Announcement

Collapse
No announcement yet.

স্মৃতির পাতায় দাওয়াহ ইল্লাল্লাহ ফোরাম, ৫বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে ফোরামের।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • স্মৃতির পাতায় দাওয়াহ ইল্লাল্লাহ ফোরাম, ৫বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে ফোরামের।

    বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম
    আলহামদুলিল্লাহ! সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ, ৫ বছর বয়স হতে যাচ্ছে আমাদের প্রিয় ফোরাম দাওয়াহ ইলাল্লাহ-এর। ফোরামের পুরাতন পোস্টগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে এটা অনেকটাই বুঝা যায় যে, দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরাম প্রতিষ্ঠা হয়েছে ২০১৫ সালের এপ্রিল-মে মাসের দিকে আর এখন চলছে ২০২০ সালের এপ্রিল, অর্থাৎ ফোরামের ৫ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
    আমার যতটুকু মনে পড়ে, যখন দাওয়াহ ইলাল্লাহ ওয়ার্ডপ্রেজ ডটকম চলছিলো তখন থেকেই আমি এর ভিজিটর। ফোরাম থেকে বিভিন্ন মিডিয়া রিলিজ এবং দাওয়াতের উপাদান সংগ্রহ করে করে নিজে উপকৃত হতাম ও দাওয়াতের কাজে ব্যবহার করতাম। তখন ঠিকই লক্ষ্য করেছিলাম যে, কিছু মানুষ সেখানে পোস্ট করেন আবার কিছু মানুষ সেখানে কমেন্ট করেন কিন্তু আমি সেটা করতে পারতাম না, কিছু বুঝতেও পারছিলাম না যে কীভাবে কী হচ্ছে!
    অবশেষে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে মুহতারাম এক ভাইয়ের কাছ থেকে রেজিস্টার করা শিখলাম। তখন যে আইডিটি করেছিলাম কোনো কারণবশত পরে আর বেশিদিন সেটি ব্যবহার করিনি। এরপর আরেকটি আইডি রেজিস্টার করার নিয়ত করেছিলাম, রেজিস্টার করার সময় নাম নির্ধারণ নিয়ে চলছিলো মাশওয়ারাহ, উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন প্রিয় দ্বীনি ভাই, অবশেষে একভাই এর যেহেনে গেলো আফগানিস্তানের একজন শাইখ, শাইখ আবুল ফিদা এর দিকে।
    তখন ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ থেকে প্রকাশিত আরবি ম্যাগাজিন আস-সামুদ এর মধ্যে শাইখ আবুল ফিদা এর একটি লেখা প্রকাশিত হয়, যার বাংলা অনুবাদও তখন ফোরামে প্রকাশিত হয়েছিলো।
    এরপর সেই ভাইয়ের মাশওয়ারায় নাম দিলাম আবুল ফিদা, (আল্লাহ তা‘আলা ভাইকে সিরাতে মুস্তাকীমের উপর পরিচালিত করুক, আমিন)। তখন থেকেই শুরু হলো ফোরামে আমার পথচলা।
    দিন দিন এই ফোরাম হয়ে উঠলো আমার প্রিয় থেকে প্রিয় একটি সাইট, এই ফোরামের মেম্বারদেরকে আমি হৃদয় থেকে অনেক অনেক মুহাব্বাত করতাম ও এখনও করি, আলহামদুলিল্লাহ।

    দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরাম অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আজকে এই পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে আলহামদুলিল্লাহ, আমার যতটুকু মনে পড়ে, সর্বপ্রথম ডোমেইন ছিলো .info তারপর আসে .ga তারপর .in তারপর এখন আসছে .com । আর দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরাম আমার জানা মতে একবার হ্যাক হয়েছিলো, সংশ্লিষ্ট ভাইয়েরা আরো ভালো জানবেন আশাকরি।

