Announcement

Collapse
No announcement yet.

মাযহাব” -শাইখ আবু ইয়াহিয়া আল লিবি রহিমাহুল্লাহ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মাযহাব” -শাইখ আবু ইয়াহিয়া আল লিবি রহিমাহুল্লাহ

    মাযহাব” -
    শাইখ আবু ইয়াহিয়া আল লিবি রহিমাহুল্লাহ



    শাইখ আবু ইয়াহিয়া আল লিবি রহিমাহুল্লাহর কিছু উপদেশ যা বাংলাদেশী ভাইদের জন্যও অত্যন্ত জরুরী।
    .
    بسم الله الرحمن الرحيم
    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের উপর। তার পরিবারবর্গ, সাহাবা ও যারা তার সাথে বন্ধুত্ব রাখে তাদের উপরও।
    .
    এই কয়েকটি উপদেশ ঐসকল মুজাহিদ ভাইদের প্রতি, যারা আফগান মুজাহিদবাহিনীর অন্তর্ভূক্ত, অথবা যারা স্বীয় ভাইদের সাথে শরীক হতে অচিরেই আফগানবাহিনীর অন্তর্ভূক্ত হবেন।
    প্রিয় ভাইদেরকে অবগত করছি, আমি এখানে যেসমস্ত শরয়ী মাসআলাসমূহ আলোচনা করবো, তার প্রতিটি কথার পক্ষেই আলেমদের উদ্ধৃতি ও শরয়ী দলীল রয়েছে, কিন্তু কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় সেগুলো এখানে আনিনি। তাই আপনি প্রশান্তমনে এগুলো গ্রহণ করতে পারেন।
    আমরা আমাদের জন্য এবং আপনাদের জন্য আল্লাহর নিকট সঠিকের দিকনির্দেশনা, তার তাওফীক, কথা ও কাজের সংশোধন এবং তার গ্রহণযোগ্যতা প্রার্থনা করি।
    .
    ‪#‎সর্বদা‬ আপনার ভাইদের সাথে মিশে থাকতে আগ্রহী হোন, কোন কথা বা কাজে তাদের সবার থেকে ভিন্নতা অবলম্বন করবেন না। যতটুকু সম্ভব তাদেরকে সন্তুষ্ট রাখুন। ইজতিহাদী মাসায়েলের ক্ষেত্রে আমির যেটা অবলম্বন করেন সেটাকেই মানা ওয়াজিব। চাই তা মারকাযে থাকাকালীন বা অভিযানে যাত্রাকালীন অথবা অন্য যেকোন অবস্থাতেই হোকনা কেন। এমনকি যদি আপনার মতটি এর থেকে বিপরীত হয়, তবুও। যেমন, নামায আদায়ের সময়, দুই নামায এক সাথে জমা করা, নামায পূর্ণ করা বা কসর করা, জামাতে নামায পড়া বা একাকী পড়া, কোন অভিযান বা কাজের জন্য রোজা বর্জন করা, বা এজাতীয় বিষয়ে।
    .
    ‘তহাবি’ কিতাবের ব্যাখ্যাকার আল্লামা ইবনে আবিল ইজ্জ রহ: বলেন,
    “কিতাব-সুন্নাহর বর্ণনাসমূহ ও সালাফের ইজমা প্রমাণ করে, ইজতিহাদের স্থান সমূহে দায়িত্বশীল, নামাযের ইমাম, বিচারক, যুদ্ধের সেনাপতি ও যাকাত উসুলকারী শ্রেণীর কথাই অনুসরণীয় হবে। ইজতিহাদী বিষয়বালীর ক্ষেত্রে তাদের অনুসারীদের আনুগত্য করা তাদের উপর ওয়াজিব নয় বরং তাদের অনুসারীদের উপরই ওয়াজিব হল তাদের আনুগত্য করা এবং তার মতের সামনে নিজেদের মতকে বর্জন করা। কারণ ঐক্য ও সমঝোতার উপকারীতা এবং বিভেদ ও বিচ্ছিন্নতার ক্ষতি শাখাগত মাসআলাসমূহের ব্যাপারগুলো থেকে অনেক বড়।”
    .
