই। বরং দাজ্জাল আগমনের পূর্বে যে ভয়াবহ বাস্তবতা আমাদের সামনে প্রকাশিত হবে তা উপলব্ধিতে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

            Comment


            • #7
              Mujaheed of hind@
              ৭. জীবন-যাপনের ক্ষেত্রে নবীওয়ালা, সাহাবীওয়ালা যুহুদ অবলম্বনে পারিবারিকভাবে অভ্যস্ত হতে থাকা।
              ভাই! খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জ্ঞানগর্ভ কথাগুলো বলেছেন। আমারও ইদানিং পরিস্থিতিতে এমন একটা পোস্ট করার ইচ্চা ছিল। আল্লাহ তাআলা আপনাকে কবুল করুন।
              এমনটা করলে অর্ধেক প্রস্তুতিই এর মাঝে বিদ্ধমান থাকবে ইনশাআল্লাহ । কারণ যুহদ এর মাধ্যমে কম খাওয়া হবে, ফলে খানা-দানায় প্রচুর বরকত হবে যদিও তা সচক্ষে দেখা না যায়।

              Salahuddin aiubi@
              কিন্তু ভাই, এই সংকটকে দাজ্জাল আসার পূর্বের খাদ্য সংকটের সাথে কিভাবে মিলানো যায়, কারণ দাজ্জাল আসার আগে তো ইমাম মাহদি আসবেন। আর মাহদির আমলে তো সমস্ত কিছুর প্রাচুর্য সৃষ্টি হবে?? তাহলে কেমনে হল???
              আমার ধারণা এমন: ইমাম মাহদী আগমণের পূর্বে যেহেতু পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন ও ভয়ঙ্কার হবে, তাই* উক্ত প্রস্তুতিগুলো সেরে নেওয়াই মুমিনের উত্তম কাজ হবে। কারণ যখন ইমাম মাহদী আগমণ করবেন, তখন অবস্থা কোন দিকে যাবে তাতো সকলেই অবগত আছেন। তখন আর* কোন দাওয়াত চলবেনা, হয় মাথা ঝুকাও নয় রক্ত দাও, দুটির একটা। অবশ্যই সে সময়টা খুবই ভয়াবহ আকৃতি ধারণ করবে। সে সময়ে যখন মানুষের খুনে ঘোড়ার পাও ডুবে যাবে, আর তুমুল লড়াই হতে থাকবে, তখন কে কৃষি কাজ করবে আর কে বাজার বসাবে আর কে সেখানে গিয়ে বাজার করবে??
              যদি কেউ তখন একাজগুলো করে, তো বুঝতে হবে সে আসলে মরার জন্যই এমনটা করছে। কেননা রাসূলুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেছেন, তোমরা যেন সেই কঠিন মূহুর্তে (গাজওয়াতুল হিন্দের সময়) ঘরে বসে থাকবে আর সিজদায় পড়ে জোরে জোরে আল্লাহু আকবার বলবে, সেটাই হবে তোমাদের জন্য উত্তম ।
              তিনি বাহিরে বের হতে নিষেধ করেছেন, কারণ বাহিরে গেলে সে হারিয়ে যেতে পারে, হয়ত কতল হবে, ক্ষুধার জ্বালায় মানুষের কাছে ইমান বিক্রি করবে, না হয় ক্ষুধার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে* একে অপরকে হত্যা করবে। বাস্তব অবস্থা এমনই, যদিও আমরা এখন তা উপলব্ধি করতে পারছি না। কিন্তু যদি গভীর চিন্তা করা হয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ অনেক বিষয় ক্লিয়ার হবে।
              আর খানার বিষয়টা তো স্বয়ং রাসূলুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের আমলেও পাওয়া যায়। তিনি কখনো কখনো যুদ্ধের সময় ১/২বছরের খাবার ঘরে মওজুদ রেখে যেতেন।
              Mujaheed of hind ভাইয়ের তালিকাটা মূলত গাজওয়াতুল হিন্দের প্রস্তুতিমূলক বললেই বেশী সুবিধা ।
              তাই* আশা করি, আমরা সকল মুসলিম ভাই-বোনেরা ঐ ভাইয়ের কথার উপর আমল করতে যত্নবান হবো ইনশাআল্লাহ ।*
              আগামীতে বিশ্বে খাদ্যের সঙ্কট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সুতরাং এখন যদি খানা মওজুদ রাখা না হয়, তাহলে অবস্থা খুবই খারাপ হতে পারে ।

              আল্লাহ তাআলা তার একমাত্র মুমিন বান্দাদেরকে হিফাযতে রাখুন আমীন ।
              মুমিনদেরকে ক্বিতালের জন্য উদ্বুদ্ধ করুন।

              Comment


              • #8
                আলহামদুলিল্লাহ।
                গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।
                আল্লাহ তায়ালা আপনার মেহনতকে কবুল করুন,আমিন।
                ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                Comment


                • #9
                  পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে পোস্টের নির্দেশিকা গুলো মানা যেতে পারে। গ্রামীণ ও সহজ সরল জীবন-যাপনে একটা প্রশান্তি কাজ করে । আমাদের উচিত কুফফারদের উপর নির্ভরশীলতা ছেড়ে দিয়ে নিজে থেকে আত্মনির্ভরশীল এবং স্বাবলম্বী হওয়া।
                  আল্লাহ ভাইকে উত্তম বদলা দান করুন । আমিন।।
                  দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার,ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by নিশানে হক View Post
                    পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে পোস্টের নির্দেশিকা গুলো মানা যেতে পারে। গ্রামীণ ও সহজ সরল জীবন-যাপনে একটা প্রশান্তি কাজ করে । আমাদের উচিত কুফফারদের উপর নির্ভরশীলতা ছেড়ে দিয়ে নিজে থেকে আত্মনির্ভরশীল এবং স্বাবলম্বী হওয়া।
                    আল্লাহ ভাইকে উত্তম বদলা দান করুন । আমিন।।
                    গ্রামীন ও সহজ সরল জীবন-যাবনে প্রশান্তি আছে বলেই যে আমরা মফস্বল ও গ্রামীন অঞ্চলে থাকবো বা সহজ সরল জীবন যাপন করবো এমন ভাবা মনে হয় ঠিক হবে না। বরং আমরা তো যুহুদ অবলম্বন করবো রসূলের সুন্নাহ হিসেবে। পাশাপাশি হাদীস থেকে জানা যায়, মুজাহিদরা শহরে থাকবে। কারণ যুদ্ধের শুরু হয় শহরকে কেন্দ্র করে অতঃপর তা বিস্তৃত হতে থাকে। তাই মুজাহিদরা শহরে থাকলেও তাদের যোগাযোগ ও বিস্তৃতি মফস্বল ও গ্রামীণ অঞ্চলেও থাকতে হবে।
                    আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন। আমীন...

                    Comment

                    Working...
                    X