    অনেক ভাইদের কথা মনে পড়ে, তবে কিছু কিছু ভাইকে কখনোই ভুলতে পারবোনা। প্রায়ই তাদের কথা মনে পড়ে, জানিনা এখন কে কী হালাতে আছেন, হয়তো কেউ শহীদ, নয়ত তাগুতের কারাগারে বন্দি, আবার কেউ কেউ এখনো আছেন কিন্তু কাজের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় ফোরামে কম আসেন, লগইন করেন না।
    অদেখা সেই সকল ভাইদের জন্য আজকে অন্তর থেকে অনেক অনেক দু‘আ আসে, যারা এই ফোরামের শুরুর দিকে এই ফোরামকে সতেজ রেখেছিলেন, আলোকিত করে রেখেছিলেন।

    দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামের সফলতা:

    দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামের সফলতা বর্ণনা করা আমার মত ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়, আল্লাহু আকবার, ফোরামের সফলতা বাংলাদেশের জিহাদী প্রেক্ষাপটে অতুলনীয় আলহামদুলিল্লাহ, এর মাধ্যমে মোকাবেলা করা হয়েছিল দায়েশের ফেৎনা, এর মাধ্যমে জবাব দেওযা হয়েছিলো দরবারী মোল্লাদের ভ্রান্তির, এটা এখন অবধি জিহাদী মিডিয়ার কেন্দ্রস্থল অর্থাৎ এখান থেকে উপাদান সংগ্রহ করে শত শত ফেসবুক আইডি, পেজ ও গ্রুপে ছড়িয়ে পড়তো দাওয়াহর উপাদানগুলো।
    এটির মাধ্যমে অনেক অনেক ভাই নিজেদের সংশয়ের নিরসন করেছেন, অনেক অনেক ভাই জিহাদের পথে অবিচলতার একটি উপাদান হিসেবে এই ফোরামকে গ্রহণ করেছেন। কখনো বিপদ-আপদের কারণে মন খারাপ থাকলে বা কাটআপ সময় কাটাতে হলে এই ফোরামে ভিজিট করে নিজেদের মনকে প্রশান্ত রাখতেন। যাইহোক এই ফোরামের সফলতা বর্ণনা করে শেষ করতে পারবোনা।

    ফোরামের কিছু মেম্বারকে বিভিন্ন সময় মনে পড়ে, আর কিছু ভাইদেরকে খুব বেশি বেশি মনে পড়ে; আর এর সংখ্যাটা অনেক। তাই আমি কিছু ভাইকে স্বরণ করতে চাই, যাদের কথা তুলনামূলক একটু বেশি বেশি মনে পড়ে। জানিনা, এখন কে কী হালাতে আছেন। যদি নিরাপত্তার কোন সমস্যা না থাকে, আশা করবো প্রিয় ভাইগণ এই পোস্টে কমেন্ট করবেন ইনশাআল্লাহ, না করলেও সমস্যা নাই। দু‘আ করবো, আল্লাহ সকলকে নিরাপদে রাখুন, দ্বীনের উপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন এবং শাহাদাতের মৃত্যু দান করুন, আমিন।

    tipo soltan
    umar mukhtar
    উভয়ে মুজাহিদিনের সংবাদ দিয়ে আমাদের মনকে সতেজ রাখতেন

    আবু মুহাম্মাদ
    ইলমি আলোচনার মাধ্যমে অনেক অনেক উপকৃত করেছেন, বিশেষভাবে মনে পড়ে আঞ্জেম চৌধুরীর ঘটনা, তখন আবু মুহাম্মাদ ভাইয়ের আলোচনার মাধ্যমে অনেক উপকৃত হয়েছিলাম।

    murabit, molla murhib,
    এমন আরো অনেক ভাই রয়েছেন যাদের নাম এখানে উল্লেখ করা হয়নি

    আরেকজন ভাই যাকে এখনো মাঝে মাঝে ফোরামে দেখা যায় তিনি ফোরামে এসে তানজিমের সাথে যুক্ত হতে না পেরে খুব আফসোস করতেন, জানিনা ভাই আজো যুক্ত হতে পেরেছেন কিনা, আল্লাহ তা‘আলা ভাইয়ের মনের আশা পূরণ করুক, আমিন। ভাইয়ের আইডির নাম হলো- আল জিহাদ।
    আর ফোরামের অতীতের সকল মডারেটর ভাইদের কথা মনে পড়ে, যেমন: titumir, Ahmad faruq, taalibul ilm সহ আরো অনেক অনেক ভাই, আল্লাহ তা‘আলা এসকল সম্মানিত ভাইদের ছায়াকে আমাদের উপর দীর্ঘায়িত করুন, আমাদেরকে জান্নাতে একত্রিত করুন, আমিন।
    আরো অনেক অনেক ভাইদের নাম মনে আসতেছে, সকলের নাম এখানে লিখতে গেলে লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে।
    যাইহোক সকলের জন্য অন্তর থেকে দু‘আ রইলো।