    ‪#‎আফগান‬ মুজাহিদদের সাথে চলতে গিয়ে এই বিষয়টির প্রতিও লক্ষ্য রাখা উচিত: আফগান মুজাহিদগণ হানাফী মাযহাব মেনে চলেন। এটি আহলুস সুন্নাহর চারটি গ্রহণযোগ্য মাযহাবের একটি। তাই প্রতিটি মুজাহিদ যেন ঘৃণা ও বিভেদসৃষ্টির মত শাখগত মাসআলাসমূহের ব্যাপারগুলোর উপর ঐক্য ও সম্প্রীতির কল্যাণকে প্রাধান্য দেন। এমনকি যদি কোন সুন্নাত বা মুস্তাহাব বর্জন করতে হয় তবুও। কারণ এর বিপরীতে মুহাজিরদের প্রতি তাদের অন্তরে ঘৃণা সৃষ্টি হবে এবং তাদের মাঝে অনৈক্য সৃষ্টি হবে। সুতরাং এহেন অবস্থায় রুকুর পূর্বে ও পরে হাত উঠানো ছেড়ে দিলে, তাশাহ্হুদের মাঝে শাহাদাত আঙ্গুল নাড়ানো ছেড়ে দিলে, জোরে আমীন বলা ছেড়ে দিলে, সিজদার জন্য হাতে ভর না দিয়ে হাটুতে ভর দিলে বা এজাতীয় কাজগুলো বিসর্জন দিলে কোনই শরয়ী সমস্যা নেই। বরং যদি এগুলো পরিত্যাগ করার দ্বারা তার উদ্দেশ্য হয় সকলের মনোতুষ্টি ও ইখতিলাফ দূরকরা, তাহলে এর দ্বারা সে সওয়াব প্রাপ্ত হবে। এটাই ফিকহ।
    যেমন ইমাম বুখারী রহ: কা’বা ঘর (পুন:নির্মাণের উদ্দেশ্যে) ভাঙ্গার ইচ্ছা ত্যাগ করা সংক্রান্ত হাদীসটির ব্যাপারে অধ্যায় সাঁজিয়েছেন এভাবে- ‘অধ্যায়: যে এই ভয়ে জায়েয বিষয়কে পরিহার করে যে, মানুষ তা বুঝে উঠতে পারবে না, ফলে মানুষ এর থেকেও জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়ে পড়বে’।
    .
    ‪#‎যেসকল‬ ক্ষেত্রে ইসলামের সরাসরি বিরোধিতা হয় না, সেক্ষেত্রে দলের লোকজনের অভ্যাস ও রীতি-নীতির প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত। যেমন: কিবলার দিকে দুই পা দিয়ে না ঘুমানো বা এজাতীয় কাজগুলো। সাথে সাথে তাদের আলেমদের সম্মান করতে হবে। কারণ আলেমরা মানুষের অন্তরের চাবিকঠি।
    .
    নামাযে যথাসম্ভব তাদের কারীদেরকে সামনে দেওয়া, মাযহাবের আলোচনা বা তাদের ইমামদের সমালোচনা না করা এবং তাদের মাঝে যে ফাতওয়া প্রচলিত তাকে হালকা করা থেকে বেঁচে। যদি তাদের কোন আলেম বা তালিবুল ইলমের সাথে আলোচনা উঠে, তাহলে উক্ত আলোচনা হওয়া উচিত বিশুদ্ধ ইলম, শ্রদ্ধাবোধ, শিষ্টাচার ও আন্তরিকতার সাথে। কোন ধরণের উত্তেজনা, মিথ্যা অপবাদ, গালি-গালাজ ও আত্মগর্ব বা অহংকার থাকতে পারবে না।
    .
    সম্মানিত ভাই!
    মনে রাখবেন, এই মহান মাযহাবটি দীর্ঘ শতাব্দী থেকে শতাব্দী পর্যান্ত বহু শ্রেষ্ঠ ইমামগণ মেনে আসছেন। অনেক রাষ্ট্র এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। অনেক কাযী এর মাধ্যমে বিচারকার্য সম্পাদন করেছে। অনেক শাসক এটাকে নিজ মাযহাব হিসাবে গ্রহণ করে নিয়েছে। হাজার হাজার খণ্ডের কিতাব এই মাযহাবের উপর লিপিবদ্ধ হয়েছে। বরং পৃথিবীতে অন্য কোন মাযহাবের এতটা প্রচার-প্রসার হয়নি, যতটা আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহর মাযহাবের হয়েছে। তাই আপনি একদিনের একটি বৈঠকে বা একটি শাখাগত মাসআলা দিয়ে তাকে ছোট করার চেষ্টা করবেন না।
    কারণ হতে পারে, তাহকীক করলে আপনার কথাটিই অপ্রণিধানযোগ্য হবে। আর প্রত্যেক জ্ঞনীর উপরও জ্ঞানী রয়েছে।
    আল্লাহ তাআলাই সর্ববিষয়ে পরিজ্ঞাত।
    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সমস্ত জগতের প্রতিপালক।
    .
    লিখেছেনঃ আবু ইয়াহ্ইয়া আল লিবি রহিমাহুল্লাহ
    শনিবার, ২৫ রবিউসসানি, ১৪৩১হিজরী।
    (সংগৃহীত)
    আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

