💞💞💞ভালবাসার কথামালা💞💞💞
শাইখ আবু হুজাইফা আস-সুদানী হাফিযাহুল্লাহ
প্রকাশকাল: ১৪৪৪ হিজরী মোতাবেক ২০২২ ঈসায়ী
প্রকাশক: বাইতুল মাকদিস
🌿🌿🌿হে আবু আব্দুল্লাহ! আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন!🌿🌿🌿
ছবি: সংগ্রহীত
আমার কি হলো, আমি এমন ভালোবাসা লুকিয়ে রাখি!
যা আমার দেহকে দুর্বল বানিয়ে দিয়েছে।
যখনই পূবালী সমীরণ প্রবাহিত হয়,
আমি তাতে খুঁজে পাই উসামার সৌরভ।
আমি তো আমার দুশমনের পাশে রয়ে গেলাম,
আর তিনি চলে গেলেন তাঁর মহান রবের সান্নিধ্যে
আমার অবস্থান থেকে তাঁর অবস্থান কত ঊর্ধ্বে!
আমরা তো তাঁর ব্যাপারে এমনই ধারণা রাখি, আল্লাহ তাঁর জন্য যথেষ্ট ও তাঁর কর্ম বিধায়ক।
আর আমরা আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে কারো পবিত্রতা ঘোষণা করি না।
২০০০ সালে এডেন উপসাগরে কোল ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে যে মোবারক হামলা হয়েছিল, তার পর আমরা অপেক্ষা করছিলাম যে, আমেরিকা হয়তো ভয়াবহ রকেট হামলা চালাবে। তখন সতর্কতাস্বরূপ কান্দাহার বিমানবন্দরের আশপাশে থাকা মুহাজির বস্তিগুলো লোকশূন্য করা হয়েছিল। তাদেরকে শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনিভাবে তানযীমের বিভাগীয় দপ্তরগুলোকেও নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। আর শাইখ উসামা রহ. প্রায় তিন মাস পর্যন্ত কাবুল এবং জালালাবাদের মাঝে আত্মগোপনে ছিলেন। বারবার স্থানান্তরিত হচ্ছিলেন।
ঐ সময়টাতে আমি সৌদির আওয়াকেস (AWACS) বিমানের উপর হামলা চালানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলাম। ফলে হামলার সাথে সম্পর্কিত অনেক তথ্য আমার কাছে ছিল। অপরদিকে তানযীমের পক্ষ থেকে ব্যাপকভাবে যুদ্ধে শরীক হবার নির্দেশ থাকায় মাকতাবুল ওসায়েক ওয়াত তাযবীরের (সাংগঠনিক যে দপ্তরে নথিপত্র ডকুমেন্টস জাল করা হয়) সাথী ভাইয়েরা তাদের এই কাজ আঞ্জাম দিতে বিলম্ব করছিল (অতিরিক্ত চাপের কারণে)। এই বিলম্বের কারণে আমি ভেতরে ভেতরে অনেক কষ্ট পাচ্ছিলাম, বিরক্ত হচ্ছিলাম এবং খুব রাগ হচ্ছিল। তাছাড়া আমি তখন সৌদিতে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব আঞ্জাম দেবার জন্য সময়ের সাথে প্রতিযোগিতা চালাচ্ছিলাম।
ঘটনাক্রমে সাথী ভাইদের কোন একজন শাইখ উসামা রহ. এর কাছে আমার এই বিরক্তি এবং রাগের কথা শেয়ার করল। শাইখ রহ. আমাকে তাঁর সাক্ষাতে ডেকে পাঠালেন। সাক্ষাতে গিয়ে তাঁর সেই স্বভাবজাত মিষ্টি হাসি দেখতে পেলাম। কারণ, পরিস্থিতি যত কঠিন ও জটিলই হোক না কেন, শাইখ রহ. থাকতেন শান্ত স্থির, সদা সহাস্য; যেন কিছুই হয়নি।
শাইখ রহ. আমাকে দেখেই একটি মুচকি হাসি (তা এমন একটি মিষ্টি হাসি, যা পাথর হৃদয়কেও বিগলিত করে) দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ভাই! সুদানে লরির(ট্রাকের) পেছনে বড় করে একটা লেখা থাকে, কি লেখা থাকে মনে আছে?
আমি কি জবাব দেবো? চিন্তা করারও সুযোগ না দিয়ে শাইখ রহ. নিজেই জবাব দিয়ে বললেন- লেখা থাকে:
“দায়েরা সবর” (دايره صبر) মানে “সবর করুন নিরাপদ থাকুন” এরপর আমাকে বললেন-
আমাদের এই কাজে সবচেয়ে বড় যে হাতিয়ার, তা হলো সবর তথা ধৈর্য ধারণ করা।
*প্রিয়! তোমার তিরস্কারে কত আনন্দ কত সুখ!
*দাওনা আরো খানিকটা, যাতে ভরে মোর বুক!
হ্যাঁ, অবশ্যই এই কাজে সবরের প্রয়োজন, বড় প্রয়োজন।
জিহাদের পথে ধৈর্যশীল মহামানবদের প্রতি সালাম!
রিবাতের পথে অবিচল মহাবীরদের প্রতি সালাম!
******
🎤 চলবে... ইনশা আল্লাহ
Comment