স্মৃতির পাতায় দাওয়াহ ইল্লাল্লাহ ফোরাম, ৫বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে ফোরামের।

[মো:মাহদি]

আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাল লাগল ভাইয়ের লেখাটি পড়ে আল্লাহ তা আলা ভাইয়ের মেহনতকে কবুল করুক ,আমাদের সকলকে দীনের জন্য কবুল করুক ।
আমিন

[আবুল ফিদা]

salahuddin aiubi

কমেন্ট করার জন্য জাযাকাল্লাহু খাইরান, মনে মনে ভাবতেছিলাম কখন আপনি কমেন্ট করবেন, আপনার কথাও বেশ মনে পড়ে ভাই, সেই প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত আপনি সমান তালে ফোরাম ভিজিট করে যাচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ

[আবু মুহাম্মাদ]

জিহাদের পথে আমাদের কোন ভাইয়ের কাজ গুরুত্ব ও সম্মানের দিক থেকে কম নয়। বিশেষ করে যারা মিডিয়াতে কাজ করছেন, আমভাবে দাওয়াহ ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। আল্লাহ তায়ালা দ্বীনকে বিজয়ী করা ও জিহাদের মানহাজকে ছড়িয়ে দেয়ার পথে আপনার সকল কাজ কবুল করুন, আরো অনেক কাজ করার তাওফীক দান করুন।

এই ফোরামের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে যেভাবে আমাদের সবাইকে একত্রিত হওয়ার তাওফীক দিয়েছেন, তেমনি আখেরাতেও আরশের ছায়া তলে আবার আমাদের সবাই সিদ্দীক ও শহীদ হিসেবে একত্রিত করুন।

দুনিয়ার সুখ-দুঃখের গল্পগুলো খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যায়, কিন্তু আশা করি জান্নাতে অনন্তকাল গল্প করে কাটিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে কবুল করুন, আমীন। যাজাকুমুল্লাহ খাইরান।

[কালো পতাকাবাহী]

মুহতারাম আবুল ফিদা ভাই! আপনার সিগনিচারে "দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা, জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।" নাশিদটি কি আপনার কাছে আছে? থাকলে নাশিদটি দেওয়ার জন্য বিনিত অনুরোধ রইল। অথবা কোথায় পাওয়া যাবে জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো। আমি ইউটিউবে এবং রণাঙ্গন শিল্পীগোষ্ঠীর অ্যালবামে নাশিদটি খুঁজেছি। কিন্তু পাই নি। অনেক অনেক আগে এই নাশিদটি শুনেছিলাম। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

[salahuddin aiubi]

[size=4]

জাযাকাল্লাহু খাইরান! খুব চমৎকার বলেছেন ভাই, আসলে যখন আমি লেখাটি লিখি তখন আমার যেহেনেও বিষয়টি এসেছিলো কিন্তু লেখার মূল বিষয়বস্তুর দিকে মনযোগ দিয়ে লেখা দীর্ঘ হয়ে যাওয়ার আশংকায় অনেক কিছুই ছেড়ে গিয়েছি।
আসলে হরকতুল জিহাদের আবদান আমাদের কিছুতেই ভুলে গেলে চলবেনা, বরতমানে যারা কাজ করছেন এদের অনেক বড় একটি সংখ্যাই সেখান থেকে অনুপ্রাণিত এবং সেখান থেকেই জিহাদ বুঝেছেন, এমনকি আমি নিজেও সর্বপ্রথম যখন জিহাদ ও মুজাহিদদের ভালোবাসতে শুরু করেছি সেটাও বলা যায় হরকাতুল জিহাদেরই অবদান, আল্লাহ তা‘আলা তাদের সকল ত্যাগ ও কুরবানীকে কবুল করে নিক, তাদের এই পথ ধরে আমরা যেন তাদের মিশনকে সফলতার পানে নিয়ে যেতে পারি সেই তাওফিক দান করুক, আমিন।

জাযাকাল্লাহ খাইরান প্রিয় ভাই। আল্লাহ আমাদের সকলকে জান্নাত পর্যন্তু কবুল করে নিন! আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন!!