  • #2
    মাশা'আল্লাহ। আল্লাহ সুব. আপনার এই মেহনতকে কবুল করুন, আমীন। অনেকদিন যাবত এমন একটি লিখা চাচ্ছিলাম। আজকে ফোরামে খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেলাম। আলহামদুলিল্লাহ। রিপ্লাই দিলাম যেনো পোষ্টটি উপরে চলে আসে এবং অন্য ভাইয়েরাও পরে নিতে পারেন।
    আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
    জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
    বিইযনিল্লাহ!

    Comment


    • #3
      খুব সুন্দর ও প্রয়োজনীয় আলোচনা
      আল্লাহ তা‘আলা শাইখকে জান্নাত বাসী করুন ,,
      আমীন
      মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ, অনেক উপকারী কথা।
        আল্লাহ তা‘আলা আমাদের বুঝার ও আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
        “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

        Comment


        • #5
          এই সায়েখের বাড়িকি লিবয়াতে

          Comment


          • #6
            Originally posted by abdolla View Post
            এই সায়েখের বাড়িকি লিবয়াতে
            জি ভাই, শায়েখের বাড়ি লিবিয়াতে। তানভীর ভাইকে অনেক অনেক শুকরিয়া, অত্যন্ত মূল্যবান এ লেখাটি আমাদের সরবরাহ করার জন্য। جزاك الله أحسن الجزاء আল্লাহ তায়ালা আমাদের এধরণের মাযহাবী বিষয়ে উদার হওয়ার তাওফিক দান করুন।
            الجهاد محك الإيمان

            জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

            Comment


            • #7
              আল্লাহ্* তা'আলা শায়েখকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন।আমিন

              Comment


              • #8
                কিন্তু ভাইজান যখন হানাফি আলেম ও আহলে হাদিস আলেমের মাঝে মুবহাসা বা বাহাস হয় তখন আমরা দেখি যে হানাফি মাজহাবের আলেমগন পেরে উঠেননা যার ফলে আমরা বুঝে নেই যে আহলে হাদিস আলেমগন সঠিক... আবার সঠিক বিষয়টি সামনে আসলে ভুল বিষয়টি বাদদেওয়া ও তো ইসলামের দাবী , তাহলে আমরা কি মানবো?! আবার এমনো দেখা যায় যে, অনেক হানাফি আলেম এমন ছিলেন জিনারা আহলে হাদিস গনের যে মতটি আছি সেটিই গ্রহণ করেছেন, যেমন নাসীরুদ্দিন আলবানী 12জন হানাফি আলেমকে পছন্দ করতেন সে বারোজন! বিষয়টি আরো পরিষ্কার বুঝতে চাচ্ছি!
                হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                Comment


