💞💞💞ভালবাসার কথামালা💞💞💞
শাইখ আবু হুজাইফা আস-সুদানী হাফিযাহুল্লাহ
প্রকাশকাল: ১৪৪৪ হিজরী মোতাবেক ২০২২ ঈসায়ী
প্রকাশক: বাইতুল মাকদিস
🌹সান্নিধ্যের সৌরভে...🌹
শহীদ ইমাম আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ বলেছেন:
"কোথায় কিতাল? কোথায় লড়াই?! আপনার জীবনে আপনি কয়টি রণাঙ্গনে উপস্থিত হয়েছেন? ঐতিহাসিকগণ যখন সাহাবীদের সম্পর্কে, তাবেঈদের সম্পর্কে এবং তাদের পরবর্তী সালফে সালেহীন সম্পর্কে লিখতেন, তখন তারা কী লিখতেন? "অমুক ব্যক্তি সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন"। সর্বপ্রথম তারা কি লিখতেন? এটাই লিখতেন। একইভাবে কোন ব্যক্তির ত্রুটি হিসেবে তারা এটাই উল্লেখ করতেন যে, অমুক যুদ্ধ থেকে তিনি অনুপস্থিত থেকেছেন।"
বিশেষ মজলিস ও একান্ত আলাপচারিতার বৈঠকগুলোতে মুজাহিদীন একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা পুরনো স্মৃতি এবং পেছনের দিনের কথা তাদের আলোচনায় নিয়ে আসেন। আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই ও রণাঙ্গনের কথা বলে তারা রাতের বৃহদাংশ পার করেন। এ সমস্ত স্মৃতি তারা চারণ করেন এবং বারবার সেগুলোর কথা উল্লেখ করেন। যেমনিভাবে তারা ইলমের (জ্ঞানের) বিভিন্ন অধ্যায় নিয়ে পারস্পরিক আলোচনায় লিপ্ত হন, একইভাবে তাদের জীবনের এই অংশটা নিয়েও তারা আলাপচারিতায় নিমগ্ন হন।
কেউ আক্রমণ ও সংঘর্ষের ঘটনা বর্ণনা করেন তো অপরজন গল্প করেন, কেমন করে তারা শত্রুকে অবরোধ করেছেন। কেউ শহীদদের জীবনী এবং তাদের কারামত ও অলৌকিক ঘটনাবলীর আলোচনা করেন, আবার কেউ কেউ আহত ভাইদের কথা এবং তাদের দৃঢ়তার গল্প শোনান। কেউ অস্ত্র এবং তার বিভিন্ন প্রকার, ক্যালিবার ও রেঞ্জ সম্পর্কে গল্প করেন। তাদের কাছে এমনই অভিজ্ঞতার ঝুলি, তারা এমনই পোড় খাওয়া লোক, বহু রণাঙ্গন যাদেরকে আঘাত করেছে এবং যুদ্ধ তাদের উপর ধারালো দাঁত বসিয়ে দিয়েছে।
তাদের আলাপ-আলোচনা কতই না সুমিষ্ট! তাদের মজলিস কতই না সুবাসিত!! তারা কত মজার কথা, কত সূক্ষ্মশালীন রসিকতা বিনিময় করে!! তারা একে অপরকে কত সুন্দর অবস্থান, আবার ভয়াবহ পরিস্থিতির ঘটনা শোনায়!! কখনো তারা মুচকি হাসি বিনিময় করে আবার কখনো তাদের হাসির শব্দে চারিদিক মুখরিত হয়!! তারা এমনভাবে নিজেদের মাঝে কথা বলে যায়, যেন সুমধুর কন্ঠে সুমিষ্ট সুরের কোন গীত তারা গেয়ে যাচ্ছে! তাদের মাঝে থাকে সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের এক অটুট বন্ধন! তাদের আলোচনায় অন্তর হয় উদ্ভাসিত। জিহাদের প্রতি বৃদ্ধি পায় আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা।
প্রিয় পাঠক! আপনি যদি তাদের মজলিসে উপস্থিত হন, তবে আপনি রণাঙ্গনে তাদের উপস্থিতি এবং তাদের গর্জন শুনতে পাবেন। তাদের কথা থেকে আপনি বারুদের গন্ধ পাবেন। অস্ত্রের ঝনঝনানি আর বুলেটের শব্দ আপনার কানে বেজে উঠবে।
এটাই হলো সৎকর্মশীল সুবাসিত মনের লোকদের মজলিস।
এমনই হয় তাদের বৈঠক ও আলাপচারিতা।
তারাই তো লৌহ মানব।
ভয়ানক যুদ্ধ পরিস্থিতির তারাই সেনানায়ক।
তারাই ঈমান ও শাহাদাতের অগ্রপথিক।
আল্লাহর কাছে এই সমস্ত ব্যক্তির মর্যাদা কতই না উন্নত!
আর এই মানুষগুলোই সাধারণ মানুষের কাছে কতই না তুচ্ছ, কত নগণ্য!!
জিহাদের পথে ধৈর্যশীল মহামানবদের প্রতি সালাম!
রিবাতের পথে অবিচল মহাবীরদের প্রতি সালাম!!
******
🎤 চলবে... ইনশা আল্লাহ
Comment