Announcement

Collapse
No announcement yet.

দখলদারিত্ব ওমিশনারী অপতৎপরতা।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দখলদারিত্ব ওমিশনারী অপতৎপরতা।

    পাশ্চাত্যের জাহেলি সভ্যতার ধ্বজাধারী কুফফার গোষ্ঠী মুসলমানদের অন্তর
    থেকে ইসলামি আকিদা বিশ্বাসসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে ইসলামের বাস্তব রুপরেখার
    স্হলে তাদের জাহেলি রীতিনীতি প্রয়োগ করে মুসলিম উম্মাহর ওপর প্রভূত্ব বিস্তার করার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
    কারণ তারা জানে মুসলমানদের আকিদা বিশ্বাসই তাদের চালিকাশক্তি এবং শত্রুদের বিরুদ্ধেই দৃঢ় অবস্থানের মূলকারণ। এজন্য তারা দুটি পথ ও পন্থা অবলম্বন করেছে
    ১.রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সরাসরি দখলদারিত্বের নীতিগহণ।
    ২.ভেতর থেকে ইসলামের অবকাঠামো ভেঙে দেয়ার উদ্দেশে বিভিন্ন চমকপ্রদ পদ্ধতি অবলম্বন করে মুসলমানদেরকে নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য মিশনারী তৎপরতার নীতিগহণ। এ প্রত্যক্ষ যুদ্ধ ও ভয়ঙ্কর মিশনারী তৎপরতার সবই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন নামে চলছে এবং চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষে মিশনারী হেডকোয়ার্টার কতিপয় কর্মসূচি গ্রহণ করে সে অনুযায়ী নীরবে কাজ করে যাচ্ছে। তন্মধ্যে এক হাজার খ্রিষ্টান মিশনারী মুসলিম বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সে সব অঞ্চলে যেখানে সিংহভাগ মানুষ মূর্খ অসুস্থ এবং দারিদ্রপীড়িত। সে সব এলাকায় তারা বহুমুখী সেবাপ্রদানের নামে সরলমনা মুসলমানদের খ্রিষ্টধর্মের দিকে আকৃষ্ট করে। যার ফলে দেখা যায় খ্রিষ্টান মিশনারীরা আফ্রিকা ইন্দোনেশিয়া ও ভারত উপমহাদেশের দিকে অধিক দৃষ্টিনিবদ্ধ করেছে। এসব অঞ্চলে তারা তাদের লক্ষ বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্কুল কলেজ হাসপাতাল দূতাবাস আন্তর্জাতিক সংস্থা কল্যাণ ট্রেস্ট এবং নামে বেনামে আরো বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। পাশাপাশি রেডিও টেলিভিশন ও নাটক সিনেমার মাধ্যমে তারা তাদের প্রচারকার্য চালাচ্ছে এবং মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের সংস্থা ও সমিতিগুলো সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন স্তরের স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে এবং তাদের মিশনারী ও মিশনের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
    ৩.তারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশগামী শিক্ষার্থীদেরকে প্রাশ্চাতোর দেশগুলোতে পাঠাচ্ছে। যেন তারা প্রাশ্চাতোর অপসংস্কৃতির লু হাওয়া সগে করে স্বদেশে ফিরে এসে দেশকে পাশ্চাত্যকরণের চেষ্টায় বতী হয়। এক্ষেত্রে তারা একটি ভয়ঙ্কর নীতি গ্রহণ করেছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো থেকে ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে যদি কোন শিক্ষার্থী স্বদেশের প্রতি আন্তরিক হয় তাহলে তাকে গুপ্তহত্যা করে ফেলা হবে নচেৎ তার উপর বিভিন্ন জটিলতা ও বিধি নিষেধ আরোপ করা হবে যার কারণে সে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয় যেমনটি আমরা জামাল আব্দুন নাসেরের শাসনামলে অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেম-ওলামাদের সাথে হতে দেখেছি।
    ৪. তারা মুসলিম দেশগুলোতে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন কলকারখানা কোম্পানি ও ফ্যাক্টরিগুলো অকেজো করে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে যেন মুসলমানরা সর্বক্ষেত্রে তাদের মুখাপেক্ষী থাকে এবং সবকিছু তাদের থেকে আমদানি করতে হয় মুসলিম সন্তানদেরকে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের তত্ত্বাবধানে ঘরে তুলে দিন ইসলামের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য তারা মুসলিম দেশগুলোতে যথোপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা বিলুপ্তর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
    ৫. মুসলিম যুবকদের মানসিক ও চারিত্রিক অবক্ষয়ের জন্য তারা কবি সাহিত্যিক লেখকদের মাধ্যমে নোংরা সাহিত্য নির্মাণ করাচ্ছে এবং টিপি সিনেমার মাধ্যমে অশ্লীলতাকে আনুষ্ঠানিকতা দিচ্ছে।
    ৬. নেশা মাদক পতিতালয় বেহায়াপনা উলঙ্গ নাচ গান এবং অবাধ মেলামেশার ব্যাপক প্রচলন এবং বিনোদনের নামে এসবের পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে।
    ৭. মুসলিম দেশসমূহের মূল্যবান সম্পদ গুলোর উপর অর্থনীতিক প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন চুক্তির নামে এসব সম্পদ কুক্ষিগত করার পায়তারা চালাচ্ছে। যেন মুসলমানদের মাঝে দারিদ্রতা ও বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পায় এবং শিল্প দক্ষতাও প্রকৌশলবিদ্যা থেকে মুসলমানদেরকে বঞ্চিত করা যায়।
    ৮. প্রাচীন ফেরাঊনী সভ্যতায় ফিরিয়ে এনে ইসলামী সভ্যতাকে গুরুত্বহীন করে দেয়া হচ্ছে এবং মুসলমানদের অন্তর থেকে ইসলামের প্রতি আন্তরিক টান হাঁস করে দিচ্ছে।
    ৯. মানব রচিত আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইসলামী আইনকে অকার্যকর ও অপ্রয়োজনীয় আখ্যা দেয়া হচ্ছে ইসলামী আইন শাস্ত্রবিদদের কার্যত পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে এবং ইসলামী শরিয়া বাস্তবায়নের সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা ও আন্দোলনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে।
    10. মুসলিম নারীদেরকে বেপর্দা ও চরিত্রহীন করার মাধ্যমে ইসলামের মূল অবকাঠামো ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের পূর্বসূরীদের আদর্শ ও শৌর্যবীর্য উত্তম চরিত্র ও তাকওয়া প্রবৃত্তি গুণাবলীর উপর উঠতে না পারে
    ১১. কাফিরদের রচিত পাঠ্যক্রমে মুসলিম শিশুদের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে

