💞💞💞ভালবাসার কথামালা💞💞💞
শাইখ আবু হুজাইফা আস-সুদানী হাফিযাহুল্লাহ
প্রকাশকাল: ১৪৪৪ হিজরী মোতাবেক ২০২২ ঈসায়ী
প্রকাশক: বাইতুল মাকদিস
শাইখ আবু হুজাইফা আস-সুদানী হাফিযাহুল্লাহ
প্রকাশকাল: ১৪৪৪ হিজরী মোতাবেক ২০২২ ঈসায়ী
প্রকাশক: বাইতুল মাকদিস
💔💔💔প্রিয়জনের স্মৃতিচারণ💔💔💔
তোমার চোখের কী হলো! যদি তাকে থামতে বলো, তার অশ্রু বর্ষণ বেড়ে যায়।
কী হলো তোমার হৃদয়ের! যদি তাকে বলো স্থির হতে, সে আরও অধীর হয়ে যায়।
মেঘেরা কি ধারণা করেছে যে, সেই ভালোবাসা হারিয়ে যাবে!
কখনো হালকা মেঘে কখনো বা ঘনকালো মেঘে। (কখনো না)
শহীদদের আলোচনায় কল্পনাশক্তি স্থবির হয়ে আসে, যখন তাদের দৃশ্যগুলো অন্তরে ভেসে উঠে, তখন চোখে অশ্রুর বান ডাকে। যদিও আমি তা লুকিয়ে রাখতে চাই। কিন্তু বাধভাঙ্গা জোয়ার কি ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব! প্রবলভাবে অশ্রুর বর্ষণ হতেই থাকে। যখনই তাদের স্মৃতি আমার মনমুকুরে ভেসে উঠে।
আমি যতজন শহীদকে চিনি, প্রত্যেকের সাথেই আমার একটা গল্প আছে। ছোট কিংবা বড়। শহীদদের সাথে বলা প্রতিটি কথায় ভালোবাসা জড়িয়ে আছে। কোন শহীদ চলে গেলে আমি তাঁর জন্য শোকগাথা গাই না। বরং আমি তো শোকগাথা গাই, আমার নিজের ভেতরের সত্ত্বার জন্য; যা সেই চলে যাওয়া শহীদের বিরহে চুপসে যায়। যখনই কোন শহীদের ঊর্ধ্বগমন হয়, তখনই আমার আত্মার প্রদীপখানা নিভু নিভু হয়ে আসে। শহীদ চলে যায়, রেখে যায় একরাশ ব্যথা, হৃদয়ের ক্ষত, যা নতুন করে হৃদয়কে রক্তাক্ত করে। তাঁর প্রতিটি স্মৃতি সেই ক্ষতকে প্রতিনিয়ত তাজা করে তোলে।
শহীদদের স্মৃতিগুলো পুষ্পবৃক্ষের ন্যায়। যা আমার অন্তরে ডালপালা ছড়ায়। কষ্টে ভরা জীবনে তাদের সাহচর্যে কত সুখ পেয়েছি। তাদের স্মৃতিগুলো হাতড়ে বুঝতে পারি, ভালোবাসার কত ধরণই না রয়েছে। কষ্টেরও কত প্রকার রয়েছে। যে কষ্ট আমার হৃদয়কে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। আর জীবনকে স্থবির বানিয়ে ফেলে।
এগুলো একজন কান্নারত ব্যক্তির প্রিয়জনের স্মৃতিচারণ
আর তার তিক্ত অশ্রুর বিসর্জন।
স্মৃতির তীরে যখন তরী ভিড়ায়, অন্তরাত্মা তখন কিছুটা জুড়ায়
আর অনুভূতিরা সব অব্যক্তই থেকে যায়।
বিষাদের সাথে হর্ষ থাকে
হৃদ্যতার সাথে ভালোবাসা
******
🎤 চলবে... ইনশা আল্লাহ
Comment