                • #9
                  শাখা-প্রশাখাগত ইখতিলাফ/বাকবিতণ্ডা পরিহার করাই হল মূল ও প্রধানতম বিষয়। আর বাকবিতন্ডা পরিহারের উপায় হলঃ ১. তাকওয়া, ২. আখলাক সংশোধন, ৩.একীভূত উম্মাহর চেতনা ও যুগ সচেতনতা।
                  এটা জানা কথা যে অন্ধ অনুসারীদের অধিকাংশই হয় মূর্খ প্রকৃতির। তাই আপনি যখন কিছু আহলে হাদিস মসজিদে সালাতের জন্য যাবেন তখন কষ্ট পাবেন আদ দ্বল্লীন আহলে কিতাবীদের মতো তাদের স্বভাবপ্রকৃতি অবলোকন করে। অনুরূপভাবে কওমীদের গোড়ামীর ব্যাপারেও কষ্ট পাবেন তাদের ঔদ্ধত্যে কখনো কখনো হাদীসের ব্যাপারে বেপরোয়া ও মুনকারাত প্রকাশ পায় যা অনেক সময় কুফরের দিকে পৌছে দেয়।
                  কিন্তু মানহাজের ভাইদের বিষয়টি আশ্চর্যের! তারা যদিও হোক আহলে হাদিস বা হানাফি কিন্তু তারা এসব নিয়ে তর্ক কুতর্ক করাকে সময় অপচয় মনে করে, এড়িয়ে চলে। তাদের তাকওয়া, যুহদ, সালামের প্রসার মুসল্লীদেরকে প্রচ্ছন্নভাবে হলেও প্রভাবিত করে। ফলে তখন কে রাফউল ইয়াদাইন করল নাকি না করল এসব বিষয় মুসল্লীদের নিকট গৌণ হয়ে পড়ে, এসব বিষয়ে সংবেদনশীলতা হ্রাস পায়। তাই আমার মনে হয় বাকবিতন্ডা পরিহারের উপায়গুলো অনুসরণ করে স্ব স্ব মাযহাবে থাকলেও এটা ক্ষতিকর হবে না বরং উল্টো.. এটা ফুরূয়ী ইখতিলাফ নিরসনে দাওয়াতী ভূমিকা রাখবে। এব্যাপারে শাইখ লিবি রহঃ এর ফতোয়া চূড়ান্ত নয় বলেই মনে করি, এছাড়া উমারাদের মধ্যে ভিন্ন মত থাকতে পারে।