সম্মানিত ভাই, ওই সময়ের আমারো কতগুলো স্মৃতি এখনো মায়াবী স্মৃতি হিসাবে মনে পড়ে। ওই সময় আমি কেমন ছিলাম, বুঝ ও চিন্তা কেমন ছিল, আর এখন কেমন। আমি এই তানযীম থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এত উপকৃত হয়েছি, যা বলার ভাষা নেই আমার। আল্লাহর শপথ! এই তানযীমে আসার কারণে আমার বিচক্ষণতা আগের তুলনায় কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে তা আল্লাহই ভালো জানেন।

ওই সময় জনৈক ভাইয়ের মাধ্যমে আমি এই আইডিটা খুলেছিলাম, তিনি এখন কোথায় আছেন, তা আল্লাহ পাকই ভালো জানেন। ওই সময় কয়েকজন ভায়ের সাথে জীবন কাটিয়েছিলাম, যাদের মায়াবী স্মৃতিগুলো এখনো আমার হৃদয়ে দোলা দেয়।

ভাবতে কত কষ্ট লাগে... যাদের হাত ধরে এই তানযীমে ঢুকা ও পথ চলা, তাদের কে কোথায় আছে এখন জানি না। তাদের অনেকে বিভিন্ন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন। কেউ কেউ তো এমন আছেন, যারা এক সময় আমাদের সঙ্গে হাসি-খুশি থাকার পর আজ স্ত্রী-সন্তান ও সকল ভাইদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাগুতের কারাগারে একাকী নি:সঙ্গ বেদনার জীবন যাপন করছেন! আল্লাহ ওই সকল ভাইদেরকে কবুল করুন!! তাদেরকে ঈমানের উপর অটল রাখুন!!! তাদের জন্য সবকিছু সহজ ও আনন্দময় করে দিন!! আমাদেরকে তাদের সঙ্গে জান্নাতে মিলিত করুন!! আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন!!১

[salahuddin aiubi]

salahuddin aiubi

কমেন্ট করার জন্য জাযাকাল্লাহু খাইরান, মনে মনে ভাবতেছিলাম কখন আপনি কমেন্ট করবেন, আপনার কথাও বেশ মনে পড়ে ভাই, সেই প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত আপনি সমান তালে ফোরাম ভিজিট করে যাচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ

জাযাকাল্লাহ ভাই। একটু দেরিতে হলেও আমার কথা আপনার মনে পড়ায় আনন্দিত হলাম। শুকরিয়া!

[সালেহ]

কত জায়গায় হোচট খাওয়ার পর যে এই ফোরাম এর সন্ধান পাইছি।

[Abu Haris]

আমির, শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফি. এর উচ্চারণ মনে পড়ছে, 'আসলে জিহাদ তো চলমান আছে। এ জিহাদ কিয়ামত পর্যন্ত চলমান থাকবে। আর শাইখ উসামা বিন লাদিন তো চলমান কাফেলার একজন।"
তালিবান জিহাদ, এর আগে রুশদের বিরুদ্ধে ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জিহাদ, উপমহাদেশে -লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-র প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তান গঠন ও এর আগে ব্রিটিশ বিরোধী জিহাদ- এসব কিছুই ছিল প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে উঠে পড়ার সংগ্রাম। এসব সংগ্রাম চাহিদাশূন্য ছিল না। এসব সংগ্রামের চাহিদা ছিল ইসলামি শরীয়ত প্রতিষ্ঠা। ১৪০০ বছর আগেকার শরীয়ত পরবর্তী প্রতিটা আন্দোলনকেই সঙ্গ দিয়েছিল। খিলাফতশূন্য আরব-অনারব মুসলিমবিশ্বের উপর কাফিরদের সৃষ্ট সেকুলারিযম ও জমহুরিয়্যাত চাপানোর চক্রান্তের সূচনাতেই স্থানীয় মুজাহিদ ও আলিমরা দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। নিঃসন্দেহে মারওয়ান হাদীদ রহ. থেকে শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহ. এনাদের সংগ্রামের ইতিহাস না হলে আমাদের অস্তিত্বের ইতিহাস হয়ত কিয়ামতের মহাপ্রলয়েই শেষ হয়ে যেত।

* তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করছ না ? অথচ আসমানসমূহ ও যমীনের উত্তরাধিকারতো আল্লাহরই? তোমাদের মধ্যে যারা মক্কা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে এবং যুদ্ধ করেছে তারা সমান নয়। তারা মর্যাদায় তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, যারা পরে ব্যয় করেছে ও যুদ্ধ করেছে। তবে আল্লাহ প্রত্যেকের জন্যই কল্যাণের ওয়াদা করেছেন। আর তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবগত। -আল-হাদীদ ৫৭:১০

* যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না; হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি দয়াবান, পরম দয়ালু। -আল-হাশ্*র ৫৯:১০

[আলী ইবনুল মাদীনী]

তাদের পতনের একমাত্র কারণ হিসাবে আমি দেখি, *দুনিয়াবী একটি আসবাবের ব্যাপারে দুর্বলতা। সেটা হল, ইন্টারনেট টেকনোলজী।

এটা'ত আছেই,আমার খিয়ালে আরো একটা কারণ স্মরণ আসছে ৷ জানিনা কতটুকু একমত হতে পারেন!

আমার মনে হয় আপনার উল্লেখিত কারণের পাশাপাশি হরকাতুল জিহাদের পতনের আরো একটা কারণ হল :-তাদের সদস্যদের(কর্মিদের) তাজকিয়াতুন নফসের অভাবে ৷ আশা করি,ভাল করে কথাটা খেয়াল করবেন,আমি তাদের নেতৃত্ব পর্যায়ের কাহারও বিষয়ে বলছি না বরং আমি বলতে চাচ্ছি তাদের নেতাদের তাজকিয়াটা অনেক উন্নত এমন কি আমার ধারণারও বাইরে হরকাতের নেতাদের তাজকিয়া উন্নত ৷ কিন্তু তাদের অধিকাংশ (আমি দু এক জনের বা শায ও নাদের এক জনের ব্যপারে বলছি না বরং বলছি অধিকাংশের কথা) কর্মিদের তাজকিয়া একটু কম ৷ আমি একটুও তাজকিয়া নেই বা তাদের চরিত্র খারাপ বলছি না ৷ বরং বলছি এক জন মুজাহিদের জন্য যতটুকু থাকা দরকার ততটুকু সম্ভবত নেই ৷ কিন্তু মুজাহিদ ব্যতিত সাধারণ মানুষ থেকে তাজকিয়ার ব্যপারে অনেক দূরে এগিয়ে আছে ৷ কিন্তু মুজাহিদ অনুযায়ী তাজকিয়া হয়তবা নেই ৷ আবারও খেয়াল করেন,আমি বলতে চাচ্ছি অধিকাংশ সাধারণ সদস্যদের দিকে লক্ষ করে ৷

আর ইসলামের শত্রুরা যুদ্ধ করে তাদের শক্তি দিয়ে আর মুজাহিদরা যুদ্ধ করে আল্লাহর সাহায্যের উপর নির্ভর করে ৷ কিন্তু মনে রাখতে হবে তাজকিয়া ছাড়া আল্লাহর সাহায্য পাওয়া অসম্ভব ৷

আরো একটা কথা মনে রাখবেন ৷ কথাটা হল :-আমি কিন্তু আপনার কথায় ভুল ধরি নাই ৷ বরং আপনার কথার সাথে একটা কথাকে যুক্ত করার আবেদন করেছি ৷ অর্থাৎ আমি আপনাকে আদেশ করি নাই যে,আপনার কথার সাথে কথাটাকে যুক্ত করেন ৷ বরং আপনাকে আমি কেমন যেন পরামর্শ দিয়েছি ৷ আর পরামর্শ গ্রহণ করা বা না করা সম্পূর্ণ আপনার ইখতিয়ার ৷
কিছু মনে করলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ৷

[আবুল ফিদা]

আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহর রহমতে অধমও এই পথের পথিকদের সঙ্গে ছিলাম।

