💞💞💞ভালবাসার কথামালা💞💞💞
শাইখ আবু হুজাইফা আস-সুদানী হাফিযাহুল্লাহ
প্রকাশকাল: ১৪৪৪ হিজরী মোতাবেক ২০২২ ঈসায়ী
প্রকাশক: বাইতুল মাকদিস
🌷🌷🌷 শ্রেষ্ঠতম শহীদ 🌷🌷🌷
আল্লাহর কোন লড়াকু (মুজাহিদ) বান্দা যখন তরবারির খাপ ভেঙে ফেলে, আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের আগ পর্যন্ত মরণপণ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে, তখন ঐশী আনন্দের এমন এক চমৎকার দৃশ্যের অবতারণা ঘটে, যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।
কোন মুজাহিদ যখন এমন দৃশ্যের চমৎকারিত্ব প্রত্যক্ষ করে, তখন সে এই দুনিয়ার পোশাক তার শরীর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। সে নিজের অন্তরকে সুদৃঢ় একীন ও বিশ্বাসের অমীয় সুধা দিয়ে সিক্ত করে।
ফলে বীর বাহাদুরদের মতো সে লড়াইয়ের ময়দানে অবতীর্ণ হয়। শান্ত মনে মৃত্যুপানে এগিয়ে যায়। তাকে ঘিরে রাখে সাকিনা ও প্রশান্তির সুশীতল আবহাওয়া। প্রেমিক যেভাবে প্রেমাস্পদের সাক্ষাৎ লাভের জন্য এগিয়ে যায়, এই ব্যক্তিও সেভাবে রবের পানে অগ্রসর হতে থাকে, যেন প্রথম সারির শহীদদের খাতায় তার নামটাও লিপিবদ্ধ হয়ে যায়।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন—
"أفضلُ الشهداءِ الذين يُقاتِلونَ في الصفِّ الأولِ فلا يلْفتونَ وجوهَهم حتى يُقتلوا ، أولئك يتَلَبَّطونَ في الغَرفِ العُلى من الجنةِ ، يضحكُ إليهم ربُّك ، فإذا ضحِك ربُّك إلى عبدٍ في موطنٍ فلا حسابَ عليه". رواه أحمد.
অর্থ: “সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদ ওই সমস্ত লোক; যারা প্রথম সারিতে লড়াই করে। তারা সম্মুখ পান হতে তাদের চেহারা ফিরিয়ে নেয় না। নিহত হবার আগ পর্যন্ত তারা এভাবেই লড়াই চালিয়ে যায়। জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষগুলোতে প্রবেশ করে তারা দিশা হারিয়ে ফেলে। আপনার রব তাদের দেখে হাসতে থাকে। আর কখনো যদি আপনার রব কোন অবস্থায় কোন বান্দাকে দেখে হাসেন, তাহলে তার কোন হিসাব নেই।” [ইমাম আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন]
অর্থ: “সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদ ওই সমস্ত লোক; যারা প্রথম সারিতে লড়াই করে। তারা সম্মুখ পান হতে তাদের চেহারা ফিরিয়ে নেয় না। নিহত হবার আগ পর্যন্ত তারা এভাবেই লড়াই চালিয়ে যায়। জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষগুলোতে প্রবেশ করে তারা দিশা হারিয়ে ফেলে। আপনার রব তাদের দেখে হাসতে থাকে। আর কখনো যদি আপনার রব কোন অবস্থায় কোন বান্দাকে দেখে হাসেন, তাহলে তার কোন হিসাব নেই।” [ইমাম আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন]
দুর্ভাগা ওই ব্যক্তি যে লড়াইয়ের (ক্বিতালের) ইবাদত থেকে বিচ্ছিন্ন হলো; যে ব্যক্তি কাঁধের অস্ত্র নামিয়ে রাখল, উদাসীন হয়ে অতঃপর বসে থাকলো।
এভাবে নিজের জীবনকে অনর্থক তর্ক-বিতর্কের মাঝে নষ্ট করে দিল। মুজাহিদ বীর-বাহাদুরদের নামে কুৎসা রটিয়ে সময় কাটিয়ে দিল।
অন্ধকারাচ্ছন্ন মন নিয়ে এ ব্যক্তি শহীদদের কাফেলার অপেক্ষায় পথের ধারেই বসে রইল। আর এদিকে কাফেলা মহান রবের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে কতদূর চলে গেল!
আল্লাহর শপথ করে ওই হতভাগা ব্যক্তির ব্যাপারে বলতে পারি, নিশ্চয়ই ওই ব্যক্তি মিসকীন অসহায়!!
******
🎤 চলবে... ইনশা আল্লাহ
Comment