  • #2
    12. পাশ্চাত্য পুঁজিবাদ ও আশ্চর্য সাম্যবাদের সর্বব্যাপী বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব মতবাদের প্রতিকৃত নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ কে মানসী হিসেবে সম্মান ও মর্যাদার স্থান দেয়া হয়েছে এসব মতবাদের আদলে জীবনব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও সাফল্যময় জীবনব্যবস্থা হিসেবে গণমানুষের কাছে প্রচার করে তার দিকে তাদের আগ্রহী করে তোলার তৎপরতা চালানো হচ্ছে বৈশ্বিক উন্নয়নের অভিযাত্রী রূপে তাদেরকে উপস্থাপন করা হচ্ছে যারা এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ উন্নয়ন সর্বক্ষেত্রে তার দিকে ছুটে গেছে মানুষকে বুঝানো হচ্ছে যে জীবন-জীবিকা উন্নয়ন-অগ্রগতি সবকিছু ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভরশীল একমাত্র আদর্শ হিসেবে মানুষ এসব মতবাদকে গ্রহণ করতে শুরু করেছে যেমনটি আমরা বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোতে দেখতে পাই।
    ১৩. ইসলামী ভূখণ্ডগুলোতে বিভিন্ন দল উপদলের মাধ্যমে বিভিন্ন মতবাদ ছড়িয়ে দিয়ে সে সব মতবাদকে নেতৃত্বস্থানীয় করার চেষ্টা করা হয়েছে যেমন সাম্রাজ্যবাদ সাম্যবাদ কাদিয়ানী বাহাঈ ও শিয়া ইত্যাদি মতবাদের বীজ ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে সে সব মতবাদের প্রতি উৎসাহিত করে সে সব মতবাদকে উস্কে দেয়া হয়েছে। যেন দেশের জনগণ রাজনৈতিক অঙ্গনে শত বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িকতায় রূপ নেয়। এর ফলে জনগণ পারস্পারিক কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ির লিপ্ত হয়ে সত্য ধর্ম থেকে বিমুখ হয়ে যায় এবং পশ্চিমা জালেলি সভ্যতার অন্ধঅনুকরণে মুখ থুবরে পড়ে থাকে.।
    ১৪. জীবন ও রাষ্ট্র থেকে দ্বীন ইসলামকে আলাদা করে মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে কোরআন-সুন্নাহ এবং ইসলামের ইতিহাসকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। আর কোরআন হাদিস বরকত লাভের জন্য আধ্যাত্মিক বস্তুতে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে আলেম ওলামাদেরকে ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গ নাম দিয়ে নেতৃত্ব ময়দানে তাদের গুরুত্বহীন করে তোলা হয়েছে পরিণতিতে আলেম সমাজ নেতৃত্বের ময়দান থেকে শত মাইল দূরে ছিটকে পড়েছে।
    ১৫. ইসলামের ইতিহাসকে মারাত্মকভাবে বিকৃত করে ইসলামি সভ্যতাকে বর্বর ও অসভ্যতা আখ্যা দেয়া হয়েছে পাশ্চাত্যের জাহেলি ব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বপূর্ণ ঘটনাবলী মৃতপ্রায় করে ফেলা হয়েছে যাতে করে ইসলামের আগামী প্রজন্মের অতীত প্রজন্মের সাথে কোনো যোগসূত্র অবশিষ্ট না থাকে এবং মুসলমানরা তাদের স্বর্ণজ্জ্বল ইতিহাস নিয়ে গৌরবান্বিত হতে না পারে।
    ১৬. অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে আরবি ভাষা তথা কোরআনের ভাষাকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার জন্য প্রত্যক্ষ যুদ্ধ ঘোষণা করেছে যেমন ক্রুসেডার ফান্সিস খ্রিস্টানরা আলজাজিরায় ফান্সিস ভাষা এবং ব্রিটিশরা হিন্দুস্তান ও পাকিস্থানে ইংরেজি ভাষা চাপিয়ে দিয়েছে।