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by Abu Haris View Post
                    শাখা-প্রশাখাগত ইখতিলাফ/বাকবিতণ্ডা পরিহার করাই হল মূল ও প্রধানতম বিষয়। আর বাকবিতন্ডা পরিহারের উপায় হলঃ ১. তাকওয়া, ২. আখলাক সংশোধন, ৩.একীভূত উম্মাহর চেতনা ও যুগ সচেতনতা।
                    এটা জানা কথা যে অন্ধ অনুসারীদের অধিকাংশই হয় মূর্খ প্রকৃতির। তাই আপনি যখন কিছু আহলে হাদিস মসজিদে সালাতের জন্য যাবেন তখন কষ্ট পাবেন আদ দ্বল্লীন আহলে কিতাবীদের মতো তাদের স্বভাবপ্রকৃতি অবলোকন করে। অনুরূপভাবে কওমীদের গোড়ামীর ব্যাপারেও কষ্ট পাবেন তাদের ঔদ্ধত্যে কখনো কখনো হাদীসের ব্যাপারে বেপরোয়া ও মুনকারাত প্রকাশ পায় যা অনেক সময় কুফরের দিকে পৌছে দেয়।
                    কিন্তু মানহাজের ভাইদের বিষয়টি আশ্চর্যের! তারা যদিও হোক আহলে হাদিস বা হানাফি কিন্তু তারা এসব নিয়ে তর্ক কুতর্ক করাকে সময় অপচয় মনে করে, এড়িয়ে চলে। তাদের তাকওয়া, যুহদ, সালামের প্রসার মুসল্লীদেরকে প্রচ্ছন্নভাবে হলেও প্রভাবিত করে। ফলে তখন কে রাফউল ইয়াদাইন করল নাকি না করল এসব বিষয় মুসল্লীদের নিকট গৌণ হয়ে পড়ে, এসব বিষয়ে সংবেদনশীলতা হ্রাস পায়। তাই আমার মনে হয় বাকবিতন্ডা পরিহারের উপায়গুলো অনুসরণ করে স্ব স্ব মাযহাবে থাকলেও এটা ক্ষতিকর হবে না বরং উল্টো.. এটা ফুরূয়ী ইখতিলাফ নিরসনে দাওয়াতী ভূমিকা রাখবে। এব্যাপারে শাইখ লিবি রহঃ এর ফতোয়া চূড়ান্ত নয় বলেই মনে করি, এছাড়া উমারাদের মধ্যে ভিন্ন মত থাকতে পারে।
                    মাশাআল্লাহ যাজাকাল্লাহু খইরান আহসানাল যাজা...!
                    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                    Comment


                    • #11
                      উপকারী পোষ্ট থেকে আল্লাহ তায়া-লা
                      আমাদের সবাইকে উপকৃত করুন
                      আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে তার দ্বীনের
                      জন্য কবুল করুন আমিন ইয়া রব্ব।

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by Abu Haris View Post
                        শাখা-প্রশাখাগত ইখতিলাফ/বাকবিতণ্ডা পরিহার করাই হল মূল ও প্রধানতম বিষয়। আর বাকবিতন্ডা পরিহারের উপায় হলঃ ১. তাকওয়া, ২. আখলাক সংশোধন, ৩.একীভূত উম্মাহর চেতনা ও যুগ সচেতনতা।
                        এটা জানা কথা যে অন্ধ অনুসারীদের অধিকাংশই হয় মূর্খ প্রকৃতির। তাই আপনি যখন কিছু আহলে হাদিস মসজিদে সালাতের জন্য যাবেন তখন কষ্ট পাবেন আদ দ্বল্লীন আহলে কিতাবীদের মতো তাদের স্বভাবপ্রকৃতি অবলোকন করে। অনুরূপভাবে কওমীদের গোড়ামীর ব্যাপারেও কষ্ট পাবেন তাদের ঔদ্ধত্যে কখনো কখনো হাদীসের ব্যাপারে বেপরোয়া ও মুনকারাত প্রকাশ পায় যা অনেক সময় কুফরের দিকে পৌছে দেয়।
                        কিন্তু মানহাজের ভাইদের বিষয়টি আশ্চর্যের! তারা যদিও হোক আহলে হাদিস বা হানাফি কিন্তু তারা এসব নিয়ে তর্ক কুতর্ক করাকে সময় অপচয় মনে করে, এড়িয়ে চলে। তাদের তাকওয়া, যুহদ, সালামের প্রসার মুসল্লীদেরকে প্রচ্ছন্নভাবে হলেও প্রভাবিত করে। ফলে তখন কে রাফউল ইয়াদাইন করল নাকি না করল এসব বিষয় মুসল্লীদের নিকট গৌণ হয়ে পড়ে, এসব বিষয়ে সংবেদনশীলতা হ্রাস পায়। তাই আমার মনে হয় বাকবিতন্ডা পরিহারের উপায়গুলো অনুসরণ করে স্ব স্ব মাযহাবে থাকলেও এটা ক্ষতিকর হবে না বরং উল্টো.. এটা ফুরূয়ী ইখতিলাফ নিরসনে দাওয়াতী ভূমিকা রাখবে। এব্যাপারে শাইখ লিবি রহঃ এর ফতোয়া চূড়ান্ত নয় বলেই মনে করি, এছাড়া উমারাদের মধ্যে ভিন্ন মত থাকতে পারে।
                        ভাই আপনার সাথে একমত। তবে মুহতারাম ভাই আপনি শাইখ লিব্বি রাহি. এর ফতোয়া চূড়ান্ত নয় বলেই মনে করেছেন। তাই আপনাকে একটি প্রশ্নোত্তর বা ফতোয়ার উদ্বৃতি দিচ্ছি। যা একজন অভিজ্ঞ আলেম ও মুফতি আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি হাফি. দিয়েছেন। আপনাকে ফতোয়াটি পড়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
                        ---------------------