    এই পর্যায়ে ফোরামের একটি সফলতার কথা উল্লেখ করবো, সেটি হচ্ছে ইন্টারনেটের জগতে জিহাদী কোন ফোরাম এতো বছর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছে আমার জানা নাই। ইমারাতে ইসলামিয়ার কিছু ওয়েব সাইট হয়তো অনেক আগে থেকেই চলমান, কিন্তু সেগুলোতো কোনো ফোরাম নয়। আমি বলতে চাচ্ছি, কোনো ফোরাম এতো বছর টিকে ছিলো কিনা বা বর্তমানে আছে কিনা, আল্লাহ পাক ভালো জানেন, আর সব কিছুই আল্লাহ তা‘আলার দয়া ও অনুগ্রহ।

    এটি বাংলাদেশের জিহাদী মিডিয়ার অনেক বড় একটি সফলতা বলা যায় আলহামদুলিল্লাহ। আমার জানা নাই যে রণাঙ্গন কায়েমের আগেই কোনো দেশে এই রকমভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এবং লেখালেখির মাধ্যমে জিহাদী চেতনার উত্থান হয়েছিলো কিনা। আলহামদুলিল্লাহ এটি অনেক বড় একটি সফলতা এই ভূমির জন্য, হিন্দুস্তানের যুদ্ধের জন্য।
    অনেক ভাইয়েরা দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করার সফলতার কথা চিন্তা করে মন খারাপ করেন যে, এখনো কেন ময়দানে নামতে পারিনি! আমি সেসব ভাইদের উদ্দেশে বলবো, আপনারা একটু চিন্তা করে দেখুন তো আজ থেকে ৫/৬বছর আগের কথা, যখন এদেশের স্বাধারণ মানুষ এখনকার মত জানতোনা যে, জিহাদ বলে একটা ইবাদাত আছে। আবার অনেকে জিহাদ বলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকেই মনে করতো। আর আল-কায়দাকে মনে করতো ইসলাম ধ্বংসকারী একটি দল (নাউজুবিল্লাহ), আর জেএমবি-কে তো মুসলিমই মনে করতো না।
    এদেশের মানুষ জানতোনা জিহাদের প্রয়োজনীয়তা ও ফায়দা কী, মানুষের মধ্যে ছিলোনা কোন অনুভূতি, কিছু হলেই মনে করতো এর সমাধান হলো মুফতি আমিনি (রহ.)-এর ডাকে আন্দোলনে শরিক হওয়া, হরতাল আর মিছিল করা!
    কিন্তু আজকের হালাত দেখুনতো!!
    গতকাল আমি ইউটিউবে ঘুরতে ঘুরতে একটি ভিডিও পেলাম যেখানে মিযানুর রহমান আযহারীর তালেবান ও আল-কায়েদা নিয়ে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য ছিলো। ভিডিওটি দেখার পর কমেন্ট দেখলাম, কমেন্ট পড়ে দিলটা ভরে গেলো। কারণ, সেখানে একশো এর উপরে কমেন্ট ছিলো, আর প্রায় প্রত্যেকটা কমেন্টেই তালেবান ও আল-কায়েদা নিয়ে খারাপ মন্তব্যের জন্য নিন্দা জানানো হয়েছে।
    আর বর্তমান ফেসবুকের হালাত তো আপনাদের জানা থাকার কথা, যখনই কেউ মুজাহিদদের বিরুদ্ধে কোন পোস্ট করে তখন কমেন্টে তার নসিবে কী জুটে তা কল্পনা করলে অবাক লাগে, কেউ কেউ হয়তো একটু বাড়াবাড়ি ধরণের কটু মন্তব্য করেন, কিন্তু তারপরও সবমিলিয়ে বাংলাদেশের অনলাইন মাধ্যমে এই জিহাদী চিন্তাধারার সফলতা প্রশংসনীয়, আলহামদুলিল্লাহ। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে এতো ব্যাপক সফলতা আল্লাহ দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।
    আরো অনেক বড় বড় সফলতার আলোচনা করা যায়। কিন্তু যেহেতু এই ফোরামে তাগুতদের অনেক আনাগোনা আছে তাই সবকিছু বলা মুনাসিব মনে করছিনা। আর এসব নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গেলে লেখা আরো দীর্ঘ হয়ে যাবে।