আলহামদুলিল্লাহ! মাশাআল্লাহ, জি ভাই! আপনাকে ভুলা যাবেনা, আপনার কথা প্রায়ই মনে পড়ে, আপনাকে কেন্দ্র করে ফোরামের গল্পগুলো ভালোভাবেই মনে আছে, আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে জান্নাতের সবুজ পাখি হিসেবে কবুল করুক এবং আমাদেরকে জান্নাতে একত্রিত করুক, আমিন।

[Masum Shariar]

মুহতারাম আবুল ফিদা ভাই! আপনার সিগনিচারে "দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা, জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।" নাশিদটি কি আপনার কাছে আছে? থাকলে নাশিদটি দেওয়ার জন্য বিনিত অনুরোধ রইল। অথবা কোথায় পাওয়া যাবে জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো। আমি ইউটিউবে এবং রণাঙ্গন শিল্পীগোষ্ঠীর অ্যালবামে নাশিদটি খুঁজেছি। কিন্তু পাই নি। অনেক অনেক আগে এই নাশিদটি শুনেছিলাম। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

নাশিদটা দিচ্ছি ভাই, ডাউনলোড লিংক: https://l.top4top.io/m_1557fyop51.mp3

[আবুল ফিদা]

এটা'ত আছেই,আমার খিয়ালে আরো একটা কারণ স্মরণ আসছে ৷ জানিনা কতটুকু একমত হতে পারেন!

আমার মনে হয় আপনার উল্লেখিত কারণের পাশাপাশি হরকাতুল জিহাদের পতনের আরো একটা কারণ হল :-তাদের সদস্যদের(কর্মিদের) তাজকিয়াতুন নফসের অভাবে ৷ আশা করি,ভাল করে কথাটা খেয়াল করবেন,আমি তাদের নেতৃত্ব পর্যায়ের কাহারও বিষয়ে বলছি না বরং আমি বলতে চাচ্ছি তাদের নেতাদের তাজকিয়াটা অনেক উন্নত এমন কি আমার ধারণারও বাইরে হরকাতের নেতাদের তাজকিয়া উন্নত ৷ কিন্তু তাদের অধিকাংশ (আমি দু এক জনের বা শায ও নাদের এক জনের ব্যপারে বলছি না বরং বলছি অধিকাংশের কথা) কর্মিদের তাজকিয়া একটু কম ৷ আমি একটুও তাজকিয়া নেই বা তাদের চরিত্র খারাপ বলছি না ৷ বরং বলছি এক জন মুজাহিদের জন্য যতটুকু থাকা দরকার ততটুকু সম্ভবত নেই ৷ কিন্তু মুজাহিদ ব্যতিত সাধারণ মানুষ থেকে তাজকিয়ার ব্যপারে অনেক দূরে এগিয়ে আছে ৷ কিন্তু মুজাহিদ অনুযায়ী তাজকিয়া হয়তবা নেই ৷ আবারও খেয়াল করেন,আমি বলতে চাচ্ছি অধিকাংশ সাধারণ সদস্যদের দিকে লক্ষ করে ৷

আর ইসলামের শত্রুরা যুদ্ধ করে তাদের শক্তি দিয়ে আর মুজাহিদরা যুদ্ধ করে আল্লাহর সাহায্যের উপর নির্ভর করে ৷ কিন্তু মনে রাখতে হবে তাজকিয়া ছাড়া আল্লাহর সাহায্য পাওয়া অসম্ভব ৷

আরো একটা কথা মনে রাখবেন ৷ কথাটা হল :-আমি কিন্তু আপনার কথায় ভুল ধরি নাই ৷ বরং আপনার কথার সাথে একটা কথাকে যুক্ত করার আবেদন করেছি ৷ অর্থাৎ আমি আপনাকে আদেশ করি নাই যে,আপনার কথার সাথে কথাটাকে যুক্ত করেন ৷ বরং আপনাকে আমি কেমন যেন পরামর্শ দিয়েছি ৷ আর পরামর্শ গ্রহণ করা বা না করা সম্পূর্ণ আপনার ইখতিয়ার ৷
কিছু মনে করলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ৷