                        সালাফদের অনুসরণ করব, না আঞ্চলিক মাযহাবের?

                        প্রশ্ন:

                        এক. আমি শায়েখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহ.-এর মাজহাবি ইখতিলাফের ওপর লেখা প্রবন্ধটি পড়েছি। আলহামদুলিল্লাহ বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার হয়েছে। এখন আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, আমি যদি বাড়িতে একা একা সালাত আদায় করি বা অন্য কোনো আমল করি, তাহলে কি আমি সালাফদের অনুসরণ করতে পারব? নাকি এখানেও আঞ্চলিক মাযহাব বা প্রচলিত নিয়মেরই অনুসরণ করব? বাসা-বাড়িতে তো আর কেউ আমাকে দেখছে না, ফলে ঐক্য বিনষ্ট হতে পারে বা কেউ আমার থেকে দূরে সরে যেতে পারে, এমন সম্ভাবনা নেই। তাহলে আমি কি এটা করতে পারি?

                        উত্তর:

                        এক. আমরা মূলত কোরআন সুন্নাহর অনুসরণ করব। আর কোরআন-সুন্নাহর ব্যাখ্যা নিব সালাফ থেকে। সুতরাং কেউ যদি নির্ভরযোগ্য ওলামায়ে কেরামের ফতোয়া অনুযায়ী আঞ্চলিক মাযহাব অনুসরণ করেন, তিনিও মূলত সালাফের ব্যাখ্যা অনুসারে কোরআন-সুন্নাহরই অনুসারী এবং সালাফেরই অনুসারী। এভাবে আঞ্চলিক মাযহাবের অনুসরণ করলে, তিনি সালাফের অনুসারী নয়, এমন ধারণা করা নিতান্তই অজ্ঞতা ও কঠিন রকমের ভুল। কারণ, মৌলিকভাবে কোনো মাযহাবই কোরআন-সুন্নাহ ও সালাফের আদর্শের বাইরে নয়। যদিও প্রত্যেক মাযহাবের ইমামেরই বিচ্ছিন্ন কিছু ভুল আছে; যা মানুষ মাত্রই থাকে এবং থাকা জরুরিও। কিন্তু মাযহাবের পরবর্তী ওলামায়ে কেরাম সেগুলো চিহ্নিত করে, তা পরিহার করেছেন।

                        তবে আপনার উদ্দেশ্য যদি এমন হয় যে, আমি যে মাযহাবের অনুসরণ করি, কোনো মাসআলায় যদি অন্য মাযহাবের মত আমার কাছে দলিলের দিক থেকে অগ্রগণ্য মনে হয়, তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে তা আমল করতে পারব কি না?