    সবশেষে, আমি ফোরামের সকল মেম্বারদেরকে বলবো- আপনারা-ই এই ফোরামের সৌন্দর্য, আপনাদের লেখা-ই এই ফোরামকে সতেজ রাখবে। তাই এই ফোরামকে সতেজ ও আরো বেশি ফায়দাজনক করে তুলতে এবং এর ফায়দাকে আরো আরো ব্যাপক করে দিতে এই ফোরামকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিন ইনশাআল্লাহ।
    আর ফোরামের সাথে থাকুন, একটিভ থাকুন নিয়মিত, বেশি বেশি কমেন্ট করুন, মানসম্মত ও সুন্দর সুন্দর পোস্ট করুন, ইলমি পোস্ট সবচেয়ে বেশি জরুরি।

    আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে তার দ্বীনের জন্য কবুল করুন, সকলকে গাজওয়াতুল হিন্দে শরিক হওয়ার তাওফিক দান করুন এবং সকলকে শাহাদাতের মৃত্যু নসিব করুকন আমিন, সুম্মা আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।
    দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
    জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

  • #2
    জাঝাকাল্লাহ খাইর মুহতারাম ভাই! আমি এখনো আছি, নিয়মিত ফোরাম ভিজিট হয়! আলাদাভাবে অধমের নাম উল্লেখ করায় প্রীত হলাম।

    Comment


    • #3
      Originally posted by umar mukhtar View Post
      জাঝাকাল্লাহ খাইর মুহতারাম ভাই! আমি এখনো আছি, নিয়মিত ফোরাম ভিজিট হয়! আলাদাভাবে অধমের নাম উল্লেখ করায় প্রীত হলাম।
      অতিতের স্মৃতিগুলো বারবার মনে পড়ে, কিছু প্রিয় মানুষ আছেন এই পৃথিবীতে যাদেরকে জিবনে একবারও দেখার সৌভাগ্য হয়নি কিন্তু আল্লাহ পাক ভালো জানেন তাদের জন্য আমার অন্তরে কি পরিমাণ ভালোবাসা লালন করি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা আমাদেরকে জান্নাতে একত্রিত করুক, আমিন।
      দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
      জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

      Comment


      • #4
        বড় ভাইদের এমন আবেগময় পোষ্ট পড়ে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলাম না। আল্লাহ সুব. ভাইদেরকে নিরাপদে রাখুন,সব হাযতগুলো পূর্ণ করে দিন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির ওপর থেকে আমাদের সকলকে হাক্বীক্বি শহিদী মৃত্যুবরণ করার তাওফীক দান করুন। আমীন ইয়া রব্বাশ-শুহাদায়ি ওয়াল মুজাহিদীন।
        বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
        কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

        Comment


        • #5
          আল্লাহর রহমত আপনার চতুর্দিককে সবসময় বেষ্টন করে রাখুক ৷ আল্লাহ সবাইকে তাগুতের কারাগার থেকে হেফাজত করুক ৷ আল্লাহ আমাদেরকে আরো এগিয়ে যাওয়ার তাওফিক দান করুক ৷ ফোরামকে সকল বাংলাভাষী মুসলমানদের হেদায়েতের উসিলা বানিয়ে দিক ৷ আমীন ৷
          আমি জঙ্গি, আমি নির্ভীক ৷
          আমি এক আল্লাহর সৈনিক ৷

