Announcement

Collapse
No announcement yet.

থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে!!! (ফরিদুশ শায়তান সম্পর্কে)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে!!! (ফরিদুশ শায়তান সম্পর্কে)

    “জঙ্গিবাদ ও আত্মঘাতী হামলা হারাম” শিরোনামে সরকারবান্ধব ও সরকার দলীয় এমপি কাজী নাবিল আহমেদের মালিকানাধীন অনলাইন বাংলাট্রিবিউন একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। তাতে জানানো হয়েছে সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি বলে পরিচিত মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদের নেতৃত্বে এক লাখ আলেম জঙ্গিবাদ বিরোধী একটি ফতোয়া জারি করছেন। আগামীকাল শনিবার তা প্রকাশিত হবে।

    ফতোয়াটি নিয়ে ইতোমধ্যে আওয়ামীপন্থী মিডিয়ায় বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তবে বাংলাট্রিবিউন ইঙ্গিতে জানিয়েছে, এই ফতোয়া প্রকল্পের পেছনে কাজ করছে মূলত সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থা।

    বাংলাট্রিবিউন তাদের রিপোর্টে লিখেছে--

    “সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র এ প্রতিবেদককে জানান, মূল পরিকল্পনা একটি সংস্থার। ওই সংস্থার ঊধ্বর্তন এক কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করেই ফতোয়া ও প্রশ্ন তৈরি করেন মাওলানা মাসঊদ। যদিও তিনি বিষয়টিকে উড়িয়ে দেন। আর বলেন, এগুলো এই ফতোয়াটিকে দুষতেই এমন কথাবার্তা চালাচ্ছে। আর প্রশ্নপত্র তৈরি হয়েছে উলামা সম্মেলনে।”

    এই বিশাল কর্মযজ্ঞ আয়োজনের বিরাট খরচ কে বহন করছে তা স্পষ্ট নয়। ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ধারণা করা যাচ্ছে প্রকল্পের টাকা দিয়েছে ওই সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাই।

    ট্রিবিউনের রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে-

    “কর্মসূচি ব্যয়ের খাত

    সারাদেশের আলেমদের স্বাক্ষরিত ফতোয়াটি আগামী শনিবার ৩০ খণ্ডে প্রকাশ করা হবে। এর কপি পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ওআইসি ও জাতিসংঘে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে ইংরেজি ও আরবি ভার্সনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এ কাজ পুরোপুরি শেষ হতে আরও সময় লাগবে।

    চলমান ৩০ খণ্ড তৈরির পেছনে প্রতিটি খণ্ডে ১৫শ টাকা করে খরচ হচ্ছে বলে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক আলেম জানিয়েছেন। তার দাবি, সর্বমোট ৬শ খণ্ড হবে। শুধু ৬শ খণ্ডের ছাপা খরচই প্রায় এক লাখ টাকার কাছাকাছি। এছাড়া স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে গিয়ে সারাদেশে সমন্বয় কমিটি কাজ করেছে। কেন্দ্র থেকে দেখভাল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আরও ব্যয় হয়েছে বলেও সূত্রের দাবি।

    এই কার্যক্রমের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ব্যয়ের অর্থ হুজুর দিয়েছেন এবং হুজুরের মুরিদরা কিছু দিয়েছেন।

    জানতে চাইলে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন বলেন, আল্লাহর কাজ আল্লাহই আদায় করে নেন। আলেমরা সহযোগিতা করেছেন, শুভানুধ্যায়ীরা করেছেন। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী করেছি।”

    প্রশ্ন উঠেছে, আলেমরা কষ্ট করে কুরআন হাদিস ঘেঁটে ফতোয়া রেডি করে দেবেন, আর করবেন নিজের পকেটের টাকা খরচ করে!! এটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি হাস্যকর তথ্য। অর্থাৎ, গোয়েন্দা সংস্থাই ফতোয়ার পেছনে টাকা ঢালছে তা আরো জোরালো হয়। যে ফতোয়ার পেছনে সরকারি বাহিনীর টাকা ঢালার মতো স্বার্থ থাকে, তা কতটুকু ইসলামি কাজ আর কতটা ‘ধর্মকে ব্যবহার করে ব্যবসা’, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
    সূত্র:http://www.bd-desh.net/newsdetail/detail/200/221457
    শামের জন্য কাঁদো.....