    Comment


    • #3
      (وَمَكَرُوا۟ وَمَكَرَ ٱللَّهُۖ وَٱللَّهُ خَیۡرُ ٱلۡمَـٰكِرِینَ)
      [Surat Aal-E-Imran 54]
      অর্থঃ এবং কাফেরেরা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম কুশলী।
      |
      ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য প্রাপ্ত বান্দারা তাদের এই চক্রান্তকে নস্যাৎ করে দিবেন।
      শরিয়াহর জন্য আমরা নিবেদিত.....

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ, উপকারী পোষ্ট।
        আমাদের বোধদয় হোক।
        এ ব্যাপারে আমাদের আরো সচেতনতা কাম্য।
        আল্লাহ তা‘আলা আপনার মেহনতকে কবুল করুন। আমীন
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সকল প্রকার ইহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র হইতে হেফাজত করেন আমীন

          Comment


          • #6
            লেখাগুলো পড়ার পর ভাইদের জন্য মন থেকে দো'অা অাসছে।

            জাযাকুমুল্লাহ,বারাকুমুল্লাহ, নাসারাকুমুল্লাহু ফি দ্বীনিহ্ ।
            এই পোষ্টটি অাসলে চিন্তা-ফিকির করার জন্য বেশকিছু মূল্যবান খোরাকি। মু'মিন মাত্রই এর কন্টেন্টগুলো পড়ে (অল্প হলেও) উপকৃত হবেন এবং ফিকির করে। অাশাকরি, ভাইয়েরা অামাদেরকে অারোও উপকৃত করবেন। অাল্লাহ তাওফিক দান করুন। অামিন।

            Comment

            Working...
            X