          Comment


          • #6
            আলহামদুলিল্লাহ্ এই পোষ্টে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে,,খুবই ভালো লাগলো,
            আমি প্রথম ফোরামের সন্ধান পাই ২০১২ এর দিকে,কিন্তু কিছু বুঝতাম না,, শুধু শুনেছি এই ফোরামে জিহাদি সকল কার্যক্রম চলে, কিন্তু কোনো লিংক নাই কীভাবে ভিজিট করবো! ইত্যাদি প্রশ্ন মাথাই ঘুরপাক খেত,
            শুধু মনে হতো যদি একটু দেখতে পেতাম!!! কারো কাছে জানতে চাইলে ভয় দেখাতো, বিভিন্ন কথা বলতো, পুলিশ ধরবে ইত্যাদি ইত্যাদি,,,তাদের কথায় কান দিতাম না,,,তখন আমার বাটন ফোন,, ফেইসবুকে ঢুকতাম কিন্তু অনেক স্লো কাজ করতো,,,ফেইসবুক থেকে বেশ কয়েকটা মিডিয়ার সন্ধান পাই,যেমন তিতুমীর মিডিয়া,আল হিকমাহ মিডিয়া,আরো অনেক আন অফিসিয়াল মিডিয়া,এরপরেও ফোরামে ঢুকবো কীভাবে কোনো সন্ধান পাচ্ছিলাম না,অনেক লম্বা হয়েযাবে সংক্ষেপ করছি, হঠাৎ একদিন একজন ভাই বললেন, Dawahilallah.in ভিজিট করেন সব ফিৎনা থেকে দুরে থাকবেন,,আল্লাহ্ ভাইকে উত্তম বিনিময় দান করুন,,, সেই থেকে আজ পর্যন্ত ভিজিট করি আলহামদুলিল্লাহ্ এ ফোরাম আমার কলিজার টুকরা,আমি আইডি খুলতে জানতাম না,আইডি বাদেই নিয়মিত ভিজিট করতাম,, কয়েক মাস আগে প্রিয় আল ফিরদাউস মিডিয়ার ভায়েরা টিউটোরিয়াল দিল তখন জানলাম,,এরপরেও তখনি আইডি খুলা হয়নি,,কখনো মনে হয়নি যে এখানে মতবিরোধ কিছু হচ্ছে আমার কমেন্ট করে তার সমাধান করতে হবে,, আলহামদুলিল্লাহ্ ভায়েরা সব চাওয়া যেনো পুরন করেই চলতো,,
            আল্লাহ্ আমাদের প্রান প্রিয় সব মিডিয়ার ভাইদের হেফাযত করুন,মডারেটর ভাইদের খুব ভালোবাসি ভায়েরা খুব ভালো,,আমাদের সকল কে জান্নাতে একত্রিত করুন আমিন ইয়া রব্ব।

            Comment


            • #7
              আলহামদুলিল্লাহ,, অনেক অনেক আনন্দ অনুভব করছি।
              Taalibul ilm, ভাই, আবু মুহাম্মদ ভাই। আপনাদের উপস্থিতি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।
              আরেকটি বিষয়ে অনুরোধ করব, যাদেরকে ডাইরেক্টর মেম্বার করা হয়নি তাদের পোস্টগুলো দ্রুত এপ্রোভ করার জন্য, প্রয়োজনে মডারেটর ভাইদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

              Comment


              • #8
                আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আপনি আমাদের সাইটিকে কবুল করুন আমীন।
                প্রিয় ভাইয়েরা, অনুরোধ রইলো আপনাদের প্রতি, আমার আইডিকে ডাইরেক্টর মেম্বারশিপে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
                আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                Comment


                • #9
                  সুবহানাল্লাহ! যে ভাইদের প্রায়ই দেখি, কাফের-নাস্তিকদের বিরুদ্ধে চাপাতি, তরবারি, খুন, হত্যা আরো কত কঠিন কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করতে, আজ সেই ভাইদেরই পরস্পর সম্বোধন ও আবেগমাখা স্মৃতিগুলো পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, যেন একসাথে বসে দীর্ঘ দিনের পরিচিত খুব কাছের বড় ভাইদের কথা শুনছিলাম! কোরআনের সেই আয়াত কতই না সত্য! যারা মুহাম্মাদ (স.)এর সঙ্গী তারা কাফেরদের প্রতি অসম্ভব কঠোর, কিন্তু তারা পরস্পর মুমিন ভাইদের প্রতি খুবই কোমল স্বভাবী। হঠাৎ ঘোর কাটলো, তিক্ত বাস্তবতায় ফিরে এলাম। আসলে নিরাপত্তাজনিত কারণে আমাদের মাঝে কখনোই সরাসরি সাক্ষাত বা পরিচয় হয় নি! এসবই তো একমাত্র আল্লাহর জন্য। তাহলে আল্লাহ তায়ালার কাছে এই প্রত্যাশা তো করতেই পারি, তিনি যেন আমাদেরকে জিহাদের তপ্ত ময়দানে অত:পর জান্নাতের সবুজ উদ্যানে সেই আনন্দঘন মুহূর্তে একত্রিত করে দেন।