  • #2
    بلعم بن باعوراء الكنعاني
    أميّة بن أبي الصلت الثقفي، أبو عامر بن صيفي
    বালাম বাঊরা এই যোগে।

    Comment


    • #3
      بلعم بن باعوراء الكنعاني
      أميّة بن أبي الصلت الثقفي، أبو عامر بن صيفي
      বালাম বাঊরা এই যোগে।

      Comment


      • #4
        ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের মিথ্যাবাদিতা ও ধোঁকাবাজি

        ফতোয়া দেয়ার এখতিয়ার একমাত্র মুফতী সাহেবদের। এটা শরিয়াহর স্বীকৃত একটি নিয়ম। এমন কি হাজার হাজার হাদীস মুখস্থ আছে, এমন মুহাদ্দিসের জন্যও ফতোয়া দেয়ার সুযোগ নেই, যদি না তিনি ইজতিহাদ ও ফিকহ বুঝার যোগ্যতা না রাখেন। সাধারণ আলেমরা তো ফতোয়া দেয়ার প্রশ্নই আসেনা।


        ফরিদুদ্দিন মাছুদ সাহেব নামের যে পথভ্রষ্ট শাহবাগী আলেম, এক লক্ষ মুফতি আলেম উলামা ও মুফতি সাহেবদের সাক্ষর সংগ্রহের ঘোষনা দিচ্ছেন, তার দেয়া এই শিরোনামের মধ্যেই ধোঁকাবাজি ও মিথ্যায় ভরপুর ।



        • প্রথমতঃ বাংলাদেশে একলক্ষ মুফতি নেই। একটা পরিসংখ্যান দেই, বুঝতে পারবেন। “দারুল ইফতা” বা ফ্যাকাল্টি অব ইসলামিক জুরিসপন্ডেন্স মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ এডুক্যাশনাল ডিগ্রি বলা যায়। এই বিভাগে পড়তে হলে ছাত্রকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রখর মেধাবী হতে হয়। এমন ইফতা বিভাগ আছে এমন মাদরাসার সংখ্যা বাংলাদেশে হাতেগোনা। দেশের সবচেয়ে বেশি মাদরাসা সম্পন্ন এলাকা ঢাকা বিভাগে সবমিলিয়ে পঞ্চাশ থেকে ষাটটি মাদরাসায় ইফতা বিভাগ চালু আছে। এর মধ্যে প্রায় বিশটির মত মাদরাসায় এমন ইফতা বিভাগ আছে, যাদের (ইফতা বিভাগে) ছাত্র সংখ্যা পঞ্চাশ বা ততোধিক । কিন্তু বাদ বাকি ইফতা বিভাগগুলো ছাত্রসংখ্যা পাঁচজন থেকে শুরু করে পনর-বিশ জনের মধ্যেই। কারন ইফতা বিভাগে ভর্তি হতে হলে কঠিন এক্সামের মুখোমুখি হতে হয়। অধিকাংশই ভর্তি পরিক্ষায় বাদ পড়ে ভর্তি হতে পারেনা। এ গেলো ঢাকা বিভাগের কথা। এরপর সবচেয়ে বেশি মাদরাসা সিলেট ও চটগ্রাম বিভাগে। তন্মধ্যে আমার জানা মতে সিলেট জেলায় ইফতা বিভাগ আছে মাত্র তিনটি মাদরাসায় । যদি যুক্তির খাতিরে ধরে নেই, সব ইফতা বিভাগ মিলে গড়ে বছরে এক হাজার করে মুফতি তাদের গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন, তাহলেও স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মুফতি সাহেবদের সংখ্যা পয়তাল্লিশ হাজার। এখানে সে সব মুফতি সাহেবদের কথা আর উল্লেখ করার প্রয়োজন মনে করলাম না, যারা স্বাধীনতার পর ইন্তেকাল করেছেন, কিংবা এই ফতোয়ায় সাক্ষর করেননি।



        • সুতরাং ফড়িদুদ্দিন মাছুদ আল শাহবাগী যে দাবী করছেন, তিনি এক লক্ষ মুফতির সাক্ষর সংগ্রহ করেছেন, তার এই দাবী মিথ্যা। বাংলাদেশে এত পরিমান মুফতি সাহেব নেই। মুফতি ছাড়া যাদের থেকে ফতোয়ার সাক্ষর নিয়েছেন, এটা নিকৃষ্টতম একটা ধোঁকাবাজি ও ঠকবাজি হয়েছে। কারনঃ যাদের ফতোয়ার দেয়ার যোগ্যতা নেই তাদেরকে ভুলভাল বুঝিয়ে সাক্ষর সংগ্রহ করে “ফতোয়া” বলে প্রচার করা চরম নিকৃষ্ট ছোটলোকী হয়েছে । এছাড়া সাক্ষরদাতা অনেকেই বলছেন, আমাদেরকে বলাই হয়নি, এটা একটি ফতোয়া।



        এত বড় একটা মিথ্যা বলে, ধোঁকাবাজি করে উলামায়ে দেওবন্দের মুখে চুনকালি মেখে দিলেন শাহবাগী ফরিদুদ্দিন মাসুদ। আল্লাহ তাকে হেদায়েত দিন, অন্যথায় দুনিয়ায় বেইজ্জতের মউত দিন যাতে বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি দেখে নেয়, বিশ্বাসঘাতরা। আর আখেরাতের শাস্তি আল্লাহর হাতেই।



        রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

        Comment

        Working...
        X