                        এ প্রশ্নের উত্তর হল, আপনি যদি বিজ্ঞ আলেম না হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার এই মনে হওয়ার ভিত্তি হবে কিছু অনুবাদ গ্রন্থ, কিছু লেকচার বা এ জাতীয় কিছু জিনিস, যা শরীয়তের মূল উৎস নয় এবং ফিকহেরও মূল উৎস নয়। যাদের বই বা লেকচার থেকে গ্রহণ করবেন, তাদের কেউ হয়তো যোগ্যই নন, যদিও আপনি অনেক সূত্র দেখিয়ে বলতে চাইবেন, তিনি যোগ্য, কিন্তু বাস্তবতা হল, আপনি তাকে যোগ্য ভেবে ভুল করেছেন। আবার কেউ হয়তো যোগ্য, কিন্তু তিনি আলোচনায় শুধু ততটুকু অংশই এনেছেন, যতটুকু সাধারণ মানুষের প্রয়োজন, বাকি আলোচনা তিনি করেননি। এসব উৎস থেকে ফিকহ ফতোয়ার নীতির আলোকে বিষয়টির পূর্ণ অধ্যয়ন কখনোই সম্ভব নয়, দলিলের আলোকে অগ্রগণ্যতা যাচাইয়ের জন্য যা অপরিহার্য বিষয়। বস্তুত একটি মাসআলা আসলেই দলিলের আলোকে অগ্রগণ্য কি না, তা আরবী ভাষা, তাফসীর, উসূলে তাফসীর, হাদীস, উসূলে হাদীস, ফিকহ, উসূলে ফিকহসহ এরকম আরও অনেকগুলো বিষয়ের আলোকে বিচার্য হয়। সুতরাং এগুলোর জ্ঞান ছাড়া শুধু কারো লেকচার শুনে বা বই পড়ে, কোনো একটি মতকে অগ্রগণ্য মনে হওয়া শরীয়তে গ্রহণযোগ্য নয়।

                        তাছাড়া যেসব মাসআলায় দুই মাযহাবে ভিন্নমত রয়েছে, সেগুলোতে ভিন্ন মাযহাবের ওপর আমল করার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। তাতে এমন শর্তও আছে, যাতে তাঁদের কারোই দ্বিমত নেই। আপনি হয়তো কারো বয়ান কিংবা বই পড়ে সেই মাযহাবের মতটি অগ্রগণ্য মনে করলেন, কিন্তু তা আমল করার জন্য যেসব শর্ত রয়েছে, তা সেই বয়ানে বা বইয়ে উল্লেখ করা হয়নি, তখন এমনও হতে পারে যে, আপনার এ আমল কোনো মাযহাব অনুযায়ীই বিশুদ্ধ হবে না।

                        সুতরাং নির্জনে একাকি অবস্থায়ও আপনি ভিন্ন মাযহাবের কোনো মতের ওপর আমল করতে চাইলে, সুনির্দিষ্ট সেই আমলটিতে তার অবকাশ আছে কি না? তা আসলেই দলিলের আলোকে অগ্রগণ্য কি না? থাকলে কীভাবে আমল করতে হবে? ইত্যাদি বিষয়গুলো একজন নির্ভরযোগ্য, মুত্তাকি ও বিজ্ঞ আলেমের কাছে পেশ করে তাঁর থেকে বিস্তারিত জেনে নেয়া জরুরি। শুধু আপনার কাছে অগ্রগণ্য মনে হওয়া এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়।
                        فقط. والله تعالى اعلم بالصواب
                        সংগ্রহীত
                        ------------------
                        اللهم أرنا الحق حقه وارزقنا إتباعه وأرنا الباطل باطله و ارزقنا إجتنابه
                        দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

                        Comment


                        • #13
                          ফোরামের সাথি ভাইকে আল্লাহ্ উত্তম
                          বিনীময়(বিনিময়) দান করুন আমিন ইয়া রব্ব।

                          Comment


                          • #14
                            আবু হানিফা ও তার ফিকহের মাকাম- শায়খ আবু কাতাদা ফিলিস্তিনি (বয়ান)

                            Comment


                            • #15
                              Originally posted by Mimbarut Tawhid View Post
                              আবু হানিফা ও তার ফিকহের মাকাম- শায়খ আবু কাতাদা ফিলিস্তিনি (বয়ান)
                              https://archive.org/download/rebelle...9%87%D9%87.mp4
                              বয়ানটা বাংলা ডাবিং হলে আমরা বুঝতে পারতাম!

                              Comment

                              Working...
                              X