                  নিশ্চয়ই আমাদের সকল কথা ও কাজ যেন হয় এক আল্লাহ তায়ালারই জন্য।

                  Comment


                  • #10
                    আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহর রহমতে অধমও এই পথের পথিকদের সঙ্গে ছিলাম।

                    Comment


                    • #11
                      ভাই!দাওয়াহ ইলাল্লাহের প্রতিষ্ঠতার জন্য আলাদাভাবে দু'আ করলে ভাল হত ৷ কারণ শুনেছি তিনি অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছেন ৷

                      আল্লাহ আমাদের সকল মেম্বারকে জান্নাতে একত্রিত হওয়ার তৌফিক দান করুন (আমিন) ৷ সেদিন আমরা আশা করি সকল ভাই এক সাথে মনের তৃপ্তি মিটিয়ে গল্প-গুজপ করতে পারব (ইন শা আল্লাহ) ৷ হে আল্লাহ!আপনি আমাদেরকে কবুল করে নিন ৷ আমিন
                      "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

                      Comment


                      • #12
                        জানিনা আমি কোন কমেন্ট করলে এ পোষ্টের মান সম্মত হবে যেটাই লিখছি মনে হচ্ছে নাহ এটা না অন্যটা লিখি! তাই কিছুই লিখার সাহস পাচ্ছি না!
                        মনে হচ্ছে বেশিমাত্রায় আনন্দিত হওয়ায় এমন হচ্ছে। ["আলহামদুলিল্লাহ"]
                        হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                        Comment


                        • #13
                          এদেশে আনসার আল-ইসলামের বিকাশের আগে আল-কায়েদার সাথে কেউ পরিচিত ছিল না। আলেমরাও এর ব্যাপারে কিছু জানত না। তবে তার আগে জিহাদ ও মুজাহিদীন ঠিকই ছিল। তখন হারকাতুল জিহাদ সক্রিয় ছিল। এদেশে জিহাদী চেতনা বিকাশে হারাকাতুল জিহাদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। বলা যায়, এদেশের মুসলিমগণ জিহাদের ক্ষেত্রে হারাকাতুল জিহাদের পরিবারভূক্ত। সারা দেশের সব জেলায় হারাকাতুল জিহাদের ব্যাপক কার্যক্রম চালু ছিল। হারাকাতুল জিহদের হাতে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকের সংখ্যা এখনো বাংলাদেশে কয়েক দশক হাজারে পৌঁছে যাবে। এরা সবাই ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিল। আনসার আল-ইসলামের আাগেও হারাকাতুল জিহাদ অনেকগুলো জিহাদী অভিযান পরিচালনা করেছেন। যেমন যশোরে উদীচির অনুষ্ঠানে হামলা, রমনা বটমূলে হামলা, সিলেটের মাজারে হামলা, বহু জায়াগায় সিনেমা হলে হামলা, অনেক অশ্লীল যাত্রা অনুষ্ঠানে হামলা, শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য মুফতি হান্নানের ঐতিহাসিক বোমা হামলা পরিকল্পনা, আমরা অনেকে ইসলামে নবীন হওয়ার কারণে যার অনেকগুলোই জানি ই না।

                          আজও বাংলাদেশের কারাগারগুলো হারাকাতুল জিহাদের মহান মুজাহিদদের দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে আছে। কয়েক হাজারেও পৌঁছে যেতে পারে সংখ্যা। কিছু দিন আগে যে একজন মহান মুজাহিদ কারাগারেই মারা গেছেন, সেটাও তো এই ফোরামেই আলোচিত হয়েছে।

