“জঙ্গিবাদ ও আত্মঘাতী হামলা হারাম” শিরোনামে সরকারবান্ধব ও সরকার দলীয় এমপি কাজী নাবিল আহমেদের মালিকানাধীন অনলাইন বাংলাট্রিবিউন একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। তাতে জানানো হয়েছে সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি বলে পরিচিত মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদের নেতৃত্বে এক লাখ আলেম জঙ্গিবাদ বিরোধী একটি ফতোয়া জারি করছেন। আগামীকাল শনিবার তা প্রকাশিত হবে।
ফতোয়াটি নিয়ে ইতোমধ্যে আওয়ামীপন্থী মিডিয়ায় বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তবে বাংলাট্রিবিউন ইঙ্গিতে জানিয়েছে, এই ফতোয়া প্রকল্পের পেছনে কাজ করছে মূলত সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
বাংলাট্রিবিউন তাদের রিপোর্টে লিখেছে--
“সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র এ প্রতিবেদককে জানান, মূল পরিকল্পনা একটি সংস্থার। ওই সংস্থার ঊধ্বর্তন এক কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করেই ফতোয়া ও প্রশ্ন তৈরি করেন মাওলানা মাসঊদ। যদিও তিনি বিষয়টিকে উড়িয়ে দেন। আর বলেন, এগুলো এই ফতোয়াটিকে দুষতেই এমন কথাবার্তা চালাচ্ছে। আর প্রশ্নপত্র তৈরি হয়েছে উলামা সম্মেলনে।”
এই বিশাল কর্মযজ্ঞ আয়োজনের বিরাট খরচ কে বহন করছে তা স্পষ্ট নয়। ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ধারণা করা যাচ্ছে প্রকল্পের টাকা দিয়েছে ওই সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাই।
ট্রিবিউনের রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে-
“কর্মসূচি ব্যয়ের খাত
সারাদেশের আলেমদের স্বাক্ষরিত ফতোয়াটি আগামী শনিবার ৩০ খণ্ডে প্রকাশ করা হবে। এর কপি পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ওআইসি ও জাতিসংঘে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে ইংরেজি ও আরবি ভার্সনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এ কাজ পুরোপুরি শেষ হতে আরও সময় লাগবে।
চলমান ৩০ খণ্ড তৈরির পেছনে প্রতিটি খণ্ডে ১৫শ টাকা করে খরচ হচ্ছে বলে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক আলেম জানিয়েছেন। তার দাবি, সর্বমোট ৬শ খণ্ড হবে। শুধু ৬শ খণ্ডের ছাপা খরচই প্রায় এক লাখ টাকার কাছাকাছি। এছাড়া স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে গিয়ে সারাদেশে সমন্বয় কমিটি কাজ করেছে। কেন্দ্র থেকে দেখভাল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আরও ব্যয় হয়েছে বলেও সূত্রের দাবি।
এই কার্যক্রমের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ব্যয়ের অর্থ হুজুর দিয়েছেন এবং হুজুরের মুরিদরা কিছু দিয়েছেন।
জানতে চাইলে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন বলেন, আল্লাহর কাজ আল্লাহই আদায় করে নেন। আলেমরা সহযোগিতা করেছেন, শুভানুধ্যায়ীরা করেছেন। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী করেছি।”
প্রশ্ন উঠেছে, আলেমরা কষ্ট করে কুরআন হাদিস ঘেঁটে ফতোয়া রেডি করে দেবেন, আর করবেন নিজের পকেটের টাকা খরচ করে!! এটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি হাস্যকর তথ্য। অর্থাৎ, গোয়েন্দা সংস্থাই ফতোয়ার পেছনে টাকা ঢালছে তা আরো জোরালো হয়। যে ফতোয়ার পেছনে সরকারি বাহিনীর টাকা ঢালার মতো স্বার্থ থাকে, তা কতটুকু ইসলামি কাজ আর কতটা ‘ধর্মকে ব্যবহার করে ব্যবসা’, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র:http://www.bd-desh.net/newsdetail/detail/200/221457
ফতোয়াটি নিয়ে ইতোমধ্যে আওয়ামীপন্থী মিডিয়ায় বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তবে বাংলাট্রিবিউন ইঙ্গিতে জানিয়েছে, এই ফতোয়া প্রকল্পের পেছনে কাজ করছে মূলত সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
বাংলাট্রিবিউন তাদের রিপোর্টে লিখেছে--
“সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র এ প্রতিবেদককে জানান, মূল পরিকল্পনা একটি সংস্থার। ওই সংস্থার ঊধ্বর্তন এক কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করেই ফতোয়া ও প্রশ্ন তৈরি করেন মাওলানা মাসঊদ। যদিও তিনি বিষয়টিকে উড়িয়ে দেন। আর বলেন, এগুলো এই ফতোয়াটিকে দুষতেই এমন কথাবার্তা চালাচ্ছে। আর প্রশ্নপত্র তৈরি হয়েছে উলামা সম্মেলনে।”
এই বিশাল কর্মযজ্ঞ আয়োজনের বিরাট খরচ কে বহন করছে তা স্পষ্ট নয়। ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ধারণা করা যাচ্ছে প্রকল্পের টাকা দিয়েছে ওই সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাই।
ট্রিবিউনের রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে-
“কর্মসূচি ব্যয়ের খাত
সারাদেশের আলেমদের স্বাক্ষরিত ফতোয়াটি আগামী শনিবার ৩০ খণ্ডে প্রকাশ করা হবে। এর কপি পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ওআইসি ও জাতিসংঘে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে ইংরেজি ও আরবি ভার্সনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এ কাজ পুরোপুরি শেষ হতে আরও সময় লাগবে।
চলমান ৩০ খণ্ড তৈরির পেছনে প্রতিটি খণ্ডে ১৫শ টাকা করে খরচ হচ্ছে বলে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক আলেম জানিয়েছেন। তার দাবি, সর্বমোট ৬শ খণ্ড হবে। শুধু ৬শ খণ্ডের ছাপা খরচই প্রায় এক লাখ টাকার কাছাকাছি। এছাড়া স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে গিয়ে সারাদেশে সমন্বয় কমিটি কাজ করেছে। কেন্দ্র থেকে দেখভাল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আরও ব্যয় হয়েছে বলেও সূত্রের দাবি।
এই কার্যক্রমের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ব্যয়ের অর্থ হুজুর দিয়েছেন এবং হুজুরের মুরিদরা কিছু দিয়েছেন।
জানতে চাইলে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন বলেন, আল্লাহর কাজ আল্লাহই আদায় করে নেন। আলেমরা সহযোগিতা করেছেন, শুভানুধ্যায়ীরা করেছেন। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী করেছি।”
প্রশ্ন উঠেছে, আলেমরা কষ্ট করে কুরআন হাদিস ঘেঁটে ফতোয়া রেডি করে দেবেন, আর করবেন নিজের পকেটের টাকা খরচ করে!! এটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি হাস্যকর তথ্য। অর্থাৎ, গোয়েন্দা সংস্থাই ফতোয়ার পেছনে টাকা ঢালছে তা আরো জোরালো হয়। যে ফতোয়ার পেছনে সরকারি বাহিনীর টাকা ঢালার মতো স্বার্থ থাকে, তা কতটুকু ইসলামি কাজ আর কতটা ‘ধর্মকে ব্যবহার করে ব্যবসা’, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র:http://www.bd-desh.net/newsdetail/detail/200/221457
Comment