তাযকিয়ার সমস্যা, বেশ কিছু জিহাদী তানজিমের ব্যাপারে এমন অভিযোগ আসে, কিন্তু আমাদের নিশ্চিন্ত হয়েগেলে হবেনা যে, এই আযাব আমাদের মধ্যে আসবেনা, এই ফিৎনার সময়ে আমাদের আরো বেশি সচেতন থাকতে হবে, উপরোস্থ ভাইরা অবশ্যই অধীনস্তদের আমলের ব্যাপারে, তাজকিয়াহর ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া দরকার, না হয় সেই সব তানজিমের মত আমাদের উপরো আল্লাহর এই আযাব চলে আসতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে হেফাযাত করুক, আমিন।

[আবুল ফিদা]

কত জায়গায় হোচট খাওয়ার পর যে এই ফোরাম এর সন্ধান পাইছি।

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে কবুল করুক, এবং আমাদেরকে জান্নাতে মিলিত করুক, আমিন।

[salahuddin aiubi]

এটা'ত আছেই,আমার খিয়ালে আরো একটা কারণ স্মরণ আসছে ৷ জানিনা কতটুকু একমত হতে পারেন!

আমার মনে হয় আপনার উল্লেখিত কারণের পাশাপাশি হরকাতুল জিহাদের পতনের আরো একটা কারণ হল :-তাদের সদস্যদের(কর্মিদের) তাজকিয়াতুন নফসের অভাবে ৷ আশা করি,ভাল করে কথাটা খেয়াল করবেন,আমি তাদের নেতৃত্ব পর্যায়ের কাহারও বিষয়ে বলছি না বরং আমি বলতে চাচ্ছি তাদের নেতাদের তাজকিয়াটা অনেক উন্নত এমন কি আমার ধারণারও বাইরে হরকাতের নেতাদের তাজকিয়া উন্নত ৷ কিন্তু তাদের অধিকাংশ (আমি দু এক জনের বা শায ও নাদের এক জনের ব্যপারে বলছি না বরং বলছি অধিকাংশের কথা) কর্মিদের তাজকিয়া একটু কম ৷ আমি একটুও তাজকিয়া নেই বা তাদের চরিত্র খারাপ বলছি না ৷ বরং বলছি এক জন মুজাহিদের জন্য যতটুকু থাকা দরকার ততটুকু সম্ভবত নেই ৷ কিন্তু মুজাহিদ ব্যতিত সাধারণ মানুষ থেকে তাজকিয়ার ব্যপারে অনেক দূরে এগিয়ে আছে ৷ কিন্তু মুজাহিদ অনুযায়ী তাজকিয়া হয়তবা নেই ৷ আবারও খেয়াল করেন,আমি বলতে চাচ্ছি অধিকাংশ সাধারণ সদস্যদের দিকে লক্ষ করে ৷

আর ইসলামের শত্রুরা যুদ্ধ করে তাদের শক্তি দিয়ে আর মুজাহিদরা যুদ্ধ করে আল্লাহর সাহায্যের উপর নির্ভর করে ৷ কিন্তু মনে রাখতে হবে তাজকিয়া ছাড়া আল্লাহর সাহায্য পাওয়া অসম্ভব ৷

আরো একটা কথা মনে রাখবেন ৷ কথাটা হল :-আমি কিন্তু আপনার কথায় ভুল ধরি নাই ৷ বরং আপনার কথার সাথে একটা কথাকে যুক্ত করার আবেদন করেছি ৷ অর্থাৎ আমি আপনাকে আদেশ করি নাই যে,আপনার কথার সাথে কথাটাকে যুক্ত করেন ৷ বরং আপনাকে আমি কেমন যেন পরামর্শ দিয়েছি ৷ আর পরামর্শ গ্রহণ করা বা না করা সম্পূর্ণ আপনার ইখতিয়ার ৷
কিছু মনে করলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ৷

জাযাকাল্লাহ ভাই! সমস্যা নেই।:d

[ubada ibnus samit]