                          হারাকাতুল জিহাদ তাদের পতনের একেবারে শেষদিকে এসে গণতন্ত্রে যোগ দিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু তারা যে ইখলাসের সাথেই ভুল বুঝে এটা করেছিল, তা অনেকটা সুস্পষ্ট। তারা কিন্তু গণতন্ত্রের পথ ধরে বেশি দূর আগায়নি। গণতন্ত্রের ভিতরে জড়িয়ে পড়েনি। শুধুমাত্র ভুলে বুঝে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবু সকলেই না। তাদের একদল একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিলেও সকলে সেই ভুল মেনে নিত না, সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে ভুলের উপর উঠত না। তারা কখনোই জিহাদ পরিত্যাগ করার জন্য গণতন্ত্রে নাম লিখিয়েছিলেন না। বরং তারা প্রকাশ্যে গণতান্ত্রিক দল হওয়ার আড়ালে গোপনে গোপনে সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায়ই করেছিলেন, যদিও এটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমরা এখন সঠিকটা বুঝতে পেরেছি বলে আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, কিছুকাল আগেও গণতন্ত্রের ব্যাপারে কোন জানাশোনাই ছিল না আলেমদের। এখনো বেশিরভাগের জানা নেই। এটাকে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু মনে করত না। আর হারাকাতুল জিহাদের তো গণতন্ত্র করা উদ্দেশ্যই ছিল না। এটাকে প্রকাশ্যে অবস্থানের একটা মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে গোপনে সামরিক কার্যক্রম পরিচালনাই উদ্দেশ্য ছিল। যাই হোক, এটা তো একেবারে শেষদিকে এসে। এর আগেই তো তাদের বিশাল অবদানের ইতিহাস আছে।

                          আরেকটা বিষয় খেয়াল করতে হবে: হারাকাতুল জিহাদ হল বাংলাদেশে ইন্টারনেট টেকনোলজী উন্নতি লভ করার পূর্বের সংগঠন। সেই নব্বয়ের পরের সংগঠন, যখন মানুষের কাছে মোবাইলও ছিল না। মোবাইল নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক এর ব্যাপারে স্বয়ং সরকারও কম জানত, কম ব্যবহার করত।

                          আর আনসার আল-ইসলাম হল বাংলাদেশে ইন্টারনেট টেকনোলজী উন্নতি লাভ করার পরের সংগঠন। এযুগের সংগঠন।

                          আরেকটা বিষয় হল, হারাকাতুল জিহাদ ছিল কওমী মাদরাসার দরিদ্র মোল্লাদের সংগঠন, যার কারণে তারা ছিল একটা পশ্চাদপদ সংগঠন। এই ইন্টারনেটের যুগে তাদের টিকে থাকা সম্ভব ছিল না। তাদের পতনের একমাত্র কারণ হিসাবে আমি দেখি, *দুনিয়াবী একটি আসবাবের ব্যাপারে দুর্বলতা। সেটা হল, ইন্টারনেট টেকনোলজী। তাদের প্রায় সকলেই গ্রেফতার হযেছেন মোবাইলের মাধ্যমে। এই মোবাইলের কারণেই পুরো সংগঠনটি ভেঙ্গে পড়ে। কারণ তারা ছিলেন পূর্ব হতে চলে আসা একটি সংগঠন, তারা আধুনিক এই ইন্টারনেট নামক দাজ্জালের ব্যাপারে তেমন কিছুই জানতেন না। আর তখন তো ফেসবুকের অস্তিত্বই ধরতে গেলে বাংলাদেশে ছিল না। কিভাবে যুবকদেরকে ফেইসবুকে দাওয়াত দিবে??

                          কিন্তু তারা ভেঙ্গে যাওয়ারর পর তাদেরই থেকে চেতনাপ্রাপ্ত শত শত তালিবুল ইলম এখন আনসার আল-ইসলামের সদস্য।

                          বাংলাদেশ থেকে ১৮ হাজার আলেম-তালিবুল ইলম আফগানিস্তানে জিহাদ করতে গিযেছিল। তারা তো সকলেই কওমী মাদরাসার আলেম-তালিবুল ইলম।

                          মহান আল্লাহ তা’আলা তাদের পতনের পর এ যুগের উপযোগী হিসাবে আনসার আল-ইসলামকে সামনে নিয়ে এসেছেন। কারণ এ যুগের জিহাদের জন্য আনসার আল-ইসলামই উপযুক্ত। কিন্তু তাই বলে মাত্র ৫-১০ বছর ধরে গড়ে উঠা একটা সংগঠনের পূর্বে ‘এ দেশে জিহাদ বলে মানুষ কিছুই জানত না, জিহাদের কোন কর্যক্রমই ছিল না, জিহাদী চেতনাও ছিল না, জিহাদী চেতনা বিকাশের একক অবদান শুধু আনসার আল ইসলামের, এভাবে বলা মানে পূর্বসূরী ভাইদের ত্যাগ-তীতিক্ষা ও কুরবানীকে অস্বীকার করা। পূর্ববর্তীদেরকে অস্বীকার করলে সামনে বেশি দূর এগিযে যাওয়া যাবে না।

                          আজও যে হাজার হাজার আলেম শুধুমাত্র আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জিহাদের কথা বলার কারণে তাগুতের কারাগারে আছেন, দশ বছর, বিশ বছর ধরে আছেন, তাদের সন্তানরা পর্যন্ত বুঝ হওয়ার পর বাবাকে দেখেনি, তাদের স্ত্রীগণ চির বিধবা হয়েছেন, তাদের এ গুলো কি জিহাদের জন্য ত্যাগ নয়???

                          তাই শুধু বাহ্যিক ব্যর্থতার কারণে তাদের সব অবদানকে, তাদের সব কুরবানীকে বাদ দিয়ে, সব অবদান এককভাবে নিজেদের জন্য প্রমাাণ করা উচিত নয়। বর্তমানে আনসার আল ইসলামের মত যুগোপযুগী একটি সংগঠন আছে বলে অন্য কোন সংগঠন করার প্রয়োজন মনে করছেন না হয়ত জিহাদী আলেমগণ। বরং তারা এ সংগঠনেই যুগ দিযেছেন। কিন্তু তাই বলে এটা না থাকলে জিহাদ থাকত না, তাগুতের বিরুদ্ধে লড়াইকারী কেউ থাকত না এমন না।

                          আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দান করুন!!

                          Comment


                          • #14
                            আপনাদের মুহাব্বত দেখে সত্যিই ইর্ষা হয়, আল্লাহ বদ নজর থেকে হেফাজত করুন! আমিন!!!
                            অবিরাম করাঘাতে বদ্ধ দরজাও খুলে যায়।

                            Comment


                            • #15
                              জিহাদী চেতনা বিকাশের একক অবদান শুধু আনসার আল ইসলামের, এভাবে বলা মানে পূর্বসূরী ভাইদের ত্যাগ-তীতিক্ষা ও কুরবানীকে অস্বীকার করা। পূর্ববর্তীদেরকে অস্বীকার করলে সামনে বেশি দূর এগিযে যাওয়া যাবে না।
                              জাযাকাল্লাহু খাইরান! খুব চমৎকার বলেছেন ভাই, আসলে যখন আমি লেখাটি লিখি তখন আমার যেহেনেও বিষয়টি এসেছিলো কিন্তু লেখার মূল বিষয়বস্তুর দিকে মনযোগ দিয়ে লেখা দীর্ঘ হয়ে যাওয়ার আশংকায় অনেক কিছুই ছেড়ে গিয়েছি।
                              আসলে হরকতুল জিহাদের আবদান আমাদের কিছুতেই ভুলে গেলে চলবেনা, বরতমানে যারা কাজ করছেন এদের অনেক বড় একটি সংখ্যাই সেখান থেকে অনুপ্রাণিত এবং সেখান থেকেই জিহাদ বুঝেছেন, এমনকি আমি নিজেও সর্বপ্রথম যখন জিহাদ ও মুজাহিদদের ভালোবাসতে শুরু করেছি সেটাও বলা যায় হরকাতুল জিহাদেরই অবদান, আল্লাহ তা‘আলা তাদের সকল ত্যাগ ও কুরবানীকে কবুল করে নিক, তাদের এই পথ ধরে আমরা যেন তাদের মিশনকে সফলতার পানে নিয়ে যেতে পারি সেই তাওফিক দান করুক, আমিন।
                              দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
                              জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

                              Comment

                              Working...
                              X