এই পোস্টটা পড়ে সবার সঙ্গে মায়াবী স্মৃতির দোলায় আমিও আন্দোলিত হয়েছি, কিন্তু এসব কিছু ছাপিয়ে এই পোস্টে আমাকে যেটা সবচে বেশি মুগ্ধ করেছে-তা হল মুহতারাম salauddin aiubi ভাই এবং সম্মানিত মডারেটর আবুল ফিদা ভাইয়ের সংলাপ।
যেখানে আহলুল ইলমের " আদাবুল ইখতিলাফ ও মতানৈক্য,সংশোধন,সংযোজন,নসীহাপূর্ণ গঠনমূলক সমালোচনা, সংশোধনী বা নসীহাগ্রহণ, একটা অসাধারণ ছবি ওঠে এসেছে।জাযাহুমাল্লাহু খাইরান।
এমনটা আমরা আরো দেখার সুযোগ পেয়েছি-ইলম ও জিহাদ ভাই ও আদনান মারুফ ভাইসহ অন্য ভাইদের পোস্টে-ফাল হামদু লিল্লাহ।

আমার মনে হয় আমার পোস্টের কমেন্টে এসে কেউ সংশোধনী মন্তব্য করলে অবচেতনেই হয়তো একটু কেমন যেন লাগতো,আল্লাহ তায়ালা সেই ভাবটা দূর করে দিন,গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন।।
আশা করি আমরা এ বিষয়গুলো দেখে শিখবো,ফোরাম আমাদের শেখার জায়গা।

ফোরামে আগে একটা সময় সংশোধনী গ্রহণ না করে অযথা তর্ক, এমনকি কখনো মডারেটর ভাইদেরকেও কটু কথা বলা হতো দেখে দেখে ভীষণ মন খারাপ হয়েছিল,কিন্তু আল্লাহর শুকরিয়া এখন পরিবেশটা অনেক সুন্দর।

সালাউদ্দীন আইয়ুবী ভাই সত্যই বলেছেন-আমরা সবাই পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে হরকতের কাছে ঋণী।সবপ্রথম শায়খ ওসামা মোল্লা উমর রহিমাহুমাল্লার নাম শুনে তাদের ভালোবেসেছিলাম তাদেরই মেহনতের বরকতে।আল্লাহর ইচ্ছায় সে ভালোবাসাই তানজিমে আসার কারণ হয়েছে।

আবুল ফিদা ভাইয়ের পোস্টের আলোচনাটা অনেক যুক্তিসঙ্গত, আসলেই বাংলাদেশ আল কায়েদাকে এমন কিছু ক্ষেত্রে কাজ করতে হয়েছে হরকতের ভাইয়েরা একসময় থাকা সত্বেও যে জায়গাগুলোতে শূন্যতা বিরাজ করতো।

যেমন-মানুষকে তাওহিদ বোঝানো,ওয়ালা বারা-হাকিমিয়্যাহ বোঝানো এবং জিহাদকে আকীদাকেন্দ্রিক করা।এটা আমাদের মনে হয় হরকত বিলুপ্তির অন্যতম মৌলিক কারণ।

এ ছাড়াও আরেকটা বিষয়।৯/১১ এর আগের এবং ৯/১১ এর পরের বিশ্বপরিস্হিতি ও মিডিয়া প্রপাগান্ডা এক না।বিশ্বব্যাপী মার্কিন বলয়ে জঙ্গীবাদ বিরোধী বিপুল প্রচারণা করার পর আলেমরা তালিবুল ইলমরা অধিকাংশই জঙ্গীবাদ বিরোধী হয়ে ওঠেছিল।এমনকি আমরা যারা শায়খ উসামাকে ভালোবাসতাম তারাও অনেকে বাংলাদেশে জেএমবির কাজকে তেমন ভালো চোখে দেখতাম না।এ ফাদে হরকতেরও অনেকে পড়ে গিয়েছিল-এবং জিহাদের সাপোর্টার অথচ "জঙ্গীবাদ" বিরোধী হয়ে ওঠেছিল!
সে বিষয়টা খেয়াল করলে বোঝা যাবে-আলকায়েদাকে অনেকটা আবার শুরু থেকে শুরু করতে হয়েছিল।
এই দুইটা পয়েন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ-এ জন্যই হয়তো আবুল ফিদা ভাইয়ের পোস্টে আনসার আল ইসলামের কথা এত জোরদারভাবে এসেছে।

আল্লাহ তাবারকা ওয়া তায়ালা সকল মেহনত কে কবুল করুন। আমীন।